original_title
stringlengths
2
272
category
stringclasses
58 values
full_news
stringlengths
2
73.5k
sub_article
stringlengths
1
24.1k
semantic_title
stringlengths
2
255
lexical_title
stringlengths
4
240
random_title
stringlengths
3
255
সু চির আরও ৪ বছরের কারাদণ্ড
international
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও গৃহবন্দি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে আরও চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। অবৈধ ওয়াকিটকি রাখাসহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগে এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সোমবার (১০ জানুয়ারি) জান্তাশাসিত দেশটির একটি আদালত এই রায় ঘোষণা করেন বলে বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও গৃহবন্দি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে আরও চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত
দুর্নীতির মামলায় সু চির আরো ৫ বছরের জেল
দুর্নীতির দায়ে সু চির আরও ৬ বছরের কারাদণ্ড
'আয়াতের হত্যাকারী আবিরসহ জড়িতদের অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে '
ধর্মীয় দৃষ্টিতে ইতিহাস চর্চা হতে পারে না
national
প্রমাণ ছাড়া ইতিহাস হয় না, বললেন দেশের বিশিষ্ট ও প্রবীণ ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার। তাঁর স্পষ্ট অভিমত, ধর্মের ভিত্তিতে কাঠগড়ায় তোলার লক্ষ্য নিয়ে নয়, ইতিহাস চর্চা করতে হবে পেশাদার দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রমাণের ভিত্তিতে। শনিবার নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে ‘আমাদের ইতিহাস, তোমাদের ইতিহাস, কাদের ইতিহাস?’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি বক্তব্য রাখছিলেন। ভারতে যখন আরএসএস সহ হিন্দুত্ববাদী শক্তি কিছু ধর্মীয় বিশ্বাসকে ইতিহাস বলে প্রচার করে চলেছে, পৌরাণিক কল্পকাহিনীকে ইতিহাস বলে দাবি করে চলেছে এবং ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকে ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনাকে ব্যাখ্যা করে সাম্প্রদায়িক বিভাজনে উসকানি দিচ্ছে, তখন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস প্রফেসর রোমিলা থাপারের এই মন্তব্য নিশ্চিতভাবেই গভীর তাৎপর্যপূর্ণ। শুধু কল্পকাহিনীকে ইতিহাস বলে চালানো নয়, বাস্তবে আরএসএস’র নেতৃত্বে হিন্দুত্ববাদীরা এদেশে বহু বছর ধরেই সংখ্যাগুরুবাদী ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ইতিহাসকে বিকৃত করে চলেছে। যেমন, হিন্দুত্ববাদীদের প্রচার, দিল্লির কুতুব মিনার তৈরি করা হয়েছে একটি মন্দির ভেঙে এবং আসলে সেটি ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’। কুতুব মিনারের গায়ে রয়েছে সংস্কৃততে কিছু লেখা, রয়েছে বিশ্বকর্মার মূর্তির প্রতিরূপ। তাকেই হিন্দুত্ববাদীরা ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’র প্রমাণ বলে দাবি করে। ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের ভাষণে প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের বিশেষজ্ঞ রোমিলা থাপার ইতিহাসের সেই বিকৃতির প্রমাণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, চতুর্দশ শতাব্দীতে বজ্রপাতে বড় ক্ষতি হয়েছিল কুতুব মিনা‍‌রের। যে রাজমিস্ত্রিরা তখন সৌধটি মেরামতের কাজ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন লক্ষ্মণ, নানা, সোলহা প্রমুখ। তাঁরা সবাই ছিলেন হিন্দু। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন স্থপতি চাহাদা দেবপালা, তিনিও ছিলেন হিন্দু। মেরামতির সময়ে তাঁরা সৌধটির নানা জায়গায় হিন্দিতে ও ভুল সংস্কৃততে নিজেদের নাম এবং নিজেদের দেবতা বিশ্বকর্মার প্রতিরূপ খোদাই করে দেন। থাপার বলেন, না ওই রাজমিস্ত্রিদের দিয়ে জোর করে খাটানো হয়েছিল, না তাঁদের ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। তাহলে তাঁরা নিজেদের দেবতার প্রতিমূর্তি খোদাই করতে পারতেন না সৌধের দেওয়ালে। থাপার ভাষণে জোর দিয়েছেন ইতিহাসের সঙ্গে জাতীয়তাবাদের সম্পর্ক ব্যাখ্যায়। তিনি উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন, আজকের দিনে ধর্মীয় পরিচিতিভিত্তিক জাতীয়তাবাদের ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কীভাবে ইতিহাসের ব্যবহার হচ্ছে। থাপার ভাষণ শুরুই করেছেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ এরিক হবসবামের এক উদ্ধৃতি দিয়ে। হবসবাম বলেছিলেন, হেরোইনে আসক্ত এক জনের কাছে আফিম যা, জাতীয়তাবাদের কাছে ইতিহাস তা। তা উল্লেখ করে থাপার বলেন, হেরোইন-আসক্ত যখন আফিমের নেশায় বুঁদ হয়ে যান, তখন তিনি উজ্জ্বল অতীতের কল্পনায় ভাসতে থাকেন এবং বর্তমান নিয়েও তার নিরিখে ভাবতে থাকেন। আজকের দিনে জাতীয়তাবাদ ইতিহাসকে সেভাবেই ব্যবহার করছে। প্রকৃতপক্ষে, স্বাধীনতার জন্য লড়াই‍‍‌য়ের সময়ে এমন দেশ গঠনের লক্ষ্য থাকে জাতীয়তাবাদের, যেখানে ঔপনিবেশিকতা থেকে মুক্ত হবেন নাগরিকরা। ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনে সেই একক লক্ষ্যের জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটার পাশাপাশি ধর্মীয় পরিচিতিভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন জাতীয়তাবাদও আত্মপ্রকাশ করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদকে প্রতিষ্ঠিত করাই ছিল এই বিভাজিত জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য। আজ প্রাচীন ইতিহাসের সঙ্গে এর সংযোগসূত্র দাবি করে একে বৈধতা দিতে চাওয়া হচ্ছে। ঔপনিবেশিক শাসনের পর্বে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদ স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে জোর দিয়েছিল। অন্যদিকে, দুই ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ দেশকে ভাগ করেছিল হিন্দু-মুসলিমে। আরও পিছনের ইতিহাসে চোখ রাখলে দেখা যাবে, তখনও এ‍‌ই বিভাজিত জাতীয়তাবাদ ছিল না। মুঘল অর্থনীতির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল রাজা তোদর মলের বিশ্বস্ত হাতে। হলদিঘাটির যুদ্ধে মুঘল সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রাজা মান সিং, যিনি ছিলেন রাজপুত। তিনি পরাস্ত করেছিলেন আরেক রাজপুত মহারানা প্রতাপকে। আবার মহারানা প্রতাপের সেনাবাহিনীতে বিরাট সংখ্যায় ছিলেন আফগানরা। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন শের শাহ সুরির বংশধর হাকিম খান সুরি। স্পষ্টতই ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে হিন্দু বা মুসলিম কোনও পক্ষই সেই যুদ্ধে অংশ নেয়নি। পাশাপাশি মুঘল রাজ পরিবার ও রাজপুত রাজ পরিবারের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল সামাজিক বন্ধনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে। ‘লাভ জিহাদ’ বলে তখন কিছুই ছিল না। সেই সময়ের ব্যক্তিদের স্মৃতিচারণা ও আত্মজীবনীতে তার কোনও উল্লেখ পাওয়া যায়নি। এই প্রসঙ্গেই থাপার বলেছেন, ভুয়ো সংবাদের প্রচার আজকের দিনে ইতিহাস চর্চায় বিরাট সমস্যা তৈরি করছে। বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের ভিত্তিতে লেখা ইতিহাস এবং অপ্রশিক্ষিত ঐতিহাসিকদের বদলে পেশাদার ইতিহাসবিদদের লেখা ইতিহাসই বিদ্যালয় স্তরে শেখানো উচিত। ভাষণ শেষ করেছেন তিনি প্রশ্ন তুলে— ‘‘হেরোইন-আসক্ত এবং আফিমের সম্পর্ক এমনই থাকতে দেব কি আমরা? না কি আমরা চাইব, আফিমে বুঁদ হেরোইন-আসক্ত নিজেই নিজের কল্পনাকে প্রশ্ন করুক? না কি আমরা আফিমের গুণমানের পুনর্মূল্যায়ন করব?’’ থাপার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘প্রশ্ন করলে তবেই তো জ্ঞানের প্রসার ঘটে।’’
তিনি উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন, আজকের দিনে ধর্মীয় পরিচিতিভিত্তিক জাতীয়তাবাদের ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কীভাবে ইতিহাসের ব্যবহার হচ্ছে থাপার ভাষণ শুরুই করেছেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ এরিক হবসবামের এক উদ্ধৃতি দিয়ে হবসবাম বলেছিলেন, হেরোইনে আসক্ত এক জনের কাছে আফিম যা, জাতীয়তাবাদের কাছে ইতিহাস তা তা উল্লেখ করে থাপার বলেন, হেরোইন-আসক্ত যখন আফিমের নেশায় বুঁদ হয়ে যান, তখন তিনি উজ্জ্বল অতীতের কল্পনায় ভাসতে থাকেন এবং বর্তমান নিয়েও তার নিরিখে ভাবতে থাকেন আজকের দিনে জাতীয়তাবাদ ইতিহাসকে সেভাবেই ব্যবহার করছে প্রকৃতপক্ষে, স্বাধীনতার জন্য লড়াই‍‍‌য়ের সময়ে এমন দেশ গঠনের লক্ষ্য থাকে জাতীয়তাবাদের, যেখানে ঔপনিবেশিকতা থেকে মুক্ত হবেন নাগরিকরা ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনে সেই একক লক্ষ্যের জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটার পাশাপাশি ধর্মীয় পরিচিতিভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন জাতীয়তাবাদও আত্মপ্রকাশ করেছে সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদকে প্রতিষ্ঠিত করাই ছিল এই বিভাজিত জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য আজ প্রাচীন ইতিহাসের সঙ্গে এর সংযোগসূত্র দাবি করে একে বৈধতা দিতে চাওয়া হচ্ছে ঔপনিবেশিক শাসনের পর্বে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদ স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে জোর দিয়েছিল অন্যদিকে, দুই ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ দেশকে ভাগ করেছিল হিন্দু-মুসলিমে আরও পিছনের ইতিহাসে চোখ রাখলে দেখা যাবে, তখনও এ‍‌ই বিভাজিত জাতীয়তাবাদ ছিল না মুঘল অর্থনীতির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল রাজা তোদর মলের বিশ্বস্ত হাতে হলদিঘাটির যুদ্ধে মুঘল সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রাজা মান সিং, যিনি ছিলেন রাজপুত
কোনও বিভাজনের সংস্কৃতি ভারতের আত্মা নয়
পালাতে গিয়ে গাড়িতে ধাক্কা বাসের, নিহত ৩
বাইকে চেপে শুটিংয়ে গিয়ে বিপাকে অমিতাভ বচ্চন এবং অনুষ্কা শর্মা! পুলিশের নজরে দুই তারকা
লোধা নাবালককে পিটিয়ে খুন করল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য
state
নৃশংসতায় যোগীর রাজ্যকেও হার মানায়। তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য ও তার দলবল পিটিয়ে হত্যা করলো লোধা সম্প্রদায়ের এক নাবালক শিশুকে। এমন হিংস্র দানবীয় ঘটনায় এলাকা জুড়ে মানুষের তীব্র ক্ষোভ। সবং থানার ৩ নং ডাডরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়চাহারা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলের নেতা এক শিশুকে দোকান থেকে খাবার চুরি করার অজুহাতে পিটিয়ে খুন করে। এই অমানবিক নিষ্ঠুর ভয়ঙ্কর ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চেয়ে বড়চারাতে ডেবরা-দীঘাগামী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভ দেখান মানুষ। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, শুভ নায়েক নামে লোধা সম্প্রদায়ের ১৩বছরের এই নাবালক খিদের জ্বালায় দোকান থেকে খাবার চুরি করেছিল বলে অভিযোগ। তার বাবা পরিযায়ী শ্রমিক। এখন দিনমজুরির কাজে অন্য জেলায় থাকেন। তার দাদা পরমেশ্বর নায়েক সবং থানায় পিটিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন বৃহস্পতিবার দেহ উদ্ধারের পর।বুধবার সন্ধ্যায় বড়চাহারা এলাকায় ওই নাবালক সম্পর্কে চুরি করার অভিযোগ তোলা হয়। স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মনোরঞ্জন মাল সহ তার দলবল ঐ শিশুটিকে ধরে নিয়ে গিয়ে প্রথমে সেলুনে ন্যাড়া করায়। তারপর রাস্তার ধারে গাছে বেঁধে মারধর করে। ওখানেই গুরুতর আহত হয় শিশুটি। খিদের জ্বালায় এমনিতেই শরীর দুর্বল ছিল।শিশুটিকে সারারাত তৃণমূলের ঐ নেতা সহ তার দলবল নিজেদের কবজায় গোপন স্থানে আটক করে রাখে। বৃহস্পতিবার কাকভোরে তার বাড়ির সামনেই নাবালকটির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষ। বাড়ির লোককে জানানো হয়। এরপর থানায় খবর দেন এলাকার মানুষ। মৃতদেহ উদ্ধার করে সবং থানার পুলিশ।এই ঘটনার পর মৃত নাবালকের পরিবারের পক্ষ থেকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ দায়ের করা হয়  তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এলাকায় জনরোষ সামাল দিতে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সহ মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে সবং থানার পুলিশ। গ্রামের সব স্তরের মানুষ এমন ঘটনাকে ধিক্কার জানিয়ে সরব হয়েছেন।
তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য ও তার দলবল পিটিয়ে হত্যা করলো লোধা সম্প্রদায়ের এক নাবালক শিশুকে এমন হিংস্র দানবীয় ঘটনায় এলাকা জুড়ে মানুষের তীব্র ক্ষোভ সবং থানার ৩ নং ডাডরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়চাহারা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে তৃণমূলের নেতা এক শিশুকে দোকান থেকে খাবার চুরি করার অজুহাতে পিটিয়ে খুন করে এই অমানবিক নিষ্ঠুর ভয়ঙ্কর ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চেয়ে বড়চারাতে ডেবরা-দীঘাগামী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভ দেখান মানুষ গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, শুভ নায়েক নামে লোধা সম্প্রদায়ের ১৩বছরের এই নাবালক খিদের জ্বালায় দোকান থেকে খাবার চুরি করেছিল বলে অভিযোগ তার বাবা পরিযায়ী শ্রমিক এখন দিনমজুরির কাজে অন্য জেলায় থাকেন
আদিবাসী দম্পতিকে পিটিয়ে খুন গা ঢাকা বীরভূমের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের
হাড়োয়ায় খুন তৃণমূলের নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়াতে চাইছে বিজেপি এবং তৃণমূল : সেলিম
ব্যালট থাকছে না মেনুতে, মহাদেব আজ আসছেন মাংস-ভাত নিয়ে
state
মাংস ভাত নিয়ে ধর্মতলায় আসছেন মহাদেব মাটি। ব্যালট থাকবে মেনুতে? প্রশ্ন শুনে রেগে গেলেন তৃণমূলের এই ‘জেতা’ প্রার্থী। বললেন, ‘‘এই হলো আপনাদের দোষ। এখন এই প্রশ্ন আসছে কেন?’’শুক্রবার ২১জুলাই। এদিন তৃণমূল সভা করে ধর্মতলায়। বৃহস্পতিবার সভাস্থল ঘুরে দেখেছেন তৃণমূল নেত্রী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সভাস্থলেই এদিন মনিপুরের জঘন্য ঘটনা সম্পর্কে সমালোচনা করেছেন বিজেপি-র। টুইটারে লিখেছেন, ‘‘মণিপুরের মারাত্মক ভিডিওটি দেখে আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। দুই মহিলার উপর উন্মত্ত জনতার নির্মমতা দেখে ক্রোধ তৈরি হয়েছে মনে। বর্বরোচিত এই কাজ সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গেছে, যা মানবতার বোধগম্য নয়।’’এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের নেতারা। শুধু নেতারাই নন, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও দেখা গেছে এদিন তৃণমূলের দলীয় সভার প্রস্তুতি দেখতে মমতা ব্যানার্জি এবং তৃণমূল নেতাদের পাশে বসে গল্প করতে। বৃহস্পতিবার থেকেই জেলা এবং শহরে বাসের সংখ্যা কমেছে। শুক্রবার অটোও কম মিলবে। অন্তত ইঙ্গিত তেমনই। কারণ, যানবাহনের বড় অংশ নিয়ে নেবেন তৃণমূল নেতারা। তাতে সমর্থক, কর্মীদের নিয়ে যাওয়া হবে ধর্মতলায় — বাৎসরিক কর্মসূচীতে।এবারের সভায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের প্রতীকে জয়ী প্রত্যেককে হাজির থাকার নির্দেশ জেলার নেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। অর্থাৎ ভোট লুট করে, ব্যালট বাক্সে জালিয়াতি করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেতা প্রার্থীরা থাকবেন। যদিও তাঁদের এখনও জয়ী বলা যাচ্ছে না আদালতের নির্দেশের কারণে। সেই দলেই থাকছেন মহাদেব মাটি। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া-২ নং ব্লকের ভুরকুন্ডায় তিনি তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন। হারছেন বুঝতে পেরে গণনা কেন্দ্রে সিপিআই(এম) প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদারের নামের পাশে ছাপ মারা কয়েকটি ব্যালট ছোঁ মেরে তুলে গিলে ফেলেন মহাদেব। গণনা কেন্দ্রে ছিল তৃণমূলের একাধিপত্য। তৃণমূলের এজেন্টরা ছিলেন। প্রশাসনের অফিসার, কর্মীরাও তৃণমূলের কর্মী হিসাবেই কাজ করেছেন। ফলে মহাদেব মাটির এই কান্ডর বিরোধিতা সিপিআই(এম) ছাড়া কেউ করেনি। বিজেপি প্রার্থী ছিলেন ওই কেন্দ্রে। কিন্তু বিজেপি বিশেষ কথা বলেনি। বিডিও মহাদেব মাটিকেই ‘জয়ী’ ঘোষণা করেছেন। এদিন সেই মহাদেব জানান, ‘‘ধর্মতলায় কাল যাবো। এখান থেকে স্করপিও হচ্ছে। অন্য গাড়িও হচ্ছে। আমি কোনটায় যাবে, এখনও ঠিক করিনি। দেখা যাক। আলোচনা চলছে।’’ জিজ্ঞাসা করা হয়, দুপুরের খাবার খেয়ে যাবেন? নাকি নিয়ে যাবেন? মহাদেব বলেন, ‘‘দুপুরের খাবার তো সকালে খাওয়া যাবে না। নিয়েই যাবো। গতবারও তাই গেছিলাম। আমাদের এখান থেকে রান্না করে নিয়ে যাওয়া হয়।’’ এবার কী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? ডিম ভাত? উত্তরে মহাদেব বলেন, ‘‘না, এবার মাংস ভাত নিয়ে যাব।’’ তারপরই আসে ব্যালট প্রসঙ্গ। তাতে খেপে যান মহাদেব।ভুরকুন্ডায় যাঁর বদলে তৃণমূল এবার ‘ব্যালট খাওয়া’ মহাদেব মাটিকে প্রার্থী করেছিল, সেই দোলা পোদ্দার হালদার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। যদিও ১৯৯৩-এর ২১জুলাই-র মহাকরণ অভিযানের কারন সম্পর্কে মমতা ব্যানার্জি বরাবর দাবি করেছেন যে, ‘সায়েন্টিফিক রিগিং’য়ের বিরুদ্ধে সেদিন তিনি মহাকরণ অভিযান করেছিলেন। তাঁর সেই কর্মসূচীর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে গণনা কেন্দ্রে কারচুপি করে জেতা প্রার্থীদের হাজিরা বাধ্যতামূলক।তিরিশ বছর আগে, ২১জুলাই মহাকরণ দখল করতে আসা মমতা ব্যানার্জির সমর্থক, বাহিনীরা পুলিশকে আক্রমন করেছিল। মমতা ব্যানার্জি তখন যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী। সেদিন পুলিশ গুলি চালালে ১৩জনের মৃত্যু হয়। স্বরাষ্ট্র সচিব হিসাবে মনীশ গুপ্ত সেদিনের ঘটনার বিষয়ে হাইকোর্টে ১৯৯৩-র ২রা আগস্ট একটি হলফনামা জমা দিয়েছিলেন। সেই হলফনামা অনুসারে, ওই দিন জমায়েতে ‘বহু সশস্ত্র দুষ্কৃতী (অ্যান্টিসোস্যাল) নেশাগ্রস্ত অবস্থায় জড়ো হয়েছিল’। ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সারা রাজ্যের কয়েক হাজার যুব কংগ্রেসকর্মী স্ট্র্যান্ড রোড, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, রানী রাসমণি অ্যাভিনিউ, এসপ্ল্যানেড রো ইস্ট এবং ব্রেবোর্ন রোডে জমায়েত হয়। তারা মহাকরণের দিকে ছুটতে থাকে। পুলিশ প্রথমে নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জনতাকে শান্ত করতে চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের সেই চেষ্ঠা ফলপ্রসূ হয়নি। ‘জনতা’ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাইপগান থেকে গুলি ছোঁড়ে। ইঁট, পাথর, সোডার বোতলও ছোঁড়া হয় যথেচ্ছ। পুলিশ তখন লাঠি চালায়। ৩৪১ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটায় পুলিশ এবং রাইফেল থেকে ৭৫ রাউন্ড ও রিভলভার থেকে ৪৬ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। অর্থাৎ সেদিন ‘আন্দোলনকারীরা’ বোমা, পাইপগান নিয়ে এসেছিল। তারা গুলি ছুঁড়ছিল, বোমা মারছিল। মনীশ গুপ্তর হলফনামা আরও জানিয়েছিল, সেদিন ৩টি বাস পুড়িয়েছিল মমতা ব্যানার্জির ডাকে হাজির বাহিনী। তারা ৩৫টি গাড়িও ভাঙচুর করেছিল। জখম হয়েছিলেন ২১৫ জনের বেশি পুলিশ। তাঁদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার, ডিসি (সদর), ৭জন ডিসি, ১০ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ছিলেন। ৩৪ জন পুলিশকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ হাসপাতালে। তাঁদের অনেকেরই পাইপগানের গুলি এবং বোমার স্প্লিন্টার লেগেছিল। তালতলা থানার সার্জেন্ট ডি কে ঘোষালের গুলি লেগেছিল। এক সাব ইনস্পেক্টর কালাচাঁদ সমাদ্দারের শরীরে আঘাত ছিল বোমার। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাব ইনস্পেক্টর একে গাঙ্গুলিকে এসএসকেএম হাসপাতালের সামনে মেরে মাথা ফাটিয়ে, হাত ভেঙে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। আক্রান্ত, রক্তাক্ত হয়েছিল পুলিশ। তাই গুলি চালিয়েছিল। সেদিন সাংবাদিক পিটিয়েছিল মমতা ব্যানার্জির দলবল। দুপুর পৌঁনে তিনটে নাগাদ ধর্মতলায় স্কুটার আরোহী ওই সাংবাদিক, সঈদ আহ্‌মেদকে মমতা ব্যানার্জির কর্মীরা ঘিরে ধরে মেরেছিল। মারাত্মক আহত হন তিনি।মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি।  ‘২১শে জুলাইয়ের তদন্ত কমিশন’-র সরকারী ঘোষণা হয়েছিল ২০১২-র ১৭ই ফেব্রুয়ারি। ২০১৪-র ডিসেম্বরে কমিশন রিপোর্ট জমা দেয়। কমিশন সাক্ষ্য দিতে ডেকেছিল বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। কিন্তু যিনি সেই ‘অভিযান’-র উদ্যোক্তা, সেই মমতা ব্যানার্জিকে কমিশন ডাকেনি। কমিশন কেমন কাজ করেছে, তা এ’ থেকে কিছুটা বোঝা যায়। তবু কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সুশান্ত চ্যাটার্জি তাঁর তদন্ত রিপোর্ট জানাতে বাধ্য হয়েছেন, যে ১৩জনের মৃত্যু হয়েছিল সেদিন, তাদের মধ্যে একজনের গায়ে গুলির কোনও আঘাতই মেলেনি। সেই ব্যক্তির মৃত্যুর কারন ‘সিরোসিস অব লিভার’। সাধারনত এই রোগটি বেপরোয়া মদ্যপানের কারনে হয়। আর বেপরোয়া মদ্যপান দুষ্কৃতীদের পরিচিত বৈশিষ্ট্য।এখন তৃণমূলের মধ্যে এই বেপরোয়া দুষ্কৃতী, যারা গণনা কেন্দ্রে মহিলা প্রার্থীর গায়ে মদ ঢেলে দেয়, মারাত্মক হামলা চালায়, তারাই প্রধানত আছে।
ভুরকুন্ডায় যাঁর বদলে তৃণমূল এবার ‘ব্যালট খাওয়া’ মহাদেব মাটিকে প্রার্থী করেছিল, সেই দোলা পোদ্দার হালদার কোনও মন্তব্য করতে চাননি যদিও ১৯৯৩-এর ২১জুলাই-র মহাকরণ অভিযানের কারন সম্পর্কে মমতা ব্যানার্জি বরাবর দাবি করেছেন যে, ‘সায়েন্টিফিক রিগিং’য়ের বিরুদ্ধে সেদিন তিনি মহাকরণ অভিযান করেছিলেন তাঁর সেই কর্মসূচীর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে গণনা কেন্দ্রে কারচুপি করে জেতা প্রার্থীদের হাজিরা বাধ্যতামূলকতিরিশ বছর আগে, ২১জুলাই মহাকরণ দখল করতে আসা মমতা ব্যানার্জির সমর্থক, বাহিনীরা পুলিশকে আক্রমন করেছিল মমতা ব্যানার্জি তখন যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী সেদিন পুলিশ গুলি চালালে ১৩জনের মৃত্যু হয় স্বরাষ্ট্র সচিব হিসাবে মনীশ গুপ্ত সেদিনের ঘটনার বিষয়ে হাইকোর্টে ১৯৯৩-র ২রা আগস্ট একটি হলফনামা জমা দিয়েছিলেন সেই হলফনামা অনুসারে, ওই দিন জমায়েতে ‘বহু সশস্ত্র দুষ্কৃতী (অ্যান্টিসোস্যাল) নেশাগ্রস্ত অবস্থায় জড়ো হয়েছিল’ ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সারা রাজ্যের কয়েক হাজার যুব কংগ্রেসকর্মী স্ট্র্যান্ড রোড, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, রানী রাসমণি অ্যাভিনিউ, এসপ্ল্যানেড রো ইস্ট এবং ব্রেবোর্ন রোডে জমায়েত হয় তারা মহাকরণের দিকে ছুটতে থাকে পুলিশ প্রথমে নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জনতাকে শান্ত করতে চেষ্টা করে কিন্তু পুলিশের সেই চেষ্ঠা ফলপ্রসূ হয়নি ‘জনতা’ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাইপগান থেকে গুলি ছোঁড়ে ইঁট, পাথর, সোডার বোতলও ছোঁড়া হয় যথেচ্ছ পুলিশ তখন লাঠি চালায় ৩৪১ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটায় পুলিশ এবং রাইফেল থেকে ৭৫ রাউন্ড ও রিভলভার থেকে ৪৬ রাউন্ড গুলি চালানো হয় অর্থাৎ সেদিন ‘আন্দোলনকারীরা’ বোমা, পাইপগান নিয়ে এসেছিল তারা গুলি ছুঁড়ছিল, বোমা মারছিল মনীশ গুপ্তর হলফনামা আরও জানিয়েছিল, সেদিন ৩টি বাস পুড়িয়েছিল মমতা ব্যানার্জির ডাকে হাজির বাহিনী তারা ৩৫টি গাড়িও ভাঙচুর করেছিল জখম হয়েছিলেন ২১৫ জনের বেশি পুলিশ তাঁদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার, ডিসি (সদর), ৭জন ডিসি, ১০ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ছিলেন ৩৪ জন পুলিশকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ হাসপাতালে তাঁদের অনেকেরই পাইপগানের গুলি এবং বোমার স্প্লিন্টার লেগেছিল তালতলা থানার সার্জেন্ট ডি কে ঘোষালের গুলি লেগেছিল এক সাব ইনস্পেক্টর কালাচাঁদ সমাদ্দারের শরীরে আঘাত ছিল বোমার কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাব ইনস্পেক্টর একে গাঙ্গুলিকে এসএসকেএম হাসপাতালের সামনে মেরে মাথা ফাটিয়ে, হাত ভেঙে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা আক্রান্ত, রক্তাক্ত হয়েছিল পুলিশ তাই গুলি চালিয়েছিল সেদিন সাংবাদিক পিটিয়েছিল মমতা ব্যানার্জির দলবল
Lifestyle: খেয়ে উঠেই ভাতঘুম? কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?
কেনেডি জুনিয়র সপরিবারে ঢাকায় আসছেন আজ
হরিয়ানায় জয় পেলেন কৃষকরা
অশ্বিন-জাডেজা নয়, বিশ্বকাপে অন্য এক স্পিনারকে ভারতীয় দলে দেখতে চান সৌরভ
sports
রবিচন্দ্রন অশ্বিন বা রবীন্দ্র জাডেজা নন। এক দিনের বিশ্বকাপে ভারতের তুরুপের তাস হতে পারেন অন্য এক স্পিনার। ভারতীয় দলে অনিয়মিত সেই স্পিনারের দিকে নজর রাখার কথা বললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাক্তন অধিনায়কের মতে, সাদা বলের ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফরম্যান্স করছেন যুজবেন্দ্র চহাল। বিশ্বকাপের জন্য তাঁকে ভাবা উচিত। সৌরভ বলেছেন, ‘‘রবি বিষ্ণোই, কুলদীপ যাদবের মতো স্পিনার রয়েছে ভারতের। তাও চহালের কথা বলব। যে কোনও কারণেই হোক কয়েকটা বড় প্রতিযোগিতায় সুযোগ পায়নি চহাল। অথচ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফরম্যান্স করছে চহাল। ২০ ওভার বা ৫০ ওভারের ম্যাচের জন্য চহালের কথা ভাবা যেতে পারে। ওর দিকে নজর রাখা দরকার।’’ সৌরভ মনে করেন রিস্ট স্পিনারেরা (যে স্পিনারেরা কব্জির মোচড়ে বল ঘোরান) শক্তিশালী দলগুলির বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারেন। প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিরুদ্ধে রিস্ট স্পিনারেরা পার্থক্য তৈরি করতে পারে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে যেমন পীযূষ চাওলা ভাল বল করেছিল। ২০০৭ সালে আমরা যখন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিলাম, তখনও জোরে বোলারদের পাশাপাশি আমাদের রিস্ট স্পিনারেরা ভাল বল করেছিল। সেই দলে হরভজন সিংহ ছিল। আমি মনে করি ভারতের উইকেটে খেলা হলে দলে রিস্ট স্পিনার রাখা খুব জরুরি।’’ আসন্ন এক দিনের বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। ৮ অক্টোবর চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলবেন রোহিত শর্মারা। পি চিদম্বরম স্টেডিয়ামের ২২ গজ স্পিন সহায়ক হিসাবেই পরিচিত। টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এক মাস বিশ্রাম পেয়েছেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটারেরা। ১২ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আবার ২২ গজে ফিরবেন তাঁরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ে পূর্ণাঙ্গ সফরের পর আয়ারাল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়, এশিয়া কাপ, ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ় খেলবে ভারতীয় দল। বিশ্বকাপের আগে সেরা দল বেছে নেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে রাহুল দ্রাবিড়ের হাতে। সৌরভের মতে এই ম্যাচগুলিতে চহাল-সহ অন্য স্পিনারদের দেখে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে ভারতের।
সেই দলে হরভজন সিংহ ছিল আমি মনে করি ভারতের উইকেটে খেলা হলে দলে রিস্ট স্পিনার রাখা খুব জরুরি’’ আসন্ন এক দিনের বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ৮ অক্টোবর চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলবেন রোহিত শর্মারা পি চিদম্বরম স্টেডিয়ামের ২২ গজ স্পিন সহায়ক হিসাবেই পরিচিত টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এক মাস বিশ্রাম পেয়েছেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটারেরা ১২ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আবার ২২ গজে ফিরবেন তাঁরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ে পূর্ণাঙ্গ সফরের পর আয়ারাল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়, এশিয়া কাপ, ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ় খেলবে ভারতীয় দল বিশ্বকাপের আগে সেরা দল বেছে নেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে রাহুল দ্রাবিড়ের হাতে
সৌরভদের দলের এক ক্রিকেটার অন্য দলের হয়ে খেলছেন! আইপিএলের মাঝে বিস্ফোরক ভারতীয় স্পিনার
একা নয়, অনেকে মিলে
ক্ষুদ্রতার বিপদ
'কাঁটাতারের বেড়া টপকে আসা হিন্দু-মুসলিম সবাইকে ফিরে যেতে হবে'
national
ছবির উৎস, Getty Images ভারতের পেট্রাপোল সীমান্ত সতর্ক অবস্থায় বিএসএফ-এর নারী সদস্যরা। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “যে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে ঢুকেছ তাকে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে যেতে হবে। সে হিন্দু হোক আর মুসলমান হোক।" যদিও মি. অধিকারী বাংলাদেশের নাম করেননি, তবে মালদা জেলার ওই জনসভায় দেওয়া বক্তৃতা শুনে মনে করা হচ্ছে যে তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা মানুষদের কথাই বোঝাচ্ছেন। বিজেপি এতদিন বলে এসেছে যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা হিন্দুদের 'উদ্বাস্তু' আর মুসলমানদের 'অনুপ্রবেশকারী' হিসাবে চিহ্নিত করা হবে। শুভেন্দু অধিকারীর ভাষণের পরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে যে বাংলাদেশ থেকে যেসব হিন্দুরা ভারতে এসেছেন, তাদেরও কি ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে? এই প্রশ্নও উঠছে যে বিজেপি কি তাহলে তাদের দীর্ঘদিনের নীতি পরিবর্তন করল? ছবির উৎস, Getty Images বিজেপি নেতা ও পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মি. অধিকারীর ভাষণের ক্লিপটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এমন এলাকায়, যেখানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা অনেক মানুষ বসবাস করেন। কলকাতা লাগোয়া এরকমই একটা এলাকা যাত্রাগাছি, যেখানে আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষরা বাস করেন। তাদের মধ্যে হিন্দুরা বড় সংখ্যা হলেও মুসলমানরাও থাকেন সেখানে। এদের বেশিরভাগই এখন ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে গেছেন এবং বিজেপি ওই অঞ্চলে যথেষ্ট সংখ্যক ভোট পায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও গিয়েছিলেন ওই এলাকার একটি বাড়িতে দুপুরের খাবার খেতে। ওই পাড়াতে এখন মি. অধিকারীর ভাষণটা নিয়েই আলোচনা চলছে। এলাকার এক বাসিন্দা, যিনি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা থেকে ১৯৮৬ সালে চলে এসেছিলেন ভারতে, তিনি নাম উল্লেখ না করার শর্তে বলছিলেন, “আমরা তো এটা নিয়েই আলোচনা করছি। সবাই দেখেছি শুভেন্দু অধিকারীর ভাষণটা। “আমাদের মধ্যে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ভাষণটা শোনার পরে যে এতবছর পরে তিল তিল করে এদেশে সব গড়ে তোলার পরে যদি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়, তাহলে আমরা কোথায় দাঁড়াব!” বলছিলেন ওই ব্যক্তি। তিনি আরও বলছিলেন যে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলের বড় নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখ থেকে যখন এরকম কথা শোনা যায়, তাহলে তো চিন্তা হয়ই। আবার ভারত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার এক বাসিন্দা যিনি নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে এখানকারই নাগরিক হয়ে গেছেন ,তিনি বলছেন, “আমার তো কোনও আশঙ্কা হচ্ছে না ওই ভাষণ দেখার পরে।" প্রথম ব্যক্তি সরাসরি রাজনীতি না করলেও দ্বিতীয় ব্যক্তি বিজেপির সমর্থক। তার কথায়, “আমার মনে হয় যে শুভেন্দু অধিকারী হয়ত আবেগের বশে বলে ফেলেছেন। কিন্তু হিন্দুদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেবে, এটা হতে পারে না। বিশ্বের সব হিন্দুদের আশ্রয়স্থল এই দেশ। নাগরিকত্ব আইন বদল করেছে যারা, তাদের তাড়ানো হবে না।“ বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষদের বসবাসের একটা অঞ্চল নিউটাউন লাগোয়া যাত্রাগাছি; এখন আমূল বদলে গেছে এলাকাটি - ফাইল চিত্র শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি জনসংঘ প্রতিষ্ঠা করার সময় থেকেই তাদের নীতি ছিল বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে যেসব হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈনরা ভারতে চলে এসেছেন বা আসতে চান ‘ধর্মীয় অত্যাচার’এর কারণে, তাদের ভারতে উদ্বাস্তু বলে চিহ্নিত করা হবে এবং তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “জনসংঘের সময় থেকে এ নিয়ে আমাদের যে নীতি তাতে কোনও বদল হয় নি। “যারা নিজেদের ধর্ম রক্ষার তাগিদে, সম্ভ্রম রক্ষার তাগিদে, জীবন রক্ষার তাগিদে আসতে বাধ্য হচ্ছেন, আমাদের দেশে এলে তারা নাগরিকত্ব পাবেন এবং উদ্বাস্তু হিসাবে তাদের দেখা হবে। তাদের অনুপ্রবেশকারী হিসাবে দেখা হবে না। এটা জনসংঘের সময় থেকেই নীতি ছিল, পরে যখন বিজেপি গঠিত হল, ওই মূল নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয় নি,”বলছিলেন মি. ভট্টাচার্য। তার কথায়, “আমরা এই মতাদর্শগত নীতিকে কখনই লঘু করতে দেব না। এই কারণেই সিএএ, এনআরসির কথা বলা হয়েছে।“ “যারা একদিন ভারতকে নাপাক বলে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন পাকিস্তান নামক একটা রাজনৈতিক মস্তিষ্ক-প্রসূত রাষ্ট্রের দাবী করে, যার জন্য বলি হয়েছিল লক্ষ লক্ষ মানুষ, তারা ভারতে এলে তো অনুপ্রবেশকারীই বলতে হবে। কারণ তাদের মসজিদে তো কেউ আগুন লাগিয়ে দেয় নি, তাদের বাড়ির মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে কেউ বিয়ে করছে না বা ধর্মান্তরিত করছে না,” বলছিলেন শমীক ভট্টাচার্য। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য নিয়ে মি. ভট্টাচার্যের ব্যাখ্যা, “বক্তব্যটা একটু ভুল ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।“ বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষের একটি দল, যাদের আটক করেছিল বিএসএফ - ফাইল চিত্র উদ্বাস্তু নেতারা বলছেন এখনও যে লাখ লাখ মানুষ, যারা ১৯৪৭ থেকে অনেক দশক ধরে ভারতে চলে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে কেন বিজেপি কোনও স্পষ্ট নীতি নিচ্ছে না? উদ্বাস্তু নেতা সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস বলছিলেন, “উদ্বাস্তু প্রশ্নে বিজেপি একেক সময়ে একেকটা কথা বলে – যখন যেখানে ভোটের জন্য যেরকম প্রয়োজন সেভাবেই কথা বলেন তারা। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যকে সেভাবেই দেখছি আমরা।“ “১৯৪৭ সাল থেকে গত সাড়ে সাত দশক ধরে যারা এসে পড়েছে ভারতে, তাদের একটা বিরাট অংশ এখনও নাগরিকত্ব পায় নি। বাংলাদেশ থেকে মূলত সেদেশের সংখ্যালঘুরাই তো এসেছে,তাদের ফিরে যাওয়া সম্ভবও না। তাই আমাদের দাবী যে যারা এসে গেছে, তাদের সবাইকে নাগরিকত্ব দেওয়া হোক। এরা বলছে সিএএ করে নাগরিকত্ব দেবে, কিন্তু সেটা যে সম্ভব নয়, সেকথা আমরা বারবার বলেছি। সেই প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীর এরকম কথার বিরোধিতাই করছি আমরা,”বলছিলেন সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশভাগের পর থেকে প্রায় দুই কোটি মানুষ ভারতে এসেছেন, যাদের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ এখনও ‘আইনত অনাগরিক’। যদিও পূর্ব পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা উদ্বাস্তুরা নিজেরাই স্বীকার করেন যে তাদের প্রায় সবাই কোনও না কোনও পথে ভারতের নাগরিকত্ব ‘যোগাড়’ করে নিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও গিয়েছিলেন ওই এলাকার একটি বাড়িতে দুপুরের খাবার খেতে ওই পাড়াতে এখন মি. অধিকারীর ভাষণটা নিয়েই আলোচনা চলছে এলাকার এক বাসিন্দা, যিনি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা থেকে ১৯৮৬ সালে চলে এসেছিলেন ভারতে, তিনি নাম উল্লেখ না করার শর্তে বলছিলেন, “আমরা তো এটা নিয়েই আলোচনা করছি সবাই দেখেছি শুভেন্দু অধিকারীর ভাষণটা “আমাদের মধ্যে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ভাষণটা শোনার পরে যে এতবছর পরে তিল তিল করে এদেশে সব গড়ে তোলার পরে যদি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়, তাহলে আমরা কোথায় দাঁড়াব!” বলছিলেন ওই ব্যক্তি তিনি আরও বলছিলেন যে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলের বড় নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখ থেকে যখন এরকম কথা শোনা যায়, তাহলে তো চিন্তা হয়ই আবার ভারত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার এক বাসিন্দা যিনি নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে এখানকারই নাগরিক হয়ে গেছেন ,তিনি বলছেন, “আমার তো কোনও আশঙ্কা হচ্ছে না ওই ভাষণ দেখার পরে" প্রথম ব্যক্তি সরাসরি রাজনীতি না করলেও দ্বিতীয় ব্যক্তি বিজেপির সমর্থক তার কথায়, “আমার মনে হয় যে শুভেন্দু অধিকারী হয়ত আবেগের বশে বলে ফেলেছেন কিন্তু হিন্দুদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেবে, এটা হতে পারে না বিশ্বের সব হিন্দুদের আশ্রয়স্থল এই দেশ নাগরিকত্ব আইন বদল করেছে যারা, তাদের তাড়ানো হবে না“ বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষদের বসবাসের একটা অঞ্চল নিউটাউন লাগোয়া যাত্রাগাছি; এখন আমূল বদলে গেছে এলাকাটি - ফাইল চিত্র শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি জনসংঘ প্রতিষ্ঠা করার সময় থেকেই তাদের নীতি ছিল বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে যেসব হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈনরা ভারতে চলে এসেছেন বা আসতে চান ‘ধর্মীয় অত্যাচার’এর কারণে, তাদের ভারতে উদ্বাস্তু বলে চিহ্নিত করা হবে এবং তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “জনসংঘের সময় থেকে এ নিয়ে আমাদের যে নীতি তাতে কোনও বদল হয় নি
হ্যামের সহায়তায় বাড়ি ফিরলেন দুইজন
রাজ্য বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে সবাইকে : মীনাক্ষী মুখার্জি
Oppo K9s লঞ্চ করল, জেনে নিন কী কী থাকছে নতুন এই স্মার্টফোনে
'বিএনপি সহিংস হলে ব্যবস্থা'
politics
স্টাফ রিপোর্টার:   অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে বিএনপির চলমান কর্মসূচিতে কোনো ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটলে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে সর্তক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সচিবালয়ে রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপিকে ‘দোয়া মাহফিল ও মানববন্ধনের মতো গণতান্ত্রিক কর্মসূচি’ পালনের পরামর্শও দেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করার দাবিতে বিএনপি নানা কর্মসূচি পালন করছে।  এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দোয়া মাহফিল করতে পারে, মানববন্ধন করতে পারে; তারা পলিটিক্যাল পার্টি, তারা তাদের কর্মসূচি দিতে পারে।  কিন্তু মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য, সম্পদ রক্ষার জন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময় প্রস্তুত থাকবে। আসাদুজ্জামান খান বলেন, তারা যদি কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করেন, কিংবা জানমালের ক্ষতি করেন তাহলে কিন্তু আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ছাড় দেবে না।   ৭৬ বছর বয়সি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আরথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।  গত ১৩ নভেম্বর থেকে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি।  তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বলে দাবি করেছে বিএনপি।  সরকারের কাছে তাদের দাবি, খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। এবিনিউজ টোয়েন্টিফোর বিডিডটকম/এম.এম
সচিবালয়ে রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপিকে ‘দোয়া মাহফিল ও মানববন্ধনের মতো গণতান্ত্রিক কর্মসূচি’ পালনের পরামর্শও দেন তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করার দাবিতে বিএনপি নানা কর্মসূচি পালন করছে  এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দোয়া মাহফিল করতে পারে, মানববন্ধন করতে পারে; তারা পলিটিক্যাল পার্টি, তারা তাদের কর্মসূচি দিতে পারে
ঢাকায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি, সরকারকে আল্টিমেটাম দেয়া হতে পারে
সেমিতে খেলা হলো না বাংলাদেশের
বিশ্বে করোনা সংক্রমণের শীর্ষে তাইওয়ান, মৃত্যুতে রাশিয়া
‘টিক টক’ ব্যবহারে আমেরিকাকে হারাল ভারত
technology
ভিডিও অ্যাপ ‘টিক টক’-এর মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী ছাড়িয়েছে ১ বিলিয়ন। মুক্তির দু-বছরেরও কম সময়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছে এই অ্যাপ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অ্যাপেলের আই-স্টোর ও গুগল প্লেস্টোর মিলিয়ে মোট ৭১.৩ মিলিয়ন নতুন ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছেন, যা ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসের তুলনায় ১৬১ শতাংশ বেশি। এবং পরিসংখ্যান বলছে, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারী হচ্ছেন ভারতীয়। উল্লেখ্য, তথ্যটিতে নেই টিক টকের ‘হোম মার্কেট’ অর্থাৎ চীনের পরিসংখ্যান। চীনে টিকটক অ্যাপের নাম ‘ডউইন’ (Douyin)। ভারত থেকে ‘টিক টক’ ২৫ শতাংশ ডাউনলোড হয়েছে। যেটি সংখ্যায় পরিণত করলে দাঁড়ায় ২৫০ মিলিয়ন। গত বছর গুগল প্লে অ্যাওয়ার্ডস ২০১৮-তে টিক টককে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিনোদনের অ্যাপ ঘোষণা করা হয়। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দেখা যায়, ‘টিক টক’-এর ৪৩ শতাংশ নতুন ব্যবহারকারী ভারতীয়। সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই সংখ্যা বেড়েছে মাত্র ৯ শতাংশ। আরও পড়ুন: ভোট দিতে গিয়ে বেঠিক কিছু দেখলে ভিডিও বা ছবি তুলে জানিয়ে দিন নির্বাচন কমিশনকে মোট এক বিলিয়ন ইনস্টলেশনের মধ্যে, ৬৬৩ মিলিয়ন ইনস্টলেশন হয়েছিল ২০১৮ সালে। যা টেক্কা দেয় ফেসবুকের জনপ্রিয়তাকে। গত বছর ৭১১ মিলিয়ন বার ইনস্টল হয়েছে ফেসবুক। বলা বাহুল্য, ‘টিক টক’-এর জনপ্রিয়তা হারিয়ে দিয়েছে বাকি বাজার চলতি অ্যাপকে। ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী ৪৪৪ মিলিয়ন বার ইনস্টল হয়েছে ইনস্টাগ্রাম। উল্লেখ্য, এই তথ্য একই সময়ে কোনো সক্রিয় ব্যবহারকারীর পরিসংখ্যান নয়। সেক্ষেত্রে এগিয়ে ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম। Read the full story in English Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Video app tik tok has crossed one billion installs worldwide
এবং পরিসংখ্যান বলছে, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারী হচ্ছেন ভারতীয় উল্লেখ্য, তথ্যটিতে নেই টিক টকের ‘হোম মার্কেট’ অর্থাৎ চীনের পরিসংখ্যান চীনে টিকটক অ্যাপের নাম ‘ডউইন’ (Douyin) ভারত থেকে ‘টিক টক’ ২৫ শতাংশ ডাউনলোড হয়েছে যেটি সংখ্যায় পরিণত করলে দাঁড়ায় ২৫০ মিলিয়ন গত বছর গুগল প্লে অ্যাওয়ার্ডস ২০১৮-তে টিক টককে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিনোদনের অ্যাপ ঘোষণা করা হয়
জি২০ মঞ্চে বাতিল ‘ইন্ডিয়া’, জায়গা পেলো ‘ভারত’
আমেরিকায় মৃত্যু ২ ভারতীয় ছাত্রের
সুইমিং পুলে শ্বেতা এবং রুবেলের রোম্যান্স, তারকা জুটির ‘আদুরে’ ছবিতে মজলেন দর্শক
আবাসের টাকা নেওয়া পাকা বাড়ির মালিকরা প্রার্থী তৃণমূলের
state
প্রতীম দে এ দুর্নীতিতে ক্ষোভ নেমেছে রাস্তায়। সারা বাংলা শুনেছে শ্লোগান ‘চোর তাড়াও গ্রাম জাগাও’। পঞ্চায়েতে, ব্লকের দপ্তরে ভিড় বেড়েছে না-পাওয়া মানুষের। তবু তৃণমূল কংগ্রেস ভ্রূক্ষেপহীন। লোক ঠকিয়ে নিজেদের নামে পাকা বাড়ির টাকা করিয়ে নিয়েছে যারা, তাদেরই প্রার্থী করেছে পঞ্চায়েত ভোটে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ ব্লকে রয়েছে এমন একাধিক উদাহরণ। যেমন চম্পা বৈরাগী। নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তৃণমূলের প্রার্থী। বড় পাকা দোতলা বাড়ি রয়েছে তাঁর। তিনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি করার টাকা পেয়েছেন। আবার আমফানে বাড়ি মেরামতির জন্য যে ২০ হাজার টাকা রাজ্য সরকার দিয়েছিল সেই টাকাও তিনি পেয়েছেন। এমনই অভিযোগ রয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই তৃণমুল প্রার্থী নীলিমা দাস এবং দেবকুমার দাসের নাম রয়েছে আবাসের দুর্নীতি তালিকায়। দেবকুমার দাসের তিন তলা মোজায়েক করা বাড়ি। তিনি আমফানে ক্ষতিপুরণ বাবদ পেয়েছে ২০ হাজার টাকা। আবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকাও। সিপিআই(এম) নেতা মিত্যেন্দু ভুঁঞা বলেন, ‘‘ভুয়ো জব কার্ড দেখিয়ে তৃণমূল আবাস যোজনার টাকা চুরি করেছে। আবাস যোজনায় বাড়ি করার জন্য তো ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ছাড়াও বাথরুম এবং রান্নাঘর করার জন্য আরও ২২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এটা অনেকে জানেন না। তৃণমূল যেমন ঘর করার টাকা চুরি করেছে তেমন ভাবে এই টাকাও লোপাট করে দিয়েছে। হিসাব করে দেখতে গেলে কয়েক লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে।’’ সরকারি প্রকল্প অনুযায়ী মতি দাসের পাকা বাড়ি হওয়ার কথা, বাথরুম সহ। কিন্তু মতি দাস সেই বাড়ি পাননি। তবু তাঁর বাড়ির গায়ে এখনও লেখা রয়েছে বরাদ্দের অঙ্ক। বরাদ্দ হয়েছে ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৩৪ টাকা। মতি দাস বলেন, ‘‘একদিন পঞ্চায়েতের লোকেরা এসে আমার থেকে টিপ ছাপ নিয়ে গেলো বললো বাড়ি করে দেবে। কিন্তু কই কিছুই তো হলো না।’’ ঝড় তো দুরের কথা এখন বর্ষার জল থেকে কী ভাবে বাঁচবেন তাই ভাবছেন সত্তর বছরের এই বৃদ্ধ। ওই একই স্বামী বিবেকানন্দ পঞ্চায়েত পোস্টার সেঁটেছে শিখা দাসের বাড়িতেও। সেখানেও কোন কাজ হয়নি। এমন মারাত্মক গরমিলেরই হিসাব চাইছে মানুষ। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের প্রতিশ্রুতি ছিল যে তারা গ্রামে গ্রামে পাকা রাস্তা করবে। রাস্তা হয়েছে। কিন্তু তা এক বছরও টেকেনি। কয়েক মাসের মধ্যে উঠে গিয়েছে পিচের আস্তরণ। বর্ষায় আরও খারাপ হয়েছে রাস্তার অবস্থা। যেখানে এক কিলোমিটার রাস্তা হওয়ার কথা ছিল সেখানে হয়েছে ৭০০ মিটার। আট মিটার পিচের আস্তরণের জায়গায় ৪ মিটার দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ গ্রামবাসীদের, বিডিও বা পঞ্চায়েতে গেলে তখন তাদের কোন উত্তর দেওয়া হয়নি। হিসাব দেখতে চাইলে তা দেখানো হয়নি। যেমন ধরুন বুধাখালি। নামখানার উকিলের মোড় থেকে বুধাখালি প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার রাস্তা। কোথাও পিচ রয়েছে তো কোথাও নেই। নিশিকান্ত কয়ালের কথায়, ‘‘রাস্তা যখন খারাপ হচ্ছে তখন আমরা পঞ্চায়েতে যাই। গিয়ে বলি কি কাজ হয়েছে তার হিসাব দিতে আমাদের থখন তৃণমূলের লোকেরা বলে কি করবি হিসাব নিয়ে। ওরা কিছু দেখায়নি। বিডিও কিছু করেননি।’’ গ্রাম সংসদের সভাতেও কোন তালিকা তৃণমূল আজ পর্যন্ত দেখায়নি বলেই জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। উস্থি বাজারে মুদি দোকান পিন্টু মণ্ডলের (নাম পরিবর্তিত)। দোকানের তাকে টেট পরীক্ষার বই। কথা হতেই জানালেন, ‘‘আমি টেট পাশ করি ২০১৪ সালে। তখন তৃণমূলের লোকেরা আমার কাছে ১১ লক্ষ টাকা ঘুষ চায়। আমি তা দিতে রাজি হইনি। তাই আমার চাকরিও হয়নি। এবার যদি পরীক্ষা হয় আবার বসবো। কারণ এটা আমার শেষ সুযোগ।’’ একটু থেমে তিনি বলেন, ‘‘কী ভাবছেন, গ্রামের মানুষরা এই বিষয় কিছু জানে না। ভুল ভাবছেন। আমরা সবাই সব কিছু জানি। যদি ভোট দিতে পারি, যদি ভোট হয়, দেখবেন ফলাফল কী হয়।’’
নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের প্রার্থী বড় পাকা দোতলা বাড়ি রয়েছে তাঁর তিনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি করার টাকা পেয়েছেন আবার আমফানে বাড়ি মেরামতির জন্য যে ২০ হাজার টাকা রাজ্য সরকার দিয়েছিল সেই টাকাও তিনি পেয়েছেন এমনই অভিযোগ রয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই তৃণমুল প্রার্থী নীলিমা দাস এবং দেবকুমার দাসের নাম রয়েছে আবাসের দুর্নীতি তালিকায় দেবকুমার দাসের তিন তলা মোজায়েক করা বাড়ি তিনি আমফানে ক্ষতিপুরণ বাবদ পেয়েছে ২০ হাজার টাকা আবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকাও সিপিআই(এম) নেতা মিত্যেন্দু ভুঁঞা বলেন, ‘‘ভুয়ো জব কার্ড দেখিয়ে তৃণমূল আবাস যোজনার টাকা চুরি করেছে আবাস যোজনায় বাড়ি করার জন্য তো ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ছাড়াও বাথরুম এবং রান্নাঘর করার জন্য আরও ২২ হাজার টাকা দেওয়া হয় এটা অনেকে জানেন না তৃণমূল যেমন ঘর করার টাকা চুরি করেছে তেমন ভাবে এই টাকাও লোপাট করে দিয়েছে হিসাব করে দেখতে গেলে কয়েক লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে’’ সরকারি প্রকল্প অনুযায়ী মতি দাসের পাকা বাড়ি হওয়ার কথা, বাথরুম সহ কিন্তু মতি দাস সেই বাড়ি পাননি তবু তাঁর বাড়ির গায়ে এখনও লেখা রয়েছে বরাদ্দের অঙ্ক বরাদ্দ হয়েছে ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৩৪ টাকা মতি দাস বলেন, ‘‘একদিন পঞ্চায়েতের লোকেরা এসে আমার থেকে টিপ ছাপ নিয়ে গেলো বললো বাড়ি করে দেবে কিন্তু কই কিছুই তো হলো না’’ ঝড় তো দুরের কথা এখন বর্ষার জল থেকে কী ভাবে বাঁচবেন তাই ভাবছেন সত্তর বছরের এই বৃদ্ধ
এনজিওর নামে জমি দখল তৃণমূলের
দাদা শুভেন্দুর নাম ‘চাকরি দুর্নীতি’তে জড়িয়ে দেওয়ায় তৃণমূলের ‘দুই মুখের’ বিরুদ্ধে মানহানির নোটিস
সেপ্টেম্বরেই ফের নয়া ইভেন্ট, বাজারে আসছে Apple-এর একাধিক নতুন ডিভাইস
সম্পাদক সমীপেষু: বামশূন্য সভা
editorial
বামপন্থী কোনও দলের প্রতিনিধি বিধানসভায় থাকবেন না এই প্রথম। ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে বামের ভোট রামে চলে যাওয়ায় বামেদের ভোটপ্রাপ্তি ৭ শতাংশে নেমে এসেছিল। এ বার সেই পক্বকেশ কমরেডদের গোঁয়ারতুমির ফলস্বরূপ ভোট ৫ শতাংশের নীচে নেমে এল। উল্লেখ্য, সিপিআই (এমএল) লিবারেশন-এর সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য কয়েক মাস আগে বাম দলগুলিকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল নয়, বিজেপিকে প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে ভোটে লড়াই হোক। সুজন চক্রবর্তী ও বিমান বসুরা তা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁরা আব্বাসকে জোটে শামিল করে ‘মাস্টারস্ট্রোক’ সিদ্ধান্ত হিসেবে মমতার বিরুদ্ধে চাপ তৈরি করে গেলেন। সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মেলানোর পরিণাম বুমেরাং হয়ে গেল! সেই দীপঙ্করবাবুই নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে বাম কর্মী-সমর্থকদের কাছে আবেদন জানিয়ে বললেন যে, ভোটের রায়কে গণতন্ত্রের জয় ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষের বলিষ্ঠ প্রতিবাদ হিসেবেই দেখুন। কিন্তু উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাম দলে পুনর্মূল্যায়ন হয়নি। আলিমুদ্দিনের কর্তাদের কাছে কয়েকটি সুচিন্তিত প্রস্তাব তুলে ধরছি। ১) কয়েক বছরের জন্য পরিষদীয় রাজনীতি থেকে দূরে সরে জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনা জরুরি। ২) অনেক বেশি করে তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতির অঙ্গনে সুযোগ করে দিতে হবে। ৩) কর্মী-সমর্থকদের চোখে ঠুলি পরিয়ে, মৌলিক ভাবনা থেকে তাঁদের দূরে সরিয়ে দেওয়ার ধ্বংসাত্মক রীতি দূর করা দরকার। ৪) কংগ্রেসের সঙ্গ পরিত্যাগ করা উচিত। ৫) ভোট এলেই এক ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে স্লোগান যথেষ্ট নয়, প্রতিটি কর্মসূচির নিরিখে বছরভর নিষ্ঠাভরে আন্দোলন করতে হবে। শক্তিশঙ্কর সামন্ত, ধাড়সা, হাওড়া সুরক্ষা শিবাজীপ্রতিম বসুর সঙ্গে সহমত পোষণ করি (‘এই জয়ের মুখ একা মমতাই’, ৩-৫)। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ৪৫.৭১% ভোট, ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭.৯৪%। বিজেপি যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, ধর্মীয় মেরুকরণের বীজ এ রাজ্যে বপন করতে চেয়েছিল, তা সমূলে উৎপাটিত হয়েছে। আসলে দলীয় নির্বাচনের ঊর্ধ্বে উঠে এই নির্বাচন কোথাও যেন বাংলার সংস্কৃতি সুরক্ষিত রাখার নির্বাচন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাংলার সাহিত্য, সংস্কৃতির প্রতি বিজেপির ঔদাসীন্য, বুদ্ধিজীবীদের নিরন্তর আক্রমণ, ভাষার অবমাননা বাঙালি মেনে নেয়নি। তৃণমূলের উপরে যাঁরা বীতশ্রদ্ধ ছিলেন, তাঁরাও বাংলাকে বিভেদের রাজনীতি থেকে বাঁচাতে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। বামেরা তো প্রায় নিশ্চিহ্ন। বাম সমর্থকদের ভোটের অধিকাংশই যে তৃণমূলের পক্ষে গিয়েছে,তা ফলাফলেই স্পষ্ট। সায়ন তালুকদার, কলকাতা-৯০ একা মমতা শিবাজীপ্রতিম বসুর নিবন্ধটি সঠিক। একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক কিছু প্রমাণ করে দিয়েছেন। তিনি প্রমাণ করলেন, ভাড়াটে সৈন্য দিয়ে যুদ্ধ জেতা যায় না। বরং লড়াকু সৈন্যদের মনোবলে চিড় ধরে। দলবদলুদের এই বাংলা ভাল চোখে দেখে না। বাংলার মানুষ মানলেন, সব দোষ ত্রুটি নিয়েও মমতা আর সবার থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে। তা হলে কি মমতার সব কাজ শেষ হয়ে গেল? বাংলার মানুষ আশা করবেন অতীতের সব ভুল-ভ্রান্তি-সমালোচনাকে তিনিই শুধরে নেবেন, যাতে বাংলার মানুষ দলমত নির্বিশেষে নতুন এই সরকারের একটি মানবিক এবং গণতান্ত্রিক মুখ দেখতে পায়। আরও দুই সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী শক্তি— বাম এবং কংগ্রেস এই বিধানসভায় রইল না। ফলে সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা মমতাকেই করতে হবে। সুদীপ মাইতি, কাঁথি, পূর্ব মেদিনীপুর একই ওষুধ আমার পিতৃতুল্য দিল্লির এক ডাক্তার কলকাতায় ডাক্তারি পড়ার সময় একটি বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তখন সরকারি হাসপাতালগুলিতে ওষুধের জোগান অপ্রতুল ছিল। কোনও একটি হাসপাতালের মেডিক্যাল স্টোরে শুধুমাত্র ‘সালফাগুনাইডিন’-ই সরবরাহ করা হত, যা পেটের সমস্যায় ব্যবহার করার ওষুধ। কিন্তু ওই একটি ওষুধই পাওয়া যেত বলে ডাক্তাররা সব অসুখে সেটাই লিখতেন। আমাদের দেশেও বিজেপি তেমনই একটি নির্দিষ্ট ওষুধ সমস্ত রাজ্যেই প্রয়োগ করতে চাইছে, যা অবাস্তব। প্রতিটি রাজ্যের বা প্রদেশের নিজস্ব ভাবধারা রয়েছে, লোকসাহিত্য বা লোকশিল্প গড়ে উঠেছে। তার পরিবর্তন করার চেষ্টা করলে সেই প্রদেশ বা রাজ্যের অস্তিত্ব-সঙ্কট তৈরি হয়। কিন্তু বিজেপি সেটাই করতে চাইছে, সমস্ত দেশকে একটি মাত্র সংস্কৃতি, দৃষ্টিভঙ্গি, একটিই ধর্মের আবেগে বেঁধে ফেলার চেষ্টা করছে। বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে সাত বছর। অর্থনীতির দিকে তাকিয়ে তাকে সমর্থনের কোনও যুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলার যুবক-যুবতীরা বেকারত্ব এবং শিল্পের দুরবস্থার কথা নিয়ে ভাবলেও বোধ হয় সামাজিক সুরক্ষা এবং স্বাধীন জীবনশৈলীর দিকটিকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। পিনাকী রুদ্র, কলকাতা-১২৪ সুজনেষু এ বার বিধানসভায় দেখা যাবে না সুজন চক্রবর্তী, আব্দুল মান্নান, শমীক ভট্টাচার্যের মতো সুবক্তাদের। যুক্তি-তথ্য সহকারে বলিষ্ঠ কণ্ঠের বক্তব্যে আর বিধানসভা আলোড়িত হবে না। আমরাও বঞ্চিত হব তাঁদের তথ্যপূর্ণ বক্তৃতা থেকে। সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দল এবং নেতার আলাদা গুরুত্ব আছে। সরকারের ত্রুটি ধরিয়ে ভুল সংশোধন করতে পথ দেখায় বিরোধীরা। নতুন মুখগুলি কি পারবে এ সব সুবক্তাদের অভাব পূরণ করতে? এক সময়ে বিধান রায় বলতেন, “জ্যোতিশূন্য বিধানসভা জ্যোতিহীন মনে হয়।” জ্যোতি বসুর বলিষ্ঠ ও তথ্যপূর্ণ বক্তব্যের জন্য বিধান রায় তাঁকে খুব স্নেহ করতেন। এখন এই ঔদার্য কল্পনা করা যায় না। শান্তনু সিংহ রায়, মিঠিপুর, মুর্শিদাবাদ সাতাত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের সরকার গঠন করবেন। আবার প্রমাণিত হল কুঁড়ে বাঙালি চটকদার সরকারি প্রকল্পের ভরসাতেই থাকতে চায় এবং তাদের কাছে দুর্নীতি কোনও বিষয় নয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, বিজেপি পাঁচ বছরেই ৩ থেকে ৭৭টি আসনে পৌঁছে গিয়েছে। তৃণমূলের বহু বছর লেগেছিল। গত লোকসভার সঙ্গে কত পার্থক্য হল, কেবল তা ধরলে চলবে না। সৌগত বাগচি, কলকাতা-১৫৭ এই বাংলা এই বাংলা রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের, সম্প্রীতির, ঐক্যের। এখানে পিরের দরগায় যেমন হিন্দু ধর্মাবলম্বী চাদর পাঠান, তেমনই শ্মশানে মৃতদেহ সৎকারের জন্য মুসলমানরা কাঠের চিতা সাজান। বিবেকানন্দ বাংলারই ছেলে। অথচ, তাঁর বাণীকে মর্যাদা না দিয়ে একটি বিশেষ ধর্মের প্রচারক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অনগ্রসর, নিম্নবর্ণ, সংখ্যালঘু সবাইকে নিয়ে এই বাংলা। জাতপাত, ধর্ম, বর্ণ দিয়ে বিচার করে এখানে ভোটে জেতা যায় না। শেখ কামাল উদ্দীন, বারাসত, উত্তর ২৪ পরগনা
ফলে সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা মমতাকেই করতে হবে সুদীপ মাইতি, কাঁথি, পূর্ব মেদিনীপুর একই ওষুধ আমার পিতৃতুল্য দিল্লির এক ডাক্তার কলকাতায় ডাক্তারি পড়ার সময় একটি বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন তখন সরকারি হাসপাতালগুলিতে ওষুধের জোগান অপ্রতুল ছিল কোনও একটি হাসপাতালের মেডিক্যাল স্টোরে শুধুমাত্র ‘সালফাগুনাইডিন’-ই সরবরাহ করা হত, যা পেটের সমস্যায় ব্যবহার করার ওষুধ কিন্তু ওই একটি ওষুধই পাওয়া যেত বলে ডাক্তাররা সব অসুখে সেটাই লিখতেন আমাদের দেশেও বিজেপি তেমনই একটি নির্দিষ্ট ওষুধ সমস্ত রাজ্যেই প্রয়োগ করতে চাইছে, যা অবাস্তব প্রতিটি রাজ্যের বা প্রদেশের নিজস্ব ভাবধারা রয়েছে, লোকসাহিত্য বা লোকশিল্প গড়ে উঠেছে তার পরিবর্তন করার চেষ্টা করলে সেই প্রদেশ বা রাজ্যের অস্তিত্ব-সঙ্কট তৈরি হয় কিন্তু বিজেপি সেটাই করতে চাইছে, সমস্ত দেশকে একটি মাত্র সংস্কৃতি, দৃষ্টিভঙ্গি, একটিই ধর্মের আবেগে বেঁধে ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে সাত বছর অর্থনীতির দিকে তাকিয়ে তাকে সমর্থনের কোনও যুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না বাংলার যুবক-যুবতীরা বেকারত্ব এবং শিল্পের দুরবস্থার কথা নিয়ে ভাবলেও বোধ হয় সামাজিক সুরক্ষা এবং স্বাধীন জীবনশৈলীর দিকটিকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন পিনাকী রুদ্র, কলকাতা-১২৪ সুজনেষু এ বার বিধানসভায় দেখা যাবে না সুজন চক্রবর্তী, আব্দুল মান্নান, শমীক ভট্টাচার্যের মতো সুবক্তাদের যুক্তি-তথ্য সহকারে বলিষ্ঠ কণ্ঠের বক্তব্যে আর বিধানসভা আলোড়িত হবে না আমরাও বঞ্চিত হব তাঁদের তথ্যপূর্ণ বক্তৃতা থেকে সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দল এবং নেতার আলাদা গুরুত্ব আছে সরকারের ত্রুটি ধরিয়ে ভুল সংশোধন করতে পথ দেখায় বিরোধীরা নতুন মুখগুলি কি পারবে এ সব সুবক্তাদের অভাব পূরণ করতে? এক সময়ে বিধান রায় বলতেন, “জ্যোতিশূন্য বিধানসভা জ্যোতিহীন মনে হয়” জ্যোতি বসুর বলিষ্ঠ ও তথ্যপূর্ণ বক্তব্যের জন্য বিধান রায় তাঁকে খুব স্নেহ করতেন এখন এই ঔদার্য কল্পনা করা যায় না শান্তনু সিংহ রায়, মিঠিপুর, মুর্শিদাবাদ সাতাত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের সরকার গঠন করবেন
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা
সম্পাদক সমীপেষু: বাজির দৌরাত্ম্য
সামান্থাকে দেখে বুকে ব্যথা হয় বহু পুরুষের, যৌবন ধরে রাখার রহস্য ফাঁস করলেন অভিনেত্রী
আত্মঘাতী ডাক্তারি পড়ুয়া
state
বরানগর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অর্থোপেডিক হাসপাতালের হোস্টেল থেকে এক ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তৈরি হলো উত্তেজনা। ঘটনার জেরে হাসপাতালের গেট বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন হোস্টেলের ছাত্ররা। সূত্রের খবর ডাক্তারি ছাত্র প্রিয়রঞ্জন সিং সোমবার রাতে হোস্টেলের নিজেরঘরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। প্রথমে হোস্টেলের একজন ছাত্র গোটা বিষয়টি দেখতে পেলে বাকি পড়ুয়াদের খবর দেয়। ঘরের দরজা ভেঙে পড়ুয়ারা দেখে যে ওই ছাত্র গলায় দড়ি দিয়েছেন। ওই অবস্থায় প্রিয়রঞ্জন সিংকে সাগর দত্তমেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে রাস্তাব তাঁর মৃত্যু হয়। হোস্টেলের বাকি পড়ুয়াদের অভিযোগ হাসপাতালে কোনরকম কোন ইমার্জেন্সি ব্যবস্থা নেই, আর সেই কারণেই কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই মৃত্যু হয় প্রিয়রঞ্জন সিং এর। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির বিরুদ্ধে সোমবার রাত থেকেই হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পড়ুয়ারা। ঘটনাস্থলে বরানগর থানার আধিকারিকরা এলে তাদের ঘিরে চলে বিক্ষোভ। তবে কেন কি কারণে প্রিয়রঞ্জন সিং আত্মহত্যা করেছেন তা এখনও জানা যায়নি।
ওই অবস্থায় প্রিয়রঞ্জন সিংকে সাগর দত্তমেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে রাস্তাব তাঁর মৃত্যু হয় হোস্টেলের বাকি পড়ুয়াদের অভিযোগ হাসপাতালে কোনরকম কোন ইমার্জেন্সি ব্যবস্থা নেই, আর সেই কারণেই কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই মৃত্যু হয় প্রিয়রঞ্জন সিং এর কর্তৃপক্ষের গাফিলতির বিরুদ্ধে সোমবার রাত থেকেই হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পড়ুয়ারা
মধ্যপ্রদেশে ডাক্তারি পড়ুয়ার আত্মহত্যা
মাঠেই পড়ে আলু, আত্মঘাতী দুই কৃষক
স্পেনের ফুটবলের মাঠে হিন্দি গান! আন্তর্জাতিক মঞ্চে নজির গড়লেন অরিজিৎ সিংহ
শুভেন্দুকে নেতাই যেতে বাধা, বাড়ির সামনে সিসি ক্যামেরা, হাই কোর্ট চাইল হলফনামা
kolkata
শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাইয়ের শহিদ স্মরণ কর্মসূচিতে যোগ দিতে পুলিশি বাধা এবং কাঁথিতে তাঁর বাড়ির সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের হলফনামা চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানাতে হবে রাজ্যকে। শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, আদালতের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে লালগড়ের নেতাইয়ে ‘শহিদ স্মরণ’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার শুনানিপর্বে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, গত ৭ জানুয়ারি নেতাইয়ের মূল কর্মসূচিতে শুভেন্দুকে ঢুকতে বাধা দেয়নি পুলিশ। কিন্তু উনি ২০১১ সালের নেতাই-কাণ্ডে নিহতদের এক জনের বাড়িতে যেতে চেয়েছিলেন। সে সময় ওই বাড়িতে ‘অন্য একটি পক্ষের’ প্রতিনিধিরা ছিলেন। সৌমেন্দ্রনাথের দাবি, সে সময় শুভেন্দুকে সেখানে যেতে দিলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল। হাই কোর্টে দায়ের করা মামলায় শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, তাঁর কাঁথির বাড়ির সামনে রাত ২টো পর্যন্ত উচ্চস্বরে মাইক বাজানো হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁর উপর নজরদারির জন্য বাড়ির দরজা, জানালা লক্ষ্য করে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে বলেও অভিযোগ জানান তিনি। এমনকি, নিরাপত্তাজনিত দিক থেকে তাঁর বাড়ি স্পর্শকাতর এলাকা হলেও সেখানে রাজ্যের শাসকদলের কর্মী সমর্থকেরা যখন-তখন মিছিল-সমাবেশ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সৌমেন্দ্রনাথের যুক্তি, নজরদারি নয়, নিরাপত্তার স্বার্থেই বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছে পুলিশ। যদিও নিরাপত্তার দিক থেকে স্পর্শকাতর এলাকায় অবাধে মিছিল-সমাবেশ বা আইন ভেঙে গভীর রাত পর্যন্ত মাইক বাজানোর ব্যাখ্যা দেননি তিনি। অভিযোগ প্রসঙ্গে, বিচারপতি মান্থা বৃহস্পতিবার জানান নিরাপত্তার স্বার্থে কোথায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসবে তা শুভেন্দুর সুরক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআরপিএফ বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ আলোচনার ভিত্তিতে স্থির করতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০২০-র ডিসেম্বরে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে ২০২১-এর জানুয়ারিতে ‘পর্যাপ্ত নিরাপত্তা’র দাবিতেও কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন শুভেন্দু। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পরে গত জুন মাসে হাই কোর্টে তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার তাঁকে একজন পূর্ণমন্ত্রীর সমতুল নিরাপত্তা দেয়নি। সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী যা তাঁর প্রাপ্য। এখনও তাঁকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
এমনকি, নিরাপত্তাজনিত দিক থেকে তাঁর বাড়ি স্পর্শকাতর এলাকা হলেও সেখানে রাজ্যের শাসকদলের কর্মী সমর্থকেরা যখন-তখন মিছিল-সমাবেশ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি সৌমেন্দ্রনাথের যুক্তি, নজরদারি নয়, নিরাপত্তার স্বার্থেই বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছে পুলিশ যদিও নিরাপত্তার দিক থেকে স্পর্শকাতর এলাকায় অবাধে মিছিল-সমাবেশ বা আইন ভেঙে গভীর রাত পর্যন্ত মাইক বাজানোর ব্যাখ্যা দেননি তিনি অভিযোগ প্রসঙ্গে, বিচারপতি মান্থা বৃহস্পতিবার জানান নিরাপত্তার স্বার্থে কোথায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসবে তা শুভেন্দুর সুরক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআরপিএফ বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ আলোচনার ভিত্তিতে স্থির করতে পারে প্রসঙ্গত, ২০২০-র ডিসেম্বরে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে ২০২১-এর জানুয়ারিতে ‘পর্যাপ্ত নিরাপত্তা’র দাবিতেও কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন শুভেন্দু রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পরে গত জুন মাসে হাই কোর্টে তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার তাঁকে একজন পূর্ণমন্ত্রীর সমতুল নিরাপত্তা দেয়নি
অবৈধ নিয়োগে হাত শুভেন্দুর, মুখে কুলুপ শাসক দলের
মোবাইল রিভিউ : নোকিয়া সিক্সের ভাল এবং মন্দগুলি
ভিডিও দেখুন চ্যাট না থামিয়েই, হোয়াটসঅ্যাপের নয়া ফিচার
হোয়াটসঅ্যাপে ফের চমক, শুধু টেক্সট নয়, এক সার্চেই আরও অনেক কিছু
technology
ইনস্ট্যান্ট মেসেজিংয়ের দুনিয়ায় জনপ্রিয়তায় শিখরে হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতিনিয়তই বাড়ছে এই অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা। ইতিমধ্যেই দু মিলিয়ন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছুঁয়েছে ফেসবুকের মালিকানাধীন এই অ্যাপ। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপের ‘ডার্ক মোড’ ফিচার ঘিরে বিশ্বজুড়েই ছিল তুমুল উত্তেজনা। এবার সেই আবহে আরও একবার নয়া ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ। অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপেল ব্যবহারকারীদের জন্য এবার ‘অ্যাডভান্সড সার্চ ফিচারে’ সাজল হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু কীভাবে কাজ করবে এই নয়া ফিচারটি? এতদিন চ্যাটে পুরোনো কোনও মেসেজ খুঁজতে হলে সার্চ-এ গিয়ে তা লিখলেই খুঁজে পাওয়া যেত সেই হারানিধি। এবারে আরো সহজে পাওয়া যাবে চ্যাট। শুধু তাই নয়, একটি সার্চে পাওয়া যাবে সেই নামের সমস্ত ভিডিও, ফোটো, গান, জিআইএফ এবং এক্সটারনাল লিংকও। প্রথমে ব্যবহারকারীকে হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট বক্সে ক্লিক করতে হবে। এরপর সেখানের সার্চ বক্সে যেতে হবে। যে কীওয়ার্ডে খুঁজতে চান তা টাইপ করতে হবে। ধরা যাক, আপনি ‘হোলি’ নামের কিছু খুঁজতে চাইছেন। সেক্ষেত্রে আগে আপনাকে শুধু ‘হোলি’ কীওয়ার্ড দেওয়া চ্যাট মেসেজ দেখাত হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু এবার থেকে হোলি কীওয়ার্ডের যাবতীয় ফোটো, ভিডিও, লিংক, যা আপনার চ্যাটে আছে, তার সবকটিই একটি সার্চেই পাবেন আপনি। যেহেতু ধাপে ধাপে প্রকাশ করা হচ্ছে এই নতুন ফিচার, সেহেতু আপনার হোয়াটসঅ্যাপে এই মুহূর্তেই হয়তো তা নাও পেতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যান্ড্রয়েডের জন্য, এবং অ্যাপেলের অ্যাপ স্টোর থেকে iOS-এর জন্য আপডেট করা ভার্সনটি ডাউনলোড করে নিন, যাতে নতুন ফিচার যখনই চালু হোক, সঙ্গে সঙ্গে তা পেয়ে যাবেন আপনি। Read the full story in English ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Whatsapp advanced search more than text how it works
যে কীওয়ার্ডে খুঁজতে চান তা টাইপ করতে হবে ধরা যাক, আপনি ‘হোলি’ নামের কিছু খুঁজতে চাইছেন সেক্ষেত্রে আগে আপনাকে শুধু ‘হোলি’ কীওয়ার্ড দেওয়া চ্যাট মেসেজ দেখাত হোয়াটসঅ্যাপ কিন্তু এবার থেকে হোলি কীওয়ার্ডের যাবতীয় ফোটো, ভিডিও, লিংক, যা আপনার চ্যাটে আছে, তার সবকটিই একটি সার্চেই পাবেন আপনি যেহেতু ধাপে ধাপে প্রকাশ করা হচ্ছে এই নতুন ফিচার, সেহেতু আপনার হোয়াটসঅ্যাপে এই মুহূর্তেই হয়তো তা নাও পেতে পারেন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যান্ড্রয়েডের জন্য, এবং অ্যাপেলের অ্যাপ স্টোর থেকে iOS-এর জন্য আপডেট করা ভার্সনটি ডাউনলোড করে নিন, যাতে নতুন ফিচার যখনই চালু হোক, সঙ্গে সঙ্গে তা পেয়ে যাবেন আপনি
রোমাঞ্চকর ফিচারে সেজে উঠছে হোয়াটসঅ্যাপের অন্দরমহল
একা নয়, অনেকে মিলে
বিজেপি দুষ্কৃতীদের নৃশংস হামলায় ত্রিপুরায় নিহত সিপিআই (এম) কর্মী
জেএনইউ-তে কমিউনিস্ট বিরোধী শ্লোগান, বিতর্ক
national
জেএনইউ-তে দেওয়াল লিখন বিতর্কের মধ্যেই ফের নতুন করে বিতর্কিত দেওয়াল লিখন, যাকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটে স্প্রে পেইন্ট করে এই শ্লোগানগুলি লেখা হয়েছে। জেএনইউ’র ছাত্র সংসদ এই ঘটনার নিন্দা করেছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে জেএনইউ প্রশাসন। সাম্প্রতিক গন্ডগোল এবং দেওয়াল লিখনে কমিউনিস্টদের সাথে ইসলামিক স্টেটের সাথে তুলনা করা হয়েছে।  হিন্দু রক্ষ দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে শ্লোগান লিখেছে "কমিউনিস্টরা ভারত ছাড়ো", "কমিউনিস্ট = আইএসআইএস", এবং "জিহাদিরা ভারত ছাড়ো"। প্রশাসন বলেছে যে তারা এই ধরনের কাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এদিকে হিন্দু রক্ষা দলের সদস্যরা মনে করেন, কমিউনিস্টরা ব্রাহ্মণ ও হিন্দুবিরোধী স্লোগান লিখেছে। এর প্রতিবাদে তারা  তাদের বিরুদ্ধে লেখে। শুক্রবার জেএনইু ছাত্র সংসদ জানায়, "জেএনইউতে এই ধরনের কাজ এই প্রথম নয়। এই বছরের শুরুতে জেএনইউ-এর দেয়ালে অজানা ব্যক্তিরা "মুসলিম লাইভস ডোন্ট ম্যাটার" লিখেছিল। স্পষ্টতই ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিকতা বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ভাঙচুরের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে।"
এই বছরের শুরুতে জেএনইউ-এর দেয়ালে অজানা ব্যক্তিরা "মুসলিম লাইভস ডোন্ট ম্যাটার" লিখেছিল স্পষ্টতই ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিকতা বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ভাঙচুরের ঘটনা এই প্রথম নয় এর আগেও বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে"
সংঘর্ষ কেন, নিরাপত্তা বিভাগের রিপোর্ট চাইল জেএনইউ
লন্ডনে ব্রিকলেনের দেয়ালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শ্লোগান নিয়ে তুমুল বিতর্ক
‘এখনই বিশ্রাম নয়’, আগামিতেও নেতৃত্ব প্রদানের বড় ইঙ্গিত মোদীর
নিয়ন্ত্রণে নেই জিনিসের দাম, সুদের হার বদলালো না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
national
দামে লাগাম টানা অনিশ্চিত। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস, চলতি আর্থিক বছরে মূল্যবৃদ্ধির হার ৫.১ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫.৪ শতাংশে। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে মূল্যবৃদ্ধির পূর্বাভাস ছিল ৫.২ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবে এই সময়কালে মূল্যবৃদ্ধির হার ৬.২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দাবি, এর নেপথ্যে রয়েছে খাদ্যপণ্যের লাগামছাড়া দাম নিয়ন্ত্রণে না আসা। সেই যুক্তিতেই বিনিয়োগের হার শ্লথ হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও সুদের হার কমালে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বৃহস্পতিবার সুদের হার ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এদিনই লোকসভায় তিনদিনের অনস্থা প্রস্তাবের ওপর জবারী ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এবং মন্ত্রীসভায় তাঁর সহযোগী অমিত শাহ এবং নির্মলা সীতারামনরা সরকারের সাফল্যের দাবিতে মুখর হয়েছেন। মোদীর দাবি, জনতার জন্য এত দরদি ভূমিকা অতীতে আর কোনও সরকার নেয়নি। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্যই স্পষ্ট করেছে মূল্যবৃদ্ধি, বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্যের, তার চাপ কিভাবে সামলাতে হচ্ছে নিম্নবিত্ত, গরিব এমনকি মধ্যবিত্তকেও। টানা তৃতীয় বারের জন্য সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সুদের হার না বাড়ালেও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ ইঙ্গিত দিয়েছেন, খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মানিটারি পলিসি কমিটির বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দাশ। তিনি জানান, রেপো রেট ৬.৫০ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দাশ জানান, সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের নীচে থাকা উচিত। কিন্তু সেটা নিয়ন্ত্রণে না এলে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। প্রসঙ্গত, ব্যাঙ্কগুলিকে আমানতের একটা অংশ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে নগদে জমা রাখতে হয়। এই অনুপাত সিআরআর। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে সেই হার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় সময়ে সময়ে। এর এই হার বৃদ্ধি পাওয়া মানে, বাজার থেকে বাড়তি নগদ বা লিকুইডিটি শুষে নিতে চাইছে আরবিআই। সাধারণত মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, বাতিল ২ হাজার টাকার নোট ব্যাঙ্কগুলির কাছে জমা থাকার ফলে ব্যাঙ্কের আমানত এমনিতেই অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কড়া হাতে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ না নিলে এই টাকা ঋণের মাধ্যমে বাজারে ছড়িয়ে পড়বে। এবং তখন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনা আরও কঠিন হয়ে পড়বে। যদিও একইসঙ্গে দেশের আর্থিক বিকাশের হার সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে আরবিআই। সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি আর্থিক বছরে জিডিপি বৃদ্ধির হার থাকবে ৬.৫ শতাংশে। আরবিআই জানিয়েছে, চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারফলেই এই হিসেব।
তিনি এবং মন্ত্রীসভায় তাঁর সহযোগী অমিত শাহ এবং নির্মলা সীতারামনরা সরকারের সাফল্যের দাবিতে মুখর হয়েছেন মোদীর দাবি, জনতার জন্য এত দরদি ভূমিকা অতীতে আর কোনও সরকার নেয়নি কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্যই স্পষ্ট করেছে মূল্যবৃদ্ধি, বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্যের, তার চাপ কিভাবে সামলাতে হচ্ছে নিম্নবিত্ত, গরিব এমনকি মধ্যবিত্তকেও টানা তৃতীয় বারের জন্য সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার না বাড়ালেও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ ইঙ্গিত দিয়েছেন, খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে মানিটারি পলিসি কমিটির বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দাশ তিনি জানান, রেপো রেট ৬.৫০ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দাশ জানান, সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের নীচে থাকা উচিত কিন্তু সেটা নিয়ন্ত্রণে না এলে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই প্রসঙ্গত, ব্যাঙ্কগুলিকে আমানতের একটা অংশ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে নগদে জমা রাখতে হয়
পেটিএমে টাকা লেনদেনে লাগবে না অতিরিক্ত মূল্য
ভিড় নিয়ন্ত্রণে ছোট পুজোতেও পুলিশি পাহারা
কাউন্সিলরদের ‘সৎ ও কর্মঠ’ হতে ডাক ফিরহাদের
সেন্ট মার্টিনে স্পিডবোট ডুবে নারীর মৃত্যু, জীবিত উদ্ধার ২৩
national
কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনে স্পিডবোট ডুবে সৈয়দা বেগম নামের এক সাবেক ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় ২৩ জন স্থানীয় ও পর্যটককে জীবিত উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে সেন্ট মার্টিন জেটি ঘাট থেকে তিন কিলোমিটার দূরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সৈয়দা বেগম সেন্ট মার্টিনের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আহতদের সেন্ট মার্টিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বিএন খন্দকার মুনিফ তকি গণমাধ্যমকে বলেন, টেকনাফ থেকে ছেড়ে আসা একটি স্পিডবোটে পর্যটক ও স্থানীয় মিলে ২৪ জন যাত্রী ছিলেন। এটি সেন্ট মার্টিনের কাছাকাছি এলে উল্টে যায়। কোস্ট গার্ড খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। এছাড়া একজন মারা যান। অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ //
নিহত সৈয়দা বেগম সেন্ট মার্টিনের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আহতদের সেন্ট মার্টিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বিএন খন্দকার মুনিফ তকি গণমাধ্যমকে বলেন, টেকনাফ থেকে ছেড়ে আসা একটি স্পিডবোটে পর্যটক ও স্থানীয় মিলে ২৪ জন যাত্রী ছিলেন
তীরে এসে তরী ডুবল? হারিয়ে গেল বিক্রম
দেহ উদ্ধারের সূত্রে কিনারা জোড়া খুনের
পুজোর মুখে স্বস্তি তৃণমূলের, সুপ্রিম কোর্টে খারিজ সম্পত্তি মামলায় ইডিকে পার্টি করার হাই কোর্টের নির্দেশ
বর্ণহীন হিন্দু সমাজের আহ্বান আরএসএস প্রধান ভাগবতের, নজর ঘোরাতে? প্রশ্ন নানা মহলের
politics
ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) সভাপতি শরদ পাওয়ার হিন্দুদের সামাজিক বৈষম্য তথা জাতিভেদ প্রথা অবসানের জন্য আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের আবেদনকে স্বাগত জানিয়েছেন।এই বিষয়ে সাহসী অবস্থান নেওয়ার জন্য ভাগবতের প্রশংসা করে, পাওয়ার বলেন, ‘এই ধরনের বিবৃতি বাস্তবে প্রয়োগ করা উচিত। শুধু একটি ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করাই সমাধান নয়। এটি কার্যকরও হওয়া উচিত। না-হলে, এটা স্রেফ কথার কথা থেকে যাবে।’ সূত্রের খবর, ভাগবতের বক্তব্য নিয়ে পাওয়ারের এই আশঙ্কার কারণ, মুসলিম সংগঠন পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে এনআইএর অভিযানের দিন ভাগবত আচমকা মৌলবীদের প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, ভাগবতের এই দেখা করার মূল লক্ষ্য ছিল, নজর ঘুরিয়ে এনআইএর অভিযান নিয়ে মুসলিম সমাজের ক্ষোভ ধামাচাপা দেওয়া। এবার মুসলিম এবং খ্রিস্টান সংগঠনগুলো দলিতের স্বীকৃতির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু, মোদী সরকার মুসলিম ও খ্রিস্টান সংগঠনগুলোর দাবি মানা দূর, বৌদ্ধ ও শিখদের যাঁরা দলিত রয়েছেন, তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কমিশন গঠন করেছে। বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, এই নিয়ে মুসলিম ও খ্রিস্টান সমাজের ক্ষোভ থেকে নজর ঘোরাতেই ভাগবত এখন বর্ণহীন হিন্দু সমাজের আহ্বান জানাচ্ছেন। নাগপুরে এক বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) প্রধান হিন্দুদের বর্ণভেদ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। যা নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভাগবত বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীতে বর্ণপ্রথার কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। তিনি ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থে হিন্দুদের বর্ণহীন সমাজ গঠনের পক্ষে জোর দেন। আরও পড়ুন- শিবসেনার প্রতীক কেন পেলেন না উদ্ধব? এবার কী হবে ! ভাগবত দাবি করেন, অতীতেও হিন্দু সমাজে ‘বর্ণ’ ও ‘জাতি’ প্রথার কোনও ধারণা ছিল না। তাঁর দাবি, হিন্দুদের পুরোনো বৈদিক গ্রন্থ এবং সমস্ত আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় প্রধানরা সর্বদা অসমতাকে পরিহার করতে বলেছেন। একতার কথা বলেছেন। তাই, হিন্দু সমাজে অস্পৃশ্যতার ধারণা কখনও ধর্মীয় পাঠ্য বা অনুশীলনের অংশ ছিল না। এই ব্যাপারে ভাগবত বলেন, ‘আজ, কেউ যদি হিন্দুদের বর্ণপ্রথা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, তবে আমাদের উত্তর হওয়া উচিত, এটা অতীত। আসুন, আমরা ভুলে যাই।’ কীভাবে হিন্দু সমাজে জাতিভেদ প্রথা তৈরি হয়েছিল, সেই ব্যাপারে অবশ্য ভাগবত বিশেষ কিছুই জানাননি। শুধু জানিয়েছেন, এতে হিন্দু সমাজের সমাজের মেরুকরণ বেড়েছে। তাই হিন্দু সমাজের ঐক্যের জন্য যা ক্ষতিকর, তা দূর করা উচিত। হিন্দুদের সামাজিক ঐক্যের জন্য বৈষম্যমূলক সব কিছু ত্যাগ করা উচিত। ভাগবত বলেন, ‘শুধু ভারতেই না। গোটা বিশ্বেই অতীত প্রজন্ম ভুল করেছে। সেই ভুলগুলো মেনে নেওয়ার ব্যাপারে আমাদের দ্বিধা করা উচিত না। যদি কেউ মনে করেন যে আমাদের পূর্বপুরুষরা সেই ভুল স্বীকার করলে নিকৃষ্ট হয়ে যাবেন, তা হবেন না। কারণ, আমরা সবাই মানুষ।’ Read full story in English Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: Ncp chief sharad pawar says mohan bhagwats call to end caste system must be implemented
তাই, হিন্দু সমাজে অস্পৃশ্যতার ধারণা কখনও ধর্মীয় পাঠ্য বা অনুশীলনের অংশ ছিল না এই ব্যাপারে ভাগবত বলেন, ‘আজ, কেউ যদি হিন্দুদের বর্ণপ্রথা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, তবে আমাদের উত্তর হওয়া উচিত, এটা অতীত আসুন, আমরা ভুলে যাই’ কীভাবে হিন্দু সমাজে জাতিভেদ প্রথা তৈরি হয়েছিল, সেই ব্যাপারে অবশ্য ভাগবত বিশেষ কিছুই জানাননি শুধু জানিয়েছেন, এতে হিন্দু সমাজের সমাজের মেরুকরণ বেড়েছে তাই হিন্দু সমাজের ঐক্যের জন্য যা ক্ষতিকর, তা দূর করা উচিত হিন্দুদের সামাজিক ঐক্যের জন্য বৈষম্যমূলক সব কিছু ত্যাগ করা উচিত ভাগবত বলেন, ‘শুধু ভারতেই না গোটা বিশ্বেই অতীত প্রজন্ম ভুল করেছে সেই ভুলগুলো মেনে নেওয়ার ব্যাপারে আমাদের দ্বিধা করা উচিত না
সংখ্যালঘু ভোট ফেরাতে উদ্যোগী আরএসএস
কেন বাংলায় নজর আরএসএস প্রধানের
ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপার শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার
‘ডক্টর উজান’ এ বার তেজেশ কুমার! খলনায়ক হয়ে ছোট পর্দায় ফিরছেন ঋষি কৌশিক
entertainment
তিনি কখনও ডক্টর উজান চট্টোপাধ্যায়, কখনও অর্চিষ্মান মুখোপাধ্যায়, কখনও আবার এসিপি রণজয় চট্টোপাধ্যায়। ঋষি কৌশিককে এত দিন দর্শক এমনই কিছু চরিত্রে দেখে এসেছেন। যে চরিত্রের প্রেমে বার বার পড়েছে মেয়েরা। তবে অনেক দিন হল পর্দায় নায়ককে দেখেননি দর্শক। বহু দিন পর আবারও ছোট পর্দায় দেখা যাবে ঋষিকে। তবে এ বার একটু অন্য ভাবে। অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল হিন্দি সিরিয়াল তৈরি করছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হওয়ার কথা সেই সিরিয়ালের। এই নতুন হিন্দি সিরিয়ালে নেতিবাচক চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। লীনার নতুন সিরিয়ালের নাম ‘ঝনক’। ছোট পর্দার নতুন খলনায়ক হিসাবে দেখা যাবে ঋষিকে। চরিত্রের নাম তেজেশ কুমার। ঋষিকে বহু বছর আগে এক বারই খলনায়কের চরিত্রে দেখেছেন দর্শক। ‘ক্রান্তি’ ছবিতে। তাও নয় নয় করে কেটে গিয়েছে ১৭ বছর। এই কয়েক বছরে ছোট পর্দার রোম্যান্টিক হিরো হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন ঋষি। এ বার খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য তিনি কতটা প্রস্তুত? এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় তাঁর সঙ্গে। ঋষি বলেন, “আসলে আমি তো এখনও শুটিং শুরু করিনি। জানি যে আমার চরিত্রটা নেতিবাচক। এর থেকে বেশি চরিত্রটা সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা নেই।” এমনিতে কি খলনায়করা ঋষিকে আকর্ষিত করে? এ প্রসঙ্গে অভিনেতার উত্তর, “খলনায়ক এবং অসৎ চরিত্রের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। সাধারণ গুন্ডা-বদমাইশের থেকে যার একটা আলাদা সত্তা আছে, তেমন চরিত্র আমার ভাল লাগে।” এই সিরিয়ালে ঋষি ছাড়াও রয়েছেন ভরত কল, ক্রুশল অহুজা-সহ একাধিক মুম্বইয়ের অভিনেতা। কলকাতাতেই হবে সিরিয়ালের শুটিং। খুব শীঘ্রই স্টার প্লাসে ম্প্রচারিত হবে লীনার নতুন সিরিয়াল। কলকাতায় হবে তিন দিনের শুটিং। তার পর কাশ্মীর এবং মুম্বই মিলিয়ে হবে নতুন গল্পের শুটিং।
চরিত্রের নাম তেজেশ কুমার ঋষিকে বহু বছর আগে এক বারই খলনায়কের চরিত্রে দেখেছেন দর্শক ‘ক্রান্তি’ ছবিতে তাও নয় নয় করে কেটে গিয়েছে ১৭ বছর এই কয়েক বছরে ছোট পর্দার রোম্যান্টিক হিরো হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন ঋষি এ বার খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য তিনি কতটা প্রস্তুত? এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় তাঁর সঙ্গে ঋষি বলেন, “আসলে আমি তো এখনও শুটিং শুরু করিনি জানি যে আমার চরিত্রটা নেতিবাচক এর থেকে বেশি চরিত্রটা সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা নেই
স্রেফ অভিনয় করেই সন্তুষ্ট নন আদিত্য রায় কপূর, এ বার কোন পেশার দিকে ঝুঁকছেন অভিনেতা?
নিউজিল্যান্ডকে ২৭২ রানের টার্গেট
বিদ্যাসাগর ও বর্ধমান, একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
প্রথম ছবি এখনও আটকে, তার আগেই চূড়ান্ত দ্বিতীয় ছবি! স্বজনপোষণের জোরেই কি দৌড়চ্ছেন সইফ-পুত্র?
entertainment
বাবা-মা দু’জনেই বলিউডের নামজাদা অভিনেতা। দিদিও পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন অভিনয়কেই। এ বার তাঁর পালা। অভিনয় জগতে পা রাখতে চলেছেন ইব্রাহিম আলি খান। সইফ আলি খান এবং অমৃতা সিংহের ছেলে তিনি। সারা আলি খানের ভাই। পরিবারের বাকি সদস্যদের মতো তিনিও কি অভিনয়কেই নিজের পেশা হিসাবে বেছে নেবেন? সেই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আর কোনও অনিশ্চয়তা নেই। অভিনেতা হিসাবেই বলিউডে পা রাখতে চলেছেন ইব্রাহিম। তাঁর প্রথম ছবি নিয়ে আলোচনাও কম হয়নি। তবে সেই ছবির মুক্তির তারিখ এখনও চূড়ান্ত নয়। তার আগেই দ্বিতীয় ছবি ঝুলিতে ভরলেন ইব্রাহিম। খবর, দীনেশ বিজন ও তাঁর সংস্থা ‘ম্যাডক ফিল্মস’-এর প্রযোজনায় একটি ছবিতে কাজ করতে চলেছেন ইব্রাহিম। কুণাল দেশমুখ পরিচালিত রোম্যান্টিক ঘরানার এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে নাকি চূড়ান্ত করা হয়েছে সইফ-পুত্রকে। তবে কি স্বজনপোষণের জোরেই তরতরিয়ে বলিউডে এগিয়ে যাচ্ছেন ইব্রাহিম? তা নিয়ে সমাজমাধ্যমের পাতায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। শোনা যাচ্ছে, মিউজ়িক্যাল ধাঁচে তৈরি হতে চলেছে এই ছবি। চলতি বছরের শেষের দিক থেকে নাকি শুরু হয়ে যাবে ছবির শুটিং। শুটিংয়ের জন্য নাকি বেশ কিছুটা সময় লন্ডনে কাটাবেন ইব্রাহিম। যদিও এখনও ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি নির্মাতাদের তরফে। সাধারণত রোম্যান্টিক ঘরানার ছবির হাত ধরেই বলিউডে পা রাখেন নবাগতরা। তবে, গতে বাঁধা রাস্তায় হাঁটেননি সইফ-পুত্র ইব্রাহিম। তাই প্রথম ছবির জন্য রোম্যান্টিক ছবির বদলে অন্য ধারার একটি ছবিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। ইব্রাহিমের প্রথম ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন কাজল এবং দক্ষিণী অভিনেতা পৃথ্বীরাজ সুকুমারন। হিমাচল প্রদেশের কুলু-মানালিতে হয়েছে ছবির শুটিং। কর্ণ জোহরের ‘ধর্ম প্রোডাকশন্স’ প্রযোজিত এই ছবির পরিচালনায় রয়েছেন বোমান ইরানি-পুত্র কায়োজ়ে ইরানি। ছবির নাম, ‘সরজ়মিন’। কানাঘুষো, মালয়ালম ছবি ‘হৃদয়ম’-এর আদলে ছবির চিত্রনাট্য বেঁধেছেন নির্মাতারা। সেনাবাহিনীর প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে ইব্রাহিমের প্রথম ছবি ‘সরজ়মিন’। যদিও এখনও প্রকাশিত হয়নি ছবির মুক্তির তারিখ।
কুণাল দেশমুখ পরিচালিত রোম্যান্টিক ঘরানার এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে নাকি চূড়ান্ত করা হয়েছে সইফ-পুত্রকে তবে কি স্বজনপোষণের জোরেই তরতরিয়ে বলিউডে এগিয়ে যাচ্ছেন ইব্রাহিম? তা নিয়ে সমাজমাধ্যমের পাতায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা শোনা যাচ্ছে, মিউজ়িক্যাল ধাঁচে তৈরি হতে চলেছে এই ছবি চলতি বছরের শেষের দিক থেকে নাকি শুরু হয়ে যাবে ছবির শুটিং শুটিংয়ের জন্য নাকি বেশ কিছুটা সময় লন্ডনে কাটাবেন ইব্রাহিম যদিও এখনও ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি নির্মাতাদের তরফে সাধারণত রোম্যান্টিক ঘরানার ছবির হাত ধরেই বলিউডে পা রাখেন নবাগতরা তবে, গতে বাঁধা রাস্তায় হাঁটেননি সইফ-পুত্র ইব্রাহিম তাই প্রথম ছবির জন্য রোম্যান্টিক ছবির বদলে অন্য ধারার একটি ছবিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি ইব্রাহিমের প্রথম ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন কাজল এবং দক্ষিণী অভিনেতা পৃথ্বীরাজ সুকুমারন
মুক্তির দোরগোড়ায় ‘আদিপুরুষ’, প্রচারে কেন কৃতি-প্রভাসের পাশে জায়গা পাবেন না সইফ?
টিভিতে চাই আগ্রাসী ছবি
WhatsApp end-to-end encrypted backup: জেনে নিন কীভাবে সক্রিয় করবেন এই পদ্ধতি
এ বছর ডেঙ্গি কমল না বাড়ল, তুলনা ২০১৯-এর সঙ্গে
kolkata
শেষ দু’বছর নয়। রাজ্যে ডেঙ্গি কতটা বাড়ছে বা কমছে, তার তুলনামূলক বিচার করতে হবে ২০১৯ সালের পরিসংখ্যানের সঙ্গে। শুক্রবার সমস্ত জেলাশাসক ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ডেঙ্গি সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে ছিলেন স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য দফতরের সচিব-সহ অন্যান্য দফতরের কর্তারা। স্বাস্থ্য শিবিরের মতে, ২০২০ এবং ২০২১, এই দু’টি বছরে করোনার কারণে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সে ভাবে সামনে আসেনি। তাই চলতি বছরে মশাবাহিত ওই রোগের প্রকোপ কতটা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা বুঝতে দেখতে হবে তিন বছর আগের পরিসংখ্যান। শেষ পাঁচ বছরের মধ্যে ২০১৯ সালে রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ মারাত্মক হয়েছিল। সূত্রের খবর, ডেঙ্গি প্রতিরোধের উদ্যোগকে প্রশাসনিক কর্মসূচি হিসাবে নয়, অভিযান হিসাবে দেখতে সরকারি আধিকারিক থেকে পুরসভার জনপ্রতিনিধি, সকলকে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যসচিব। পুজোয় জরুরি ও রোগী পরিষেবায় যুক্তদের ছুটিতেও রাশ টানতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর। খুব জরুরি কারণ ছাড়া ছুটি মঞ্জুর না করতে বলেছেন। অন্য দিকে, প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ কিনলে রোগীর নাম-ঠিকানা লিখে রেখে দোকানদার তা প্রশাসনকে জানাবেন। এই বিষয়টিতেও জোর দিতে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। স্বাস্থ্য দফতরের জারি করা ডেঙ্গি-প্রোটোকল মানতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসক ও নার্সদের ফের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ওষুধের দোকানদারদেরও বোঝাতে হবে জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য ওষুধ যেন না দেওয়া হয়। রোগীদের তথ্য ঠিক মতো নথিভুক্ত করতে হবে। পুজোর কয়েকটি দিন হাসপাতালগুলিতে ডেঙ্গি রোগীদের চিকিৎসায় পর্যাপ্ত ওষুধ, চিকিৎসক, নার্সের বন্দোবস্ত রাখতে বলা হয়েছে। হাওড়ার মতো প্রতিটি জেলা সদরে ও ব্লক স্তরে ডেঙ্গি কন্ট্রোল রুম চালুরও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি আরও বলেছেন, পুর স্বাস্থ্যকর্মীদের দল বাড়িগুলিতে পরিদর্শনের যে কাজ করছে, তাতে প্রয়োজনে সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও যুক্ত করতে হবে। পুরসভাগুলিকেও স্থানীয় স্তরে আরও সক্রিয় হতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি জানিয়েছেন, প্রাক্ পুজো ও পুজোর শেষে প্রতিটি পুর ও পঞ্চায়েত এলাকায় জঞ্জাল সাফাইয়ে বিশেষ অভিযান চালাতে হবে। কাজে তদারকির জন্য জেলা প্রশাসনও নির্দিষ্ট দল গড়বে। প্রতিটি পুরসভার ওয়ার্ডে যে কমিটি রয়েছে, সেগুলি সচল করে জনপ্রতিনিধিদেরও মাঠে নেমে কাজ করার নির্দেশে দিয়েছেন মুখ্যসচিব। বলা হয়েছে, যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেঙ্গি পরীক্ষা হয় না, সেখানে রোগী গেলে তাঁকে ফেরানো যাবে না। রক্ত নিয়ে ওই কেন্দ্রকেই নিজের দায়িত্বে পরীক্ষার জায়গায় পাঠাতে হবে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, কলকাতা ও দার্জিলিঙের পাশাপাশি আরও ১০টি জেলায় উল্লেখযোগ্য ভাবে শেষ এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। দুই থেকে আট গুণের বেশি বৃদ্ধি পাওয়া নতুন জেলাগুলি (স্বাস্থ্য জেলা-সহ) হল— বাঁকুড়া, ডায়মন্ড হারবার, বসিরহাট, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, বীরভূম, পুরুলিয়া ও রামপুরহাট।
প্রয়োজনে চিকিৎসক ও নার্সদের ফের প্রশিক্ষণ দিতে হবে ওষুধের দোকানদারদেরও বোঝাতে হবে জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য ওষুধ যেন না দেওয়া হয় রোগীদের তথ্য ঠিক মতো নথিভুক্ত করতে হবে পুজোর কয়েকটি দিন হাসপাতালগুলিতে ডেঙ্গি রোগীদের চিকিৎসায় পর্যাপ্ত ওষুধ, চিকিৎসক, নার্সের বন্দোবস্ত রাখতে বলা হয়েছে হাওড়ার মতো প্রতিটি জেলা সদরে ও ব্লক স্তরে ডেঙ্গি কন্ট্রোল রুম চালুরও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব তিনি আরও বলেছেন, পুর স্বাস্থ্যকর্মীদের দল বাড়িগুলিতে পরিদর্শনের যে কাজ করছে, তাতে প্রয়োজনে সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও যুক্ত করতে হবে পুরসভাগুলিকেও স্থানীয় স্তরে আরও সক্রিয় হতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব তিনি জানিয়েছেন, প্রাক্ পুজো ও পুজোর শেষে প্রতিটি পুর ও পঞ্চায়েত এলাকায় জঞ্জাল সাফাইয়ে বিশেষ অভিযান চালাতে হবে কাজে তদারকির জন্য জেলা প্রশাসনও নির্দিষ্ট দল গড়বে
প্লেটলেট বাড়লেই রোগী ডেঙ্গির প্রভাবমুক্ত নন, বিপদ আনে ঝড়
বছর শেষে ১৬ বছরের সঙ্গীহারা রকুল প্রীত সিংহ, লিখলেন খোলা চিঠি
গরমের মরসুমে দেদার আম খাচ্ছন? গরমে আম খাওয়া ভাল না কি বিপদ ডাকছেন?
গাজায় ত্রাণ পৌঁছতে তৎপর হল মিশর
international
গাজায় আন্তর্জাতিক ত্রাণ পাঠানোর জন্য এল-আরিশ বিমানবন্দর ব্যবহারের উদ্যোগ নিল মিশর। বৃহস্পতিবার মিশরের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, সিনাই উপদ্বীপের উত্তরে অবস্থিত এল-আরিশ বিমানবন্দর ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মিশর গাজায় ত্রাণ পৌঁছনোর জন্য আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আরও তৎপরতার আবেদন জানিয়েছে। মিশরের তরফে এল-আরিশ থেকে গাজা অবধি একটি সুরক্ষিত করিডর তৈরিরও দাবি জানানো হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে। মিশরের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ড এবং মিশরের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী রাফা সীমান্ত চৌকি পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। ব্যবসায়ীক কারণে আংশিক খোলা রয়েছে। যদিও ইজরায়েলের বোমা বর্ষণের ফলে স্থল বন্দরটির গাজা’র দিকের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মিশর দাবি জানিয়েছে, ইজরায়েল সীমান্ত বন্দরে বোমা বর্ষণ বন্ধ করুক, যাতে দ্রুত মেরামত করে গাজায় ত্রাণ পৌঁছনোর কাজ শুরু করা যায়। এল-আরিশ বিমানবন্দর থেকে রাফা সীমান্তের দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটার। মিশর জানিয়েছে, তাঁরা কাতার, জর্ডানের মত দেশের প্যালেস্তাইনের জন্য  পাঠানো ত্রাণ এই বিমানবন্দরে গ্রহণ করতে প্রস্তুত। কিন্তু শিশুদের জন্য দুধ, পানীয় জল, ওষুধ, স্বাস্থ্য সামগ্রী সহ অন্যান্য জরুরি পণ্য গাজায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সুরক্ষিত করিডোর প্রয়োজন, যেখানে ইজরায়েল হামলা চালাবে না। সেই করিডোর তৈরি না হওয়া অবধি গাজায় ত্রাণ পাঠানো সম্ভব নয় বলে মিশরের দাবি। বৃহস্পতিবার মিশরের বিদেশমন্ত্রী সামেহ শৌকরি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, আন্তর্জাতিক আইনকে লঙ্ঘন করে গাজায় সাধারণ মানুষের উপর বোমাবর্ষণ চলছে। কোনও যুক্তিতেই সাধারণ মানুষকে হত্যা করা, অবরুদ্ধ করে রাখা, পানীয় জল, ওষুধ, বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেওয়া মেনে নেওয়া যায়না। প্রসঙ্গত, শনিবার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে ২ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ইজরায়েলের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৩০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গুরুতর আহতের সংখ্যা ৩,৩০০। অপরদিকে গাজা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইজরায়েলের বিমান হানায় ১২০৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫ হাজার সাতশো’র বেশি মানুষ। ত্রাণ পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্যালেস্তাইন গঠনের দাবিকেও সমর্থন জানিয়েছে মিশর। শনিবার থেকে গাজায় হামাস-ইজরায়েল সংঘাত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার মিশরের রাষ্ট্রপতি আব্দেল ফাতেহ আল-সিসি বলেছিলেন, আমাদের আশা আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সূত্র মিলবে এবং ন্যায়ের ভিত্তিতে আঞ্চলিক  শান্তি ও স্বাধীন প্যালেস্টাইন গঠিত হবে।
কিন্তু শিশুদের জন্য দুধ, পানীয় জল, ওষুধ, স্বাস্থ্য সামগ্রী সহ অন্যান্য জরুরি পণ্য গাজায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সুরক্ষিত করিডোর প্রয়োজন, যেখানে ইজরায়েল হামলা চালাবে না সেই করিডোর তৈরি না হওয়া অবধি গাজায় ত্রাণ পাঠানো সম্ভব নয় বলে মিশরের দাবি বৃহস্পতিবার মিশরের বিদেশমন্ত্রী সামেহ শৌকরি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, আন্তর্জাতিক আইনকে লঙ্ঘন করে গাজায় সাধারণ মানুষের উপর বোমাবর্ষণ চলছে কোনও যুক্তিতেই সাধারণ মানুষকে হত্যা করা, অবরুদ্ধ করে রাখা, পানীয় জল, ওষুধ, বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেওয়া মেনে নেওয়া যায়না প্রসঙ্গত, শনিবার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে ২ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন ইজরায়েলের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৩০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন গুরুতর আহতের সংখ্যা ৩,৩০০ অপরদিকে গাজা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইজরায়েলের বিমান হানায় ১২০৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন
গাজায় আক্রমণ চালালো ইজরায়েল
‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার’ নির্বাচিত হলেন মাশরাফি
চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বার, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি
Realme: গুরুতর অভিযোগ, লুকিয়ে ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করছে রিয়েলমি!
technology
Realme: চিনের স্মার্টফোন নির্মাণকারী সংস্থা রিয়েলমি (Realme) এবার নজরদারি চালাবে কেন্দ্রীয় সরকার। গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এই সংস্থার বিরুদ্ধে। রিয়েলমির বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের দ্বারা ইউজারদের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা লঙ্ঘন হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Minister of State for Information Technology and Electronics) ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বলা হচ্ছে, রিয়েলমি সংস্থার Enhanced Intelligent Services ফিচারের মাধ্যমে ইউজারদের সেনসিটিভ ডেটা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছে কল লগ, এসএমএস এবং লোকেশন ইনফরমেশনও। সবচেয়ে অদ্ভুত হল এই ফিচার ডিভাইসে নিজে থেকেই এনাবেল বা অন হয়ে যায়। অর্থাৎ কীভাবে, কখন অন হচ্ছে তা টেরও পান না ইউজার। এদিকে হস্তক্ষেপ হয় তাঁর নিরাপত্তায়। জনৈক ট্যুইটার ইউজার ঋষি বাগরি সবার প্রথম এই অভিযোগ প্রকাশ্যে এনেছেন। সেই ট্যুইট এরপর নজরে এসেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরের। তিনি এই ট্যুইটে জবাব দিয়ে জানিয়েছেন যে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রিয়েলমির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রিয়েলমির Enhanced Intelligent Services ফিচার 'বাই ডিফল্ট' অর্থাৎ নিজে থেকেই ডিভাইসে অন হয়ে যাচ্ছে। আর তার ফলে ইউজারদের সম্মতি ছাড়াই তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। নেটিজেনরা তীব্র সমালোচনা করছেন রিয়েলমি সংস্থার। কারণ স্ট্যান্ডার্ড প্রাইভেসি প্র্যাকটিসের আওতায় ইউজারদেরকে জিজ্ঞেস করা হয় তাঁরা তাঁদের কোও ডেটা বা তথ্য শেয়ার করতে চান কিনা। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। রিয়েলমি ফোনের এই ফিচার অন হয়ে থাকলে কোনও স্পষ্ট নোটিফিকেশন ছাড়া বা ইউজারদের সম্মতি ছাড়াই তাঁদের তথ্য ফাঁস হচ্ছে। ভারতীয় ইউজারদের সঙ্গে যে এই বিষয়টি ঘটছে সেই প্রসঙ্গে তাঁদের একেবারেই অন্ধকারে রেখেছে রিয়েলমি কর্তৃপক্ষ। অথচ ইউজারদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, একই সঙ্গে চলছে শেয়ার করা। কী বলছে রিয়েলমি কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতিতে রিয়েলমি সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে তারা ইউজারদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে। সেই সঙ্গে রিয়েলমি কর্তৃপক্ষ এও জানিয়েছে যে enhanced intelligent services ফিচারের আওতায় যেসমস্ত তথ্য রয়েছে তা এনক্রিপ্টেড পদ্ধতিতে সুরক্ষিত। তবে রিয়েলমি সংস্থা যাই জানাক না কেন আপাতত রিয়েলমির ফোন নিয়ে ভারতের বাজারে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। নির্দিষ্ট কোন কোন ফোনের ক্ষেত্রে এমনটা হচ্ছে তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। আরও পড়ুন- কোঁকড়ানো চুল ধুয়ে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম অতি অবশ্যই মেনে চলতে হবে?
সেই ট্যুইট এরপর নজরে এসেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরের তিনি এই ট্যুইটে জবাব দিয়ে জানিয়েছেন যে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে রিয়েলমির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রিয়েলমির Enhanced Intelligent Services ফিচার 'বাই ডিফল্ট' অর্থাৎ নিজে থেকেই ডিভাইসে অন হয়ে যাচ্ছে আর তার ফলে ইউজারদের সম্মতি ছাড়াই তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে নেটিজেনরা তীব্র সমালোচনা করছেন রিয়েলমি সংস্থার কারণ স্ট্যান্ডার্ড প্রাইভেসি প্র্যাকটিসের আওতায় ইউজারদেরকে জিজ্ঞেস করা হয় তাঁরা তাঁদের কোও ডেটা বা তথ্য শেয়ার করতে চান কিনা কিন্তু এক্ষেত্রে তা হচ্ছে না রিয়েলমি ফোনের এই ফিচার অন হয়ে থাকলে কোনও স্পষ্ট নোটিফিকেশন ছাড়া বা ইউজারদের সম্মতি ছাড়াই তাঁদের তথ্য ফাঁস হচ্ছে
Threads App: ইউজারদের প্রচুর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে থ্রেডস! তাহলে কি ভয় বাড়াচ্ছে নতুন অ্যাপ?
৫৩ কোটি ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস! কী বলছে Facebook?
ভাগ্যবান পুরুষের বাঙালি বৌ হয়, যেমন অমিতাভ বচ্চন: রাজকুমার রাও
‘ইচ্ছে’ দেখে হল থেকে বেরিয়ে এক প্রযোজক বলেছিল, পর্দায় সোহিনীকে দেখে আমার ঘেন্না হচ্ছে!
entertainment
একটি মোটা মায়ের গল্প ফাটাফাটি: কিস্তি ১ আমাদের প্রথম সিনেমা ‘ইচ্ছে’-র মা কী রকম দেখতে হবে, সেটা নিয়ে খুব জল্পনা-কল্পনা ছিল। এক দিন দেশপ্রিয় পার্কে হাঁটতে গিয়ে দেখলাম, এক জন মোটা মা তার বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে আসছেন। তার চুল উস্কোখুস্কো। দেখেই বোঝা যায়, নিজের প্রতি কোনও যত্নই যেন কোনও দিন নেননি, সবটাই তাঁর সন্তানকেই দিয়ে দিয়েছেন। চোখ দিয়ে অঝোরে জল পড়ছে এবং তিনি বলতে বলতে আসছেন, ‘‘আমার সব স্বপ্ন শেষ করে দিলি?’’ ছেলেটি মাথা নিচু করে মায়ের সঙ্গে আসছে। এই দৃশ্য দেখে আমি দৌড়তে দৌড়তে নন্দিতাদির বাড়িতে এলাম। এসে বলেছিলাম, ‘‘আমাদের মা যদি সোহিনী সেনগুপ্ত হয়!’’ নন্দিতাদি এক মুহূর্তে রাজি হয়েছিলেন। ব্যস, সোহিনীর সঙ্গে কথা বলে রাজি করানো হল। কিন্তু এর পরের লড়াইটা ভয়ঙ্কর ছিল। ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সব প্রযোজকই ‘ইচ্ছে’-র কাহিনি শুনেছিলেন, চোখের জল ফেলেছিলেন। কিন্তু কেউই রাজি ছিলেন না এই কাস্টিংয়ে ছবি বানাতে। কেন না, মোটা হিরোইন নিতে কেউ রাজি নন। এক এক করে তাঁদের নাম আমার পক্ষে বলা উচিত হবে না। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত, নামডাকওয়ালা এক প্রযোজক আমাকে বলেছিলেন, ‘‘মা মোটা হলে হবে না, পর্দায় মাকে গ্ল্যামারাস লাগতে হবে।’’ মায়ের চরিত্রে বেশ কয়েক জন প্রথম সারির নায়িকার কথা বলেছিলেন আর ছেলের চরিত্রেও বেশ কয়েক জন সেই সময়ের তরুণ নামডাকওয়ালা ছেলের নামও বলেছিলেন। কিছুতেই মন সায় দেয়নি। সেই প্রযোজকের সঙ্গে কাজ করতে সবাই আগ্রহী ছিল। কিন্তু আমরা রাজি হতে পারিনি। মনে হয়েছিল, সেই অভিনেত্রীকে দরকার, সেই মাকে দরকার, যাকে দেখেই মনে হবে যে তার সর্বস্ব এই ছেলেটির জন্য দিয়ে দিয়েছে, আমাদের তাকেই চাই। ফাটাফাটি: কিস্তি ২ আট বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল ‘ইচ্ছে’ করতে, যে হেতু নবাগত পরিচালক, কোনও অভিজ্ঞতা নেই সিনেমা করার। জীবনে টেলিভিশনেও কোনও ফিকশন বানায়নি। দ্বিতীয় তরুণ নবাগত হিরো, তৃতীয় হিরোইন মোটা। কাজেই, ছবি তৈরি হওয়ার পর সেই ছবি বিক্রি করতে লেগে গেল আরও তিন বছর। ২০০৮-এ যে ছবি বানিয়েছিলাম ২০১১-তে এসে সেই ছবি মুক্তির আনন্দ পেল। ‘ইচ্ছে’ মুক্তি পাবে, এটাই ছিল বিরাট বড় আনন্দ আমাদের কাছে। ‘ইচ্ছে’ মুক্তি পাওয়ার ঠিক আগে এই ইন্ডাস্ট্রির নামডাকওয়ালা প্রযোজক-পরিবেশকদের জন্য একটি ক্লোজড-ডোর শো-এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল সল্টলেকের তৎকালীন এক ল্যাবে। ভিতরে আমাদের সিনেমার প্রথম শো চলছে আর আমরা উদ্‌গ্রীব হয়ে বাইরে অপেক্ষা করছি। সিনেমা শেষ হল, এক জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রযোজক হল থেকে প্রথম বেরোতেই আমরা তাঁর কাছে গেলাম অনেক আশা নিয়ে। তিনি বললেন, ‘‘শেষ করে দিলেন সিনেমাটা, এই মেয়েটাকে কেউ হিরোইন নেয়? জঘন্য লাগছিল, বমি আসছিল ওকে দেখে আমার। পুরো পর্দা জুড়েই তো ও, কী করলেন আপনি! এত ভাল গল্পটা মার্ডার করে দিলেন! আমার ঘেন্না করছিল এই ছবিটা দেখতে। মার্ডার করে দিলেন এই সিনেমাটার।’’ এই কথাটা বলতে বলতেই তিনি চলে গেলেন। জীবনের প্রথম সিনেমার, প্রথম দর্শকের প্রথম অভিব্যক্তি সারা জীবন মনে থাকবে। ‘ইচ্ছে’ যে তৈরি হয়েছিল আর ‘ইচ্ছে’ যে মুক্তি পেয়েছিল তার জন্য দু’জনকে ধন্যবাদ দিতেই হয়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং রাকেশ সিংহ। কেন যে তাঁরা রাজি হয়েছিলেন এই ছবির পাশে দাঁড়াতে এবং এই ছবিতে টাকা ঢালতে, সেটা ভগবানই জানেন। অভিনেত্রী মোটা কিংবা রোগা সেটা বড় কথা নয়, অভিনেত্রীর অভিনয়টা বড় কথা। ছবি: সংগৃহীত। ফাটাফাটি: কিস্তি ৩ ‘ইচ্ছে’ মুক্তি পেল ১৫ জুলাই ২০১১। প্রথম তো আমরা বিশ্বাসই করতে পারিনি যে এই ছবি কোনও দিন মুক্তি পাবে। প্রিমিয়ারের রাত, আনন্দে ভেসে যাচ্ছি, ছবি কেমন হবে, মানুষ আদৌ ভালবাসবেন কি না, সেই নিয়ে আমাদের কোনও খেয়াল নেই। শুধু একটাই আনন্দ যে, সবাই বলেছিলেন, ‘‘ছবিটা কোমায় চলে গিয়েছে।’’ আমার এক প্রযোজক বন্ধু বলেছিলেন, ‘‘তুই এই সিনেমাটার কথা ভুলে যা, একটা ডিভিডি দিচ্ছি রিমেক বানিয়ে দে।’’ তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি, ‘ইচ্ছে’ মুক্তি পেয়েছে। প্রিমিয়ারের দিন মধ্যরাতে একটা ফোন পেলাম এমন এক জনের, যিনিও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক। অনেক আশা নিয়ে ফোনটা ধরেছি কী বলেন শুনতে। তিনি বললেন, ‘‘পর্দার একটা গ্ল্যামার আছে শিবু, সে গ্ল্যামারটাকে উপেক্ষা করা যায় না। আমার সিনেমাটা ভাল লাগেনি।’’ আমি অপর প্রান্তে নিশ্চুপ। তিনি আরও বলেন, ‘‘কিন্তু, তুমি সোহিনীকে নিয়ে একটা গ্যাম্বল করেছ। এই জুয়াটা যদি তুমি জিতে যাও, তা হলে ছবিটা ব্লকবাস্টার হবে। সিনেমার সব কিছুই দাঁড়িয়ে রয়েছে সোহিনীর কাস্টিংয়ে। দর্শক সোহিনীকে অ্যাকসেপ্ট করবে কি না দেখা যাক। আমরা মোটা হিরোইনদের নায়িকা হিসেবে অ্যাকসেপ্ট করি না কিন্তু শিবু।’’ ‘ইচ্ছে’ মুক্তির পরের দিনের ঘটনা। সব হলেই দুপুরবেলারই শো পেয়েছিল। মাল্টিপ্লেক্সে দুপুর ১২টার শো পেয়েছিল এবং সেগুলো শনিবার দিনেই যে নেমে যাবে সেটা প্রায় জেনেই গিয়েছিলাম আগে। ম্যাটিনি-শো কয়েকটা জায়গায় টিকে ছিল। আমার পরিবেশক আমায় বলেছিলেন, ‘‘দেখুন, ছবিটা স্টেল হয়ে গিয়েছে।’’ মানে ইন্ডাস্ট্রির ভাষায় পুরনো হয়ে গিয়েছে, ‘‘রিলিজ় করার জন্য করা হয়েছে, কষ্ট পাবেন না। আপনি নতুন পরিচালক, আর আপনার কাস্টিংয়ে তো নাম-টাম কেউ নেই। তার উপর হিরো নতুন, হিরোইন তো বুঝতেই পারছেন একটু মোটা, ওটা দর্শক ঠিক দেখতে চান না। পরে যখন হিরোইন নেবেন, মানে… বুঝতে পারছেন তো? একটু নামডাক, আসলে অডিয়েন্স পোস্টারে একটা ফেস দেখতে চায়!’’ ‘ইচ্ছে’ মুক্তি পাওয়ার পর, সব শত্তুরের মুখে ছাই দিয়ে ১২৫ দিন পার করেছিল এবং প্রচুর ভালোবাসা কুড়িয়েছিল। যে পরিচালক মাঝরাতে ফোন করে বলেছিলেন, ‘‘পর্দা গ্ল্যামার চায়’’, সেই পরিচালকই ‘ইচ্ছে’-র চার সপ্তাহ বাদে আমাকে বলেছিলেন, ‘‘সাংবাদিকদের বলো যে, আমি তোমায় প্রথম বলেছি ছবিটা ব্লকবাস্টার হবে।’’ যে প্রযোজক বলেছিলেন যে, সিনেমাটা দেখতে তাঁর বমি পাচ্ছে, তিনি আমাকে তাঁর পরের তিনটি সিনেমা করতে দিতে চেয়েছিলেন। আর যে প্রযোজক বলেছিলেন যে মোটা হিরোইন চলে না, গ্ল্যামারাস হিরোইন চলে, তিনি আজও আক্ষেপ করে যান, ‘ইচ্ছে’ না করার জন্য। আর যে পরিবেশক বলেছিলেন পোস্টারের গ্ল্যামার চাই, মোটা হিরোইন চলে না, তিনি ‘ইচ্ছে’-র ১০০ দিনের পার্টিতে এসেছিলেন আর আমার হাত ধরে বলেছিলেন, ‘‘আপনার হিরোইনই কিন্তু এই ছবির জান। আপনি ঠিক, আমি ভুল। আমার ছবির চিনতে ভুল হয়ে গিয়েছিল। কী অভিনয়টাই করেছে বলুন তো! আমার বৌ বলেছে যে, আমি নিজেকে দেখতে পাচ্ছিলাম।’’ ‘ইচ্ছে’ মুক্তি পাওয়ার পর এক দিন আমাদের অফিসের সামনে প্রচুর মহিলার জটলা, আমি অফিসের সামনে যেতেই ওঁরা আমায় ঘিরে ধরলেন। ‘‘এটা পারলেন কী করে?’’ আমি তাকিয়ে রয়েছি, আবার মহিলারা বলে উঠলেন সমস্বরে, ‘‘এটা পারলেন কী করে? মা-রা কষ্ট করবে, নিজের সর্বস্ব দিয়ে দেবে আর ছেলে মাকে ছেড়ে চলে যাবে? এ হতে পারে না, ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে আনুন। আমরা নিতে পারছি না’’ সোহিনীর অভিনয়ের জয় ছিল এখানেই, সব মহিলাই সোহিনীর মধ্যে নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলন। অভিনেত্রী মোটা কিংবা রোগা সেটা বড় কথা নয়, অভিনেত্রীর অভিনয়টা বড় কথা। একটা মানুষের শরীরটা বড় কথা নয়, তার মন, তার অন্তর যেন বড় হয়, ‘ফাটাফাটি’ ছবি সেই কথাই বলে। ‘‘আমরা মোটা হতে পারি কিন্তু আমাদের জীবনটা মোটামুটি নয়, ফাটাফাটি’’! আর মোটা হিরোইনরা সব সময়ই আমার জন্য একটু বেশি লাকি , সে ‘ইচ্ছে’-ই বলুন, আর ‘প্রাক্তন’-ই বলুন।
এই জুয়াটা যদি তুমি জিতে যাও, তা হলে ছবিটা ব্লকবাস্টার হবে সিনেমার সব কিছুই দাঁড়িয়ে রয়েছে সোহিনীর কাস্টিংয়ে দর্শক সোহিনীকে অ্যাকসেপ্ট করবে কি না দেখা যাক আমরা মোটা হিরোইনদের নায়িকা হিসেবে অ্যাকসেপ্ট করি না কিন্তু শিবু’’ ‘ইচ্ছে’ মুক্তির পরের দিনের ঘটনা সব হলেই দুপুরবেলারই শো পেয়েছিল মাল্টিপ্লেক্সে দুপুর ১২টার শো পেয়েছিল এবং সেগুলো শনিবার দিনেই যে নেমে যাবে সেটা প্রায় জেনেই গিয়েছিলাম আগে ম্যাটিনি-শো কয়েকটা জায়গায় টিকে ছিল আমার পরিবেশক আমায় বলেছিলেন, ‘‘দেখুন, ছবিটা স্টেল হয়ে গিয়েছে’’ মানে ইন্ডাস্ট্রির ভাষায় পুরনো হয়ে গিয়েছে, ‘‘রিলিজ় করার জন্য করা হয়েছে, কষ্ট পাবেন না আপনি নতুন পরিচালক, আর আপনার কাস্টিংয়ে তো নাম-টাম কেউ নেই তার উপর হিরো নতুন, হিরোইন তো বুঝতেই পারছেন একটু মোটা, ওটা দর্শক ঠিক দেখতে চান না পরে যখন হিরোইন নেবেন, মানে… বুঝতে পারছেন তো? একটু নামডাক, আসলে অডিয়েন্স পোস্টারে একটা ফেস দেখতে চায়!’’ ‘ইচ্ছে’ মুক্তি পাওয়ার পর, সব শত্তুরের মুখে ছাই দিয়ে ১২৫ দিন পার করেছিল এবং প্রচুর ভালোবাসা কুড়িয়েছিল যে পরিচালক মাঝরাতে ফোন করে বলেছিলেন, ‘‘পর্দা গ্ল্যামার চায়’’, সেই পরিচালকই ‘ইচ্ছে’-র চার সপ্তাহ বাদে আমাকে বলেছিলেন, ‘‘সাংবাদিকদের বলো যে, আমি তোমায় প্রথম বলেছি ছবিটা ব্লকবাস্টার হবে’’ যে প্রযোজক বলেছিলেন যে, সিনেমাটা দেখতে তাঁর বমি পাচ্ছে, তিনি আমাকে তাঁর পরের তিনটি সিনেমা করতে দিতে চেয়েছিলেন আর যে প্রযোজক বলেছিলেন যে মোটা হিরোইন চলে না, গ্ল্যামারাস হিরোইন চলে, তিনি আজও আক্ষেপ করে যান, ‘ইচ্ছে’ না করার জন্য আর যে পরিবেশক বলেছিলেন পোস্টারের গ্ল্যামার চাই, মোটা হিরোইন চলে না, তিনি ‘ইচ্ছে’-র ১০০ দিনের পার্টিতে এসেছিলেন আর আমার হাত ধরে বলেছিলেন, ‘‘আপনার হিরোইনই কিন্তু এই ছবির জান আপনি ঠিক, আমি ভুল আমার ছবির চিনতে ভুল হয়ে গিয়েছিল কী অভিনয়টাই করেছে বলুন তো! আমার বৌ বলেছে যে, আমি নিজেকে দেখতে পাচ্ছিলাম’’ ‘ইচ্ছে’ মুক্তি পাওয়ার পর এক দিন আমাদের অফিসের সামনে প্রচুর মহিলার জটলা, আমি অফিসের সামনে যেতেই ওঁরা আমায় ঘিরে ধরলেন ‘‘এটা পারলেন কী করে?’’ আমি তাকিয়ে রয়েছি, আবার মহিলারা বলে উঠলেন সমস্বরে, ‘‘এটা পারলেন কী করে? মা-রা কষ্ট করবে, নিজের সর্বস্ব দিয়ে দেবে আর ছেলে মাকে ছেড়ে চলে যাবে? এ হতে পারে না, ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে আনুন আমরা নিতে পারছি না’’ সোহিনীর অভিনয়ের জয় ছিল এখানেই, সব মহিলাই সোহিনীর মধ্যে নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলন অভিনেত্রী মোটা কিংবা রোগা সেটা বড় কথা নয়, অভিনেত্রীর অভিনয়টা বড় কথা একটা মানুষের শরীরটা বড় কথা নয়, তার মন, তার অন্তর যেন বড় হয়, ‘ফাটাফাটি’ ছবি সেই কথাই বলে ‘‘আমরা মোটা হতে পারি কিন্তু আমাদের জীবনটা মোটামুটি নয়, ফাটাফাটি’’! আর মোটা হিরোইনরা সব সময়ই আমার জন্য একটু বেশি লাকি , সে ‘ইচ্ছে’-ই বলুন, আর ‘প্রাক্তন’-ই বলুন
সিনেমাই যত নষ্টের গোড়া? বাস্তবের ‘মিসেস চ্যাটার্জি’র বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্বামীর
এক হলেন শাকিব-বুবলী
Deer: লোকালয়ে ঢুকে পড়া বার্কিং ডিয়ার উদ্ধার করে জঙ্গলে ফেরাল বনদপ্তর
সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা কিন্তু মরসুমি হতে পারে না
editorial
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বার নরেন্দ্র মোদী শপথ নেবেন ৩০ মে। সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করবেন বলে জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গণতান্ত্রিক আনুষ্ঠানিকতা এবং সাংবিধানিক সৌজন্যের স্বার্থেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার চেষ্টা করবেন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অবস্থান বা সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে স্বাগতযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ছবিটা এই রকমই হওয়া উচিত। রাজনৈতিক বা মতাদর্শগত প্রশ্নে দূরত্ব যতটাই থাকুক বিভিন্ন শিবিরের মধ্যে, রাষ্ট্রের প্রতি এবং সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রশ্নে একসঙ্গে কাজ করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকবেন সাংবিধানিক পদাধিকারিরা— বাতাবরণটা এইরকমই হওয়া উচিত গণতন্ত্রে। কিন্তু বাতাবরণটা এইরকম কি থাকে সবসময়? ঘূর্ণিঝড় ফণী যখন তাণ্ডব চালিয়ে গেল বাংলার একাংশে, তখন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একাধিকবার ফোন করেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ফোন আসার খবর পেয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে যোগাযোগের চেষ্টা করেননি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি নিজে বৈঠক করেননি, রাজ্য প্রশাসনের কোনও কর্তাকেও কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসতে দেননি। আরও পড়ুন: মোদীর শপথে যাবেন মমতা, বললেন ‘সাংবিধানিক সৌজন্য’-এর জন্যই ওই ঘটনা কি গণতান্ত্রিক সৌজন্য বা সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়েছিল? এই সৌজন্য বা দায়বদ্ধতা তো মরসুমি হতে পারে না। কোনও মরসুম গণতন্ত্র এবং সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখানোর অনুকূল এবং কোনওটা প্রতিকূল, এমন তো হতে পারে না। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাঝে ফণী হানা দিয়েছিল, সে কথা ঠিক। নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে তিক্ত আদানপ্রদানের মহাপ্রাচীরও হয়তো মাথা তুলেছিল। কিন্তু সে সবের পরেও নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীই ছিলেন। নাগরিকদের প্রতি দায়বদ্ধতা তখনও ততখানিই ছিল, যতটা এখন রয়েছে। দুর্গত নাগরিকদের সুরাহায় কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তাকে নির্বাচনের কারণে অস্বীকার করা যায় কী ভাবে! সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন প্রতিবেশী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই ফণীর মোকাবিলায় অগ্রসর হয়েছিলেন। রাজনীতির ময়দানে প্রতিবেশী রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রীর দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দলের বৈরিতা কিন্তু কিছু কম নয়। তা সত্ত্বেও গণতান্ত্রিক সৌজন্যে এবং সাংবিধানিক দায়বদ্ধতায় দু’পক্ষই অটল ছিলেন। কাম্য এই ছবিটাই। দায়বদ্ধতার গভীরতা এই ছবিতেই ধরা পড়ে। মতাদর্শগত বা নীতিগত পার্থক্য বিভিন্ন দলের মধ্যে থাকবেই। ভিন্ন ভিন্ন মতের এই সমাহার এবং সহাবস্থানই সুস্থ গণতন্ত্রের লক্ষণ। কোনও কারণেই বা কোনও মরসুমেই এই সহাবস্থানকে অস্বীকার করার প্রবণতা মেনে নেওয়া যায় না। নরেন্দ্র মোদী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গাঁধী থেকে চন্দ্রবাবু নায়ডু, প্রত্যেকেরই সে কথা মনে রাখার দায় রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ছবিটা এই রকমই হওয়া উচিত রাজনৈতিক বা মতাদর্শগত প্রশ্নে দূরত্ব যতটাই থাকুক বিভিন্ন শিবিরের মধ্যে, রাষ্ট্রের প্রতি এবং সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রশ্নে একসঙ্গে কাজ করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকবেন সাংবিধানিক পদাধিকারিরা— বাতাবরণটা এইরকমই হওয়া উচিত গণতন্ত্রে কিন্তু বাতাবরণটা এইরকম কি থাকে সবসময়? ঘূর্ণিঝড় ফণী যখন তাণ্ডব চালিয়ে গেল বাংলার একাংশে, তখন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার ফোন করেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ফোন আসার খবর পেয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে যোগাযোগের চেষ্টা করেননি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি নিজে বৈঠক করেননি, রাজ্য প্রশাসনের কোনও কর্তাকেও কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসতে দেননি আরও পড়ুন: মোদীর শপথে যাবেন মমতা, বললেন ‘সাংবিধানিক সৌজন্য’-এর জন্যই ওই ঘটনা কি গণতান্ত্রিক সৌজন্য বা সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়েছিল? এই সৌজন্য বা দায়বদ্ধতা তো মরসুমি হতে পারে না কোনও মরসুম গণতন্ত্র এবং সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখানোর অনুকূল এবং কোনওটা প্রতিকূল, এমন তো হতে পারে না নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাঝে ফণী হানা দিয়েছিল, সে কথা ঠিক
তৃণ হতে সহিষ্ণু না হওয়া গেলেও সহনশীলতাই বাঁচার একমাত্র পথ
দায়বদ্ধতার অভাব
হজমের গোলমালে ভুগছেন? পুজোর আগে সুস্থ থাকতে ৫ নিয়ম মেনে চলুন
নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ: বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, প্রধানমন্ত্রীর একছত্র ক্ষমতা খর্ব
politics
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কেন্দ্রের একছত্র ক্ষমতা খর্ব করল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সহ বাকি কমিশনারদের নিয়োগ হবে একটি কমিটির মাধ্যমে। সেই কমিটির সদস্য হবেন, প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা (বিরোধী দলনেতা না থাকলে লোকসভার একক সর্ববৃহৎ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা) ও দেশের প্রধান বিচারপতি। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা সম্ভব বলে মনে করছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। নির্বাচন পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার প্রয়োজন। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, তিন সদস্যের কমিটি শুরুতে নতুন নির্বাচন কমিশনারদের নাম প্রস্তাব করবে। তার ভিত্তিতেই কমিশনারদের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত করবেন। বর্তমান প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে নির্বাচন কমিশনারদের নিযুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি। তাঁদের কার্যকালের মেয়াদ হয় ৬ বছর। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এবার এই নিয়মে বদল আসছে। নির্বাচন কমিশনারদের মনোনয়ন ও নিয়োগ ঘিরে বিরোধী দলগুলোর প্রশ্ন নতুন নয়। শাসক দলের ঘনিষ্ঠ আমলাদের নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করা হয় বলে বিভিন্ন আমলে অভিযোগ থাকে। প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও দেশের প্রধান বিচারপতি সম্বলিত কমিটির সুপারিশে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ হলে বিরোধীতার স্থান থাকবে না বলে আশা করা হচ্ছে। এদিন বিচারপতি রাস্তোগি বলেছেন, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারে অপসারণের জন্য যে সুরক্ষাবলয় রয়েছে বাকি দুই নির্বাচন কমিশনারদের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হওয়া উচিত। Stay updated with the latest news headlines and all the latest National news download Indian Express Bengali App. Web Title: Panel of pm lop cji should appoint election commissioners order by supreme court
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কেন্দ্রের একছত্র ক্ষমতা খর্ব করল সুপ্রিম কোর্ট দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সহ বাকি কমিশনারদের নিয়োগ হবে একটি কমিটির মাধ্যমে সেই কমিটির সদস্য হবেন, প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা (বিরোধী দলনেতা না থাকলে লোকসভার একক সর্ববৃহৎ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা) ও দেশের প্রধান বিচারপতি এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা সম্ভব বলে মনে করছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ নির্বাচন পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার প্রয়োজন
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কমিটি গড়ল সুপ্রিম কোর্ট
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কমিটি থেকে বাদ প্রধান বিচারপতি, বিলের বিরোধীতায় সরব বিরোধী শিবির
হয়রানির শিকার বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জা
৫৩ কোটি ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস! কী বলছে Facebook?
technology
গোটা বিশ্বে ৫৩ কোটি গ্রাহকের ব্যক্তিগত ফাঁসের ঘটনায় কাঠগড়ায় সোশ্যাল মিডিয়া Facebook। সেই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে আশঙ্কার মেঘ জমেছে। এবার অভিযোগের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিল মার্কিন তথ্য়প্রযুক্তি সংস্থা। তাদের দাবি, এই তথ্য অনেক পুরনো এবং ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই তা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরই জানুয়ারি মাসে গবেষক অ্যালোন গাল টুইট করে দাবি করেছিলেন, টেলিগ্রাম বটের মাধ্যমে ফেসবুক ইউজারদের ফোন নম্বর খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তাকপরেই নড়েচড়ে বসে Facebook কর্তৃপক্ষ। এখন জানা যাচ্ছে, ফোন নম্বরের সঙ্গে সঙ্গে মেইল আইডি, ফেসবুক আইডি, জন্মতারিখ, লিঙ্গ-সহ গ্রাহকদের যাবতীয় তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। গবেষকরা জানতে পেরেছেন, Facebook-এর কর্ণধার মার্ক জুকারবার্গের তথ্যও ফাঁস হয়েছে, তাও আবার ফোন নম্বর-সহ। সেটাও নিজের টুইটে উল্লেখে করেছেন গাল। পাল্টা Facebook জানিয়েছে, কোনওভাবেই হ্যাক করে এই তথ্য চুরি হয়নি। সেপ্টেম্বর, ২০১৯-এই যাবতীয় তথ্য উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ডোমেইন থেকে। Facebook-এর প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর মাইক ক্লার্কের এণনটাই দাবি। তবে কর্তৃপক্ষ এটাও জানিয়েছে, এই ধরনের তথ্য উড়িয়ে দেওয়া তাদের পরিষেবার নিয়ম বহির্ভূত কাজ। তবে এই বিষয়ে ডেটা টিম কাজ করছে বলে আশ্বস্ত করেছে Facebook। তবে অনেকেরই আশঙ্কা, এই ৫৩ কোটি ইউজারের মধ্যে তাঁরও তথ্য রয়েছে। সেটা জানতে সহজ পদ্ধতি রয়েছে। https://haveibeenpwned.com/- এই ওয়েবসাইটে গিয়ে জানতে পারবেন আপনার তথ্য ফাঁস হয়েছে কি না। যদি তথ্য হ্যাক হয়ে থাকে তাহলে এই সাইটের মাধ্যমে তা নিমেষে ধরা যাবে। ভারতে তৈরি আরেকটি অ্যাপ রয়েছে, যার নাম SafeMe। এর মাধ্যমে আপনার মেইল আইডি ও ফোন নম্বর সুরক্ষিত রয়েছে কি না তা জানতে পারবেন। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Facebook responds to 533 million user data leak
গোটা বিশ্বে ৫৩ কোটি গ্রাহকের ব্যক্তিগত ফাঁসের ঘটনায় কাঠগড়ায় সোশ্যাল মিডিয়া Facebook সেই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে আশঙ্কার মেঘ জমেছে এবার অভিযোগের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিল মার্কিন তথ্য়প্রযুক্তি সংস্থা তাদের দাবি, এই তথ্য অনেক পুরনো এবং ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই তা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে চলতি বছরই জানুয়ারি মাসে গবেষক অ্যালোন গাল টুইট করে দাবি করেছিলেন, টেলিগ্রাম বটের মাধ্যমে ফেসবুক ইউজারদের ফোন নম্বর খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে তাকপরেই নড়েচড়ে বসে Facebook কর্তৃপক্ষ এখন জানা যাচ্ছে, ফোন নম্বরের সঙ্গে সঙ্গে মেইল আইডি, ফেসবুক আইডি, জন্মতারিখ, লিঙ্গ-সহ গ্রাহকদের যাবতীয় তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে
৫০ কোটি WhatsApp ইউজারদের তথ্য চুরি! তালিকায় আপনার নম্বর নেই তো? রিপোর্ট ঘিরে হুলস্থূল
Realme: গুরুতর অভিযোগ, লুকিয়ে ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করছে রিয়েলমি!
ভোটের আগের বজ্র আঁটুনি শেষ প্রহরে উধাও কেন
সংক্রমণ বেশি ইতালিতে, প্রাণহানিতে শীর্ষে রাশিয়া
international
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত একদিনে সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৬৩ জন। নতুন মৃত্যু নিয়ে বিশ্বে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ লাখ ৬১ হাজার ৩৯১ জনে। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯১ হাজার ১০৭ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ কোটি ৩৫ লাখ ২৭ হাজার ২৯০ জনে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে সাড়ে চারশোর বেশি এবং নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার। সোমবার (২ মে) সকালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে গত একদিনে বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ইতালিতে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৭৫৭ জন এবং মারা গেছেন ১০৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬৫ লাখ ৪ হাজার ৭৯১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬১২ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত একদিনে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪৭ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮১ লাখ ৮৯ হাজার ৪০১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩১ জনের। যুক্তরাষ্ট্রে গত একদিনে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫১৮ জন এবং মারা গেছেন ২১ জন। করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৩০ লাখ ৮৩ হাজার ৪২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ২০ হাজার ৮৫৪ জন মারা গেছেন। জার্মানিতে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৯৯৫ জন এবং মারা গেছেন ১৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৪৭ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯১৩ জন মারা গেছেন। গত একদিনে জাপানে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ২৫৬ জন এবং মারা গেছেন ১৯ জন। ফ্রান্সে গত একদিনে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৭২৬ জন এবং মারা গেছেন ৩২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৮৬ লাখ ৮২ হাজার ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৬২ জন মারা গেছেন। গত একদিনে অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৬৩ জন এবং মারা গেছেন ৫ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় গত একদিনে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৭১ জন এবং মারা গেছেন ৮১ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২২ হাজার ৮৭৫ জন মারা গেছেন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৩৫ জন এবং মারা গেছেন ৯১ জন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত একদিনে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ২৫৪ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৪৯০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৫৬৭ জনের। করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত একদিনে দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৩১৪ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩০ লাখ ৮২ হাজার ৫০২ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ২৩ হাজার ৮৪৩ জন। গত একদিনে তুরস্কে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৮০ জন এবং মারা গেছেন ১২ জন। একই সময়ে গ্রিসে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৭০১ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৩৫ জন এবং মারা গেছেন ৯১ জন লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গত একদিনে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ২৫৪ জন অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৪৯০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৫৬৭ জনের করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয় গত একদিনে দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৩১৪ জন মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩০ লাখ ৮২ হাজার ৫০২ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ২৩ হাজার ৮৪৩ জন গত একদিনে তুরস্কে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৮০ জন এবং মারা গেছেন ১২ জন একই সময়ে গ্রিসে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৭০১ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে
ইতালিতে বন্যায় বিধ্বস্থ জনজীবন
প্রাণহানি প্রায় ৫ হাজার, বেড়েছে সংক্রমণ
আলিয়া বাঁচানোর দাবিতে আন্দোলনে পড়ুয়ারা
আশা আছে কেকেআরের? আইপিএলের প্লে-অফে ওঠার জন্য কী অঙ্ক রয়েছে রিঙ্কু, রানাদের সামনে
sports
মরণ-বাঁচন ম্যাচে জয়। প্লে-অফে ওঠার রাস্তা এখনও খুলে রাখল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কঠিন, কিন্তু সম্ভব। নাইটদের আইপিএলে প্লে-অফে উঠতে নিজেদের শেষ ম্যাচ জিততে হবে, সেই সঙ্গে অন্য ম্যাচগুলির দিকেও নজর রাখতে হবে। দেখে নেওয়া যাক নাইটদের প্লে-অফে ওঠার অঙ্ক কী? চেন্নাই সুপার কিংসকে চেন্নাইয়ের মাঠে হারানো কঠিন ছিল। সেই কাজটা করার পর কলকাতার পরের লক্ষ্য অবশ্যই নিজেদের ঘরের মাঠে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারানো। সেটাই দুই দলের শেষ ম্যাচ। লখনউ তার আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে খেলবে। কলকাতা চাইবে ওই ম্যাচে হেরে যাক লখনউ। কারণ মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ক্রুণাল পাণ্ড্যরা জয় তুলে নিলেই তাদের ১৫ পয়েন্ট হয়ে যাবে। তাতে কেকেআরের পক্ষে আর সম্ভব হবে না প্লে-অফের দরজা খোলা। তাই কলকাতার সমর্থকদের কাছে প্রথম আশা মঙ্গলবার হেরে যাক লখনউ। ক্রুণালরা মঙ্গলবার হেরে গেলে মুম্বই ১৬ পয়েন্টে পৌঁছে যাবে। তাতে রোহিতদের প্লে-অফে ওঠার পথ অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে গুজরাত টাইটান্স, চেন্নাই সুপার কিংস এবং মুম্বইকে প্লে-অফে ওঠার রাস্তা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। সেই সঙ্গে নিজেদের ম্যাচে হারতে হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। বলা যায় প্লে-অফে চতুর্থ স্থানের জন্য লড়াই করছে কলকাতা-সহ একাধিক দল। এদের মধ্যে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লখনউ সব থেকে ভাল জায়গায় রয়েছে। কিন্তু তারা নিজেদের দু’টি ম্যাচে হেরে গেলে এবং বাকি দলগুলি ১৪ পয়েন্টে পৌঁছে গেলে লড়াই হবে নেট রানরেটে। সেই লড়াইয়ে কলকাতা (-০.২৫৬) বাকিদের তুলনায় একটু পিছিয়ে। তাদের আর একটি ম্যাচ বাকি থাকায় খুব ভাল জায়গায় নেট রানরেট নিয়ে যাওয়ার সুযোগও নেই। কলকাতা ইডেনে খেলবে পরের শনিবার। ২০ মে সেই ম্যাচের আগেই কলকাতার প্লে-অফে ওঠার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু যদি সুযোগ তৈরি হয় তা হলে রিঙ্কু সিংহরা যে সেই ম্যাচে নিজেদের উজাড় করে দেবেন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন চেন্নাইয়ের মাঠেই।
ক্রুণালরা মঙ্গলবার হেরে গেলে মুম্বই ১৬ পয়েন্টে পৌঁছে যাবে তাতে রোহিতদের প্লে-অফে ওঠার পথ অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে সে ক্ষেত্রে গুজরাত টাইটান্স, চেন্নাই সুপার কিংস এবং মুম্বইকে প্লে-অফে ওঠার রাস্তা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে সেই সঙ্গে নিজেদের ম্যাচে হারতে হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে বলা যায় প্লে-অফে চতুর্থ স্থানের জন্য লড়াই করছে কলকাতা-সহ একাধিক দল এদের মধ্যে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লখনউ সব থেকে ভাল জায়গায় রয়েছে কিন্তু তারা নিজেদের দু’টি ম্যাচে হেরে গেলে এবং বাকি দলগুলি ১৪ পয়েন্টে পৌঁছে গেলে লড়াই হবে নেট রানরেটে সেই লড়াইয়ে কলকাতা (-০.২৫৬) বাকিদের তুলনায় একটু পিছিয়ে
কলকাতার ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার কে? কোহলিদের বিরুদ্ধে নামার ২৬ ঘণ্টা আগেই জানিয়ে দিল কেকেআর
বাকি আর ১৭ ম্যাচ! আইপিএলের প্লে-অফের লড়াইয়ে ১০ দল, কার সামনে কী অঙ্ক?
মুখোমুখি হচ্ছেন সুশান্তের দুই প্রেমিকা
হকার উচ্ছেদের ফতোয়া রেলের, প্রতিবাদে বিক্ষোভ ২৭ সেপ্টেম্বর
state
সোদপুর ষ্টেশনের হকারদের ২৭ সেপ্টেম্বর উচ্ছেদ করা হবে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি মারফত ফতোয়া দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। উচ্ছেদ প্রতিরোধ করতে পরিবারের সদস্যরা সমেত রেল হকাররা অবস্থান বিক্ষোভ করবেন ২৭ সেপ্টেম্বর। সোমবার সোদপুর ষ্টেশনে বিক্ষোভ ও মিছিল সংগঠিত করে একথা ঘোষণা করা হয় পশ্চিমবঙ্গ রেলওয়ে হকার্স ইউনিয়ন সোদপুর আঞ্চলিক কমিটির পক্ষ থেকে।রেল হকারদের উচ্ছেদ রুখতে ষ্টেশন ম্যানেজার, সোদপুর ষ্টেশন মারফত শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিআরএমকে স্মারকলিপি দেওয়া হয় এদিন। হকার উচ্ছেদের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবি করে সিআইটিইউ অনুমোদিত পশ্চিমবঙ্গ রেলওয়ে হকার্স ইউনিয়ন সোদপুর আঞ্চলিক কমিটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে,  সমস্ত হকারদের লাইসেন্স দিতে হবে। রেল হকারদের উচ্ছেদ করা চলবে না। উপযুক্ত পুনর্বাসন দিতে হবে। রেলকে বেসরকারি করা চলবে না। এদিন সোদপুর ষ্টেশনের ৪ নং প্লাটফর্ম থেকে মিছিল শুরু করে সব কয়টি প্লাটফর্ম প্রদক্ষিণের পরে ১ নং প্লাটফর্মে সভা ওই বিক্ষোভ প্রদর্শন চলার সময়ে ৫ জনের প্রতিনিধি দল ষ্টেশন ম্যানেজারের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি দেন। মিছল ও বিক্ষোভ সভাতে ছিলেন সিআইটিইউ জেলা সম্পাদক গার্গী চ্যাটার্জি সহ সংগঠনের নেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য, কল্লোল মুখার্জি,  সুজিত মজুমদার, মানিক পাল এবং রেলওয়ে  হকার্স  ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
রেল হকারদের উচ্ছেদ রুখতে ষ্টেশন ম্যানেজার, সোদপুর ষ্টেশন মারফত শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিআরএমকে স্মারকলিপি দেওয়া হয় এদিন হকার উচ্ছেদের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবি করে সিআইটিইউ অনুমোদিত পশ্চিমবঙ্গ রেলওয়ে হকার্স ইউনিয়ন সোদপুর আঞ্চলিক কমিটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে,  সমস্ত হকারদের লাইসেন্স দিতে হবে রেল হকারদের উচ্ছেদ করা চলবে না
বিরাটি স্টেশনে হকার উচ্ছেদ নোটিশ, প্রতিবাদে মিছিল, ডেপুটেশন
দক্ষিণেশ্বরের রেলবস্তি উচ্ছেদে ফের প্রতিরোধ বাসিন্দাদের
টুম্পা স্কুলে ভর্তি হল
‘পাঠান ঘিরে অগ্নিগর্ভ অসম’, শাহরুখ ফোন করেছিলেন, ফাঁস করলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত
politics
‘শাহরুখ খান কে?’- এই প্রশ্ন তুলে জল্পনা ছড়িয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। শাহরুখের সিনেমা পাঠানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অসমের রাজধানী গুয়াহাটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। সেই বিক্ষোভ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কিন্তু, আবার অন্যসুরে গাইলেন হিমন্ত। তিনি টুইট করেছেন যে শাহরুখের সঙ্গে তাঁর ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে। তিনি শাহরুখকে আশ্বস্ত করেছেন যে অসম সরকার অভিনেতার পাশে আছে। যা সাহায্য করার করবে। এর আগে শুক্রবারই বজরং দলের কর্মীরা গুয়াহাটির গোল্ড ডিজিটাল সিনেমা হলের সামনে জড় হয়েছিলেন। তাঁরা পাঠান সিনেমার পোস্টার পোড়ান। ভাঙচুর চালান সিনেমা হলে। পাশাপাশি, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানও দেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় মুখপাত্র বিনোদ বনসল অসমে সংগঠনের প্রতিবাদকে সমর্থন করেছেন। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেছেন যে বজরং দলের গুয়াহাটি নগর ইউনিটের প্রতিবাদ হিন্দু ডানপন্থী সংগঠনের অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বনসল বলেন, ‘আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। বলিউডের ভাইজানকে হিন্দু সমাজের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। প্রয়োজনীয় সংশোধন না-হওয়া পর্যন্ত আমরা ছবিটি মুক্তি দিতে দেব না।’ এই বিষয়ে শনিবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার কাছে প্রতিক্রিয়া চেয়েছিলেন সাংবাদিকরা। সেই প্রশ্নে বিশ্বশর্মা বলেন, ‘কেউ কারও বিরুদ্ধে মামলা করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব। আমি জানি না এই পাঠান-ওঠান কী! আমি এটা দেখিওনি, শুনিওনি। আমার হাতে এজন্য সময়ও নেই। শাহরুখ খান কে? আমরা কেন এটা নিয়ে চিন্তা করব? আমাদের এখানে অনেক শাহরুখ খান আছেন।’ আরও পড়ুন- উধাও অজিত মাইতি, হিরনের নতুন ছবি নিয়ে বঙ্গ রাজনীতি তোলপাড় অসমের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ডা. বেজবড়ুয়া (আসন্ন অসমীয়া সিনেমা) মুক্তি পাবে। আমরা সেটা নিয়ে চিন্তিত হতে পারি। আর, যেখানে যারা ওই বলিউডের সিনেমা তৈরি করেছেন, তাঁরা কিছু বলেননি। আমি ফোনে সবার কথা শুনি। শাহরুখ খানের যদি কোনও সমস্যা হয়, তিনি যদি ফোন করেন, তবে আমি সমস্যাটা দেখব। আগে থেকে কেন চিন্তা করব?’ Read full story in English Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: Assam cm himanta biswa sarma says bollywood actor shah rukh khan called him
তাঁরা পাঠান সিনেমার পোস্টার পোড়ান ভাঙচুর চালান সিনেমা হলে পাশাপাশি, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানও দেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় মুখপাত্র বিনোদ বনসল অসমে সংগঠনের প্রতিবাদকে সমর্থন করেছেন তিনি এই প্রসঙ্গে বলেছেন যে বজরং দলের গুয়াহাটি নগর ইউনিটের প্রতিবাদ হিন্দু ডানপন্থী সংগঠনের অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বনসল বলেন, ‘আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার বলিউডের ভাইজানকে হিন্দু সমাজের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে প্রয়োজনীয় সংশোধন না-হওয়া পর্যন্ত আমরা ছবিটি মুক্তি দিতে দেব না’ এই বিষয়ে শনিবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার কাছে প্রতিক্রিয়া চেয়েছিলেন সাংবাদিকরা
‘কে শাহরুখ?’ অসমের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরই তাঁকে মধ্যরাতে ফোন ‘অচেনা’ খানের
কোন রান্নায় কেমন করে কাটা পেঁয়াজ ব্যবহার করলে স্বাদ বাড়বে?
আতঙ্কের দেড় ঘণ্টা! হাসপাতালের কার্নিশ থেকে পড়ে গেলেন রোগী
বেমালুম লুট হয়ে যাচ্ছে অগণন জীবিকা ও জীবন
editorial
কে  কাকে লুট করছে? প্রশ্ন তুলেছেন আমেরিকার প্রবীণ মার্ক্সবাদী অর্থনীতিবিদ রিচার্ড উল্ফ। প্রশ্নের উপলক্ষ সে দেশের সাম্প্রতিক বিক্ষোভ। শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাঁটুর চাপে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের পৈশাচিক হত্যার পরে দেশ জুড়ে তুমুল বিক্ষোভে ইতস্তত আগুন জ্বলেছে, ভাঙচুর হয়েছে, লুটতরাজও। ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েই চলেছেন— লুটপাট শুরু হলেই গুলি চলবে, কেউ ধরা পড়লে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে, ইত্যাদি। কেবল শাসকরা নয়, তার বাইরেও বহু মানুষ প্রতিবাদীদের সংযত থাকতে, ঘরে ফিরে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন। স্থিতাবস্থার চেনা পরামর্শ। রিচার্ড উল্ফ চর্বিতচর্বণে যাননি, একটি মৌলিক প্রশ্ন তুলেছেন: লুণ্ঠন কাকে বলে? তার সাফ জবাবও দিয়েছেন: ‘গত দু’মাসে আমেরিকায় লুট হয়ে গেছে চার কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা, কারণ হঠাৎ তাঁদের কাজ চলে গেছে— এই ভয়ানক দুর্দিনে। জীবিকা-লুণ্ঠনের খাঁড়া ঝুলছে দেশের আরও বারো কোটি কর্মীর মাথার ওপর, যে কোনও মুহূর্তে যাঁদের কাজ চলে যেতে পারে বা উপার্জন কমে যেতে পারে— দেশে বেকার বাড়লেই কর্মীরা কম পয়সায় কাজ করতে বাধ্য হন, কারণ তাঁরা জানেন, এবং মালিকরাও জানেন যে, আরও কম পয়সায় খাটার জন্য অনেক বেকার লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।’ এই মহালুণ্ঠনের তুলনায় শো-রুমের কাচ ভেঙে টিভি সেট তুলে নিয়ে যাওয়া— তুশ্চু! না, রিচার্ড উল্ফ দোকান লুট করাকে সমর্থন করছেন না। তিনি কেবল আমাদের চোখের সামনে যে ছবিটা আছে তার পরিপ্রেক্ষিতটা একটু ঠিক করে দিতে চাইছেন। আমরা ভাঙচুর লুটপাটের ছবি দেখছি, জীবিকা লুট হওয়ার ছবি দেখছি না, দেখলেও তাকে লুণ্ঠন বলে চিনতে পারছি না, তিনি চিনিয়ে দিচ্ছেন। সেই লুণ্ঠনের জন্য তিনি কোনও ব্যক্তিকে বা সংস্থাকে দায়ী করছেন না, এর দায় সেই ‘সিস্টেম’ বা ব্যবস্থার, যা এমন বিপদের দিনে কর্মীর জীবিকা ও জীবনের কোনও দায় স্বীকার করে না। ব্যবসার প্রয়োজনে যে কোনও সময় কর্মীদের বিদায় জানানোর স্বাধীনতা চায় সে। মুনাফা তার একমাত্র লক্ষ্য। যে কোনও মূল্যে। মনে রাখতে হবে, এই বিপর্যয়ে বহু ব্যবসায়ীও অস্তিত্বের লড়াই লড়ছেন। মন্দার তাড়নায় বহু ব্যবসা লাটে উঠছে, অনেক উদ্যোগী বিপন্ন, বহু সংস্থার পক্ষে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে, সব কর্মীকে বহাল রাখার সাধ্যই নেই তাঁদের। কিন্তু এই প্রক্রিয়া তো ধনতন্ত্রের স্বভাবধর্ম— আর্থিক সঙ্কট এই ভাবেই পুঁজির অতিকায় হয়ে ওঠার পথ প্রশস্ত করে। এক দিকে বহু শ্রমজীবীর (এবং স্বনিযুক্ত ব্যবসায়ী, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগী, ইত্যাদির) সর্বনাশ, অন্য দিকে তিমিঙ্গিলদের পৌষ মাস— দুইয়ের সমাহারেই লুণ্ঠনের ষোলো কলা পূর্ণ হয়, নিয়োলিবারাল ধনতন্ত্র সার্থক হয়। ভুললে চলবে না যে, এই অভূতপূর্ব অতিমারির বাজারে তিন মাসে মার্কিন বিলিয়নেয়ারদের সম্পদ বেড়েছে পঞ্চাশ হাজার কোটি ডলার! এই কৃষ্ণগহ্বর থেকে মুক্তির পথ কী? সমাজতন্ত্র? রিচার্ড উল্ফ সমাজতন্ত্রের আদর্শে বিশ্বাস করেন। তিনি চান এক শোষণ-মুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, যেখানে শ্রমিক-কর্মীরাই উৎপাদন সম্পর্কে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবেন, উদ্বৃত্তের বণ্টন নির্ধারণ করবেন। তেমন ব্যবস্থা জারি থাকলে শ্রমজীবীদের এই দুর্দশা হত না, মার্ক জ়াকারবার্গ, জেফ বেজ়োসদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার সুযোগও থাকত না। কিন্তু এই আলোচনায় উল্ফ সেই প্রসঙ্গে যাননি, যথেচ্ছ কর্মী ছাঁটাইয়ের মেড-ইন-আমেরিকা মডেলটির বিকল্প হিসেবে এখানে তিনি কোনও সমাজতন্ত্রের সম্ভাবনার কথা বলছেন না, বলছেন ইউরোপের একাধিক দেশের বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা। যেমন, জার্মানি। মন্দার কবলে সে দেশের অর্থনীতিও। কিন্তু কর্মসংস্থানের ছবিটা খুব একটা বদলায়নি। কোভিডের আগে বেকারত্বের হার যা ছিল, এখনও তা মোটামুটি একই আছে। ইউরোপের অন্য নানা দেশে, যেমন ডেনমার্কে, ফ্রান্সে বা হল্যান্ডে, ছবিটা মোটের ওপর একই রকম। এরা কেউই সমাজতান্ত্রিক দেশ নয়। তবে এদের আর্থিক নীতিতে সমাজতান্ত্রিকতার কিছুটা স্বীকৃতি আছে। এদের সরকার বলেছে, অতিমন্দার প্রকোপ সামলাতে বেসরকারি সংস্থাকে তারা সাহায্য করবে— কিন্তু এই শর্তে যে, কর্মীদের বহাল রাখতে হবে। সব দেশে সাহায্যের মাত্রা এক নয়, কর্মীদের বহাল রাখার অনুপাতও এক নয়, কিন্তু শর্তটা বহু ক্ষেত্রেই জারি আছে। আর তার ফলেই আমেরিকার মতো দেশের সঙ্গে একটা বড় তফাত ঘটে গেছে। কেন হয় এমন তফাত? উত্তর: রাজনীতি। ইউরোপের বহু দেশে রাজনীতির বাস্তব আমেরিকা থেকে অনেক দূর। সেখানে শ্রমিক সংগঠনের গুরুত্ব আছে, জনকল্যাণে রাষ্ট্রের ভূমিকার স্বীকৃতি আছে, সমাজের স্বার্থে বাজারের ওপর রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণকে প্রয়োজনীয় মনে করার ঐতিহ্য আছে। বাজার অর্থনীতির কুমন্ত্রণায় সেখানেও এই ঐতিহ্যের জোর কালক্রমে কমেছে, কিন্তু বিপদের দিনে কর্মীদের পত্রপাঠ বিদেয় করার ব্যবস্থা সমাজ এবং রাজনীতি আজও সহজে মানবে না। সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই বেসরকারি সংস্থাতেও মার্কিন দুনিয়ার মতো গো অ্যাজ় ইউ লাইক চলে না। আর, কোনও সংস্থা আর্থিক সঙ্কটের কালে কর্মীদের কাজে বহাল রাখতে অক্ষম বা নারাজ হলে রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হয়, বাজেটের ঘাটতি অনেক বাড়লেও। রাষ্ট্রের স্বভাব আকাশ থেকে পড়ে না, দেশের রাজনীতিই তাকে বিপন্ন মানুষের দায়িত্ব নিতে বাধ্য করে। বিল ক্লিন্টনের সেই স্লোগানটি ঈষৎ পাল্টে নিয়ে রিচার্ড উল্ফ বলতে পারেন: ইট’স দ্য পলিটিক্স, স্টুপিড! রাজনীতিটাকে পাল্টানোর জন্য দরকার নতুন চেতনা, নতুন বোধ, নতুন ভাবে পৃথিবীকে দেখা। পুরনো ভাবনার আধিপত্যে ঘা দেওয়া। সহজ নয় সে কাজ। দীর্ঘকাল যাবৎ অর্থশাস্ত্রের আধিপত্যকারী ‘মূলধারা’য়— বিশেষত আমেরিকায়— সাম্যবাদ, সমাজতন্ত্র, মার্ক্সবাদ ইত্যাদি ধারণাগুলির ঠাঁই মেলেনি। ২০০৭-০৮’এর বিপর্যয়ের পরে অনেকে কার্ল মার্ক্স সম্পর্কে আগ্রহী হয়েছেন বটে, কিন্তু নিয়োলিবারাল ধনতন্ত্রের শেখানো চিন্তাকাঠামোর বাইরে দাঁড়িয়ে ভাবতে পারা আজও কঠিন। রিচার্ড উল্ফ সেই কঠিন কাজটিই শিখিয়ে চলেছেন, শুধু স্বদেশের নয়, দুনিয়ার পাঠক ও শ্রোতাদের। নিরলস আগ্রহে ইতিহাস ও সমকালের ঘটনাপ্রবাহের ধারাবাহিক বিশ্লেষণ করে চলেছেন তিনি বিভিন্ন পরিসরে। তার অন্যতম হল ডেমোক্র্যাসি অ্যাট ওয়ার্ক নামক গোষ্ঠী ও তার ওয়েবসাইট, যেখানে তিনি নানা বিষয়ে কথা বলেন, প্রশ্নের উত্তর দেন, অন্য তাত্ত্বিক ও সমাজকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সেখানেই এক সংক্ষিপ্ত ভিডিয়োতে সম্প্রতি তিনি বুঝিয়েছেন: কে কাকে লুট করছে। ক্ষমতাশ্রয়ী চিন্তার আধিপত্য ভেঙে প্রতিস্পর্ধী বিকল্প ভাবনার প্রসার ঘটাতে এই ভাবেই চলে তাঁর লড়াই। প্রতিস্পর্ধী রাজনীতি গড়ে তোলার লড়াই। যে রাজনীতি ক্ষমতাবানদের বাধ্য করবে ক্ষমতাহীনের জীবিকা ও জীবনের দায়িত্বকে স্বীকার করতে। সেই রাজনীতি যদি যথেষ্ট সংগঠিত হয়, তা হলে রাষ্ট্র এবং অর্থনীতির অধিপতিরা শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থকে অবলীলাক্রমে মন্দাক্রান্ত বাজারের আঁস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলতে পারবেন না। সমাজতন্ত্র অনেক পরের কথা, আপাতত এই প্রাথমিক লক্ষ্যে এগনোর জন্যই রাজনৈতিক বোধের অনুশীলন জরুরি। ‘স্বাভাবিক’ স্থিতাবস্থার নিরন্তর শান্তিকল্যাণে যে মহালুণ্ঠন চলেছে, তাকে চিনে নেওয়া জরুরি। রাজনীতি গড়ে তোলা কঠিন, হারিয়ে ফেলা সহজ। কত সহজ, আমরা তা হাড়ে হাড়ে বুঝছি। অগণন শ্রমজীবী মানুষের জীবন লুট হয়ে যাচ্ছে, জনস্বাস্থ্যের প্রাথমিক প্রয়োজনটুকুও অপূর্ণ, দেশের সরকার কথার ফানুস ওড়াচ্ছে, বড় পুঁজি বাজারের মাধ্যমে ছোট পুঁজিকে গ্রাস করছে এবং রাষ্ট্রের সাহায্যে আত্মসাৎ করছে প্রাকৃতিক সম্পদ— অথচ প্রতিস্পর্ধী রাজনীতি স্তিমিত, ছন্নছাড়া। ইউরোপে— বা অন্যত্র— যা সম্ভব ভারতে তা-ই সম্ভব, এ-কথা বাতুলেও বলবে না। কিন্তু কী সম্ভব, কী নয়, তা তো পঞ্জিকায় লেখা থাকে না। রাজনীতি সম্ভাব্যতার শিল্প। তার অনুশীলন পিছু হটতে হটতে দিগন্তে বিলীন হয়েছে বলেই এ দেশে রাষ্ট্র ও অর্থনীতির অধিপতিরা এত নিশ্চিন্ত, নিরাপদ, বেপরোয়া।
যে কোনও মূল্যে মনে রাখতে হবে, এই বিপর্যয়ে বহু ব্যবসায়ীও অস্তিত্বের লড়াই লড়ছেন মন্দার তাড়নায় বহু ব্যবসা লাটে উঠছে, অনেক উদ্যোগী বিপন্ন, বহু সংস্থার পক্ষে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে, সব কর্মীকে বহাল রাখার সাধ্যই নেই তাঁদের কিন্তু এই প্রক্রিয়া তো ধনতন্ত্রের স্বভাবধর্ম— আর্থিক সঙ্কট এই ভাবেই পুঁজির অতিকায় হয়ে ওঠার পথ প্রশস্ত করে এক দিকে বহু শ্রমজীবীর (এবং স্বনিযুক্ত ব্যবসায়ী, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগী, ইত্যাদির) সর্বনাশ, অন্য দিকে তিমিঙ্গিলদের পৌষ মাস— দুইয়ের সমাহারেই লুণ্ঠনের ষোলো কলা পূর্ণ হয়, নিয়োলিবারাল ধনতন্ত্র সার্থক হয় ভুললে চলবে না যে, এই অভূতপূর্ব অতিমারির বাজারে তিন মাসে মার্কিন বিলিয়নেয়ারদের সম্পদ বেড়েছে পঞ্চাশ হাজার কোটি ডলার! এই কৃষ্ণগহ্বর থেকে মুক্তির পথ কী? সমাজতন্ত্র? রিচার্ড উল্ফ সমাজতন্ত্রের আদর্শে বিশ্বাস করেন তিনি চান এক শোষণ-মুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, যেখানে শ্রমিক-কর্মীরাই উৎপাদন সম্পর্কে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবেন, উদ্বৃত্তের বণ্টন নির্ধারণ করবেন তেমন ব্যবস্থা জারি থাকলে শ্রমজীবীদের এই দুর্দশা হত না, মার্ক জ়াকারবার্গ, জেফ বেজ়োসদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার সুযোগও থাকত না কিন্তু এই আলোচনায় উল্ফ সেই প্রসঙ্গে যাননি, যথেচ্ছ কর্মী ছাঁটাইয়ের মেড-ইন-আমেরিকা মডেলটির বিকল্প হিসেবে এখানে তিনি কোনও সমাজতন্ত্রের সম্ভাবনার কথা বলছেন না, বলছেন ইউরোপের একাধিক দেশের বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা যেমন, জার্মানি মন্দার কবলে সে দেশের অর্থনীতিও কিন্তু কর্মসংস্থানের ছবিটা খুব একটা বদলায়নি কোভিডের আগে বেকারত্বের হার যা ছিল, এখনও তা মোটামুটি একই আছে ইউরোপের অন্য নানা দেশে, যেমন ডেনমার্কে, ফ্রান্সে বা হল্যান্ডে, ছবিটা মোটের ওপর একই রকম এরা কেউই সমাজতান্ত্রিক দেশ নয় তবে এদের আর্থিক নীতিতে সমাজতান্ত্রিকতার কিছুটা স্বীকৃতি আছে এদের সরকার বলেছে, অতিমন্দার প্রকোপ সামলাতে বেসরকারি সংস্থাকে তারা সাহায্য করবে— কিন্তু এই শর্তে যে, কর্মীদের বহাল রাখতে হবে সব দেশে সাহায্যের মাত্রা এক নয়, কর্মীদের বহাল রাখার অনুপাতও এক নয়, কিন্তু শর্তটা বহু ক্ষেত্রেই জারি আছে আর তার ফলেই আমেরিকার মতো দেশের সঙ্গে একটা বড় তফাত ঘটে গেছে কেন হয় এমন তফাত? উত্তর: রাজনীতি ইউরোপের বহু দেশে রাজনীতির বাস্তব আমেরিকা থেকে অনেক দূর সেখানে শ্রমিক সংগঠনের গুরুত্ব আছে, জনকল্যাণে রাষ্ট্রের ভূমিকার স্বীকৃতি আছে, সমাজের স্বার্থে বাজারের ওপর রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণকে প্রয়োজনীয় মনে করার ঐতিহ্য আছে
লুটের নয়া কায়দা, বালিঘাটের শেয়ারের নামে প্রতি ঘর থেকে টাকা তুলেছে কাজল
ঠোঁটে ঠোঁটে ব্যারিকেড মানেই চোখ বন্ধ! চুম্বনের সময়ে কেন এমন হয়?
পানীয় জলের অভাবে রাস্তা অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের
মোদীর মুখোমুখি হতে চান না, তেজস্বীকে বৈঠকে পাঠিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারবেন নীতীশ!
politics
আগামী শুক্রবার কলকাতায় জাতীয় গঙ্গা পর্ষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সেই বৈঠকের নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বৈঠকে থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। থাকার কথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারেরও। কিন্তু মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান না নীতীশ। তাই তাঁর ডেপুটি তেজস্বী যাদবকে পাঠাচ্ছেন নীতীশ। তেজস্বীকে মোদীর বৈঠকে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চান নীতীশ। এক, মোদীর মুখোমুখি না হয়ে তাঁকে বার্তা দেওয়া। অন্যদিকে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তেজস্বীর পরীক্ষা নেওয়া। জাতীয় বৈঠকে যেখানে অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন সেখানে তেজস্বী কতটা নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারেন তা দেখতে চান নীতীশ। এমনটাই বিহারের শাসকদল সূত্রে খবর। জাতীয় স্তরে বিহারের প্রতিনিধিত্ব এই প্রথমবার করবেন তেজস্বী। এর আগে হাফ ডজন কেন্দ্রীয় বৈঠক এড়িয়েছেন নীতীশ। কিছুতেই তিনি মোদী-শাহের মুখোমুখি হতে চাইছেন না। গত জুলাই মাস থেকে লুকোচুরি খেলছেন নীতীশ। অগস্টে এনডিএ ত্যাগ করে লালুর হাত ধরেন তিনি। আরও পড়ুন মোদীর সঙ্গে তিক্ততা বেড়েই চলেছে, এবার অটলের প্রশংসা করে চব্বিশের বার্তা দিলেন নীতীশ নীতীশ অবশ্য তেজস্বীকে পাঠানোর অন্য যুক্তি দেখিয়েছেন। বলেছেন, “শেষবার উত্তরপ্রদেশে এই বৈঠকের সময় প্রাক্তন ডেপুটি সুশীল মোদীকে পাঠিয়েছিলাম। বর্তমানে তেজস্বী এই দফতরের দায়িত্বে। তাই আমি তাঁকে অনুরোধ করেছি যেতে।” কিন্তু রাজনৈতিক মহল বলছে, মোদী-শাহের মুখোমুখি হতে চান না নীতীশ। একইসঙ্গে জোট শরিক আরজেডি চাপ বাড়াচ্ছে তাঁর উপর। ২০২৫ নির্বাচনের আগে যাতে তিনি তেজস্বীকে চেয়ার ছেড়ে দেন। তেজস্বীর কাছেও এটা বড় সুযোগ নিজেকে প্রমাণ করার। আরজেডি রাজ্য সভাপতি জগদানন্দ সিং দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সম্প্রতি বলেছেন, “নীতীশ হয়তো ছোট জিনিস ছেড়ে বড় লক্ষ্যের দিকে যাচ্ছেন।” এখানে ছোট বলতে মুখ্যমন্ত্রীর পদ এবং বড় প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি। পাল্টা জনতা দলের এক শীর্ষ নেতা বলছেন, “নীতীশ চান তেজস্বী সাবালক হোক। একইসঙ্গে মোদীর সঙ্গে চোখাচোখি চাইছেন না নীতীশ।” Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: Tejashwi prasad to represent bihar in kolkata meet rjd boasts of his growing stature
তাই তাঁর ডেপুটি তেজস্বী যাদবকে পাঠাচ্ছেন নীতীশ তেজস্বীকে মোদীর বৈঠকে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চান নীতীশ এক, মোদীর মুখোমুখি না হয়ে তাঁকে বার্তা দেওয়া অন্যদিকে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তেজস্বীর পরীক্ষা নেওয়া জাতীয় বৈঠকে যেখানে অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন সেখানে তেজস্বী কতটা নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারেন তা দেখতে চান নীতীশ এমনটাই বিহারের শাসকদল সূত্রে খবর জাতীয় স্তরে বিহারের প্রতিনিধিত্ব এই প্রথমবার করবেন তেজস্বী এর আগে হাফ ডজন কেন্দ্রীয় বৈঠক এড়িয়েছেন নীতীশ কিছুতেই তিনি মোদী-শাহের মুখোমুখি হতে চাইছেন না গত জুলাই মাস থেকে লুকোচুরি খেলছেন নীতীশ
প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন নীতীশ কুমার? জল্পনা ভাসালেন তেজস্বী
দিল্লি বৈঠক রাহুল, নীতিশ এবং তেজস্বীর আগামীকাল বৈঠক হতে পারে সীতারাম ইয়েচুরির সাথে
আন্দোলন নয় টিফিন বিরতিতেও , নয়া ফতোয়া নবান্নের
ক্ষোভ বাড়ছে যোশীমঠে, তির রাজ্য-কেন্দ্রের দিকে
national
দুটি হেলে পড়া, বিপজ্জনক হোটেল ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিতেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে যোশীমঠের হোটেল ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তাঁরা কিছুই জানতেন না বা তাঁদের আগাম কোনও নোটিসও দেওয়া হয়নি। হঠাৎ করে মঙ্গলবার ‘মাউন্ট ভিউ’ এবং ‘মালারি ইন’ নামের দুটি হোটেল যন্ত্র দিয়ে ভাঙার উদ্যোগ নিলে বিরোধিতা করেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। দুই হোটেলেরই মালিক অভিযোগ করেন, হোটেল ভাঙার খবর তাঁরা জানতে পেরেছেন সংবাদপত্রের মাধ্যমে। তাঁরা স্পষ্টতই তড়িঘড়ি এই ধরনের উদ্যোগের বিরোধিতা করে এদিন বলেছেন, ‘‘হোটেল ভাঙার আগে প্রশাসনের উচিত এককালীন কোনও আর্থিক ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বোঝাপড়ায় আসা। অনেক রক্ত-ঘামের বিনিময়ে এই হোটেল তৈরি করছেন জানিয়ে তাঁরা বলেন, এভাবে হোটেল ভেঙে দিলে তারপর আমরা কী করবো?’’ এরই পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক মানুষ এদিন এনটিপিসি’র তপোবন-বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে মিছিল করেন যোশীমঠজুড়ে। তাঁরা অবিলম্বে ওই প্রকল্প বন্ধের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান। সোমবার চামোলি প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী প্রথমে দুটি হেলে পড়া বিপজ্জনক হোটেল ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর ওই ধরনের গুরুতর ফাটল ধরা বাড়িও ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সব সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক স্তরে নেওয়া হলেও তা আমজনতা জানতে পারছেন না। এতেই বাড়ছে বিপত্তি। এমনিতেই যোশীমঠবাসী চূড়ান্ত আতঙ্কে রয়েছেন। যোশীমঠ আর বাসযোগ্য থাকবে না বলে উত্তরাখণ্ড সরকার ঘোষণা করে দেওয়ার পর মানুষের আশঙ্কা আরও বেড়ে গিয়েছে। এদিন বিশাল জেসিবি মেশিন নিয়ে হাজির হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তারা লাউডস্পিকারে সবাইকে এলাকা ফাঁকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু বহু মানুষই বিপজ্জনক বাড়িতে ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করছেন, তাঁরা এলাকা ছাড়তে নারাজ। তাঁদের যুক্তি, প্রশাসনের পুনর্বাসন প্যাকেজ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। তার ওপর সমস্ত পরিকল্পনাই স্বল্পমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা না নেওয়া হলে ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। অবশ্য রাতের দিকে হোটেল ভেঙে দেয় প্রশাসন। প্রতিবাদে রাস্তার ওপর বসে থাকেন একটি হোটেলের মালিক ঠাকুর সিং। তিনি পরিষ্কার বলেন, প্রশাসনের কাছ থেকে এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণের লিখিত আশ্বাস দিতে হবে। নইলে প্রতিবাদে রাস্তাতেই বসে থাকবো। যোশীমঠের এই দশার জন্য দায়ী কে? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে সর্বত্র। এমনিতে যোশীমঠের ভঙ্গুর, ঝুরঝুরে মাটির কথা বহু আগেই জানিয়েছিলে ভূতত্ত্ববিদরা। তারপরেও প্রশাসনিক স্তরে কোনও হেলদোল লক্ষ্য করা যায়নি। যাবতীয় ভূতাত্ত্বিক নিয়মবিধি উপেক্ষা করে নির্বিচারে স্থপতি গড়ে উঠেছে যোশীমঠে। জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সম্প্রসারণের কাজ শুরু হওয়ার পর বিপদ আরও বেড়েছে এই শৈলশহরে। সুড়ঙ্গ তৈরি করতে গিয়ে একের পর এক বিস্ফোরণ, স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র দিয়ে পাহাড় কাটার জেরে বিপদ বেড়েছে যোশীমঠে। আর এর শেষ পেরেকটি পুঁতেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর। এমনিতে বদ্রীনাথ, হেমকুণ্ড সাহিবের পাশাপাশি পর্যটকদের আকর্ষণীয় আউলির প্রবেশদ্বার হলো যোশীমঠ। উগ্র হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী মোদী সরকার চার ধাম যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়ার পর শুধু যোশীমঠই নয়, গাড়োয়াল অঞ্চলের সমস্ত শৈলশহরই আজ চরম বিপদের মুখে। চওড়া সড়কপথ তৈরি করে চার ধামকে যুক্ত করতে গিয়ে অকাতরে ধ্বংস করা হয়েছে প্রকৃতিকে, কাটা হয়েছে পাহাড়। যার পরিণতি এই মুহূর্তে ভোগ করছেন যোশীমঠবাসী। এরপর রক্ষা নেই নৈনিতাল, উত্তরকাশী, পিথোরাগড় সহ একাধিক পাহাড়ি জনপদ। আবার এদিন জাতীয় সঙ্কট মোকাবিলা কমিটি যোশীমঠের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠক করে। পরে জানানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের অবিলম্বে সম্পূর্ণ এবং নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়াই অগ্রাধিকার হওয়া উচিত প্রশাসনের। এদিকে, যোশীমঠকে নিয়ে মামলার শুনানি তড়িঘড়ি তালিকভুক্ত করতে রাজি হলো না সুপ্রিম কোর্ট। বাড়িতে বাড়িতে ফাটল, হেলে পড়া কিংবা রাস্তায় বড় ধরনের চিড়কে জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণার আরজি জানিয়ে পিটিশন দাখিল হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। কিন্তু মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পি এস নরসিমাকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ জানিয়ে দেয় যে ওই মামলার শুনানি হবে ১৬ জানুয়ারি। উলটে বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ওই রাজ্যে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিয়োজিত রয়েছে। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কেই শীর্ষ আদালতে টেনে আনার প্রয়োজন পড়ে না। এই মামলা দায়ের করেছেন স্বামী অভিমুক্তাশ্বরানন্দ সরস্বতী। তিনি পিটিশনে জানিয়েছেন, নির্বিচার শিল্পায়ন এবং পরিকাঠামো নির্মাণের দায় বহন করতে হচ্ছে এখন যোশীমঠের মানুষকে। তিনি অবিলম্বে আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, মানুষের জীবনের বিনিময় কিংবা পরিবেশকে অগ্রাহ্য করে উন্নয়নে কোনও মানা হয় না। {Ad}
যাবতীয় ভূতাত্ত্বিক নিয়মবিধি উপেক্ষা করে নির্বিচারে স্থপতি গড়ে উঠেছে যোশীমঠে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সম্প্রসারণের কাজ শুরু হওয়ার পর বিপদ আরও বেড়েছে এই শৈলশহরে সুড়ঙ্গ তৈরি করতে গিয়ে একের পর এক বিস্ফোরণ, স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র দিয়ে পাহাড় কাটার জেরে বিপদ বেড়েছে যোশীমঠে আর এর শেষ পেরেকটি পুঁতেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর এমনিতে বদ্রীনাথ, হেমকুণ্ড সাহিবের পাশাপাশি পর্যটকদের আকর্ষণীয় আউলির প্রবেশদ্বার হলো যোশীমঠ উগ্র হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী মোদী সরকার চার ধাম যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়ার পর শুধু যোশীমঠই নয়, গাড়োয়াল অঞ্চলের সমস্ত শৈলশহরই আজ চরম বিপদের মুখে চওড়া সড়কপথ তৈরি করে চার ধামকে যুক্ত করতে গিয়ে অকাতরে ধ্বংস করা হয়েছে প্রকৃতিকে, কাটা হয়েছে পাহাড় যার পরিণতি এই মুহূর্তে ভোগ করছেন যোশীমঠবাসী এরপর রক্ষা নেই নৈনিতাল, উত্তরকাশী, পিথোরাগড় সহ একাধিক পাহাড়ি জনপদ আবার এদিন জাতীয় সঙ্কট মোকাবিলা কমিটি যোশীমঠের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠক করে পরে জানানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের অবিলম্বে সম্পূর্ণ এবং নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়াই অগ্রাধিকার হওয়া উচিত প্রশাসনের এদিকে, যোশীমঠকে নিয়ে মামলার শুনানি তড়িঘড়ি তালিকভুক্ত করতে রাজি হলো না সুপ্রিম কোর্ট বাড়িতে বাড়িতে ফাটল, হেলে পড়া কিংবা রাস্তায় বড় ধরনের চিড়কে জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণার আরজি জানিয়ে পিটিশন দাখিল হয়েছিল শীর্ষ আদালতে কিন্তু মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পি এস নরসিমাকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ জানিয়ে দেয় যে ওই মামলার শুনানি হবে ১৬ জানুয়ারি উলটে বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ওই রাজ্যে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিয়োজিত রয়েছে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কেই শীর্ষ আদালতে টেনে আনার প্রয়োজন পড়ে না
‘ক্ষুব্ধ’ মুখ্যমন্ত্রী, ইডির অভিযানে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে কী বললেন?
ফের ডেঙ্গুতে মৃত্যু শিশুর, বাড়ছে ক্ষোভ
বাড়িতে রসুন নেই? জেনে নিন অন্য উপায়ে কীভাবে তৈরি করবেন সুস্বাদু খাবার
বিশ্বকাপে টানা ফিফটিতে রেকর্ড ফারজানার
sports
স্পোর্টস ডেস্ক:   নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অর্ধশতক হাঁকিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন ফারজানা হক পিঙ্কি। টাইগ্রেসদের হয়ে প্রথম ব্যাটার হিসেবে বিশ্বকাপের মঞ্চে ফিফটি করেছিলেন এই ব্যাটার। নিউজিল্যান্ডের পর পাকিস্তানের বিপক্ষেও ফিফটির দেখা পেয়েছেন বাংলাদেশের এই ইনফর্ম ব্যাটার। টানা ফিফটিতে বাংলাদেশের হয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছেন ফারজানা। টাইগ্রেসদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে গেলেন ফারজানা। পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে টাইগ্রেসদের পক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান ছিল রুমানা আহমেদের। এই ব্যাটার করেছিলেন ৯১৫ রান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফারজানার নামের পাশে ছিল ৯০১ রান। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ফিফটি করে রুমানাকে পেছনে ফেলেন ফারজানা। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন নামা ফারজানা করেন ৭১ রান। এই ব্যাটারের মোট রান হলো ৯৭২ রান। এই ব্যাটারের অর্ধশতকে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে দলীয় সর্বোচ্চ ২৩৪ রান তোলে বাংলাদেশ। এদিকে এর আগে সর্বোচ্চ ৯১৫ রান করা রুমানা পাকিস্তানের বিপক্ষে করতে পারেন মাত্র ১৬ রান। ৯৩১ রান নিয়ে ফারজানার কাছে জায়গা হারালেন এই ব্যাটার। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ফিফটির মালিকও ফারজানা। ডানহাতি এই ব্যাটারের আছে ৯টি ফিফটি। বিশ্বকাপ ওয়ার্ম আপ ম্যাচেও পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭১ রান করেন ফারজানা। এদিকে ফিফটির তালিকায় টাইগ্রেসদের হয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন রুমানা। এই ব্যাটারের নামের পাশে আছে ৫টা ফিফটি। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
৯৩১ রান নিয়ে ফারজানার কাছে জায়গা হারালেন এই ব্যাটার বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ফিফটির মালিকও ফারজানা ডানহাতি এই ব্যাটারের আছে ৯টি ফিফটি বিশ্বকাপ ওয়ার্ম আপ ম্যাচেও পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭১ রান করেন ফারজানা এদিকে ফিফটির তালিকায় টাইগ্রেসদের হয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন রুমানা এই ব্যাটারের নামের পাশে আছে ৫টা ফিফটি এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
নাঈমের পরেই মুশফিকের দুর্দান্ত ফিফটি
করোনামুক্ত খালেদা জিয়া
প্রতিরোধের জন্য জনতাকে অভিনন্দন ত্রিপুরা পার্টির
মুখ্যমন্ত্রীর উপহার, মহালয়ার আগেই নবরূপে উদ্বোধন হতে পারে টালা সেতুর
kolkata
কলকাতাবাসীকে শারদোৎসবের উপহার দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। সব ঠিকঠাক চললে পুজো শুরুর কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে নবনির্মিত টালা সেতুর। গত সপ্তাহে মলয় ঘটকের হাত থেকে পূর্ত দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন মন্ত্রী পুলক রায়। দফতরের দায়িত্ব নিয়েই তিনি জানিয়েছিলেন, পুজোর আগেই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করে জনসাধারণের জন্য তা খুলে দিতে চায় রাজ্য সরকার। তাঁর এমন মন্তব্যের পরেই তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছিল পূর্ত দফতরে। সূত্রের খবর, মহালয়ার একদিন আগে নতুন সেতু উদ্বোধনের দিনক্ষণ স্থির করেছে পূর্ত দফতর। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলেই ২৪ সেপ্টেম্বর নতুন টালা সেতুর উদ্বোধন করা হবে। ৮০০ মিটার লম্বা এই সেতুটি তৈরি করতে খরচ পড়েছে ৪৬৮ কোটি টাকা। দেবীপক্ষের একদিন আগে এই সেতুটি খোলার যাবতীয় প্রস্তুতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেই শেষ করে ফেলতে চায় পূর্ত দফতর। কারণ, ২৫ তারিখে মহালয়া, তখন থেকেই কলকাতায় পুজো শুরু হয়ে যায়, তাই ওই সময় টালা সেতু খুলে গেলে উত্তরের যানজট অনেকটাই কমে যাবে। ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট সেতু ভেঙে যাওয়ার পর রাজ্যের সব সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করার কাজে হাত দেয় রাজ্য সরকার। সেই সময় টালা সেতুরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞরা পূর্ত দফতরকে জানায়, সেতুটি অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছে। সেতুর গায়ে একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই ভেঙে নতুন সেতু তৈরি করার প্রস্তাব দেন তাঁরা। ২০১৯ সালের পুজোর আগে পুরনো টালা সেতুতে যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং ভারী যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়। ২০২০ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে টালা ব্রিজে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ভাঙার কাজও শুরু হয়। ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের পরিস্থিতিতে লকডাউন পর্বেও টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ চলতে থাকে। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে নবনির্মিত মাঝেরহাট সেতু খুলে দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকে প্রহর গণনা শুরু হয় টালা সেতুর উদ্বোধনের। অবশেষে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে টালা সেতুর। নতুন টালা সেতু হবে চার লেনের। মাঝেরহাট ব্রিজের মতো এটিও 'কেবল স্টেড রেলওভার' ধাঁচের সেতু হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলেই ২৪ সেপ্টেম্বর নতুন টালা সেতুর উদ্বোধন করা হবে ৮০০ মিটার লম্বা এই সেতুটি তৈরি করতে খরচ পড়েছে ৪৬৮ কোটি টাকা দেবীপক্ষের একদিন আগে এই সেতুটি খোলার যাবতীয় প্রস্তুতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেই শেষ করে ফেলতে চায় পূর্ত দফতর কারণ, ২৫ তারিখে মহালয়া, তখন থেকেই কলকাতায় পুজো শুরু হয়ে যায়, তাই ওই সময় টালা সেতু খুলে গেলে উত্তরের যানজট অনেকটাই কমে যাবে ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট সেতু ভেঙে যাওয়ার পর রাজ্যের সব সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করার কাজে হাত দেয় রাজ্য সরকার সেই সময় টালা সেতুরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞরা পূর্ত দফতরকে জানায়, সেতুটি অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছে সেতুর গায়ে একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে
অবশেষে এক দিন আগে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধনে আমন্ত্রণ মুখ্যমন্ত্রীকে
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের আগেই মণ্ডপে হাজির ‘ডেঙ্গির মশা’
Murder: গলায় ক্ষুর চালিয়ে ১৪ বছরের নাবালিকাকে খুনের চেষ্টা, গ্রেপ্তার নিকট আত্মীয়
তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে আবারও ভূমিকম্পের আঘাত
international
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আবারও ভূমিকম্পের আঘাতে কাঁপলো তুরস্কের মধ্যাঞ্চল। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আঘাত হানা ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিলো ২ কিলোমিটার। ইউরো-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমিক সেন্টারের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংগঠিত প্রথম ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকটি আফটারশক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিলো। সোমবারের প্রথম দুই ভূমিকম্পের পর ২৪৩টি আফটারশক হয়েছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রধান ইউনুস সেজার। এ সময় তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ১৬ হাজার ৪০০ উদ্ধারকর্মী কাজ করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে জানা যায়, স্থানীয় সময় সোমবার সকালে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর থেকে ৪ বা তার বেশি মাত্রার অন্তত ১০০টি আফটারশক হয়েছে। মূল ভূমিকম্পের সময় যত বাড়ে, আফটারশকের তীব্রতা তত কমতে থাকে। তবে, ৫ থেকে ৬ মাত্রা বা তারচেয়ে বড় আফটারশক এখনো ঘটতে পারে। এগুলো মূল ভূমিকম্পের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কাঠামোর অতিরিক্ত ক্ষতির ঝুঁকি নিয়ে আসে। এটি উদ্ধারকারী দল ও জীবিতদের জন্য হুমকি স্বরূপ। আফটারশকগুলো দক্ষিণ তুরস্কের ফল্ট জোন বরাবর ৩০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে হচ্ছে। ভূমিকম্পে দক্ষিণ তুরস্কের ১০টি প্রদেশের এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে তুরস্কেই মারা গেছেন ২ হাজার ৯২১ জন। আর সিরিয়ায় এক হাজার ৪৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দুই দেশে আহত হয়েছেন ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, তুরস্কে মৃতের সংখ্যা কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ২ হাজার ৩৭৯ থেকে বেড়ে ২ হাজার ৯২১ জনে পৌঁছেছে। তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতাই বলেছেন, তুরস্কের ১০টি প্রদেশে ১৪ হাজার ৪৮২ জন আহত হয়েছেন এবং ৭ হাজার ৮৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ৩ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরি ও অন্যান্য স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। সিরিয়ায় সর্বশেষ এক হাজার ৪৪৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৩৬৫ জনে পৌঁছেছে। এদিকে, ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় তীব্র ঠান্ডার মধ্যে বহু মানুষকে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হয়েছে। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণে অনেক মানুষকে জটলা হয়ে বসে থাকার ছবিও তুলে এনেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। ভূমিকম্পে তুরস্কে অন্তত ৫ হাজার ৬০৬টি ভবন ধ্বংস হয়েছে। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ //
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংগঠিত প্রথম ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকটি আফটারশক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিলো সোমবারের প্রথম দুই ভূমিকম্পের পর ২৪৩টি আফটারশক হয়েছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রধান ইউনুস সেজার এ সময় তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ১৬ হাজার ৪০০ উদ্ধারকর্মী কাজ করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে জানা যায়, স্থানীয় সময় সোমবার সকালে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর থেকে ৪ বা তার বেশি মাত্রার অন্তত ১০০টি আফটারশক হয়েছে মূল ভূমিকম্পের সময় যত বাড়ে, আফটারশকের তীব্রতা তত কমতে থাকে তবে, ৫ থেকে ৬ মাত্রা বা তারচেয়ে বড় আফটারশক এখনো ঘটতে পারে এগুলো মূল ভূমিকম্পের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কাঠামোর অতিরিক্ত ক্ষতির ঝুঁকি নিয়ে আসে এটি উদ্ধারকারী দল ও জীবিতদের জন্য হুমকি স্বরূপ
তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্প
আবারও ‘মেসি ম্যাজিক’, শেষ ষোলোতে মায়ামি
DSLR ক্যামেরাকেও হার মানাবে, সেপ্টেম্বরই বাজারে আসছে Vivo T2 Pro 5G
আইনমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি
politics
স্টাফ রিপোর্টার: অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব‌্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। শনিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর কুর্মিটোলায় আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে করোনাভাইরাস রোগ কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেয়ার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, কেউ যদি দেশে অরাজকতা, জনগণের সম্পদ বা জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করেন, এই সরকার তাদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর ব্যবস্থা নেবে। আমাদেরকে, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে সেবা করার দায়িত্ব দিয়েছেন জনগণ। সেখানে যদি কেউ ব্যাঘাত ঘটনোর চেষ্টা করে অবশ্যই আইনানুগভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ ঘোষণা’ ও সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করার জন্য বাংলাদেশে কার্যকর আইন আছে বলেও সতর্ক করে দেন আনিসুল হক। টিকা নেয়ার প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য দেখিনি। আমি ধন্যবাদ জানাই যারা আমাকে ইনজেকশনটা দিয়েছেন। কারণ আমি কোনো ব্যথা বোধ করিনি। আগেও আপনাদের একথা বলেছি যে, ইনজেকশন নেয়ার ব্যাপারে আমার এলার্জি আছে। আমি খুব ভয় পাই। দু’বারই আমি অত্যন্ত স্বাচ্ছ্যন্দে এই ইনজেকশনটা নিতে পেরেছি। সেজন্য কর্তৃপক্ষকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আইনমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সারাবিশ্বে ভয়াবহভাবে বেড়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয় ডোজ নিলে আমি মনে করি অন্ততপক্ষে আক্রান্তটা কমে যাবে। দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে নেয়ার জন্য।   এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
টিকা নেয়ার প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য দেখিনি আমি ধন্যবাদ জানাই যারা আমাকে ইনজেকশনটা দিয়েছেন কারণ আমি কোনো ব্যথা বোধ করিনি আগেও আপনাদের একথা বলেছি যে, ইনজেকশন নেয়ার ব্যাপারে আমার এলার্জি আছে আমি খুব ভয় পাই দু’বারই আমি অত্যন্ত স্বাচ্ছ্যন্দে এই ইনজেকশনটা নিতে পেরেছি
বিচারপতিদের হুমকিই দিলেন কেন্দ্রের আইনমন্ত্রী
বিচারপতিদের হুমকিই দিলেন কেন্দ্রের আইনমন্ত্রী
৪০ কোটি মানুষ চিকিৎসার জন্য কোনও সরকারি সহায়তা পান না রিপোর্ট কেন্দ্রের সংস্থারই
পুরপ্রতিনিধির অনাথ আশ্রমেই ডেঙ্গির মশার লার্ভা
kolkata
শহরে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। শুক্রবার কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ২৭০০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত বছরের থেকে বেশি।’’ উত্তরের তুলনায় দক্ষিণ কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও ইদানীং উত্তরেও রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের একটি অনাথ আশ্রমে ৩০০ জন আবাসিকের বেশির ভাগই জ্বরে আক্রান্ত বলে পুরসভা সূত্রের খবর। তাদের মধ্যে সাত জনের ডেঙ্গি ও সাত জনের ম্যালেরিয়া ধরা পড়েছে। পুরসভার পাঁচ নম্বর বরোর চেয়ারপার্সন রেহানা খাতুন বলেন, ‘‘এই বরোর ৪৮ ও ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে অনেকেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই দু’টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গিতে যথাক্রমে ১২ ও ৯ জন আক্রান্ত।’’ বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের ওই অনাথ আশ্রমের কর্ণধার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি বিশ্বরূপ দে। তিনি জানান, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার পাশাপাশি অনেক আবাসিক জ্বরেও ভুগছেন। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের খবর, ওই অনাথ আশ্রম ক্যাম্পাসে ৪১টি পাত্রের অধিকাংশেই ডেঙ্গির বাহক এডিস ইজিপ্টাই-এর লার্ভা মিলেছে। নিয়ম অনুযায়ী, কোথাও ডেঙ্গির মশার লার্ভা মিললে সেই জায়গার মালিককে নোটিস দেয় পুরসভা। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে অনাথ আশ্রমের মালিক, পুরপ্রতিনিধি বিশ্বরূপ দে-কে কেন নোটিস দেবে না পুরসভা? এই প্রশ্নের উত্তরে শুক্রবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘পুর স্বাস্থ্য বিভাগ ওই অনাথ আশ্রমের আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখবে। কোথাও জমা জলে লার্ভা মিললে পুরসভা নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। তবে কাউন্সিলরকে নোটিস দেওয়া হবে না। কারণ, ওই অনাথ আশ্রমে বহু গরিব ছেলে থাকে। কাউন্সিলর তাঁদের ভরণপোষণ করছেন।’’ বিরোধীদের প্রশ্ন, তা হলে কি স্রেফ শাসকদলের পুরপ্রতিনিধি বলেই ছাড় মিলছে? এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে মেয়রের নির্দেশে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডেঙ্গিতে আক্রান্তের পরিসংখ্যান দিলেও মৃতের সংখ্যা জানাননি। মেয়র তখন বলেন, ‘‘আমাদের কাছে দু’টি মৃত্যুর হিসাব রয়েছে। তাঁদের এক জন বাইরে থেকে এসেছিলেন।’’ ডেঙ্গিতে মৃত্যুর পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশাসন মুখে কুলুপ এঁটে থাকলেও শহর জুড়ে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। বিশেষত, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আক্রান্তের পরিসংখ্যান ভাবাচ্ছে পুর প্রশাসনকে। দক্ষিণ কলকাতার পাশাপাশি উত্তরের একাধিক ওয়ার্ডেও গত এক সপ্তাহ ধরে ডেঙ্গির দাপট বাড়তে থাকায় চিন্তিত পুর প্রশাসন। এ দিন মেয়র বলেন, ‘‘ডেঙ্গি হচ্ছে, এটা অস্বীকার করা যায় না। পুরসভার ক্লিনিকে বহু মানুষ জ্বর নিয়ে আসছেন। সেপ্টেম্বরের শেষে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে। তাই নভেম্বর পর্যন্ত সতর্ক থাকব।’’ মেয়রের অভিযোগ, ‘‘কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাদে ডাবের খোলায় ও ছাত্রাবাসের পিছনে খাবারের পাত্রে জমা জলে মশার লার্ভা মিলেছে। ডেঙ্গিতে মৃত্যু হলে কেবল প্রশাসনকে দায়ী না করে সকলে সতর্ক ও দায়িত্ববান হোন।’’ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন সরকারি ভবনে জল জমে তাতে মশার লার্ভা যাতে না জন্মায়, সে বিষয়ে এ দিন পূর্ত দফতরের সচিবের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মেয়র।
শহরে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে শুক্রবার কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ২৭০০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন যা গত বছরের থেকে বেশি’’ উত্তরের তুলনায় দক্ষিণ কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও ইদানীং উত্তরেও রোগীর সংখ্যা বাড়ছে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের একটি অনাথ আশ্রমে ৩০০ জন আবাসিকের বেশির ভাগই জ্বরে আক্রান্ত বলে পুরসভা সূত্রের খবর তাদের মধ্যে সাত জনের ডেঙ্গি ও সাত জনের ম্যালেরিয়া ধরা পড়েছে পুরসভার পাঁচ নম্বর বরোর চেয়ারপার্সন রেহানা খাতুন বলেন, ‘‘এই বরোর ৪৮ ও ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে অনেকেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন শুক্রবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই দু’টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গিতে যথাক্রমে ১২ ও ৯ জন আক্রান্ত’’ বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের ওই অনাথ আশ্রমের কর্ণধার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি বিশ্বরূপ দে তিনি জানান, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার পাশাপাশি অনেক আবাসিক জ্বরেও ভুগছেন
Hooghly: ডেঙ্গি রুখতে এডিস মশার মডেল-সহ ট্যাবলো উদ্বোধন মন্ত্রীর
অন্ধ্রপ্রদেশে ভোজ্য তেলের ট্যাঙ্কে নেমে মৃত ৭ শ্রমিক
ডায়াপার পরার বয়স থেকে বন্ধুত্ব, অভিলাষ পরিচালিত ছবিতে নায়ক সলমন দুলকের
প্রোটিনে ভরপুর খাবার কেনা মানেই প্রচুর খরচ নয়, রইল পকেটসই কিছু খাবারের খোঁজ
lifestyle
ওজন কমানো হোক কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি— শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ পর্যাপ্ত হওয়া জরুরি। সুস্থ থাকার অন্যতম উপায় হল প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া। প্রোটিনের ঘাটতি নানা শারীরিক সমস্যার জন্ম দেয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া জরুরি। প্রোটিন আছে, এমন খাবার রোজ রোজ খাওয়া মানেই পকেট ফাঁকা হয়ে যাওয়া— অনেকেরই এমনটাই ধারণা। মাছ, মাংস, শৌখিন ফলের মতো খাবারেই প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। সে কথা ভুল নয়। পাশাপাশি জেনে রাখা জরুরি, এমন অনেক খাবারই প্রোটিনে ভরপুর, যেগুলি মধ্যবিত্তের হেঁশেলেই থাকে। রইল তেমন কয়েকটি কম দামি কিন্তু স্বাস্থ্যকর এবং প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবারের হদিস। ডাল হল প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। ছবি: সংগৃহীত। ডাল বাঙালি বাড়িতে রোজকার খাবারে ডাল থাকেই। ডাল হল প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। এক কাপ সিদ্ধ ডালে প্রায় ১৬ থেকে ১৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে। পাশাপাশি ছোলা, রাজমা ইত্যাদিতেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। কিন্তু, এই ধরনের প্রোটিন হজম করতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। সব ধরনের ডালই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খাওয়া উচিত। ডাল ছাড়া অন্যান্য শস্যের মধ্যে কিনোয়া প্রোটিনের একটি ভাল উৎস। এতে একই সঙ্গে প্রায় ১৮ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড পাওয়া যায়। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার দুধ অত্যন্ত সুষম খাদ্য। এক কাপ গরুর দুধে প্রায় ৩.৪ গ্রাম প্রোটিন থাকে। আবার ১০০ গ্রাম পনিরে পাওয়া যায় প্রায় ২৩ গ্রাম প্রোটিন। ফলে প্রোটিনের উৎস হিসাবে দুধ ও দুগ্ধজাত পদার্থ অত্যন্ত উপযোগী। তাই দুগ্ধজাত খাবার বেশি করে খাওয়া জরুরি। সবুজ শাকসব্জি প্রোটিনের জন্য শুধু নয়, সার্বিক সুস্থতার জন্যও সবুজ শাকসব্জি বেশি করে খাওয়া জরুরি। এমন অনেক সব্জি রয়েছে, যেগুলিতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। ব্রকোলি, পালংশাকের মতো শাকসব্জিতেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম ব্রকোলি ও পালংশাকে প্রায় ৩.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। যদি এই ধরনের সব্জি যদি নিয়ম করে খেতে পারেন, তা হলে প্রোটিনের ঘাটতি হবে না। খিচুড়ি প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট না খেয়ে খিচুড়ি তৈরি করা সবচেয়ে ভাল। এটা তাড়াতাড়ি রান্না করা যায় এবং এমন কিছু খরচসাপেক্ষও নয়। এবং এতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ভিটামিন (সব্জি ব্যবহার করতে হবে) রয়েছে ভরপুর। সঙ্গে অবশ্য একটু দেশি ঘি যোগ করতে হবে। তা হলে একই খাবার থেকে প্রয়োজনীয় ফ্যাটও পেয়ে যাবেন।
ডাল বাঙালি বাড়িতে রোজকার খাবারে ডাল থাকেই ডাল হল প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস এক কাপ সিদ্ধ ডালে প্রায় ১৬ থেকে ১৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে পাশাপাশি ছোলা, রাজমা ইত্যাদিতেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে কিন্তু, এই ধরনের প্রোটিন হজম করতে বেশ কিছুটা সময় লাগে সব ধরনের ডালই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খাওয়া উচিত ডাল ছাড়া অন্যান্য শস্যের মধ্যে কিনোয়া প্রোটিনের একটি ভাল উৎস এতে একই সঙ্গে প্রায় ১৮ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড পাওয়া যায় দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার দুধ অত্যন্ত সুষম খাদ্য এক কাপ গরুর দুধে প্রায় ৩.৪ গ্রাম প্রোটিন থাকে আবার ১০০ গ্রাম পনিরে পাওয়া যায় প্রায় ২৩ গ্রাম প্রোটিন ফলে প্রোটিনের উৎস হিসাবে দুধ ও দুগ্ধজাত পদার্থ অত্যন্ত উপযোগী
দামি দামি সাপ্লিমেন্ট খেয়েও ওজন কমছে না? কী খেলে মেদ ঝরবে কম খরচেই?
তৈরির আগে ‘পরামর্শ’ ছিল, এবার রাজ্যে নয়াশিক্ষা নীতির পক্ষে প্রচার সঙ্ঘের
পূর্ব বর্ধমানে ঋণের দায়ে আত্মঘাতী খেতমজুর দম্পতি
ইসরাইলে ১০০ রকেট নিক্ষেপ করল ইসলামি জিহাদের প্রতিবাদ
international
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আবাসিক ভবনে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাদের বর্বর বিমান হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরাইলে শতাধিক রকেট নিক্ষেপ করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন ইসলামি জিহাদ আন্দোলন। ইসরাইলি হামলায় জিহাদ আন্দোলনের সিনিয়র কমান্ডার তাইসির আল জাবারিসহ অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর পাল্টা হামলা চালালেন প্রতিরোধ আন্দোলনকারীরা। খবর আলজাজিরার। ফিলিস্তিনের এ সংগঠনটি শুক্রবার রাতে তাদের পাল্টা হামলা সম্পর্কে বলেছে, এটি কেবল ‘তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া’। সংগঠনটির সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেড এক বিবৃতিতে বলেছে, সিনিয়র কমান্ডার তাইসির আল-জাবারিকে হত্যার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আল-কুদস ব্রিগেড ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবসহ দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় বিভিন্ন শহর এবং গাজা সংলগ্ন এলাকাগুলোতে শতাধিক রকেট নিক্ষেপ করেছে। ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের মহাসচিব জিয়াদ আন-নাখালা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, শুক্রবারের আগ্রাসনের পর ইহুদিবাদী ইসরাইলকে ‘অবিরাম’ সংঘাতের মুখোমুখি হতে হবে। এবারের হামলার পর ইসরাইলের সঙ্গে আর কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না। এবারের সংগ্রামে সব ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনকে এক পতাকাতলে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান জিয়াদ আন-নাখালা। এছাড়া, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, ইসরাইল যে অপরাধযজ্ঞ চালিয়েছে, এ জন্য তাদের মূল্য দিতে হবে। গত মে মাসে ইসরাইল গাজায় আগ্রাসন চালালে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে প্রায় ৪ হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছিল। এবিনিউজ টোয়েন্টিফোর বিডিডটকম/এম.এম
এবারের হামলার পর ইসরাইলের সঙ্গে আর কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না এবারের সংগ্রামে সব ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনকে এক পতাকাতলে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান জিয়াদ আন-নাখালা এছাড়া, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, ইসরাইল যে অপরাধযজ্ঞ চালিয়েছে, এ জন্য তাদের মূল্য দিতে হবে
ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ১১০০
আইপিএল ফিরছে, চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ করল ভারতীয় বোর্ড
অভিষেককে সমন পাঠানো হচ্ছে না কেন, আদালতের প্রশ্ন ইডি, সিবিআই-কে
‘হোয়াইট ফসফরাস’ ফেলছে ইজরায়েল, পাশে মোদী
international
মারাত্মক দাহ্য ‘হোয়াইট ফসফরাস’ ফেলছে ইজরায়েলের সেনা। গাজার জনবহুল এলাকায় ফেলা হচ্ছে যুদ্ধে ব্যবহারে নিষিদ্ধ এই রাসায়নিক অস্ত্র। সোশাল মিডিয়াতেও উঠেছে এমন অভিযোগ। এর মধ্যেই ফের ইজরায়েলের ‘পাশে দাঁড়ানোর’ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। The israeli regime is using internationally BANNED white phosphorous on the captive population of Palestinian ppl in Gaza | via @pal_action pic.twitter.com/ig7Dqmxjnp ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরাসরিই গাজাকে নিশ্চিহ্ন করার ঘোষণা করে পুরোদমে যুদ্ধে নেমেছেন। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জল-স্থ-আকাশপথে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের মতো পশ্চিমী দুনিয়ার খোলা সমর্থন পাওয়ায় আরও বেপরোয়া ইজরায়েল। ইজরায়েলের দখলদার রাষ্ট্রের ভূমিকা আড়ালেও চলছে জোরদার প্রচার। শ্বেত ফসফরাস ব্যবহার নিয়ে শঙ্কা কেবল গাজা নয়, ছড়িয়েছে সংলগ্ন এলাকায়। ভিয়েতনাম যুদ্ধে নাপাম বোমা ব্যবহার করেছিল আমেরিকা। সারা বিশ্বে নিন্দিত সেই যুদ্ধ কৌশল। শ্বেত ফসফরাসও ব্যবহার হয় বিপুল এলাকাজুড়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটানার জন্য, বলছেন সমরবিদরা। উত্তাপ ৮১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াতে পারে। সরাসরি সংযোগে এলে মৃত্যু অনিবার্য। বেঁচে গেলেও প্রভাব সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয়, বলছেন তাঁরা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা আছে গণবিধ্বংসী দাহ্য পদার্থ সাধারণ নাগরিকদের ওপর ব্যবহারে। ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের জাতীয় পরিষদে এই মর্মে পাশ হয় প্রস্তাব। বলা হয় যে দাহ্য ব্যবহার করে ধ্বংসক্রিয়া চালানো এবং শ্বাসরোধ করার মতো পদার্থ, নাপাম বা হোয়াইট ফসফরাস, জনবসতিতে ব্যবহারের জন্য নয়। ইজরায়েল এর আগে ২০০৬ সালে লেবাননের হিজবুল্লাহের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে এবং ২০০৮-০৯ সালে গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধে। রাশিয়ার বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন যে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাঁকে ফোন করেছিলেন। মৃত্যু ১৬০০ ছাড়িয়েছে। নেতানিয়াহুকে জানানো হয়েছে যে কঠিন সময়ে ভারতের জনগণ পাশে আছে।’’ মোদী বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছে এবং সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের কড়া নিন্দা করছে।’’ গত শনিবার প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপ থেকে হামাস বাহিনী ইজরায়েলের সুরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে হামলা চালায়। তাজেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বলেছেন মোদী। কিন্তু চলতি বছরের ইজরায়েলের বাহিনী প্যালেস্তাইনে একাধিক এলাকায় ঢুকে অন্তত ২৮০ জন সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছে। নিজের দেশের বাসিন্ডদাদের প্যালেস্তাইনের ভূখণ্ডে বসিয়ে দিয়েছে সেনা পাহারায়। ভারত বরাবর ইজরায়েলের এই দখলদারি ভূমিকার সমালোচনা করেছে। মোদী সেই পরম্পরা বাতিল করেছেন।
ইজরায়েল এর আগে ২০০৬ সালে লেবাননের হিজবুল্লাহের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে এবং ২০০৮-০৯ সালে গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে এর মধ্যেই মঙ্গলবার নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন যে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাঁকে ফোন করেছিলেন মৃত্যু ১৬০০ ছাড়িয়েছে নেতানিয়াহুকে জানানো হয়েছে যে কঠিন সময়ে ভারতের জনগণ পাশে আছে’’ মোদী বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছে এবং সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের কড়া নিন্দা করছে’’ গত শনিবার প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপ থেকে হামাস বাহিনী ইজরায়েলের সুরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে হামলা চালায় তাজেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বলেছেন মোদী কিন্তু চলতি বছরের ইজরায়েলের বাহিনী প্যালেস্তাইনে একাধিক এলাকায় ঢুকে অন্তত ২৮০ জন সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছে নিজের দেশের বাসিন্ডদাদের প্যালেস্তাইনের ভূখণ্ডে বসিয়ে দিয়েছে সেনা পাহারায়
এবার গাজা স্ট্রিপে বোমা ফেলল ইজরায়েল
সিরিয়ায় ফের ইজরায়েলি হানাদারি
স্বাধীনতার স্বপ্নভঙ্গ
বিশ্বকাপে ভারত ম্যাচের আলাদা গুরুত্ব নেই বাবরের কাছে, ট্রফি জিততে নামবেন পাকিস্তান অধিনায়ক
sports
আগামী ১৫ অক্টোবর বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। তা নিয়ে এখন থেকেই তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। এই প্রথম সেই ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমকে। কিন্তু আলাদা করে সেই ম্যাচ নিয়ে ভাবতে রাজি নন বাবর। তিনি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশ্বকাপ জেতার উপরেই। শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ়‌ খেলতে যাচ্ছে পাকিস্তান। তার আগে সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্বকাপের ভারত ম্যাচ প্রসঙ্গ ওঠে। বাবর বলেন, “বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে খেলা বা সেই ম্যাচে জেতা, এ সব নিয়ে আমরা একেবারেই ভাবছি না। ট্রফিটাই আমাদের আসল লক্ষ্য। সেই ট্রফি পেতে গেলে প্রতিটা ম্যাচে জিততে হবে। আমাদের সেই চেষ্টাই থাকবে। বিশ্বকাপ জিততে নামব। ভারতের মাটিতে ভারতকে হারাতে নয়।” তবে পাকিস্তান আদৌ বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসবে কিনা, তা নিয়ে গত কয়েক দিনে অনেক জলঘোলা হয়েছে। এক সময় পাকিস্তান বোর্ড ভারতে খেলতে না আসার কথা ভেবেছিল। তার পরে বলেছিল, ভারতে খেলতে এলেও আমদাবাদে খেলবে না। তাদের দাবি মানা হয়নি। বাবর অবশ্য সে সবে বিন্দুমাত্র পাত্তা দিলেন না। তাঁর সাফ কথা, “যেখানেই বিশ্বকাপের ম্যাচ হবে, সেখানেই আমরা খেলতে রাজি। আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হল বিশ্বকাপ জেতা। সেটা নিয়েই ভাবছি আমরা। কোথায় খেলতে হবে, তা নিয়ে ভাবছি না।” তিনি এ-ও জানিয়েছেন, এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপ নিয়ে পাকিস্তানের ভাবনাচিন্তা অনেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে। যেকোনও পরিস্থিতিতে যাতে তাঁরা খেলতে পারেন, তার জন্য নিজেদের তৈরি রাখছেন। সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে নতুন সভাপতি হিসাবে দায়িত্বে এসেছেন জাকা আশরফ। খেলায় তার কোনও প্রভাব পড়বে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাবর। তাঁর কথায়, “পিসিবি-তে কী হচ্ছে, তা নিয়ে আমরা ভাবিত নই। আমাদের নজর ক্রিকেটে। আমাদের কী কী ম্যাচ খেলতে হবে, সেটা আমরা জানি। পেশাদার ক্রিকেটার হিসাবে কী ভাবে ম্যাচ জেতা যায় সেটা নিয়েই ভাবছি।”
আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হল বিশ্বকাপ জেতা সেটা নিয়েই ভাবছি আমরা কোথায় খেলতে হবে, তা নিয়ে ভাবছি না” তিনি এ-ও জানিয়েছেন, এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপ নিয়ে পাকিস্তানের ভাবনাচিন্তা অনেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে যেকোনও পরিস্থিতিতে যাতে তাঁরা খেলতে পারেন, তার জন্য নিজেদের তৈরি রাখছেন সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে নতুন সভাপতি হিসাবে দায়িত্বে এসেছেন জাকা আশরফ খেলায় তার কোনও প্রভাব পড়বে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাবর তাঁর কথায়, “পিসিবি-তে কী হচ্ছে, তা নিয়ে আমরা ভাবিত নই আমাদের নজর ক্রিকেটে আমাদের কী কী ম্যাচ খেলতে হবে, সেটা আমরা জানি পেশাদার ক্রিকেটার হিসাবে কী ভাবে ম্যাচ জেতা যায় সেটা নিয়েই ভাবছি
বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসার ভিসা পেয়ে গিয়েছেন, বিশ্বাসই হচ্ছে না পাক অধিনায়ক বাবরের
বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসার ভিসা পেয়ে গিয়েছেন, বিশ্বাসই হচ্ছে না পাক অধিনায়ক বাবরের
লিঙ্কড ডিভাইস থেকে কীভাবে WhatsApp অ্যাকাউন্ট লগ-আউট করবেন? জানুন পদ্ধতি
ভবানীপুরে উদ্ধার কলেজছাত্রীর দেহ, মা ‘ফাস্ট ফুড’ খেতে বারণ করায় এমন কাণ্ড মেয়ের! তদন্তে নামল পুলিশ
kolkata
দিন কয়েক ধরে পেটব্যথার জেরে মেয়েকে ‘ফাস্ট ফুড’ খেতে বাধা দিয়েছিলেন মা। তা সত্ত্বেও পটেটো চিপ্‌স খাওয়ার বায়না করায় মায়ের বকুনিও জুটেছিল ভবানীপুরের এক কলেজছাত্রীর। ঘটনাচক্রে, ওই মহিলার অনুপস্থিতিতে সোমবার তাঁর মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। মায়ের বকুনির জেরেই কি চরম পথ বেছে নিলেন ওই ছাত্রী? উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ সূত্রে খবর, ভবানীপুরের ইন্দ্র রায় রোডে শ্রেয়সী পাল নামে ১৯ বছরের এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। অভিযোগ, কয়েক দিন ধরে পেটের গন্ডগোলের সঙ্গে ব্যথাও হচ্ছিল শ্রেয়সীর। সে কারণে তাঁকে ‘ফাস্ট ফুড’ খেতে নিষেধ করেছিলেন শ্রেয়সীর মা। এ নিয়ে মেয়েকে বকুনিও দিয়েছিলেন তিনি। সোমবারও তাঁকে চিপ্‌স খেতে বারণ করেছিলেন। এর পর কোনও একটি কাজে বাড়ির বাইরে যান ওই মহিলা। তাঁর দাবি, সেই কাজ সেরে বিকেলে ফিরে এসে তিনতলা বাড়ির সদর দরজা ভিতর থেকে বন্ধ অবস্থায় দেখেন। বার বার ডাকাডাকি করেও মেয়ের সাড়া না পেয়ে পিছনের দরজা দিয়ে বাড়িতে ঢোকেন তিনি। এর পর একতলার ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কলেজছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে সেটি এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায় ভবানীপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই কলেজছাত্রীর ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’র প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
তা সত্ত্বেও পটেটো চিপ্‌স খাওয়ার বায়না করায় মায়ের বকুনিও জুটেছিল ভবানীপুরের এক কলেজছাত্রীর ঘটনাচক্রে, ওই মহিলার অনুপস্থিতিতে সোমবার তাঁর মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল মায়ের বকুনির জেরেই কি চরম পথ বেছে নিলেন ওই ছাত্রী? উঠছে প্রশ্ন পুলিশ সূত্রে খবর, ভবানীপুরের ইন্দ্র রায় রোডে শ্রেয়সী পাল নামে ১৯ বছরের এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে অভিযোগ, কয়েক দিন ধরে পেটের গন্ডগোলের সঙ্গে ব্যথাও হচ্ছিল শ্রেয়সীর
খাবারে বিষ মিশিয়ে বধূকে খুনের অভিযোগ
ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু কলেজছাত্রের
কাজ করতেন বহু মহিলাও, এগরার গ্রামে পরপর ছিন্নভিন্ন দেহ
আদালতের লড়াইয়ে পাশাপাশি জোরদার হচ্ছে রাস্তার লড়াই: সেলিম
state
আদালত যখন নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে তখন রাস্তায় নেমে বাংলার মানুষও চোদ্দতলা থেকে লুটেরাদের টেনে নামাতে তৈরি হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার নদীয়ার তেহট্ট ও চাপড়ায় দুটি জনসমাবেশে সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এই মন্তব্য করে বলেছেন, এতদিন মানুষকে হামলা, মামলা, জরিমানার ভয় দেখিয়ে রাখতো তৃণমূল। এখন মানুষ জাগতে শুরু করেছে দেখে তৃণমূলই মানুষকে ভয় পাচ্ছে। মানুষকে আর চুপ করিয়ে রাখা যাবে না, বুথ স্তর থেকে নবান্নের চোদ্দতলা পর্যন্ত দুর্নীতির আখড়া ভাঙবে মানুষ। শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিকে প্রকাশ্যে এনে আইনের হাতুড়ির ঘা মারছে আদালত। সেলিম তার উল্লেখ করে বলেছেন, শুধু লুট নয়, শিক্ষা ব্যবস্থাকে এভাবে ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিয়ে ধংস করতে চাইছে তৃণমূল। শিক্ষায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে আদালত তার আইনী প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। কিন্তু লুটেরাদের তাড়াতে মানুষকে এককাট্টা হয়ে রাস্তায় নামতে হবে। আগে গ্রাম থেকে লুটেরাদের তাড়িয়ে মানুষের পঞ্চায়েত গড়তে হবে, তারপরে নবান্ন থেকে লুটেরাদের তাড়াতে হবে। গুন্ডা মস্তান দুষ্কৃতীদের জড়ো করে মুখ্যমন্ত্রী আর রেহাই পাবেন না। বৃহস্পতিবার নদীয়া জেলার চাপড়া ও তেহট্টে দুটি সমাবেশে ভাষণ দেন মহম্মদ সেলিম। এদিন তেহট্ট ও চাপড়ার দুই সমাবেশকে সামনে রেখে ব্যাপক সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করেছিল প্রশাসন। সেলিম প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, লাল ঝান্ডার মিছিল সমাবেশে এত ভয়? এখানে পুলিশের প্রয়োজন নেই। যখন খুন ধর্ষণ জোচ্চুরি লুট হয়েছে পুলিশ কোথায় ছিলো? এই পলাশীপাড়া কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক টেট দুর্নীতির অন্যতম নায়ক এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আরেক মানিক জেলের ভাত খাচ্ছে। তৃণমূলের এরকম অনেক মনিমুক্ত মানিক গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে। লুটের জন্য তাদের আশ্রিত গুন্ডা মস্তানরা যখন গুন্ডামি করছিল, এই পুলিশই তাদের পাহারা দিয়েছেন। সেলিম পুলিশ প্রশাসনকে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, আপনাদের যারা অন্যায়ের শরিক তারাও পার পাবেন না। যে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় গুন্ডামি মস্তানির সময় সহযোগিতা করেছেন তিনি আপনাদের রক্ষা করবেন না।
মানুষকে আর চুপ করিয়ে রাখা যাবে না, বুথ স্তর থেকে নবান্নের চোদ্দতলা পর্যন্ত দুর্নীতির আখড়া ভাঙবে মানুষ শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিকে প্রকাশ্যে এনে আইনের হাতুড়ির ঘা মারছে আদালত সেলিম তার উল্লেখ করে বলেছেন, শুধু লুট নয়, শিক্ষা ব্যবস্থাকে এভাবে ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিয়ে ধংস করতে চাইছে তৃণমূল শিক্ষায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে আদালত তার আইনী প্রক্রিয়া চালাচ্ছে কিন্তু লুটেরাদের তাড়াতে মানুষকে এককাট্টা হয়ে রাস্তায় নামতে হবে আগে গ্রাম থেকে লুটেরাদের তাড়িয়ে মানুষের পঞ্চায়েত গড়তে হবে, তারপরে নবান্ন থেকে লুটেরাদের তাড়াতে হবে গুন্ডা মস্তান দুষ্কৃতীদের জড়ো করে মুখ্যমন্ত্রী আর রেহাই পাবেন না
শহীদের খুনীদের শাস্তির জন্য লড়াই আইনি পথে, সংগ্রাম হবে রাস্তাতেও
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে কোথায় দাঁড়িয়ে জিও?
সৌদির ক্লাবে সই চেলসির গোলরক্ষকের, রোনাল্ডোর দেখানো পথে ভিড় বাড়ছে পশ্চিম এশিয়ায়
নিয়োগ করতে গিয়ে নিজের চাকরি খোয়ালেন গুগলের এক ঊর্ধ্বতন নিয়োগকর্তা
lifestyle
বিশ্ব জুড়ে চলা কর্মীছাঁটাই অভিযানের মাঝে নতুন কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়াও চালাচ্ছিল গুগল। কিন্তু নতুন কর্মী নিয়োগের কাজ করার মাঝে নিজেরই চাকরি খোয়ালেন সংস্থার এক নিয়োগকর্তা। গুগলের হয়ে কাজ করতেন ড্যান লানিগান-রায়ান। তিনি জানিয়েছেন, অনলাইনে ইন্টারভিউ চলাকালীন হঠাৎই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দ্বিতীয় বার লগ-ইন করার চেষ্টা করতে গেলেও তা করতে পারেননি তিনি। পরে সংস্থার নিজস্ব পোর্টালেও ঢুকতে না পেরে সন্দেহ হয় তাঁর। তিনি বলেন, “সংস্থার সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর হঠাৎ খেয়াল করি, আমার মেলও কাজ করছে না। এই ঘটনার ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই ছাঁটাইয়ের খবর ঘোষণা করা হয়। এ ভাবে হঠাৎ মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা হবে, এমনটা আমি ভাবতেও পারিনি।” তবে তিনি একা নন। তার অধীনে কর্মরত সকলেই এই এক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। যদিও সংস্থার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি কেউই। কর্মীদের খানিকটা অন্ধকারে রেখেই ১২,০০০ জনকে এক ধাক্কায় ছাঁটাই করেছে গুগল। কর্মীদের ছাঁটাইয়ের নোটিস পাঠানো হয়েছে। রাত ৩টের সময়ে হঠাৎই অ্যাকাউন্ট বিকল করে দিয়ে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে কর্মীদের। তার পর আর বিস্তারিত কোনও তথ্য জানানো হয়নি বলেও অভিযোগ।
দ্বিতীয় বার লগ-ইন করার চেষ্টা করতে গেলেও তা করতে পারেননি তিনি পরে সংস্থার নিজস্ব পোর্টালেও ঢুকতে না পেরে সন্দেহ হয় তাঁর তিনি বলেন, “সংস্থার সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর হঠাৎ খেয়াল করি, আমার মেলও কাজ করছে না এই ঘটনার ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই ছাঁটাইয়ের খবর ঘোষণা করা হয় এ ভাবে হঠাৎ মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা হবে, এমনটা আমি ভাবতেও পারিনি
চাকরি খোয়ালেন এবার তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান
একে অপরের ভাষা জানেন না, গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করেই চার হাত এক যুগলের
সাধ্যের দামে রয়্যাল এনফিল্ড আসতে চলেছে ভারতের বাজারে
দুঃস্বপ্ন
editorial
কতটা পথ পেরোলে তবে পরিযায়ী বলা যায়? ইটালির সমুদ্র উপকূলে বা মাঝসমুদ্রে ভাসছেন হাজার হাজার মানুষ, আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া থেকে নৌকায় সাগর পাড়ি দিয়েছেন তাঁরা। নতুন বছরের তিনটে মাসও পেরোয়নি, এরই মধ্যে ইটালিতে পা রেখেছেন সতেরো হাজার মানুষ, গত বছরের তুলনায় প্রায় তিন গুণ! ইটালির উপকূল রক্ষী বাহিনী, নৌবাহিনী ও বেসরকারি কল্যাণমূলক সংস্থার সদস্যরা মিলে দিন তিনেক আগেই উদ্ধার করেছেন হাজারেরও বেশি পরিযায়ী মানুষকে। এঁরা আসছেন লিবিয়া থেকে, সোমালিয়া, সুদান, ইথিয়োপিয়া, ইরিট্রিয়া, সেনেগাল থেকে, সিরিয়া থেকেও। বিপদসঙ্কুল সমুদ্রযাত্রায় মৃত্যুর ঝুঁকি আছে জেনেও শিশুসন্তানকে আঁকড়ে মাছ-ধরা ট্রলার বা রবারের নৌকায় চেপে পড়ছেন মা, স্বদেশের যুদ্ধ দাঙ্গা আর দারিদ্রকে পিছনে ফেলে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্নে সমুদ্রশরণ নিচ্ছেন সন্তানসম্ভবা নারী, জীবনযুদ্ধে ক্লান্ত পুরুষ। অগণিত শিশু জীবনে প্রথম সমুদ্র দেখছে— অবাক চোখে নয়, আতঙ্কিত হয়ে। ‘হিউম্যান স্মাগলিং’ বা মানব পাচার হয়ে উঠেছে এক নিষ্ঠুর ব্যবসা, সমুদ্রে ভাসার আগে কষ্টার্জিত প্রায় সবটুকু সঞ্চয় দিয়ে দিতে হচ্ছে পাচারকারীদের— জনপ্রতি সাড়ে সাতশো থেকে কখনও তা তিন-সাড়ে তিন হাজার আমেরিকান ডলারের সমতুল। এই সব সমুদ্রযাত্রার অনেকগুলিই যে শেষ হয় না, ভূমধ্যসাগরের বুকে বা গন্তব্য দেশটির তীরে এসেও ডুবে যায় বহু তরী— সেই নির্মম বাস্তবটি ইদানীং বারংবার জেগে উঠছে। সে জন্যই আন্তর্জাতিক স্তরে উদ্ধারকার্যের, এবং বিশেষত যে দেশটি হয়ে উঠছে গন্তব্য, তার মানবিকতা ও রাজনৈতিক সংবেদনশীলতার গুরুত্ব অপরিসীম। ফেব্রুয়ারির শেষে ইটালির ক্যালাব্রিয়া সাগরে পরিযায়ী-বোঝাই জাহাজ ভেঙে সত্তরেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়, অভিযোগ উঠেছে— ইটালি উদ্ধারকার্যে তত গা করেনি। তা নিয়ে তদন্তও চলছে। রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জর্জিয়া মেলোনির নেতৃত্বাধীন ইটালির রক্ষণশীল, দক্ষিণপন্থী মতাদর্শের সরকারকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও পরিযায়ী ঢেউ সামলাতে হচ্ছে, তারই প্রভাব পড়ছে সমুদ্রে মুমূর্ষুর উদ্ধারেও। মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মেলোনির মন্ত্রিসভা কঠোর শাস্তি ঘোষণা করেছে, আইনি পথে অভিবাসনকে প্রসারিত করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে, অন্য দিকে ‘ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস’-সহ বেসরকারি কল্যাণমূলক সংস্থাগুলির উদ্ধারকাজে নানা নিয়ম চাপাচ্ছে— পরিযায়ীদের উদ্ধার করে এনে ইটালির বন্দরে ভিড়বার মুহূর্তে বলা হচ্ছে হেথা নয়, অন্য কোনওখানে, আরও উত্তরে যাও। বাড়ছে জলযানগুলির জ্বালানির চাপ, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যার দাম আকাশ ছুঁয়েছে। তা নিয়ে বিস্তর আলাপ-আলোচনা চলছে বিশ্ব জুড়ে, কিন্তু বিশ্বময় নজর এড়িয়ে প্রতি দিন ভাসছেন, ডুবছেন যাঁরা, তাঁদের অবস্থা নিয়ে কথা হচ্ছে বড়ই কম। এ এক দুঃসহ সঙ্কটচক্র, যেখানে একটি দেশ তার নাগরিককে ন্যূনতম নিরাপত্তাটুকু দিতে না পারায় মানুষ জন্মভূমি ছাড়ছেন, কিন্তু যে দেশে গিয়ে পৌঁছচ্ছেন দেখা যাচ্ছে সেও আদৌ স্বপ্নভূমি নয়, সেখানেও বৈষম্য নানাবিধ: ভাষার, ধর্মের, অর্থনীতির, জীবনযাত্রার। ইউরোপে মানবমর্যাদার একটা উচ্চ স্থান আছে, সে কারণেই এত কিছুর পরেও বিদেশি বা ‘বিধর্মী’ পরিযায়ীদের জীবন রক্ষা পাচ্ছে। যে অমূল্য জীবনগুলির সলিলসমাধি ঘটল, ঘটছে এখনও, প্রত্যহ— তাদের দায় কার, জন্মভূমির না স্বপ্নভূমির?
‘হিউম্যান স্মাগলিং’ বা মানব পাচার হয়ে উঠেছে এক নিষ্ঠুর ব্যবসা, সমুদ্রে ভাসার আগে কষ্টার্জিত প্রায় সবটুকু সঞ্চয় দিয়ে দিতে হচ্ছে পাচারকারীদের— জনপ্রতি সাড়ে সাতশো থেকে কখনও তা তিন-সাড়ে তিন হাজার আমেরিকান ডলারের সমতুল এই সব সমুদ্রযাত্রার অনেকগুলিই যে শেষ হয় না, ভূমধ্যসাগরের বুকে বা গন্তব্য দেশটির তীরে এসেও ডুবে যায় বহু তরী— সেই নির্মম বাস্তবটি ইদানীং বারংবার জেগে উঠছে সে জন্যই আন্তর্জাতিক স্তরে উদ্ধারকার্যের, এবং বিশেষত যে দেশটি হয়ে উঠছে গন্তব্য, তার মানবিকতা ও রাজনৈতিক সংবেদনশীলতার গুরুত্ব অপরিসীম ফেব্রুয়ারির শেষে ইটালির ক্যালাব্রিয়া সাগরে পরিযায়ী-বোঝাই জাহাজ ভেঙে সত্তরেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়, অভিযোগ উঠেছে— ইটালি উদ্ধারকার্যে তত গা করেনি তা নিয়ে তদন্তও চলছে
অবিশ্বাসের খাদ
স্বপ্নদীপের যাদবপুরে পড়ার স্বপ্ন শেষ
অস্ত্র দিয়ে নয়, অর্থনৈতিক যুদ্ধে রাশিয়াকে পরাস্ত করবে পশ্চিমা বিশ্ব?
কোনও শাসন হিংসার আবর্তে ঢুকলে সহজে বেরোতে পারে না
editorial
ধর্মান্তরণ করাতে জেলাশাসকের কাছে দরখাস্ত করুন।’ কাফকার কাহিনি নয়, আবোল-তাবোল’এর একুশে আইন নয়, ভারতের একাধিক রাজ্যে আজ এটাই বিধি। প্রতিযোগিতা বেধেছে, কোন রাজ্য কত জবরদস্ত আইন করে বাকিদের টেক্কা দেবে। এটুকু লিখে আটকে গেলাম। লিখতে যাচ্ছিলাম, ধর্ম আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কী দিয়ে ভাত মাখব তা যেমন সরকার বলে দেবে না, কোন ধর্ম মানব তাও নয়। কিন্তু সত্যি তো, বাংলায় বসে বোঝা মুশকিল, দেশের অন্যত্র খাওয়াদাওয়ার কত বিধিনিষেধ। অতএব ধর্মের মতো গুরুতর বিষয়ে হাকিমের হুকুম আশ্চর্যের কী? বাদ সাধছে সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতার একটা বেয়াড়া ধারা। তাই সাফাই গাইতে হচ্ছে, নিষেধ কেবল জোর করে ধর্মান্তরণে। শাসিয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তরণের কতটা অবকাশ তা স্পষ্ট নয়; তা ছাড়া বলপ্রয়োগ, ভীতিপ্রদর্শন, ব্ল্যাকমেল ইত্যাদির বিরুদ্ধে তো এমনিতেই আইন আছে। প্রলোভনের প্রশ্ন হয়তো উঠতে পারে। কোনও ধর্মীয় সংগঠন ভাল স্কুল বা হাসপাতাল চালায়, সুশিক্ষা বা সুচিকিৎসার টোপ ফেলে ধর্মান্তরণ অসম্ভব নয়, কিংবা চাকরি দিয়ে। প্রশ্ন একটাই: সরকার কি সমমানের স্কুল বা হাসপাতাল চালাতে পারে না? পারে না কর্মসংস্থান করতে? এগুলোই তো সরকারের কাজ বলে জানতাম। বলা হয়, দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে ধর্মান্তরণ ঘটছে। সে ক্ষেত্রে ধর্মান্তরণ বন্ধের চেয়ে দারিদ্র লাঘব করাই জরুরি নয় কি? আরও প্রশ্ন আছে। ধর্মে পরকালের চিন্তা ওঠে। স্বর্গসুখও কি প্রলোভন? সংসারসুখ প্রেম ভালবাসা তো অবশ্যই। অন্তত একটি রাজ্যের আইনে বিয়ের প্রস্তাবও প্রলোভন। তর্ক উঠলে বলা হয়, আপত্তি কেবল প্রতারণা বা ব্যভিচারের ক্ষেত্রে। আইনে কিন্তু সেটা স্পষ্ট নয়। তা ছাড়া প্রতারণা দ্বিবিবাহ ইত্যাদির বিরুদ্ধে অন্য আইন আছে, স্বধর্মের পরিধিতেও এমন অপরাধ বিলক্ষণ ঘটে। নতুন আইনের আসল লক্ষ্য, ভিনধর্মে বিয়ে কার্যত অসম্ভব করে তোলা। ‘লাভ জেহাদ’ নামক বায়বীয় অপরাধ নিয়ে যতই আসর গরম হোক, আইনগ্রাহ্য তথ্যপ্রমাণের অভাব দেখা যায়। অতএব সহজ সমাধান, অমন বিয়ে মাত্রেই আইনবলে বরবাদ করে দাও। এমন আইনে দেশব্যাপী সাংবিধানিক শাসনের সঙ্গে দায়িত্বহীন খণ্ডস্বার্থের সম্পর্কটা উল্টে যাচ্ছে। গোষ্ঠীবিশেষ অনেক কিছু চায় যা সংবিধান তথা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। আইনের কাজ সেই দাবিগুলি নিয়ন্ত্রণ করা। এ ক্ষেত্রে কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কোনও স্বৈরাচারী গোষ্ঠী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, অপর কিছু মানুষের স্পষ্টত ক্ষতিসাধন করে। আইন সেই অনাচারের রাশ টানছে না, বরং ন্যূনতম দূরত্ব বজায় রেখে অনুমোদন করছে; ফলে আইনকে শিখণ্ডী রেখে অনাচার মান্যতা পাচ্ছে। অন্যায় যাচ্ছে আগে পথ দেখিয়ে, ন্যায় তার পিছনে তল্পিবাহক হয়ে। ‘জাতীয়তাবিরোধী’, ‘শহুরে নকশাল’, ‘লাভ জেহাদ’ প্রভৃতি শব্দের সংজ্ঞা আইনে দূরস্থান, সাধারণ যুক্তিতথ্যের বিচারেও অসার। কিন্তু অবিরাম দক্ষ প্রচার করে আওড়ে জনতাকে খেপিয়ে তোলা যায়। এই হিংসা আর বিদ্বেষের চাষে আইনকে শামিল করলে তার ভাব আর বয়ান দুটোই পাল্টাতে হয়। সর্বোচ্চ বিচারপতি থেকে শুরু করে অনেকে অনুযোগ করেছেন, এই আইনগুলির ভাষা এত অস্বচ্ছ ও সর্বগ্রাসী যে, তাতে যে-কাউকে ফাঁসিয়ে দেওয়া যায়। আরও কিছু ভয়াবহ প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়েছে। আইনশাস্ত্রের নীতি বলে, অভিযুক্ত ব্যক্তি দণ্ডিত না হওয়া অবধি নির্দোষ গণ্য হবে; অর্থাৎ অপরাধ যে ঘটেছে, অভিযোগকারীকে তা প্রমাণ করতে হবে। একটার পর একটা নতুন আইন কিন্তু শুরুতেই ধরে নিচ্ছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধী: নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের দায় তার উপর। আটক, জামিন ইত্যাদির প্রচলিত বিধি বলে-কয়ে পরিহার হচ্ছে কোনও কোনও আইনে। বা বিস্ময়কর ভাবে বলা হচ্ছে, আইনটা আদালতের এক্তিয়ারের বাইরে! অর্থাৎ আইনকে স্বধর্মচ্যুত করে ‘অ-ন্যায়’ আত্মঘাতী ভূমিকায় নামানো হচ্ছে, তাতেও না কুলোলে স্রেফ নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হচ্ছে। বাড়তে বাড়তে এই প্রবণতার সম্প্রতি এমন অবিশ্বাস্য নজির ঘটেছে যে নয়-নয় করেও কিছু ধিক্কার প্রতিবাদ শোনা যাচ্ছে, ফল যদিও শূন্য। বিশেষ নিশানায় দুটো ঘটনা, হরিদ্বারে আর দিল্লিতে। সেখানে দুই সমাবেশে কিছু সাম্প্রদায়িক নেতা আহ্বান জানিয়েছেন, দেশ জুড়ে মুসলমানদের নির্বংশ করতে। অন্যথায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এমন আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন, যা ১৮৫৭-র অভ্যুত্থানকে ছাড়িয়ে যাবে। মুসলিমদের উদ্দেশে বহু কাল, এবং উত্তরোত্তর খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধেও, জঘন্য বিষোদ্গিরণ আজ ডালভাত। ওই সমাবেশের উক্তিগুলি সেই মামুলি ‘হেট স্পিচ’কে বহু যোজন ছাড়িয়ে রীতিমতো জাতিনিধন বা জেনোসাইডের ডাক দিচ্ছে, আক্ষরিক ভাবেই করছে ‘দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষণা’। আজকের ভারতে একটা স্লোগান বা কৌতুকের দৌলতে, পরিবেশ আন্দোলন করা মায় মুমূর্ষু রোগীর জন্য অক্সিজেন খোঁজার ফলে সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে পড়তে হয়। হরিদ্বার-দিল্লির অপরাধীরা কিন্তু অশেষ প্রশ্রয়ভোগী, যেমন আইনের হাতে, তেমনই আমাদের পরম প্রগল্‌ভ নেতাদের নীরবতায়। একমাত্র উপরাষ্ট্রপতি ধিক্কার জানিয়েছেন, তাও সরাসরি নয়। শাসক শিবির যে নির্বিকার, তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। বিরোধী দলগুলি তাদের মৌনের লজ্জা কোথায় ঢাকবে তারাই জানে, যদি লজ্জাবোধ আদৌ অবশিষ্ট থাকে। মোক্ষম প্রশ্নটা কিন্তু আমাদের নিজেদের প্রতি। স্বীকার করতেই হয়, অনেকে বুক ফুলিয়ে করবেন— সমাজের এক ক্রমবর্ধমান অংশ আজকের হিংসা-বৈরিতা-অপরায়ণের উৎসবে সোৎসাহে অংশ নিচ্ছে। বাংলার অপেক্ষাকৃত উদার আবহেও যে বিদ্বেষ আর আস্ফালন নিত্য দেখা যাচ্ছে, বিশ বছর আগে তা মনে পুষলেও লোকে মুখে আনত না, মনে পুষতও হয়তো কম। দুই প্রজন্ম বাদে দেশভাগের ক্ষতগুলো অনেকটা শুকিয়ে এসেছিল, আবার খুঁচিয়ে তোলা হচ্ছে। এমন উদ্যোগ সর্বত্র: গুরুগ্রামে শিখ সম্প্রদায় যখন মুসলিমদের নমাজ পড়ার জায়গা দিতে উদ্যত, হিন্দুত্ববাদীরা রীতিমতো বই ছাপিয়ে বিলি করল, কয়েক শতক আগে মোগলদের হাতে শিখদের উৎপীড়ন স্মরণ করিয়ে। আমরা কি সত্যিই লাগাতার বিদ্বেষ-বিভাজন-হিংসার মধ্যে জীবন কাটাতে চাই, সন্তানকুলকেও সেই গহ্বরে নিক্ষেপ করতে চাই? অনেকে বলবেন, একশো বার— শেষ দেখে, শেষ করে ছাড়ব। শেষ কিন্তু হয় না কোনও দিন। খাঁচা থেকে বাঘ বেরোলে শুধু পড়শির গরু-ছাগল মারে না, মারে আমাদেরগুলোও, শেষে আমাদেরও। ইতিহাসের অমোঘ শিক্ষা, কোনও রাজত্ব হিংসা-বিদ্বেষের আবর্তে একবার ঢুকলে বেরোতে পারে না। সেটাই তাদের চালিকাশক্তি, অস্তিত্বের মূলমন্ত্র। একটা শিকার নিঃশেষ হলে তাই আর একটা খুঁজতে হয়, নিজের লোকও রেহাই পায় না। বেশি অতীতে যাবার দরকার নেই, একশো বছরেই যথেষ্ট নজির মিলবে। ভাবতে পারি, আচারবিশ্বাসে ধর্মপালনে আমরা এই জমানার আদর্শ প্রজা, এত কাণ্ড তো আমাদেরই মঙ্গলার্থে। আজ নাহয় কিছু এলোমেলো ব্যাপার ঘটছে, ন্যায়নীতি ঘেঁটে যাচ্ছে; মহৎ কাজে অমন এক-আধটু হয়ে থাকে, দেখো শেষে কেমন স্বর্ণযুগ আসে। ভাল কথা। সেই সোনা আরও নিখাদ করার নিরন্তর চেষ্টায় আমরা শামিল হতে পারব তো? আমাদের দেশ বিশাল ও বৈচিত্রময়, বহুত্ব রক্ষা করেই টিকে আছে। বঙ্গভূমি তো বিশেষ করেই ভিন্ন, স্বকীয়। রাষ্ট্রশক্তি যদি আমাদের জীবনের দখল নিতে চায়, মনুষ্যত্ব বজায় রেখে কত দূর মানতে পারব? উদ্ভট বা ভয়াবহ কিছু কল্পনার দরকার নেই, দুটো অপেক্ষাকৃত সংযত নির্দোষ প্রস্তাবের কথা ভাবা যাক। ধরুন যদি সব রকম আমিষ আহার ত্যাগ করতে বলা হয়? বা সমাজে প্রশাসনে সর্বত্র হিন্দি ব্যবহার করতে? খোলা মনে মেনে নেব তো? দুটোই কিন্তু বাস্তব সম্ভাবনা, আজ না হলে পরশু। ‘আমরাই আদর্শ, আর সকলকে হটিয়ে পিটিয়ে আমরাই শান্তিতে বিরাজ করব’, এমন বলায় তাই বিরাট বিপদ। ‘আমরা’ দলে ভারী হলে বিপদ কমে না, বাড়ে: দফায় দফায় ‘আমরাতর’রা আবির্ভূত হয়, ঝাঁপিয়ে পড়ে বাকিদের হটাতে। যে ‘আমরা’র পরিপূরক কোনও ‘ওরা’, তার অবস্থান চিরকাল অস্থির। কোনও রাশেই তা শান্ত হওয়ার নয়, রাষ্ট্রের বাঁধন যত শক্ত তত আলগা প্রমাণ হয়। রবীন্দ্রনাথ এমন একটা কথা বলেছিলেন বিদেশি শাসকদের স্বৈরাচার সম্বন্ধে। সব স্বৈরাচারেরই কিন্তু চরিত্র এক। খানিক অন্য ভাবে কথাটা আমাদের যুগেও খাটে।
গোষ্ঠীবিশেষ অনেক কিছু চায় যা সংবিধান তথা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আইনের কাজ সেই দাবিগুলি নিয়ন্ত্রণ করা এ ক্ষেত্রে কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কোনও স্বৈরাচারী গোষ্ঠী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, অপর কিছু মানুষের স্পষ্টত ক্ষতিসাধন করে আইন সেই অনাচারের রাশ টানছে না, বরং ন্যূনতম দূরত্ব বজায় রেখে অনুমোদন করছে; ফলে আইনকে শিখণ্ডী রেখে অনাচার মান্যতা পাচ্ছে অন্যায় যাচ্ছে আগে পথ দেখিয়ে, ন্যায় তার পিছনে তল্পিবাহক হয়ে ‘জাতীয়তাবিরোধী’, ‘শহুরে নকশাল’, ‘লাভ জেহাদ’ প্রভৃতি শব্দের সংজ্ঞা আইনে দূরস্থান, সাধারণ যুক্তিতথ্যের বিচারেও অসার কিন্তু অবিরাম দক্ষ প্রচার করে আওড়ে জনতাকে খেপিয়ে তোলা যায় এই হিংসা আর বিদ্বেষের চাষে আইনকে শামিল করলে তার ভাব আর বয়ান দুটোই পাল্টাতে হয় সর্বোচ্চ বিচারপতি থেকে শুরু করে অনেকে অনুযোগ করেছেন, এই আইনগুলির ভাষা এত অস্বচ্ছ ও সর্বগ্রাসী যে, তাতে যে-কাউকে ফাঁসিয়ে দেওয়া যায় আরও কিছু ভয়াবহ প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়েছে আইনশাস্ত্রের নীতি বলে, অভিযুক্ত ব্যক্তি দণ্ডিত না হওয়া অবধি নির্দোষ গণ্য হবে; অর্থাৎ অপরাধ যে ঘটেছে, অভিযোগকারীকে তা প্রমাণ করতে হবে একটার পর একটা নতুন আইন কিন্তু শুরুতেই ধরে নিচ্ছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধী: নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের দায় তার উপর আটক, জামিন ইত্যাদির প্রচলিত বিধি বলে-কয়ে পরিহার হচ্ছে কোনও কোনও আইনে বা বিস্ময়কর ভাবে বলা হচ্ছে, আইনটা আদালতের এক্তিয়ারের বাইরে! অর্থাৎ আইনকে স্বধর্মচ্যুত করে ‘অ-ন্যায়’ আত্মঘাতী ভূমিকায় নামানো হচ্ছে, তাতেও না কুলোলে স্রেফ নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হচ্ছে বাড়তে বাড়তে এই প্রবণতার সম্প্রতি এমন অবিশ্বাস্য নজির ঘটেছে যে নয়-নয় করেও কিছু ধিক্কার প্রতিবাদ শোনা যাচ্ছে, ফল যদিও শূন্য বিশেষ নিশানায় দুটো ঘটনা, হরিদ্বারে আর দিল্লিতে সেখানে দুই সমাবেশে কিছু সাম্প্রদায়িক নেতা আহ্বান জানিয়েছেন, দেশ জুড়ে মুসলমানদের নির্বংশ করতে অন্যথায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এমন আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন, যা ১৮৫৭-র অভ্যুত্থানকে ছাড়িয়ে যাবে মুসলিমদের উদ্দেশে বহু কাল, এবং উত্তরোত্তর খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধেও, জঘন্য বিষোদ্গিরণ আজ ডালভাত ওই সমাবেশের উক্তিগুলি সেই মামুলি ‘হেট স্পিচ’কে বহু যোজন ছাড়িয়ে রীতিমতো জাতিনিধন বা জেনোসাইডের ডাক দিচ্ছে, আক্ষরিক ভাবেই করছে ‘দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষণা’ আজকের ভারতে একটা স্লোগান বা কৌতুকের দৌলতে, পরিবেশ আন্দোলন করা মায় মুমূর্ষু রোগীর জন্য অক্সিজেন খোঁজার ফলে সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে পড়তে হয় হরিদ্বার-দিল্লির অপরাধীরা কিন্তু অশেষ প্রশ্রয়ভোগী, যেমন আইনের হাতে, তেমনই আমাদের পরম প্রগল্‌ভ নেতাদের নীরবতায় একমাত্র উপরাষ্ট্রপতি ধিক্কার জানিয়েছেন, তাও সরাসরি নয় শাসক শিবির যে নির্বিকার, তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই বিরোধী দলগুলি তাদের মৌনের লজ্জা কোথায় ঢাকবে তারাই জানে, যদি লজ্জাবোধ আদৌ অবশিষ্ট থাকে মোক্ষম প্রশ্নটা কিন্তু আমাদের নিজেদের প্রতি
'সরকার না জড়ালে এমন হামলা হতে পারে না'
বিকল্পের সন্ধান
‘ছবিতে আমার দৃশ্য বেশি থাকলে অভিনেতারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন!’
সামনে শেখ হাসিনার অনুমতি নিয়ে নামাজ পড়তে হবে: বুলু
politics
চট্রগ্রাম অফিস:   বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, মানুষ এখন জানাজার নামাজও পড়তে পারে না। সামনে এমন দিন আসবে, আমার মনে হয় শেখ হাসিনা থেকে অনুমতি নিয়ে নামাজ পড়তে হবে। আমরা স্বাধীনভাবে নামাজ পড়তে চাই। আমাদের এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়ে বিদায় নেন। অন্যথায় পালানোর পথ পাবেন না। আজকের আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগ নয়। আজকের আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের অনুমোদনের আওয়ামী লীগ। তিনি শুক্রবার (১৮ আগষ্ট) বিকালে কাজীর দেউরী নুর আহম্মেদ সড়কে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি'র শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারুন অর রশিদ ভিপি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।  বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, একদিনের ঘোষণায় লাখ লাখ মানুষ গণমিছিলে যোগ দিয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় বিএনপির রাজনীতিতে জনগণ একতাবদ্ধ। এই সরকার হিংসার কারণে তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান উচ্চতর ডিগ্রিধারী। তাদের পরিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রেখেছে। তাকেও মিথ্যা মামলার আসামী করে সাজা দেওয়া হয়েছে।  বুলু বলেন, তারেক রহমানকে ৫০ লাখ মানুষ স্বাগত জানাতে যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন তাকে মামলার সাজা দেওয়া হয়েছে। এই থেকে বোঝা যায়, এটি রাজনীতির হিংসার প্রতিফলন। এই বাংলাদেশে শেখ হাসিনার রক্ষা হবে না। আপনি খালেদা জিয়াকেও মামলা দিয়ে সাজা দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার পা ধরে মাফ চাইতে হবে। এছাড়া আপনার কোনো গতি নেই। প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়। শেখ হাসিনাকে এদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। দেশে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই, তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আজকে সরকারের অবস্থান দেশেও নাই, বিদেশেও নাই। আমরা সরকারের পতনের দাবিতে একদফার আন্দোলনে আছি। বিজয় আমাদের হবেই। শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ এখন ডেঙ্গুর দেশে পরিণত হয়েছে। এই সরকার মানুষের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার পূরণ করতে পারছে না। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিনা ভোটের মেয়র মশার ওষুধ স্প্রে করেছে। কিন্তু এমন ওষুধ কিনেছে, মশা মারা যায় না। সবকিছু দুর্নীতিতে সয়লাব করে ফেলেছে। বেগম খালেদা জিয়ার মৌলিক অধিকার হরণ করে উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমান অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। এই সরকার পালাবার পথ খুঁজে পাবে না। তাই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে মানুষের অধিকার রক্ষায় সংগ্রামে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।    আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার পর থেকে ক্ষমতালোভের কারণে জনগণের প্রতি অমানবিক আচরণ করে আসছে। এরা গণতন্ত্রকে হত্যা করে গোটা জাতিকে খন্ড বিখন্ড করেছে। দেশে চলছে এক ভয়াল নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক লক্ষ্য হচ্ছে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। আবু সুফিয়ান বলেন, ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী দেশে বিদেশে বিলাসী জীবন যাপনকে নির্বিঘ্ন রাখতেই ক্ষমতার আড়ালে মহাদুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে। গণতন্ত্রকে কঙ্কালে পরিণত করে চিরস্থায়ী ক্ষমতার বলয় তৈরি করেছে। অবৈধ সরকারের দানবীয় তান্ডবে মানুষের মৌলিক অধিকার সবকিছুকেই ডাকাতি করা হয়েছে। এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, শামসুল আলম, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, মো. শাহাবুদ্দীন, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নুর হোসাইন, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের শম জামাল উদ্দিন, মহানগর কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, সদস্য সচিব এড. আবদুল আজিজ, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন প্রমূখ।  এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ //
তাদের পরিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রেখেছে তাকেও মিথ্যা মামলার আসামী করে সাজা দেওয়া হয়েছে  বুলু বলেন, তারেক রহমানকে ৫০ লাখ মানুষ স্বাগত জানাতে যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন তাকে মামলার সাজা দেওয়া হয়েছে এই থেকে বোঝা যায়, এটি রাজনীতির হিংসার প্রতিফলন এই বাংলাদেশে শেখ হাসিনার রক্ষা হবে না আপনি খালেদা জিয়াকেও মামলা দিয়ে সাজা দিয়েছেন খালেদা জিয়ার পা ধরে মাফ চাইতে হবে এছাড়া আপনার কোনো গতি নেই প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের নির্বাচিত সরকার নয় শেখ হাসিনাকে এদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে দেশে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই, তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে আজকে সরকারের অবস্থান দেশেও নাই, বিদেশেও নাই আমরা সরকারের পতনের দাবিতে একদফার আন্দোলনে আছি বিজয় আমাদের হবেই শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ এখন ডেঙ্গুর দেশে পরিণত হয়েছে
‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাব, প্রস্তুত হোন’
অনুমতি পেলেই আকাশপথে হবে ‘ফুড ডেলিভারি’
সম্পাদক সমীপেষু: অসত্যের আড়াল
এখনও মেলেনি সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র, বাংলাদেশে ‘জওয়ান’ মুক্তি ঘিরে অনিশ্চয়তা
entertainment
৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩। বিশ্ব জুড়ে মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খানের ছবি ‘জওয়ান’। অ্যাটলি পরিচালিত ‘অ্যাকশন এন্টারটেনার’ ঘরানার এই ছবি ঘিরে উত্তেজনায় ফুটছে গোটা দেশ। শুধু ভারতই নয়, শাহরুখের ক্যারিশমা বড় পর্দায় দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন আমেরিকা, দুবাইয়ের দর্শক এবং অনুরাগীরাও। আর ভারতের পড়শি দেশ? সাধারণ ভাবে, বিদেশি ছবি মুক্তির ক্ষেত্রে নির্ধারিত দিনের কয়েক দিন পরে বাংলাদেশে মুক্তি পায় সেই ছবি। তবে ‘জওয়ান’-এর ক্ষেত্রে তা হওয়ার কথা ছিল না। ৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশেও মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল শাহরুখের ছবির। ৭ সেপ্টেম্বর দিন গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও এখনও সেই মুক্তি ঘিরে রয়েছে ধোঁয়াশা। আদৌ কি বাংলাদেশে মুক্তি পাবে ‘জওয়ান’? বড় মাছ নাকি গিলে খাবে ছোট মাছকে! ‘জওয়ান’-এর মতো এত বড় মাপের ছবি দেশের সর্বত্র মুক্তি পেলে স্থানীয় ছবি ও তার সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের জায়গা কোথায়? প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের কিছু স্থানীয় শিল্পী। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম মারফত খবর, প্রতিবাদীদের মধ্যে অন্যতম সে দেশের পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। বাংলাদেশে প্রযোজক সমিতির অলিখিত নিয়ম অনুযায়ী, ইদ ছাড়া একই সপ্তাহে দু’টির বেশি ছবি মুক্তি পায় না বাংলাদেশে। এ দিকে ৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে দু’টি বাংলাদেশি সিনেমা। তাদের মধ্যে একটি দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘সুজন মাঝি’, অন্যটি মুশফিকুর রহমান গুলজারের ‘দুঃসাহসী খোকা’। ৮ সেপ্টেম্বর এই দু’টি ছবির মুক্তি আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে আর কোনও ছবির মুক্তি সম্ভব নয় বলে দাবি দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ৭ সেপ্টেম্বর ‘জওয়ান’ মুক্তি পেলে আন্দোলনে নামা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না তাঁর কাছে। অন্য দিকে, শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশ সেন্সর বোর্ড নাকি সবে ‘জওয়ান’ দেখার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই অবস্থায় কি ৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবারই সেখানে ‘জওয়ান’-এর মুক্তি সম্ভব? তা নিয়েই তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এর আগে বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছিল ‘পাঠান’ ও ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’। দু’টি ছবিই আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারেনি। তৃতীয় ভারতীয় ছবি হিসাবে কি সেই ধারা ভাঙতে পারবে ‘জওয়ান’? উত্তর মিলবে ছবির মুক্তি ঘিরে অনিশ্চয়তা কাটার পরে।
এ দিকে ৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে দু’টি বাংলাদেশি সিনেমা তাদের মধ্যে একটি দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘সুজন মাঝি’, অন্যটি মুশফিকুর রহমান গুলজারের ‘দুঃসাহসী খোকা’ ৮ সেপ্টেম্বর এই দু’টি ছবির মুক্তি আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে আর কোনও ছবির মুক্তি সম্ভব নয় বলে দাবি দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ৭ সেপ্টেম্বর ‘জওয়ান’ মুক্তি পেলে আন্দোলনে নামা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না তাঁর কাছে অন্য দিকে, শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশ সেন্সর বোর্ড নাকি সবে ‘জওয়ান’ দেখার প্রক্রিয়া শুরু করেছে এই অবস্থায় কি ৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবারই সেখানে ‘জওয়ান’-এর মুক্তি সম্ভব? তা নিয়েই তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা এর আগে বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছিল ‘পাঠান’ ও ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’
ছবির মুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত ধোঁয়াশা, আইপিএল ফাইনালেই কি অবশেষে আত্মপ্রকাশ করবে ‘জওয়ান’?
টানা বৃষ্টি, অনিশ্চয়তায় ম্যাচ
মেয়েদের মন কি বাত জানতে একবার আসুন প্রধানমন্ত্রী, আর্জি সাক্ষী-ভিনেশদের
ভারত থেকে ব্যবসা গোটালো HTC
technology
ভারত থেকে তল্পি তল্পা গুটিয়ে নিল তাইওয়ান স্মার্টফোন কোম্পানি HTC। একটি রিপোর্টে প্রকাশিত খবর অনুসারে, ভারতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান ফয়জল সিদ্দিকি, বিক্রয় ভাগের প্রধান বিজয় বালাচন্দ্রন এবং প্রোডাক্ট হেড আর. নারায়ণ ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে গেছেন। পরিস্থিতি বেশ ভীতিপ্রদ, কোম্পানি এ দেশে বণ্টন ও উৎপাদন দুইই বন্ধ করে দিয়েছে। [bc_video video_id=”5804313554001″ account_id=”5798671093001″ player_id=”default” embed=”in-page” padding_top=”56%” autoplay=”” min_width=”0px” max_width=”640px” width=”100%” height=”100%”] একসময়ে HTC সেরা ব্র্যান্ড হিসাবে পরিচিত ছিল। ভারতের বাজারে চলতি স্মার্টফোনের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল এই কোম্পানি। HTC-র প্রথম দিককার প্রিমিয়াম এবং মেটালবডির ফোনগুলি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল মোবাইল দুনিয়ায়। সাধ্যের দামে ডিজায়ার সিরিজের ফোন নিয়ে এসেছিল HTC। কিন্তু তার চেয়েও সস্তায় বেশি ফিচার সম্বলিত ফোন নিয়ে এসে একচেটিয়া বাজার শুরু করে ওপো ও শাওমি। যার ফলে HTC-র টিকে থাকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে। একটা সময়ে এই সংস্থার ফোনকে দীর্ঘজীবি হিসাবে গণ্য করা হত। মাইক্রোসফটের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে উন্নত অপারেটিং সিস্টেম গড়ে তোলার প্রবণতাও দেখা গিয়েছিল। ২০০৮ সালে প্রথম অ্যান্ড্রয়েড ফোন হিসাবে বাজারে আসে HTC-র ফোন। তবে সেসবই এখন ইতিহাস। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Htc india exit competition apple samsung xiaomi
একটি রিপোর্টে প্রকাশিত খবর অনুসারে, ভারতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান ফয়জল সিদ্দিকি, বিক্রয় ভাগের প্রধান বিজয় বালাচন্দ্রন এবং প্রোডাক্ট হেড আর. নারায়ণ ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে গেছেন পরিস্থিতি বেশ ভীতিপ্রদ, কোম্পানি এ দেশে বণ্টন ও উৎপাদন দুইই বন্ধ করে দিয়েছে [bc_video video_id=”5804313554001″ account_id=”5798671093001″ player_id=”default” embed=”in-page” padding_top=”56%” autoplay=”” min_width=”0px” max_width=”640px” width=”100%” height=”100%”] একসময়ে HTC সেরা ব্র্যান্ড হিসাবে পরিচিত ছিল ভারতের বাজারে চলতি স্মার্টফোনের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল এই কোম্পানি
ভারতে থেকে ফোনের ব্যবসা গোটাচ্ছে সোনি
ভারতে থেকে ফোনের ব্যবসা গোটাচ্ছে সোনি
অ্যাশেজে ২-০ এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া, কোন পথে ইংল্যান্ডকে হারালেন কামিন্সরা?
ভয় নয়, সতর্কতাই পথ, ন’দিন পর ঘরে ফিরে জানালেন ওমিক্রন জয় করা লন্ডন-ফেরত
kolkata
ন’দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরলেন আলিপুরের ওমিক্রন-জয়ী তরুণ। লন্ডন থেকে কলকাতায় ফিরে বিমানবন্দরে তাঁর করোনা ধরা পড়ে। জিন পরীক্ষায় দেখা যায় করোনার ওমিক্রন রূপে আক্রান্ত তিনি। কিন্তু কাশি ছাড়া আর কোনও উপসর্গ ছিল না তাঁর। শেষ পর্যন্ত গত ৪৮ ঘণ্টায় দু’বার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর তাঁকে বুধবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। লন্ডনে কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ওই তরুণ কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন গত ১৯ তারিখ রাতে। বিমানবন্দরে তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়। দেখা যায়, তিনি করোনা পজিটিভ। বাড়িতে আছেন মা, বাবা, বোন ও দাদু। আর কেউ যাতে সংক্রমিত না হয়ে পড়েন, সে জন্য ২০ তারিখ তরুণকে ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। একই সঙ্গে করা হয় জিন পরীক্ষাও। ২২ ডিসেম্বর জিন পরীক্ষার রিপোর্ট আসে, দেখা যায় তরুণ ওমিক্রনে আক্রান্ত। এই গোটা সময় ধরে একমাত্র কাশি ছাড়া তরুণের শরীরে বিশেষ কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। ২৬ ডিসেম্বর তরুণের আবার করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। নিয়ম হল, ৪৮ ঘণ্টা অন্তর ওমিক্রন আক্রান্তের দু’বার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট যদি নেগেটিভ আসে, তাহলে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। ২৬ তারিখ প্রথমবার নেগেটিভ আসার পর, ২৮ ডিসেম্বর আবার তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়। তার ফলও নেগেটিভ। এর পর ২৯ ডিসেম্বর, বুধবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। একমাত্র কাশি ছাড়া আর কোনও উপসর্গ না থাকায়, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তরুণ বেশ একঘেয়েমির শিকার হচ্ছিলেন। সময় কাটত মোবাইলে ওয়েব সিরিজ দেখে। বাড়ি ফেরার পথে তরুণ বলেন, ‘‘আমি তিন মাস আগে লন্ডন যাই। ওখানে আমার অনেক বন্ধুই ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই আমারও যখন করোনা ধরা পড়ল, মনে হয়েছিল ওমিক্রন হতে পারে। তবে ভয় পাইনি।’’ ওমিক্রন তোলপাড় ফেলে দিয়েছে বিশ্ব জুড়ে, তা থেকে ভয় না পাওয়ার কারণ কী? সদ্য ওমিক্রন জয় করে ঘরে ফেরা কলকাতার তরুণ বললেন, ‘‘লন্ডনে তো অনেকেরই হচ্ছে, আবার সেরেও উঠছে। তাই ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং বলব, সতর্কতা অবলম্বন করতে।’’ ওই বেসরকারি হাসপাতালের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য চিকিৎসক শাশ্বতী সিন্‌হা বলেন, ‘‘ওই তরুণ মৃদু উপসর্গ যুক্ত ছিলেন। ওমিক্রন একেবারেই নতুন একটি রূপ। তাই এর জন্য পৃথক কোনও চিকিৎসা বিধি এখনও নেই। তরুণের যেমন উপসর্গ ছিল, তেমন চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাতেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন তিনি। সাধারণ কেবিনে রেখেই তাঁর চিকিৎসা করা হয়েছে।’’ ওমিক্রন জয়ী তরুণের দুটি টিকাই নেওয়া ছিল। তবুও করোনা আক্রান্ত হন তিনি। বছর শেষের ছুটি কাটাতে বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে অনেকগুলো দিন চলে গেল হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে। আপাতত ছুটির বাকি দিনগুলো উপভোগ করতে চান ওমিক্রন-জয়ী লন্ডন ফেরত কলকাতার তরুণ।
রিপোর্ট আসে নেগেটিভ নিয়ম হল, ৪৮ ঘণ্টা অন্তর ওমিক্রন আক্রান্তের দু’বার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট যদি নেগেটিভ আসে, তাহলে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে ২৬ তারিখ প্রথমবার নেগেটিভ আসার পর, ২৮ ডিসেম্বর আবার তাঁর করোনা পরীক্ষা হয় তার ফলও নেগেটিভ এর পর ২৯ ডিসেম্বর, বুধবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় একমাত্র কাশি ছাড়া আর কোনও উপসর্গ না থাকায়, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তরুণ বেশ একঘেয়েমির শিকার হচ্ছিলেন সময় কাটত মোবাইলে ওয়েব সিরিজ দেখে বাড়ি ফেরার পথে তরুণ বলেন, ‘‘আমি তিন মাস আগে লন্ডন যাই ওখানে আমার অনেক বন্ধুই ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন তাই আমারও যখন করোনা ধরা পড়ল, মনে হয়েছিল ওমিক্রন হতে পারে তবে ভয় পাইনি’’ ওমিক্রন তোলপাড় ফেলে দিয়েছে বিশ্ব জুড়ে, তা থেকে ভয় না পাওয়ার কারণ কী? সদ্য ওমিক্রন জয় করে ঘরে ফেরা কলকাতার তরুণ বললেন, ‘‘লন্ডনে তো অনেকেরই হচ্ছে, আবার সেরেও উঠছে তাই ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই বরং বলব, সতর্কতা অবলম্বন করতে
পথ নিরাপত্তা সপ্তাহে জরিমানা নয়, পুরস্কারে আস্থা পুলিশের
ভয় নয়, দরকার সতর্কতা: করোনা প্রসঙ্গে সেলিম
ইরপিন ও সুমি শহর থেকে বের হচ্ছেন বেসামরিক লোকজন
বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হোটেলে ঢুকল ট্রাক, হত ৫
international
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হোটেলে ঢুলক ট্রাক ঘটনায় নিহত হলেন পাঁচজন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বাংলাদেশের যশোর জেলার মণিরামপুরে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ট্রাকটি যশোরের দিক থেকে মনিরামপুরের দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি দ্রত গতিতে এসে প্রথমে বাবা ও ছেলেকে ধাক্কা মেরে একটি হোটেলের মধ্যে ঢুকে পড়ে। খরর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ক্রেনের সাহায্যে হোটেলের মধ্যে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। দুর্ঘটনার পর থেকে ট্রাকের চালক ও খালাসির খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে। পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে যশোরের একটি হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। পুলিশের অনুমান  ট্রাকের চালক চালক ঘুমের ঘোরে থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেতে পারে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে রাস্তার পাশে থাকা অন্তত ১০- ১২টি দোকানে ধাক্কা মারে ট্রাকটি। ক্ষতিগ্রস্থ হয় দোকানগুলি। ঘটনায় হোটেলে আসা এবং পথচারী মিলিয়ে মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয়রা যশোর রোড অবরোধ করে রাখেন। প্রায় ঘন্টা দুয়েক চলতে থাকে অবরোধ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।
বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই দুর্ঘটনার পর থেকে ট্রাকের চালক ও খালাসির খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে যশোরের একটি হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের অনুমান  ট্রাকের চালক চালক ঘুমের ঘোরে থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেতে পারে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে রাস্তার পাশে থাকা অন্তত ১০- ১২টি দোকানে ধাক্কা মারে ট্রাকটি
রাজস্থানে গাড়ি ও ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত পাঁচ
ভিড় নিয়ন্ত্রণে ছোট পুজোতেও পুলিশি পাহারা
পেরুতে বাস গভীর খাদে পড়ে নিহত ২৪
চীনে লিওনেল মেসির খেলা দেখতে শতশত ডলার দিয়ে টিকেট কিনেছে দর্শকরা
international
মেসিকে দেখতে শতশত ডলার খরচ করেছেন ভক্তরা বেইজিং-এ গ্রীষ্মের এক তপ্ত রাতে, লিওনেল মেসি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলার মাত্র ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে গোল করলেন। আর এটিই হাজার হাজার চীনা সমর্থককে মুগ্ধ করে তোলে। বৃহস্পতিবার রাতে চীনের রাজধানীতে যেন নীল আর সাদা রঙের আর্জেন্টিনার জার্সির সাগর তৈরি হয়, যার প্রত্যেকটির পেছনের অংশে লেখা ছিল একটি নাম- মেসি। প্রতি গ্রীষ্মেই বেইজিং সাধারণত একটি আমন্ত্রণমূলক বন্ধুত্বপূর্ণ ফুটবল খেলার আয়োজন করে। এবার আয়োজকরা এমন একজন খেলোয়াড়ের নেতৃত্বে একটি দল বেছে নিয়েছেন, যিনি অন্য যে কারো চেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম। দলে দলে সমর্থকরা বেরিয়ে আসলো, এই বিখ্যাত দলটির জন্য খুব বেশি একটা সমর্থন দেখানোর জন্য নয় বরং একজন মাত্র মানুষকে অভিবাদন জানানোর জন্য যার ছবি দীর্ঘদিন ধরে বিলবোর্ডে প্রদর্শন করে প্রায় সব ধরণের পণ্য বিক্রিরই ব্যবসা করা হচ্ছিলো। ছবির উৎস, Getty Images খেলা চলাকালীন মাঠে ঢুকে যায় মেসির এক ভক্ত। ছবির উৎস, Getty Images স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। এটা ছিল এমন একটি দেশে স্টার পাওয়ার মার্কেটিং বা তারকার মাধ্যমে ব্যবসার একটি উপায় যে দেশে উচ্চমানের কোন খেলোধুলা খুব একটা হয় না। স্ট্যান্ডের চারপাশে উল্লাস প্রতিধ্বনিত হয়- মেসিইইই মেসিইইই- আর মাঝে মাঝে আহহ-জেন-টিং! (চীনা ভাষায় আর্জেন্টিনা)। খেলার টিকিট অত্যধিক হারে বিক্রি হয়েছিল। এগুলোর বেশিরভাগেরই দাম চারশো ডলার থেকে শুরু করে করে ৬৮০ ডলার পর্যন্ত ছিল। এর ফলে চীনা সোশ্যাল মিডিয়াতে এক ধরণের কৌতুক শুরু হয় যেখানে বলা হয়, নবনির্মিত ওয়ার্কার্স স্টেডিয়ামে এতো বেশি দাম আশাই করা যায় না। কিন্তু তারপরও ৬৮ হাজার টিকিট পলকে নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল। দর্শকরা এসেছিলেন পুরো চীন থেকে। লিওনেল মেসি না থাকলে, এটা হয়তো সম্ভবই হতো না। বৃহস্পতিবার রাতে খেলেছেন লিওনেল মেসি আর্জেন্টাইন তারকা চীনে পৌঁছানোর পর থেকেই বেইজিংয়ে মেসি ম্যানিয়া চলছে। ভক্তদের অনেকে দলটি যে হোটেলে উঠেছে তার বাইরে শিবিরি স্থাপন করে অবস্থান করেছে। এমনকি যা খেলার আগে অনুশীলনের জন্য বের হওয়া তাদের পক্ষে কঠিন করে তুলেছে। কিছু সমর্থক দামি ফাইভ-স্টার হোটেলের কক্ষ ভাড়া করেছেন শুধু এই আশায় যে, যদি খেলোয়াড়দের এক ঝলক দেখা যায় যারা তাদের দেশকে বিশ্বকাপের গৌরব অর্জন করে এনে দিয়েছিলেন। তাকে দেখার একটি বিকল্প সুযোগ সম্প্রতি ভক্তদের জন্য এসেছিল। আর তা হচ্ছে, তাওবাও নামে একটি অনলাইন বিক্রয় প্ল্যাটফর্ম একটি ফ্যান প্রমোশন লাইভ স্ট্রিমের আয়োজন করেছিল। এই অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেয়ার সুযোগ খুব সস্তা ছিল না। বরং তাওবাও এর মাধ্যমে পকেট ভরেছে এবং স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৫ লাখ দশর্ক এই লাইভ অনুষ্ঠান দেখেছিল। ছবির উৎস, Getty Images আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে হাজার হাজার দর্শক খেলা দেখেছেন। প্রকৃতপক্ষে, মেসির উপস্থিতি ঘিরে বেইজিংয়ে উন্মাদনা এতটাই চরম ছিল যে, পুলিশকে ভক্তদের সতর্ক করেছিল যে তারা যাতে মেসির সাথে ডিনার বা এরকম কোন ভিআইপি সুযোগের প্রস্তাব পেয়ে প্রতারিত না হন। চীনে মেসির বিশাল পরিচিত আছে। তার নাম এমন মানুষেরাও জানে যারা হয়তো ফুটবল সম্পর্কে আর কিছুই জানে না। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের চীনের জাতীয় দলের বিপক্ষে মাঠে না নামিয়ে বরং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নামানোটা একটা আকর্ষনীয় সিদ্ধান্ত ছিল। তত্ত্বগতভাবে, প্রোমোটাররা আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলতে যেকোনো দলকে আমন্ত্রণ জানাতে পারতেন। অনেকে মনে করেন যে, আয়োজকরা চীনা দর্শকদের নিজের দেশের বিরুদ্ধে মেসিকে গোল করতে দেখে আবার মেসির জন্য উল্লাস করার মধ্যে যে একটা ঝুঁকি তৈরির আশঙ্কা রয়েছে সেটি চাননি। শেষ পর্যন্ত তারা এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল অস্ট্রেলিয়াকে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছে। আর অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য, তাদের আসলে হারানোর কিছুই ছিল না। ছবির উৎস, Getty Images চীনের দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছিল আর্জেন্টিনা দল ও লিওনেল মেসি। গত বছর কাতারে বিশ্বকাপে শেষ ১৬-তে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ২-১ গোলে পরাজিত হওয়ার পর কেউ কল্পনাই করেনি যে, তারা এবার জিতবে। তারা তুলনামূলক নতুন একটি দল নিয়ে বেইজিং গেছে, সেখানে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের সাথে তাদেরকে মাঠে নামিয়েছে, আগামী বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি হিসেবে। এরপরও, অল্পসংখ্যক অস্ট্রেলিয়ান সমর্থক যারা মাঠে উপস্থিতি ছিলেন, তাদের উল্লাসিত হওয়ার মতো পর্যাপ্ত উপাদন ছিল। মেসির প্রথম গোলের পর তারা আর্জেন্টিনার আক্রমণের প্রতিহত করে এবং তারা আক্রমণাত্মকভাবে খেলতে শুরু করে। গোল করার বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করলেও চীনা জনতা উল্লাস করে এবং প্রশংসায় হাততালি দেয়। কিন্তু, এ ধরণের একটি প্রীতি ম্যাচেও, আর্জেন্টিনা নিজেদেরকে আলাদা করে ধরে রেখেছিল এবং তাদের দ্বিতীয় গোলটি তাদের জয় নিশ্চিত করে। ছবির উৎস, Getty Images ৬৮ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামটি তিন বছর ধরে সংস্কারের পর গত এপ্রিলে খুলে দেয়া হয়। খেলা শেষ হওয়ার পর, শিশু আর বয়স্কদের একটি জনস্রোত স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে আসে এবং এতে করে বেইজিংয়ের সানলিতুন জেলার রাস্তাগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এসব ভক্তদের মধ্যে অনেকের মুখে রঙ করা ছিল। মেজাজ ছিল উল্লাসিত। এত টাকা খরচ করে মানুষ আফসোস করেছে বলে মনে হয়নি। "এটা সত্যিই উত্তেজনাপূর্ণ ছিল," একজন তরুণী বিবিসিকে বলেছেন। "টিকিটের দাম অনুযায়ী আয়োজনটা উপভোগ্য ছিল। অবসরে যাওয়ার আগে এটিই হবে মেসির শেষ চীন সফর। তাই এটি সত্যিই মূল্যবান ছিল।" "এটি একটি দুর্দান্ত খেলা ছিল," একজন ব্যক্তি বলেন। "মেসির প্রথম গোলটি আমি সত্যিই পছন্দ করি।" আর তার প্রিয় খেলোয়াড় কে, আমি জিজ্ঞেস করলাম? তিনি পেছনে ঘুরে তার আর্জেন্টিনার ফুটবল জার্সির পিছনে মেসি লেখাটা দেখিয়ে দিলেন। চাইনিজ ভক্তরা এমন একটি জাতীয় দল পেতে খুব পছন্দ করবে যারা একদিন অন্যান্য শীর্ষ-স্তরের দলগুলোর সাথে মিশে যেতে পারবে। ততদিন পর্যন্ত এই ভক্তদের অনেকেই বড় নাম আর বড় ক্লাবকে অনুসরণ করবে। তবে এই সপ্তাহে চীনে এমন একজন খেলোয়াড় ছিলেন যিনি ইতিমধ্যে নিজের দেশে কিংবদন্তি হয়ে উঠেছেন। লিওনেল মেসির খ্যাতির কারণে বিশ্বের অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়ে আর্জেন্টিনা বিশাল জনতার সামনে দৌড়ে খেলেছে যা তাদের জন্য ঘরের মাঠে খেলার মতোই অনুভূতি দিয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, মেসির উপস্থিতি ঘিরে বেইজিংয়ে উন্মাদনা এতটাই চরম ছিল যে, পুলিশকে ভক্তদের সতর্ক করেছিল যে তারা যাতে মেসির সাথে ডিনার বা এরকম কোন ভিআইপি সুযোগের প্রস্তাব পেয়ে প্রতারিত না হন চীনে মেসির বিশাল পরিচিত আছে তার নাম এমন মানুষেরাও জানে যারা হয়তো ফুটবল সম্পর্কে আর কিছুই জানে না বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের চীনের জাতীয় দলের বিপক্ষে মাঠে না নামিয়ে বরং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নামানোটা একটা আকর্ষনীয় সিদ্ধান্ত ছিল তত্ত্বগতভাবে, প্রোমোটাররা আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলতে যেকোনো দলকে আমন্ত্রণ জানাতে পারতেন অনেকে মনে করেন যে, আয়োজকরা চীনা দর্শকদের নিজের দেশের বিরুদ্ধে মেসিকে গোল করতে দেখে আবার মেসির জন্য উল্লাস করার মধ্যে যে একটা ঝুঁকি তৈরির আশঙ্কা রয়েছে সেটি চাননি শেষ পর্যন্ত তারা এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল অস্ট্রেলিয়াকে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছে আর অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য, তাদের আসলে হারানোর কিছুই ছিল না ছবির উৎস, Getty Images চীনের দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছিল আর্জেন্টিনা দল ও লিওনেল মেসি গত বছর কাতারে বিশ্বকাপে শেষ ১৬-তে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ২-১ গোলে পরাজিত হওয়ার পর কেউ কল্পনাই করেনি যে, তারা এবার জিতবে তারা তুলনামূলক নতুন একটি দল নিয়ে বেইজিং গেছে, সেখানে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের সাথে তাদেরকে মাঠে নামিয়েছে, আগামী বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি হিসেবে এরপরও, অল্পসংখ্যক অস্ট্রেলিয়ান সমর্থক যারা মাঠে উপস্থিতি ছিলেন, তাদের উল্লাসিত হওয়ার মতো পর্যাপ্ত উপাদন ছিল মেসির প্রথম গোলের পর তারা আর্জেন্টিনার আক্রমণের প্রতিহত করে এবং তারা আক্রমণাত্মকভাবে খেলতে শুরু করে গোল করার বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করলেও চীনা জনতা উল্লাস করে এবং প্রশংসায় হাততালি দেয় কিন্তু, এ ধরণের একটি প্রীতি ম্যাচেও, আর্জেন্টিনা নিজেদেরকে আলাদা করে ধরে রেখেছিল এবং তাদের দ্বিতীয় গোলটি তাদের জয় নিশ্চিত করে ছবির উৎস, Getty Images ৬৮ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামটি তিন বছর ধরে সংস্কারের পর গত এপ্রিলে খুলে দেয়া হয় খেলা শেষ হওয়ার পর, শিশু আর বয়স্কদের একটি জনস্রোত স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে আসে এবং এতে করে বেইজিংয়ের সানলিতুন জেলার রাস্তাগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় এসব ভক্তদের মধ্যে অনেকের মুখে রঙ করা ছিল মেজাজ ছিল উল্লাসিত
মেসি দর্শন, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার ম্যাচ দেখতে ৮৩ হাজারের স্টেডিয়ামে টিকিট চান সাড়ে ১৫ লক্ষ মানুষ
অ্যাডিনো রুখতে নির্দেশিকা রাজ্যের
বছরে প্রায় ৩২৭১ কোটি! কোন ক্লাবে সই করতে চলেছেন মেসি?
ভারতীয় ছবির জগতে ঝড় তুলতে আসছে দক্ষিণী ছবি 'পন্নিইন সেলভান'
kolkata
খুব শীঘ্রই আসছে দক্ষিণী পরিচালক মণিরত্নমের নতুন ছবি ‘পোন্নিয়িন সেলভান’। ছবির চাকচিক্য, যুদ্ধের চাল দেখে অনুরাগীরা মনে করছেন এ ছবি 'বাহুবলী'-কে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। ছবিতে পাজুভোরের রানি নন্দিনীর বেশে আসবেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। ছবিতে শাড়ি আর গা ভর্তি গয়নায় দেখা যাচ্ছে তাঁকে। তামিল লেখক কল্কি কৃষ্ণমূর্তির জনপ্রিয় উপন্যাস 'পন্নিইন সেলভান' অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে এই ছবি। দশম শতাব্দীতে চোল সাম্রাজ্যের প্রেক্ষাপট ধরা পড়বে এই ছবিতে। কার্যত দশম শতাব্দীতে চোল সাম্রাজ্যের সময়কালে পরিবারের উত্তরসুরিদের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলে যে হিংসাত্মক পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তাই তুলে ধরা হবে এই ছবিতে। তামিল, হিন্দি, তেলুগু, মালায়লম, কন্নড় ভাষায় ‘পোন্নিয়িন সেলভান’ এর প্রথম পর্ব মুক্তি পেতে চলেছে। এই ছবিতে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন থাকবেন দ্বৈত ভূমিকায়। এ ছাড়াও ছবিতে দেখা যাবে বিক্রম কার্তি, ত্রিশা কৃষ্ণন, প্রকাশ রাজ, জয়রাম, জয়ম রবি এবং ঐশ্বরিয়া লক্ষ্মীকে।
ছবিতে শাড়ি আর গা ভর্তি গয়নায় দেখা যাচ্ছে তাঁকে তামিল লেখক কল্কি কৃষ্ণমূর্তির জনপ্রিয় উপন্যাস 'পন্নিইন সেলভান' অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে এই ছবি দশম শতাব্দীতে চোল সাম্রাজ্যের প্রেক্ষাপট ধরা পড়বে এই ছবিতে
কর্ণের চরিত্রে সূর্য! দক্ষিণে আধিপত্য বিস্তারের পর লক্ষ্য এ বার বলিউড, ছবির পরিচালক কে?
দক্ষিণের ছবিতে প্রভাসের সঙ্গে রয়েছেন সঞ্জয়? শুটিং স্পট থেকে গোপন ছবি ফাঁস
খাড়গেকে শুভেচ্ছা জানানো নিয়েও দ্বিধাবিভক্ত বিজেপি, মোদী জানালেন অভিনন্দন, অন্য নেতারা কটাক্ষ
শাকিবকে নিয়ে আক্ষেপ যাচ্ছে না বাংলাদেশের বিদেশি কোচের
sports
দিন কয়েক আগে এক দিনের ক্রিকেটে ৭০০০ রান পূর্ণ করেছেন শাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের মতে, আরও বেশি রান করা উচিত ছিল শাকিবের। বাংলাদেশের হয়ে খেলায় প্রতিভা অনুযায়ী রান করতে পারেননি বাঁহাতি অলরাউন্ডার। এক দিনে ক্রিকেটে এত দিনে ১০ বা ১২ হাজার রান হয়ে যাওয়া উচিত ছিল শাকিবের। তিনি ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা ভারতের ক্রিকেটার হলে এত দিনে সেই রান হয়ে যেত বলেই মনে করেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশের কোচ বলেছেন, ‘‘শাকিব অধিকাংশ সময় বাংলাদেশের মাটিতে খেলেছে। একটা সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের শক্তি অন্য দেশগুলির থেকে কম ছিল। বিশেষ করে বোলিং শক্তিতে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। গত পাঁচ-ছ’বছর তেমন পরিস্থিতি নেই। তবে শাকিবের শুরুর সময় পরিস্থিতি সহজ ছিল না।’’ সনৎ জয়সূর্য এবং শাহিদ আফ্রিদির পর বিশ্বের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসাবে এক দিনের ক্রিকেটে ৭০০০ রান এবং ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন শাকিব। সেই প্রসঙ্গে কথা বলার সময় বাংলাদেশের কোচ বলেছেন, ‘‘শাকিবের রান কম হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। বাংলাদেশের উইকেটে প্রচুর রান করা সহজ নয়। শাকিব ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা ভারতের ক্রিকেটার হলে এত দিনে ১০ থেকে ১২ হাজার রান করে ফেলত। শাকিব অত্যন্ত প্রতিভাবান ক্রিকেটার। ও যা অর্জন করেছে, সেটাও দুর্দান্ত।’’ হাথুরুসিংহের মতে শাকিবের প্রতিভা সম্পূর্ণ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। আরও ভাল মাঠ, পিচ পেলে শাকিব অনেক বেশি সফল হতেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের পাশাপাশি হাথুরুসিংহে প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশের এক দিনের দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালেরও। গত সোমবার আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫০০০ রান পূর্ণ করেছেন তামিম। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। তামিমকেও এই কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন কোচ। বাংলাদেশের হয়ে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দ্রুততম রানের জন্য প্রশংসা করেছেন মুশফিকুর রহিমেরও।
বাংলাদেশের কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের মতে, আরও বেশি রান করা উচিত ছিল শাকিবের বাংলাদেশের হয়ে খেলায় প্রতিভা অনুযায়ী রান করতে পারেননি বাঁহাতি অলরাউন্ডার এক দিনে ক্রিকেটে এত দিনে ১০ বা ১২ হাজার রান হয়ে যাওয়া উচিত ছিল শাকিবের তিনি ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা ভারতের ক্রিকেটার হলে এত দিনে সেই রান হয়ে যেত বলেই মনে করেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার হাথুরুসিংহে বাংলাদেশের কোচ বলেছেন, ‘‘শাকিব অধিকাংশ সময় বাংলাদেশের মাটিতে খেলেছে একটা সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের শক্তি অন্য দেশগুলির থেকে কম ছিল বিশেষ করে বোলিং শক্তিতে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ গত পাঁচ-ছ’বছর তেমন পরিস্থিতি নেই
শাকিবকে না জানিয়েই দল ঘোষণা! বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের মন্তব্যে বিতর্ক
কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর চূড়ান্ত সূচি
পায়ে চোট পেয়ে শয্যাশায়ী নায়ক! সেই ফাঁকেই চর্চিত প্রেমিকের জামা গায়ে গলালেন কৌশাম্বি?
বন্ধুকে বাঁচাতে জলে ঝাঁপ, পুকুরে তলিয়ে গেল দুই কিশোরই
kolkata
খেলতে গিয়ে পুকুরে তলিয়ে গেল দুই কিশোর। সোমবার বিকলে ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরের ডিএল খান রোডে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে খেলতে যাবার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তারা। মৃত দু’জন পরস্পরের বন্ধু বলেও জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল এসে তাদের উদ্ধার করে। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর দুই কিশোরের বয়স ১৪ বছরের আশপাশে। সোমবার দুপুরে বাড়িতে থেকে বেরিয়ে আলিপুরে খেলতে গিয়েছিল ওই দুই বন্ধু। সেই সময় ১৭/৭ ডিএল খান রোডে, পুকুরে পড়ে যায় এক কিশোর। তাকে উদ্ধারের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে আর এক কিশোর। কিন্তু সে তার বন্ধুকে উদ্ধার করতে পারেনি বলে জানাচ্ছে পুলিশ। বন্ধুকে উদ্ধার করতে গিয়ে সে-ও তলিয়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলের কাছে থাকা এক মহিলার চোখে পড়ে এই ঘটনা। তিনিই সাহায্যের জন্য আশপাশের লোকজনকে ডাকেন। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশকে। কিশোরদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যায় দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল। তাদের চেষ্টাতেই দুই কিশোরকে জল থেকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা জানান, দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
বন্ধুকে উদ্ধার করতে গিয়ে সে-ও তলিয়ে যায় দুর্ঘটনাস্থলের কাছে থাকা এক মহিলার চোখে পড়ে এই ঘটনা তিনিই সাহায্যের জন্য আশপাশের লোকজনকে ডাকেন খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশকে কিশোরদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যায় দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল তাদের চেষ্টাতেই দুই কিশোরকে জল থেকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়
Howrah: গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল দুই নাবালক
বন্ধ লিফট, বহুতলে ‘বন্দি’ সুখবৃষ্টির আবাসিকেরা
হস্টেলের দুরবস্থা দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
‘প্রয়োজনে কর্মীরা পথে নামবেন’, সংকট আরও বাড়ছে বুঝেই ঢোক গিললেন রাউত?
politics
মহা সংকট মহারাষ্ট্রে। যেভাবে একনাথ শিন্ডে শিবিরে একের পর এক শিবসেনা বিধায়কেরা ভিড়ছেন, তাতে সরকার টিকিয়ে রাখাই এখন মস্ত চ্যালেঞ্জ উদ্ধব ঠাকরেদের কাছে। এই পরিস্থিতিতে এবার ঢোক গিলতে শুরু করেছেন শিবসেনার দাপুটে নেতা তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউতও। ‘প্রয়োজনে শিবসেনার কর্মীরা রাস্তায় নামবেন’, কেন একথা রাউতের মুখে? গুয়াহাটির হোটেলে বসেই মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলার প্যাঁচ কষছেন শিবসেনার বিদ্রোহী নেতাদের প্রধান একনাথ শিন্ডে। ইতিমধ্যেই কম-বেশি প্রায় ৪০ শিবসেনা বিধায়ককে ভাঙিয়ে এনেছেন তিনি। সঙ্গে ৮-৯ জন নির্দল বিধায়ক ছাড়াও অন্য দল থেকেও কয়েকজন বিধায়ক রয়েছেন বলে দাবি শিন্ডে শিবিরের। শীঘ্রই উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গ ছেড়ে আরও কয়েককজন সেনা বিধায়কও তাঁর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন বলে জোরালো দাবি করেছেন শিন্ডে নিজে। আরও পড়ুন- আরও ধাক্কা উদ্ধবের, শিণ্ডে শিবিরে একাধিক সেনা সাংসদ ও ৪০০ কর্পোরেটর এক কথায় মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে এবার এক নজিরবিহীন সংকট তৈরি হয়েছে। এতদিন উদ্ধব ঠাকরের অন্যতম ঘনিষ্ঠ নেতা তথা সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বুক ফুলিয়ে বলছিলেন, ”শিন্ডে যাই বলুন, বিধানসভায় বিধায়কদের প্রয়োজনীয় সংখ্যা দেখাতে পারবেন উদ্ধব, তিনিই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।” যদিও এবার সেই রাউতের গলাতেই ভিন্ন সুর। রাজ্যের টালমাটাল রাজনৈতিক সংকট প্রসঙ্গে এবার সেনা সাংসদ বললেন, ”প্রয়োজনে শিবসেনার কর্মীরা রাস্তায় নামবেন”। আরও পড়ুন- চার্টার্ড বিমানেই খরচ ৫০ লক্ষ! শিন্ডেদের বিদ্রোহের নেপথ্যে কোটি কোটি টাকার খেলা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, এতদিন শিন্ডের কতৃত্বকে নাকচ করে নিজেদের পক্ষের বিধায়কদের মনোবল চাঙ্গা রাখার কৌশল নিয়েছিলেন রাউত। তবে সময় যত এগোচ্ছে মারাঠা রাজনীতির ছবিটাও ততই বদলাচ্ছে। শিবসেনার ঘর তো ভাঙছেই, একে-একে নির্দল বিধায়কেরাও শিন্ডে সখ্যতায় পা বাড়াচ্ছেন। এমনকী ছোট দল থেকেও কয়েকজন বিধায়ক নাকি শিন্ডে শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। এতেই আরও ব্যাকফুটে উদ্ধব শিবির। এবার তাই কর্মীদেরই প্রবল বিরোধিতার জন্য চাঙ্গা রাখার পথ ধরেছেন রাউতরা। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: If need be shiv sena workers will come out on roads sanjay raut warns shinde
যেভাবে একনাথ শিন্ডে শিবিরে একের পর এক শিবসেনা বিধায়কেরা ভিড়ছেন, তাতে সরকার টিকিয়ে রাখাই এখন মস্ত চ্যালেঞ্জ উদ্ধব ঠাকরেদের কাছে এই পরিস্থিতিতে এবার ঢোক গিলতে শুরু করেছেন শিবসেনার দাপুটে নেতা তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউতও ‘প্রয়োজনে শিবসেনার কর্মীরা রাস্তায় নামবেন’, কেন একথা রাউতের মুখে? গুয়াহাটির হোটেলে বসেই মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলার প্যাঁচ কষছেন শিবসেনার বিদ্রোহী নেতাদের প্রধান একনাথ শিন্ডে ইতিমধ্যেই কম-বেশি প্রায় ৪০ শিবসেনা বিধায়ককে ভাঙিয়ে এনেছেন তিনি সঙ্গে ৮-৯ জন নির্দল বিধায়ক ছাড়াও অন্য দল থেকেও কয়েকজন বিধায়ক রয়েছেন বলে দাবি শিন্ডে শিবিরের শীঘ্রই উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গ ছেড়ে আরও কয়েককজন সেনা বিধায়কও তাঁর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন বলে জোরালো দাবি করেছেন শিন্ডে নিজে
প্রাণনাশের হুমকি মিলছে, অভিযোগ রাউতের
মণিপুরে নিহত তিন গ্রামবাসী, নতুন করে উত্তেজনা উত্তর-পূর্বের রাজ্যে
ইউটিউব মিশন ২০২০: সিনেমা দেখুন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে
পুণ্যলাভের রাজনীতি! শেষ পর্যন্ত আর পাঁচ জনের মত থালা-বাসনও ধুতে হত রাহুলকে
politics
তাঁর ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর প্রাণহানির পিছনে ছিল পঞ্জাবের অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে সেনা অভিযান। এবার সেই স্বর্ণমন্দির ঘুরে দেখলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ‘ব্যক্তিগত এবং আধ্যাত্মিক সফর’ করতেই সোমবার স্বর্ণমন্দিরে যান কংগ্রেস নেতা। সেখানে তিনি মন্দির পরিদর্শন করেন। গুরুবাণী কীর্তন শোনেন। শিখ সম্প্রদায়ের সেবাকার্যে অংশগ্রহণ করেন। অন্য শিখ ভক্তদের মতই নীল কাপড়ে মাথা ঢেকে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন। স্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের দাবি, রাতে অমৃতসর শহরে কাটানোর পরিকল্পনাও করেছেন রাহুল গান্ধী। পঞ্জাবে কংগ্রেসের জমানা এখন অতীত। এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধীর অমৃতসর স্বর্ণমন্দির সফর ঘিরে পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আবেগের সৃষ্টি হয়েছিল। পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি রাজা ওয়ারিং সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ সোমবার সকালেই পোস্ট করে দেন, ‘রাহুল গান্ধী অমৃতসর সাহেবে আসছেন সত্যখণ্ড শ্রী হরমন্দির সাহেবে প্রণাম জানাতে। এটি তাঁর একান্তই ব্যক্তিগত এবং আধ্যাত্মিক সফর। আসুন তাঁর গোপনীয়তাকে সম্মান করি। দলের সকল কর্মীদের কাছে অনুরোধ, তাঁরা যাতে রাহুল গান্ধীর এই সফরে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে না-আসেন। আপনারা সকলেই আত্মিকভাবে তাঁর সঙ্গে জড়িত। পরের বার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।’ আরও পড়ুন- নাসিকে পেঁয়াজ বিক্রেতাদের ধর্মঘট: কী চাইছেন বিক্রেতারা, পেঁয়াজের দাম কি বাড়বে? স্থানীয় কংগ্রেস নেতা ভগবন্তপাল সিং সাচার বলেন যে রাহুল গান্ধী একটি চার্টার্ড বিমানে অমৃতসর শহরে এসেছিলেন। তিনি তাঁর রাত্রি যাপনের জন্য শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি (এসজিপিসি) পরিচালিত একটি হোটেলে রুমও বুক করেছেন। সাচার জানিয়েছেন, এবছর জানুয়ারিতে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার সময়ও রাহুল গান্ধী দরবার সাহিবে এসেছিলেন। সাচার আরও বলেন, ‘অতিরিক্ত, দরবার সাহেবের কাছে একটি ব্যক্তিগত হোটেলে তাঁর জন্য রুম বুক করা আছে। যদিও রাহুল গান্ধীর জন্য এসজিপিসি ইন-এ শুধুমাত্র একটি কক্ষ বুক করা আছে, তাঁর নিরাপত্তা কর্মীদের আরও কক্ষের প্রয়োজন হতে পারে, তাই ব্যক্তিগত হোটেলে বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: Rahul gandhi washes dishes as part of volunteer services in golden temple
পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি রাজা ওয়ারিং সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ সোমবার সকালেই পোস্ট করে দেন, ‘রাহুল গান্ধী অমৃতসর সাহেবে আসছেন সত্যখণ্ড শ্রী হরমন্দির সাহেবে প্রণাম জানাতে এটি তাঁর একান্তই ব্যক্তিগত এবং আধ্যাত্মিক সফর আসুন তাঁর গোপনীয়তাকে সম্মান করি দলের সকল কর্মীদের কাছে অনুরোধ, তাঁরা যাতে রাহুল গান্ধীর এই সফরে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে না-আসেন আপনারা সকলেই আত্মিকভাবে তাঁর সঙ্গে জড়িত পরের বার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন’ আরও পড়ুন- নাসিকে পেঁয়াজ বিক্রেতাদের ধর্মঘট: কী চাইছেন বিক্রেতারা, পেঁয়াজের দাম কি বাড়বে? স্থানীয় কংগ্রেস নেতা ভগবন্তপাল সিং সাচার বলেন যে রাহুল গান্ধী একটি চার্টার্ড বিমানে অমৃতসর শহরে এসেছিলেন
Rahul Gandhi: অমৃতসর স্বর্ণমন্দিরে রাহুল, গুরুদ্বার স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে ধুলেন বাসন
রাজনীতি আর খেলার মাঠ
গণঅবস্থানে যোগ দিতে নয়াপল্টনে জড়ো হচ্ছে বিএনপি নেতা কর্মীরা
বড়দিনে রাজ্যে ‘ছোট’ হল শীত! আরও বাড়বে তাপমাত্রা, সপ্তাহান্তে ঠান্ডা ফেরার পূর্বাভাস
kolkata
ডিসেম্বরের শেষে রাজ্যে উধাও হল শীতের আমেজ। বড়দিনেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল দিনের তাপমাত্রা। সোমবার পারদ আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও বাড়বে। ফলে বছর শেষে সে ভাবে ঠান্ডা উপভোগ করা যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, সপ্তাহের শেষ দিকে আবার ফিরে আসতে পারে ঠান্ডার আমেজ। রবিবার রাজ্যের তাপমাত্রা ছিল ১৭.২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। সোমবার তা আরও ৩ ডিগ্রি বেড়ে হয়েছে ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৬ ডিগ্রি বেশি। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী কয়েক দিন ১ থেকে ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তারপর ২ থেকে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে। সোমবার কলকাতা-সহ সারা রাজ্যেই আকাশ মেঘমুক্ত থাকবে। তবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আগামী কয়েক দিন সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে বলে হাওয়া অফিস সূত্রের খবর। রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি বাড়তে পারে। তার পর ২ থেকে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে। সোমবার রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৬ ডিগ্রি বেশি।
তবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আগামী কয়েক দিন সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে বলে হাওয়া অফিস সূত্রের খবর রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি বাড়তে পারে তার পর ২ থেকে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে সোমবার রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৬ ডিগ্রি বেশি
দক্ষিণবঙ্গে দু’দিনের বিরতির পর আবার ফিরবে শীত, উত্তরের জেলাগুলিতে বাড়বে কুয়াশার দাপট
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হলো
গোলপার্কে পরিত্যক্ত বাড়িতে আচমকাই আগুন, জানলা খুলতেই বেরিয়ে এল জমাট কালো ধোঁয়া
শ্রীদেবী, মাধুরী, আলিয়া নন, ১০০ কোটির ক্লাবে প্রথম নাম লেখান বলিপাড়ার কোন অভিনেত্রী?
entertainment
সত্তরের দশক থেকে শ্রীদেবী হোক বা নব্বইয়ের দশক থেকে মাধুরী দীক্ষিত, ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন, বলিপাড়ায় হিট ছবি উপহার দিয়েছেন বহু অভিনেত্রী। দীপিকা পাড়ুকোন, আলিয়া ভট্টের মতো নায়িকারাও বাদ পড়েননি। এই অভিনেত্রীরা সকলেই একের পর এক হিট ছবি উপহার দিলেও ব্যবসার ক্ষেত্রে বলিউডে ১০০ কোটি টাকার ক্লাবে কোন অভিনেত্রীর নাম স্বর্ণাক্ষরে উজ্জ্বল রয়েছে তা জানেন কি? বর্তমানে কোনও ছবি ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করতে চাইলে তার পথ আগের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে সহজ হয়েছে বলে বলিপাড়ার একাংশের দাবি।
এই অভিনেত্রীরা সকলেই একের পর এক হিট ছবি উপহার দিলেও ব্যবসার ক্ষেত্রে বলিউডে ১০০ কোটি টাকার ক্লাবে কোন অভিনেত্রীর নাম স্বর্ণাক্ষরে উজ্জ্বল রয়েছে তা জানেন কি? বর্তমানে কোনও ছবি ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করতে চাইলে তার পথ আগের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে সহজ হয়েছে বলে বলিপাড়ার একাংশের দাবি
১৬ বছর আগে বলিউডে প্রথম ১০০ কোটির ব্যবসা করতে পারত শাহরুখ-দীপিকার ছবি, দাবি পরিচালকের
হাজারো কথা বলেছেন, আদানিকে নিয়ে রা কাড়েননি মোদী, অভিযোগ রাহুলের
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু
Flipkart Dhamaka Days Sale 2018: শুরু হয়ে গিয়েছে ফ্লিপকার্ট ফেস্টিভ ধামাকা সেল, হাতের মুঠোয় মিলছে একগুচ্ছ অফার
technology
Flipkart Dhamaka Days Sale from 24th-27th October 2018: ফের শুরু হয়েছে  ফ্লিপকার্ট ফেস্টিভ ধামাকা ডেজ সেল। বিগ বিলিয়ন ডের পর এটাই তাদের দ্বিতীয় বৃহৎ অনলাইন সেল। সেল চলবে ২৪ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত। কাজেই যাঁরা বিগ বিলিয়ন ডে মিস করেছিলেন তাঁদের জন্য ফ্লিপকার্ট দিচ্ছে আরও একটা সুযোগ। কাজেই আপনার দীপাবলি এবং ভাইফোঁটার কেনাকাটা সেরে ফেলুন আজই। ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে ফ্লিপকার্ট ফেস্টিভ ধামাকা সেল। তবে ফ্লিপকার্ট প্লাস সদস্যরা বাড়তি সুযোগ পেয়েছেন এ ক্ষেত্রে। ২৩ অক্টোবর রাত ৯টার পর থেকেই তাঁদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সেল। উল্লেখ্য, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফ্লিপকার্ট, কাজেই অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের ডেভিট এবং ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা ১০ শতাংশ বাড়তি ছাড় পাবেন। EMI-তেও এই সুবিধা পাবেন অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা। পাশাপাশি no-cost EMI-এর সুবিধাও পাবেন তাঁরা। আরও পড়ুন: এমআইয়ের সঙ্গে কাটান দীপাবলি, দাম মাত্র ১ টাকা বিগ বিলিয়ন ডের মতোই ফ্লিপকার্ট ফেস্টিভ ডে এলইডি টিভি, ল্যপটপ এবং অন্যান্য ক্যাটাগরির জিনিসপত্রের ওপর অফারের ফ্ল্যাস সেলস দেবে। এই ডিলগুলি প্রতি আট ঘণ্টায় বদলাবে। এ ছাড়াও বিশেষ কিছু প্রোডাক্টের ওপর বাড়তি ১০ শতাংশ ছাড় মিলবে। দেখে নিন ফ্লিপকার্ট ফেস্টিভ ধামাকা ডে সেলের সেরা অফারগুলো স্মার্টফোনের ওপর একাধিক ছাড় মিলবে এই সেলে। তালিকায় রয়েছে ২১,৯৯০-র Oppo F9 (4GB, 64GB) পাবেন ১৮,৯৯০টাকায়, ২৩,৯৯০ টাকার Vivo V9 (4GB, 64GB) ১৫,০০০টাকায়, Lenovo K8 Plus (3GB, 32GB)। সঙ্গে পাবেন মোবাইল প্রোটেকশন প্ল্যান, এক্সচেঞ্জ অফার, সেল চলাকালীন বাইব্যাক গ্যারান্টি (অর্থাৎ ফেরৎ দেওয়া যাবে)। ZenFone Max Pro M1, ZenFone 5Z, ZenFone Max M1 and ZenFone Lite L1-এও মিলবে একগুচ্ছ অফার। ১৫,০০ টাকার ছাড় মিলবে ZenFone Max M1-তে এবং ১০০০টাকা ছাড় পাবেন ZenFone Lite L ফোনে। অনলাইনে দেওয়া অপশনগুলোর যেকোনও একটির মাধ্যমে পেমেন্ট করার পরই এই অফার পাবেন। প্রসঙ্গত, বাড়তি মাত্র ৯৯ টাকা দিলেই ZenFone Max M1 এবং ZenFone Lite L1 ফোনের জন্য ফ্লিপকার্ট কমপ্লিট মোবাইল প্রোটেকশন প্ল্যান পেতে পাবেন গ্রাহকরা। এই সপ্তাহর সেলে ইলেট্রনিক জিনিসের ওপর ৮০ শতাংশ ছাড় দিচ্চে ফ্লিপকার্ট। নিকন, সোনি, ক্যাননের DSLR ক্যামেরায় মিলবে ১৫০০টাকা পর্যন্ত ছাড়। ৭৫ শতাংশ ছাড় পাবেন জেবিএল, সোনি এবং স্কালক্যআন্ডির হেডফোনের ওপর। ২৭,৪৯০ টাকার Intel Core i3-এর ল্যাপটপ পাবেন ২১,৯৯০ টাকায়। যদিও কোন কোম্পানির ল্যাপটম মিলবে তা এখনও জানানো হয়নি। বড় স্ক্রিনের এলইডি টিভির ওপর একাধিক ছাড় মিলছে, ২৫,০০০ টাকার ৩২ ইঞ্চি এইচডি এলইডি টিভি মিলছে ১৫,৯৯৯ টাকায়, ২৫,৯০০ টাকার স্যামসং ৩২ ইঞ্চি এইচডি এলইডি টিভি মিলবে ১৫,৯৯৯ টাকায়। ৫৯,৯৯০ টাকার iFfalcon ৫৫ ইঞ্চি 4K স্মার্ট এলইডি টিভি পবেন ৪১,৯৯৯ টাকা জেনে নিন কীভাবে পাবেন এই ফ্লিপকার্ট ফেসটিভ ধামাকা ডেজ-র অফার পছন্দের অফারগুলি হাত ছাড়া না করতে ফ্লিপকার্ট প্লাসে সাইন ইন করুন, সেল শুরু হওয়ার তিন ঘণ্টা আগেই নোটিফিকেশন পাবেন আপনি। যেগুলো কিনতে চাইছেন সেগুলোর একটা উইশ লিস্ট বানিয়ে নিন।পেমেন্ট করার অনেকগুলো অপশন থাকবে। বিবেচনা করে বাছুন, এতে আপনার সুবিধে হবে। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড ব্যবহারকারীরা দামে ছাড় পাবেন। ফোন পের মাধ্যমে পেমেন্ট করলে ক্যাশব্যাক পাবেন। বেশি টাকার কেনাকাটিতে no-cost EMI-এর অপশনও রয়েছে পেমেন্টের ক্ষেত্রে।এক্সচেঞ্জ অফার সহ বাইব্যাক গ্যারান্টির মতো একাধিক সুবিধে মিলবে এখানে।যদি আপনি সেল চলাকালীন সাইটে থাকতে না পারেন সে ক্ষেত্রে ফ্লিপকার্ট মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করে রাখুন।সেল সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্য এবং পেমেন্টের সমস্ত তথ্য অ্যাকাউন্টে সেভ করে রাখলে পরবর্তীকালে সুবিধা হবে। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Flipkart festive dhamaka days sale starts today heavy discount offers from 24th to 27th october
৭৫ শতাংশ ছাড় পাবেন জেবিএল, সোনি এবং স্কালক্যআন্ডির হেডফোনের ওপর ২৭,৪৯০ টাকার Intel Core i3-এর ল্যাপটপ পাবেন ২১,৯৯০ টাকায় যদিও কোন কোম্পানির ল্যাপটম মিলবে তা এখনও জানানো হয়নি বড় স্ক্রিনের এলইডি টিভির ওপর একাধিক ছাড় মিলছে, ২৫,০০০ টাকার ৩২ ইঞ্চি এইচডি এলইডি টিভি মিলছে ১৫,৯৯৯ টাকায়, ২৫,৯০০ টাকার স্যামসং ৩২ ইঞ্চি এইচডি এলইডি টিভি মিলবে ১৫,৯৯৯ টাকায় ৫৯,৯৯০ টাকার iFfalcon ৫৫ ইঞ্চি 4K স্মার্ট এলইডি টিভি পবেন ৪১,৯৯৯ টাকা জেনে নিন কীভাবে পাবেন এই ফ্লিপকার্ট ফেসটিভ ধামাকা ডেজ-র অফার পছন্দের অফারগুলি হাত ছাড়া না করতে ফ্লিপকার্ট প্লাসে সাইন ইন করুন, সেল শুরু হওয়ার তিন ঘণ্টা আগেই নোটিফিকেশন পাবেন আপনি যেগুলো কিনতে চাইছেন সেগুলোর একটা উইশ লিস্ট বানিয়ে নিনপেমেন্ট করার অনেকগুলো অপশন থাকবে বিবেচনা করে বাছুন, এতে আপনার সুবিধে হবে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড ব্যবহারকারীরা দামে ছাড় পাবেন ফোন পের মাধ্যমে পেমেন্ট করলে ক্যাশব্যাক পাবেন বেশি টাকার কেনাকাটিতে no-cost EMI-এর অপশনও রয়েছে পেমেন্টের ক্ষেত্রেএক্সচেঞ্জ অফার সহ বাইব্যাক গ্যারান্টির মতো একাধিক সুবিধে মিলবে এখানেযদি আপনি সেল চলাকালীন সাইটে থাকতে না পারেন সে ক্ষেত্রে ফ্লিপকার্ট মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করে রাখুন
Flipkart Big Billion Days Sale 2019: পুজোর আগে নজরকারা ছাড় দিচ্ছে ফ্লিপকার্ট, চুটিয়ে করুন কেনাকাটা
Flipkart Sale: ফ্লিপকার্টের বিগ সেভিং ডে'জ সেলে কোন ফোনে কী কী অফার রয়েছে?
লাল রঙের হবে Nokia 8.1?
জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলা হয়েছিল, প্রথম ছবির তিক্ত অভিজ্ঞতা স্মরণ করলেন রিচা
entertainment
দীর্ঘ দিন সম্পর্কে থাকার পর গত বছর বিয়ে করেন রিচা চড্ডা এবং আলি ফজল। এক সময় রিচা নিজেই জানিয়েছিলেন যে আলিকে প্রেম নিবেদন করার পর অভিনেতা সম্মতি জানাতে ৩ মাস সময় নিয়েছিলেন। এ বার আলিকে নিয়ে নিজের মনের কথা জানিয়েছেন রিচা। একই সঙ্গে নিজের কেরিয়ারের এক তিক্ত অভিজ্ঞতা শুনিয়েছেন অভিনেত্রী। ইন্ডাস্ট্রিতে নতুনদের সঙ্গে যে সব সময় ইউনিটে ভাল ব্যবহার করা হয় তা নয়। কখনও কখনও সেখানে সহ-অভিনেতাদের ঈর্ষাও খারাপ ব্যবহারের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রিচাও কেরিয়ারের শুরুতে খারাপ ব্যবহারের শিকার হয়েছিলেন। বলিউডে রিচার প্রথম ছবি ছিল ‘ওয়ে লাকি লাকি ওয়ে’। এই ছবির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা শোনাতে গিয়ে রিচা বলেন, ‘‘কলেজ থেকে জ্বর গায়ে শুটিং করতে গিয়েছিলাম। এক জন দেরিতে আসবেন বলে তাঁর মেকআপ ভ্যান আমাকে ব্যবহার করতে বলা হয়।’’ ভ্যানে নিজের জিনিসপত্র রেখে সারা দিন শুটিং করেন রিচা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘ইতিমধ্যে জানতে পারি, ভ্যান থেকে আমার সব জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সত্যিই খুব খারাপ লেগেছিল।’’ ওই সাক্ষাৎকারেই রিচা বলেছেন যে, তাঁদের বিয়ে নিয়ে মানুষ যে উৎসাহ দেখাবে এ রকম কোনও ধারণা এই দম্পতির ছিল না। এর কারণ হিসেবে ‘মসান’-খ্যাত অভিনেত্রী তাঁর এবং আলির মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। সফল দাম্পত্যের রহস্য কী? প্রশ্নের উত্তরে রিচা জানান যে, সমস্ত দায়িত্ব দু’জনে ভাগ করে নিতে হবে। ব্যক্তিগত জীবনে রিচা এবং আলি সেটাই করে থাকেন। যেমন অভিনত্রী জানিয়েছেন, আলি যখন কাজে মুম্বইয়ের বাইরে থাকেন, তখন বাড়ির দেখভাল করেন রিচা। আবার স্ত্রী বাইরে থাকলে তখন বাড়ি পরিষ্কার থেকে শুরু করে বকেয়া বিল মেটানোর মতো সব কিছুই আলি করেন। আলির সঙ্গে নিজের সম্পর্ককে বন্ধুত্বের মোড়কেই দেখতে চান রিচা। কারণ তিনি জানিয়েছেন, স্বামীর মধ্যে তিনি একটি শিশুকে দেখতে পান। বাড়িতে আলি হাসি-ঠাট্টা এবং মজার পরিবেশ তৈরি করেন। ফলে তাঁদের সংসারে ঝগড়া-অশান্তির কোনও অবকাশ নেই। তাঁর জীবনে আলির আগমন না ঘটলে তিনি যে কোনও দিন ছাঁদনাতলায় বসতেন না সে কথাও স্পষ্ট জানিয়েছেন রিচা।
দীর্ঘ দিন সম্পর্কে থাকার পর গত বছর বিয়ে করেন রিচা চড্ডা এবং আলি ফজল এক সময় রিচা নিজেই জানিয়েছিলেন যে আলিকে প্রেম নিবেদন করার পর অভিনেতা সম্মতি জানাতে ৩ মাস সময় নিয়েছিলেন এ বার আলিকে নিয়ে নিজের মনের কথা জানিয়েছেন রিচা একই সঙ্গে নিজের কেরিয়ারের এক তিক্ত অভিজ্ঞতা শুনিয়েছেন অভিনেত্রী ইন্ডাস্ট্রিতে নতুনদের সঙ্গে যে সব সময় ইউনিটে ভাল ব্যবহার করা হয় তা নয় কখনও কখনও সেখানে সহ-অভিনেতাদের ঈর্ষাও খারাপ ব্যবহারের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায় রিচাও কেরিয়ারের শুরুতে খারাপ ব্যবহারের শিকার হয়েছিলেন বলিউডে রিচার প্রথম ছবি ছিল ‘ওয়ে লাকি লাকি ওয়ে’
সম্পাদকীয়: ‘র‌্যাগিং’-এর জন্ম
ঢাকা বিমানবন্দরেই বাংলাদেশের দ্বিতীয় ছবি সই সায়ন্তিকার, প্রথম ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
টমেটোর দাম বাঁধতে নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের
আজ আমাকে হেঁটে আসতে হয়েছে: মির্জা আব্বাস
politics
স্টাফ রিপোর্টার:  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপির অন্যতম অঙ্গসংগঠন হচ্ছে যুবদল। যুবদল ৪৩ বছরে পদার্পণ করেছে। এ কারণে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত, আত্মার মাগফেরাত কামনার জন্য আমরা এখানে এসেছি। আজ আমাকে হেঁটে আসতে হয়েছে। এর আগে এরকম কখনো হয়নি। আমাদের এখন হেঁটে আসতে হয়। আজ বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে যুবদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শেরে বাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এসব মন্তব্য করেন। মির্জা আব্বাস বলেন, যুবদল বিশাল দল। তবে যুবদলের হাতে গোনা কয়েকটা ছেলে আছে আমাদের সঙ্গে। নব্বইয়ের আন্দোলনে, ৯৬ আন্দোলনে দেশব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে। সরকারের বিরুদ্ধে যথাযথ কার্যক্রম নিয়েছেন এবং সরকারের পতনও হয়েছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, আজ এখানে যুবদলের লোকের চেয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোক দ্বিগুণ। এতে আমাদের টাকার অপচয় করা হচ্ছে এবং বিএনপিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যুবদল অনেক বড় দল, আমি আশা করি এরা আরও শক্তিশালী হবে। সরকার পতনের আন্দোলনকে জোরদার করবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে তাড়ানোর জন্য বিএনপি যথেষ্ট। এ কারণে সরকার বিএনপিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। দেশব্যাপী সহিংসতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব ঘটনা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রথমত বিএনপিকে সাম্প্রদায়িক দল হিসেবে জাতির কাছে তুলে ধরা। দ্বিতীয়ত ভারতে নির্বাচন চলছে সেই নির্বাচনকে প্রভাবিত করা। তৃতীয়ত বাংলাদেশ নির্বাচন আসছে সেই নির্বাচনে প্রভাব ফেলা। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
তবে যুবদলের হাতে গোনা কয়েকটা ছেলে আছে আমাদের সঙ্গে নব্বইয়ের আন্দোলনে, ৯৬ আন্দোলনে দেশব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে সরকারের বিরুদ্ধে যথাযথ কার্যক্রম নিয়েছেন এবং সরকারের পতনও হয়েছে বিএনপির এই নেতা বলেন, আজ এখানে যুবদলের লোকের চেয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোক দ্বিগুণ এতে আমাদের টাকার অপচয় করা হচ্ছে এবং বিএনপিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যুবদল অনেক বড় দল, আমি আশা করি এরা আরও শক্তিশালী হবে সরকার পতনের আন্দোলনকে জোরদার করবে
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস গ্রেপ্তার
জেলেনস্কি কি আমেরিকায় যাচ্ছেন আজ!
ভিডিয়ো দেখে সাত বছর পরে মাকে ফেরালেন ছেলে
'সরকার না জড়ালে এমন হামলা হতে পারে না'
politics
স্টাফ রিপোর্টার:  সরকারের সহযোগিতা না থাকলে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মত ঘটনা ঘটতে পারত না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বিএনপি-জামায়াত সরকারকে ওই হামলায় অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, যেখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণত পুলিশ এগিয়ে আসে সাহায্য করতে, যারা আহত তাদেরকে রক্ষা করতে। এইখানে দেখা গেল উল্টো। বরং আমাদের নেতাকর্মী দূরে যারা ছিল, তারা যখন ছুটে আসছে, তাদেরকে আসতে দেওয়া হয়নি বরং টিয়ার গ্যাস মারা হয়েছে। ওই গ্যাসেও তো আরো অনেকে আরও অসুস্থ। তার মানেটা কী? যারা আক্রমণকারী, তাদেরকে রক্ষা করা, তাদেরকে রেসকিউ করার জন্যই এই টিয়ারগ্যাস মারা, লাঠিচার্জ করা। একটা সরকারের যদি সহযোগিতা না থাকে, তাহলে এই রকম ঘটনা ঘটতে পারে না। শনিবার ভয়াবহ সেই হামলার সপ্তদশ বার্ষিকীতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শোভাযাত্রায় গ্রেনেড হামলা হলে আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং কয়েকশ নেতাকর্মী আহত হন। আজকের প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা সেদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই যে এই হামলা হয়েছিল এবং তাতে তখনকার ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জোটের শীর্ষ নেতাদের যে প্রত্যক্ষ মদদ ছিল তা মামলার তদন্তে উঠে আসে। ওই দিনের কথা স্মরণ করে আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার হামলার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে জজ মিয়া নামের দরিদ্র একজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ‘কাহিনী তৈরি করে’ তার পরিবারকে লালন পালন করা হবে এই আশ্বাস দিয়ে। অথচ আর্জেস গ্রেনেড সংগ্রহ করা বা গ্রেনেড মারার মত লোক সংগ্রহ করার সামর্থ্যই (সেই জজ মিয়ার) ছিল না। পাশপাশি ওই সময় মগবাজার আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেসকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করাসহ আওয়ামী লীগের কর্মীদের গ্রেপ্তার করে তাদের দিয়ে স্বীকার করানোর পরিকল্পনা হয়েছিল যে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন, একটা গ্রেনেড পাওয়া গেল জেলখানার ভেতরে, দেয়ালের সঙ্গে। সেটা আবার আমাদের কোন কোন স্বনামধন্য পত্রিকা ডায়াগ্রাম এঁকে দেখালো যে জেলখানার পাশের কোনো এক বাড়ি থেকে ওই গ্রেনেড ছুড়ে মারাতে ওটা ওখানে পড়েছে। জেলখানার পাশে এমন কোনো বাড়ি নেই যেখান থেকে গ্রেনেড মারলে ওই জায়গায় এসে গ্রেনেড পড়বে। আসল কথা হল এরা অনেকগুলো ক্রিমিনাল জোগাড় করেছিল। তারমধ্যে কিছু জেলখানা থেকে বের করে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু সেসময় প্রত্যেকের হাতে যে গ্রেনেডগুলো ছিল, সবাই সেগুলো মারতেও পারেনি। তিনি বলেন, রমনা হোটেলের সামনে ওখানে একটা গলিতে একটা পড়ে পাওয়া যায়। এবং বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটা আলামত পাওয়া যায়। পরে তারা নিশ্চয় (কারাগারে) ঢুকে গিয়েছিল এবং একজন কারারক্ষী এর মধ্যে জড়িত ছিল। তখনকার সরকার এদের ‘রক্ষা করে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি’ করে দিয়েছিল মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন জানল যে আমি মরি নাই, বেঁচে আছি। তখন তারা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। এবিনিউজ টোয়েন্টিফোর বিডিডটকম /এম.এস
আজকের প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা সেদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তি নষ্ট হয় বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই যে এই হামলা হয়েছিল এবং তাতে তখনকার ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জোটের শীর্ষ নেতাদের যে প্রত্যক্ষ মদদ ছিল তা মামলার তদন্তে উঠে আসে ওই দিনের কথা স্মরণ করে আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার হামলার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে জজ মিয়া নামের দরিদ্র একজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ‘কাহিনী তৈরি করে’ তার পরিবারকে লালন পালন করা হবে এই আশ্বাস দিয়ে অথচ আর্জেস গ্রেনেড সংগ্রহ করা বা গ্রেনেড মারার মত লোক সংগ্রহ করার সামর্থ্যই (সেই জজ মিয়ার) ছিল না পাশপাশি ওই সময় মগবাজার আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেসকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করাসহ আওয়ামী লীগের কর্মীদের গ্রেপ্তার করে তাদের দিয়ে স্বীকার করানোর পরিকল্পনা হয়েছিল যে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন, একটা গ্রেনেড পাওয়া গেল জেলখানার ভেতরে, দেয়ালের সঙ্গে সেটা আবার আমাদের কোন কোন স্বনামধন্য পত্রিকা ডায়াগ্রাম এঁকে দেখালো যে জেলখানার পাশের কোনো এক বাড়ি থেকে ওই গ্রেনেড ছুড়ে মারাতে ওটা ওখানে পড়েছে জেলখানার পাশে এমন কোনো বাড়ি নেই যেখান থেকে গ্রেনেড মারলে ওই জায়গায় এসে গ্রেনেড পড়বে আসল কথা হল এরা অনেকগুলো ক্রিমিনাল জোগাড় করেছিল
'বাড়াবাড়ি তো সরকার করছে, হুমকি-ধমকিতে দমানো যাবে না'
ইউক্রেনে রাশিয়ার ড্রোন হামলা, নিহত ৮
সর্ষেবাটা দিয়ে রান্না করলেই তেতো হয়ে যায়? কী ভাবে বাটলে সর্ষের পদ চেটেপুটে খাবেন সকলে
বইমেলায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্টলে নেতাজির ছবি! ক্ষুব্ধ ইতিহাসবিদরা
kolkata
দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর বা তাঁর জীবনের ১২৫ বছরে সুভাষচন্দ্র বসুর ছায়া যথেষ্ট দীর্ঘ বইমেলা জুড়ে। কিন্তু তা বলে এমন জায়গায় তাঁকে দেখা যাবে, তা সম্ভবত কেউই কল্পনা করেননি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্টলের গায়ে সঙ্ঘ পরিবারের অন্যতম প্রাণপুরুষ গোলওয়ালকর, হেডগেওয়ারের পাশেই রয়েছেন সুভাষচন্দ্র। সুভাষের অন্য পাশে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। আজ, মঙ্গলবার কলকাতা বইমেলা শুরুর আগে ওই ছবি দেখে সাধারণ ইতিহাস-সচেতন পাঠকেরা অনেকেই ক্ষুব্ধ। বিষয়টি শুনে ইতিহাসবিদ তনিকা সরকার বলছেন, ‘‘সুভাষচন্দ্র আদ্যোপান্ত সেকুলার ছিলেন। তাঁর জীবনের কোনও বড় কাজেই সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ নেই। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতাদর্শের ধারকদের পাশে সুভাষের ছবি রাখা তাঁর পক্ষে অপমানজনক।’’ আর এক প্রবীণ ইতিহাসবিদ রজতকান্ত রায়ও বলছেন, ‘‘সুভাষ এবং ভিএইচপি, আরএসএসের আদর্শে আকাশ-পাতাল ফারাক। কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার সময়েও সুভাষচন্দ্র সর্বধর্ম সমন্বয়, সম্প্রীতি ও সমাজতন্ত্রের প্রতি একনিষ্ঠ ছিলেন। তৎকালীন হিন্দু মহাসভার সঙ্গে তাঁর আদর্শগত বিরোধও সুবিদিত।’’ রজতের মতে, আজ়াদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়ক সুভাষের ঝাঁসি রানি বাহিনীও নারী স্বাধীনতার প্রতীক। তাঁর প্রশ্ন, মেয়েদের এই মর্যাদাই বা সঙ্ঘের আদর্শে কোথায়? কোনও কোনও ইতিহাসবিদ মনে করেন, আধুনিক ভারত গঠন বা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়কদের মধ্যে সঙ্ঘঘনিষ্ঠ বা হিন্দুত্ববাদী কার্যত কেউ ছিলেন না। তাই বাধ্য হয়েই কখনও গান্ধী, কখনও অম্বেডকর বা সুভাষের মতো জাতীয় নায়কদের তারা ‘আত্মসাৎ’ করতে চাইছে। তবে এই অভিযোগে বেজায় চটছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা। পরিষদের পূর্বাঞ্চলীয় সম্পাদক অমিয় সরকার বলছেন, ‘‘সুভাষ কি ভারতের বাইরে? তিনি আমাদের রাষ্ট্রনেতা।’’ বইমেলার স্টলে স্বামী বিবেকানন্দের ছবিও রয়েছে। বিবেকানন্দও তাঁদের রাষ্ট্রঋষি বলে দাবি ভিএইচপি নেতার। কিন্তু ভিএইচপি, সঙ্ঘের বিদ্বেষ-বিষে ভরপুর হিন্দুত্বের সঙ্গে বিবেকানন্দের আদর্শও মেলে না বলে মনে করেন রজত বা তনিকা। সুভাষের হিন্দু-মুসলিম ভ্রাতৃত্বের আদর্শও পুরো আলাদা। কিন্তু ক্ষুব্ধ অমিয়ের দাবি, ‘‘আমরা তো বিশ্বভ্রাতৃত্ব মানি!’’ দীর্ঘ দিন ভিএইচপি, সঙ্ঘ পরিবারের কর্মকাণ্ড খুব কাছ থেকে দেখে গবেষণা করা তনিকা বলছেন, ‘‘বড়সড় গালভরা আদর্শের কথা মুখে বললেই হল না! বাবরি ধ্বংস, গুজরাত গণহত্যা থেকে গোরক্ষার নামে মানুষ হত্যায় ভিএইচপি-র ভূমিকাই বলে দিচ্ছে, তাদের অবস্থানটা আসলে কী। সুভাষচন্দ্রের নাম মুখে আনার যোগ্যতাও ওদের নেই।’’ সুগত বসুর মতো বিভিন্ন ইতিহাসবিদের বয়ানে উঠে এসেছে, আজ়াদ হিন্দ ফৌজের সেনানায়কের জীবনে রাজনীতি বা ব্যক্তিগত পরিসর, কোথাওই হিন্দু-মুসলিমে ভেদাভেদ ছিল না। তাঁর ঘনিষ্ঠতম সহযোগীদের অনেকেই ছিলেন মুসলিম। আজকের ভারতে সুভাষের ছবি নিয়ে বিজেপি বা তাদের ঘনিষ্ঠ সংগঠনগুলির এই টানাটানি অবশ্য নতুন কিছু নয়। বইমেলার সাম্প্রতিক কাণ্ড নিয়ে সুগত (যিনি আবার সুভাষের ভ্রাতুষ্পুত্রের পুত্র) বলছেন, ‘‘এ ভাবে সুভাষকে আত্মসাৎ করা যায় না। দেশের মানুষ জানেন, তাঁর মতাদর্শ হিন্দুত্ববাদীদের বিপরীত মেরুতে। তা ছাড়া, দেশের ঐক্য সাধনার কাজে একমাত্র গান্ধীর পাশেই সুভাষের ছবি মানায়।’’
দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর বা তাঁর জীবনের ১২৫ বছরে সুভাষচন্দ্র বসুর ছায়া যথেষ্ট দীর্ঘ বইমেলা জুড়ে কিন্তু তা বলে এমন জায়গায় তাঁকে দেখা যাবে, তা সম্ভবত কেউই কল্পনা করেননি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্টলের গায়ে সঙ্ঘ পরিবারের অন্যতম প্রাণপুরুষ গোলওয়ালকর, হেডগেওয়ারের পাশেই রয়েছেন সুভাষচন্দ্র সুভাষের অন্য পাশে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় আজ, মঙ্গলবার কলকাতা বইমেলা শুরুর আগে ওই ছবি দেখে সাধারণ ইতিহাস-সচেতন পাঠকেরা অনেকেই ক্ষুব্ধ বিষয়টি শুনে ইতিহাসবিদ তনিকা সরকার বলছেন, ‘‘সুভাষচন্দ্র আদ্যোপান্ত সেকুলার ছিলেন তাঁর জীবনের কোনও বড় কাজেই সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ নেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতাদর্শের ধারকদের পাশে সুভাষের ছবি রাখা তাঁর পক্ষে অপমানজনক’’ আর এক প্রবীণ ইতিহাসবিদ রজতকান্ত রায়ও বলছেন, ‘‘সুভাষ এবং ভিএইচপি, আরএসএসের আদর্শে আকাশ-পাতাল ফারাক কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার সময়েও সুভাষচন্দ্র সর্বধর্ম সমন্বয়, সম্প্রীতি ও সমাজতন্ত্রের প্রতি একনিষ্ঠ ছিলেন
'গীতা প্রেস'- উগ্র হিন্দুত্ব এবং মোদি-মমতা (১)
পাত্রী ভিগান জেনেও বিয়ের মেনু থেকে সব নিরামিষ পদ বাদ শাশুড়ির, তার পর...
যুক্তরাষ্ট্রে নাইটক্লাবে গুলি, নিহত ৩
সিকিমে তুষারধসে শিশু সহ মৃত সাত
national
নাথু লা’র কাছে তুষার ধসে মঙ্গলবার মৃত্যু হলো এক শিশু ও মহিলা সহ সাত জনের। সিকিমের রাজধানী শহর গ্যাঙটকের সঙ্গে নাথু লা’র সংযোগকারী জওহরলাল নেহরু (জে এন) রোডের উপর ১৫ মাইলে এদিন দুপুর সোয়া ১২টা নাগাদ এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েন পর্যটকরা। প্রাথমিকভাবে ১১ জনের জখম হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। তুষারধসে চাপা পড়েছেন বহু। বিকেল চারটে পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ২৩ জন পর্যকটকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। যদিও যখন তুষারধস নামে তখন সেখানে কমপক্ষে দেড়শো জন পর্যটক ছিলেন। রাত পর্যন্ত ঠিক কতজন আটকে রয়েছেন, তা নিশ্চিতভাবে জানানো না হলেও মনে করা হচ্ছে, অন্তত ৫০ জন আটকে রয়েছেন। তার মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। সেনাবাহিনীর তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এক উপত্যকার গভীর থেকে ছ’জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের সেনাবাহিনীর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরও ছ’-সাত জন পর্যটককে অ্যাম্বুলেন্সে গ্যাঙটকের এসটিএনএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে নেমেছেন জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সিকিম পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা। প্রায় পাঁচ-ছ’টি গাড়ি ২০-৩০ জন পর্যটক নিয়ে এদিন সকালে নাথু লা’র দিকে রওনা দেয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বরফের আস্তরণের নিচে চাপা পড়া গাড়িতেও আটকে রয়েছেন পর্যটকরা। ফলে মৃতের সংখ্যাও বাড়তে পারে। পর্যটক বোঝাই একটি বাসও খাদে পড়ে গিয়েছে বলে খবর চাউর হয়েছে। তবে সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে রাত পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। সিকিম পুলিশের বিশেষ ডিজিপি অক্ষয় সচদেবা বলেন, ‘‘ছাঙ্গু-নাথুলায় সারা বছরই পর্যটক আসেন। কিন্তু ১৩ মাইলে এর আগে কখনও তুষারপাতের কবলে পড়েননি কোনও পর্যটক। তথাকথিতভাবে অনেকটাই নিচুতে ১৩ মাইল। এদিন ১৩ মাইল আর ১৭ মাইলের মাঝে তুষারধস নামে। এখন আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো, আটকে পড়া পর্যটকদের দ্রুত উদ্ধার করা। বরফের নিচে চাপা পড়ে যাওয়া পর্যটকদের জীবিত উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। এদিন ছাঙ্গু পর্যন্তও পারমিট দেওয়া হয়নি প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা থেকেই। পর্যটকরা প্রত্যেকেই বরফ দেখতে চান। পারমিটের জন্য চাপ বাড়ে পুলিশের উপর। আমরা সবসময়ই নিরাপদ জায়গা পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দিই। কিন্তু ১৩ মাইল বা ১৫ মাইলে তুষারধস হতে পারে এমন ধারণা ছিল না।’’ পূর্ব সিকিমের উপরের দিকের অঞ্চলগুলিতে শুক্রবার থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। গ্যাঙটকের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা বলছেন, সোমবার রাত থেকে নতুন করে তুষারপাত শুরু হয়েছে। ছাঙ্গু লেক সংলগ্ন এলাকা, বাবা মন্দির, নাথু লা সহ পূর্ব সিকিমের নানা প্রান্তেই দিনে অনেকবার বরফ পড়েছে। যে কারণে ১৩ মাইল পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় পর্যটকদের। পর্যটকদের একাংশ কার্যত জোর করেই ১৫ মাইল পর্যন্ত যান এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েন। অনেক পর্যটক ১৫ মাইলে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে উপরের দিকে উঠতে থাকেন। সেইসময়ই নামে তুষারধস। ধসের ভিডিও করতে আবার রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পড়ে একদল পর্যটক। মুহূর্তের মধ্যে পাহাড়ের উপর থেকে নেমে আসা বরফের স্তূপে চাপা পড়ে যান তাঁরা। বরফের পুরু আস্তরণে পা দিতেই তলিয়ে যান অনেকে। তবে এদিন তুষারপাত হতে পারে এমন কোনও পূর্বাভাস ছিল না। সোশাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমের ভিডিও’তে দেখা যাচ্ছে, বরফের চাঁই সরিয়ে পর্যটকদের উদ্ধার করা হচ্ছে। এক তরুণীকে উদ্ধার করে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। বিভিন্ন জায়গায় বরফ সরিয়ে তল্লাশি চালানোর চেষ্টা চলছে। রাস্তা বরফে ঢেকে যাওয়ায় ৮০টি গাড়ি এবং সাড়ে তিনশো পর্যটক নাথু লা থেকে গ্যাঙটকের দিকে আসার রাস্তায় আটকে পড়েন। পরে বরফ সরিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে খারাপ আবহাওয়ার জেরে এবং রাত হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজেও ব্যাঘাত ঘটেছে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই’র খবর থেকে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘‘উদ্ধারকাজ চলছে। জখমদের চিকিৎসায় সমস্ত সাহায্য করা হবে।’’ শোক জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাঙ। সমুদ্র থেকে ১৪ হাজার ফুট (৪,৩১০ মিটার) উঁচুতে চীন সীমান্ত লাগোয়া সিকিমের এই নাথু লা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় একটি গন্তব্য। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে বছরের বিভিন্ন সময়েই এখানে ভিড় জমান তাঁরা। গত কয়েকদিন ধরেই সিকিমে মাত্রাতিরিক্ত তুষারপাত হচ্ছে। বরফ উপভোগ করতে অনেকেই আসছেন। নাথু লা’তেও ভিড় বেড়েছে। মাঝে তুষারপাতের কারণেই পারমিট দেওয়া বন্ধ রেখেছিল স্থানীয় প্রশাসন। তখন পর্যটন ব্যবসায় মন্দাও দেখা দেয়। কিন্তু ফের পারমিট চালু হওয়ায় পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে। কিন্তু সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে একটি নির্দিষ্ট জায়গা পর্যন্ত যেতে দেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের। প্রসঙ্গত, গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে মারাত্মক তুষারপাতের জেরে কমপক্ষে ৯০০ পর্যটক আটকে পড়েছিলেন এই জে এন রোডেই। ‘ল্যান্ডস্লাইড আটলাস অব ইন্ডিয়া’র তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ২০১১ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সিকিমে ১৫৬১ বার ধস নেমেছে। ধসের তীব্রতা এবং ঝুঁকির দিক থেকে দেশের সব জেলার মধ্যে নয় নম্বরে রয়েছে পূর্ব সিকিম, উত্তর সিকিমের স্থান আটে।
মুহূর্তের মধ্যে পাহাড়ের উপর থেকে নেমে আসা বরফের স্তূপে চাপা পড়ে যান তাঁরা বরফের পুরু আস্তরণে পা দিতেই তলিয়ে যান অনেকে তবে এদিন তুষারপাত হতে পারে এমন কোনও পূর্বাভাস ছিল না সোশাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমের ভিডিও’তে দেখা যাচ্ছে, বরফের চাঁই সরিয়ে পর্যটকদের উদ্ধার করা হচ্ছে এক তরুণীকে উদ্ধার করে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা বিভিন্ন জায়গায় বরফ সরিয়ে তল্লাশি চালানোর চেষ্টা চলছে রাস্তা বরফে ঢেকে যাওয়ায় ৮০টি গাড়ি এবং সাড়ে তিনশো পর্যটক নাথু লা থেকে গ্যাঙটকের দিকে আসার রাস্তায় আটকে পড়েন পরে বরফ সরিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে এদিকে খারাপ আবহাওয়ার জেরে এবং রাত হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজেও ব্যাঘাত ঘটেছে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও হচ্ছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই’র খবর থেকে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘‘উদ্ধারকাজ চলছে জখমদের চিকিৎসায় সমস্ত সাহায্য করা হবে’’ শোক জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাঙ সমুদ্র থেকে ১৪ হাজার ফুট (৪,৩১০ মিটার) উঁচুতে চীন সীমান্ত লাগোয়া সিকিমের এই নাথু লা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় একটি গন্তব্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে বছরের বিভিন্ন সময়েই এখানে ভিড় জমান তাঁরা গত কয়েকদিন ধরেই সিকিমে মাত্রাতিরিক্ত তুষারপাত হচ্ছে বরফ উপভোগ করতে অনেকেই আসছেন নাথু লা’তেও ভিড় বেড়েছে মাঝে তুষারপাতের কারণেই পারমিট দেওয়া বন্ধ রেখেছিল স্থানীয় প্রশাসন তখন পর্যটন ব্যবসায় মন্দাও দেখা দেয় কিন্তু ফের পারমিট চালু হওয়ায় পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে কিন্তু সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে একটি নির্দিষ্ট জায়গা পর্যন্ত যেতে দেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের
প্রবল তুষারপাতে সিকিমে
সহ্যের সীমা
সরাসরি কথোপকথনে মহম্মদ সেলিম, চলছে প্রচার
ভয় নেই আমরা পাশে আছি
politics
স্টাফ রিপোর্টার:  শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে অপশক্তি প্রতিরোধ করব -ওবায়দুল কাদের * বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখর গুলিস্তান উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান জানিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা’ কর্মসূচিতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ প্রতিশ্রুতি দেন। তারা বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে। এ দেশে তাদের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না। বাংলার মাটিতে তাদের ঠাঁই হবে না। আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে থাকবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে তারা বলেন, আপনারা আমাদের ভাই; আপনাদের ভয় নাই, শেখ হাসিনা আপনাদের সঙ্গে আছে, আওয়ামী লীগ আপনাদের পাশে আছে। সমাবেশ শেষে দীর্ঘ শোভাযাত্রা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।  রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সম্প্রীতি সমাবেশ শুরু হয় বেলা ১১টায়। এতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা এই অপশক্তি প্রতিরোধ করব। হিন্দু ভাইদের বলব, আপনাদের ভয় নাই, শেখ হাসিনা আপনাদের সাথে আছে, আওয়ামী লীগ আপনাদের পাশে আছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশে অংশ নেন। সেখানে ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ শেষে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট, শিক্ষা ভবন, দোয়েল চত্বর হয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। দীর্ঘ শোভাযাত্রার সামনের অংশ বেলা ১২টা ১০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পৌঁছলেও পেছনের অংশ তখনো কেন্দ্রীয় কার্যালয়েই ছিল। এদিকে আওয়ামী লীগের সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় জনসমাগমের কারণে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আশপাশের সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যানজটের প্রভাব পরে আশপাশের এলাকাগুলোতেও। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ- এগুলো ২০০১ সালে বিএনপি সরকার যে নির্যাতন চালিয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি। আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ, বিএনপি আজ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উসকে দিয়ে সাম্প্র্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। আবার নতুন করে সম্প্রদায়িক হামলা-সন্ত্রাস শুরু করেছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আমলে প্রত্যেকটি দুর্গাপূজায় হাজার হাজার মণ্ডপে পূজা চলেছে। কোনো ঘটনা ঘটেনি। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে হঠাৎ হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা শুরু হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ রাজপথ ছাড়ে নাই। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা বাংলাদেশে আজ সম্প্রীতি সমাবেশ হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে মুসলমান আছে, তাদের জানমালের কথাও আমাদের ভাবতে হবে। হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের যে উসকানি দেওয়া হচ্ছে, তাতে ভারতের একটা বড় অংশ মুসলমানদের জীবনকেও বিপন্ন করে ফেলছে। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির মোকাবিলা করে তাদের ‘সমুচিত জবাব’ দিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সারাদেশে ‘প্রস্তুত আছে’।  সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখবই। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ নিরাপদে বসবাস করবে। যারাই সন্ত্রাস করবে তাদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে আগুন দিচ্ছেন, তাদের হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি। তাদের অবশ্যই খুঁজে বের করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবে। জবাব দিতে হবে তাদের, কেন তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি বিনষ্ট করছে।  সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সাম্প্রদায়িক এই হামলায় যারাই জড়িত, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অসাম্প্রদায়িক এই বাংলাদেশে কোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, তারা (বিএনপি-জায়ামাত) জানে ভোটের মাধ্যমে এই সরকারকে পরাজিত করতে পারবে না। এজন্য ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। মুক্তিযুদ্ধের সকল শক্তিকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুউল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা দেখার জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। এই বাংলাদেশ দেখার জন্য ৩০ লাখ শহিদ আত্মাহুতি দেননি। যেসব মৌলবাদী, ধর্মান্ধ এখনো ধর্মের দোহাই দিয়ে একাত্তরের মতো সমাজে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে, যারা এখনো ঘরবাড়ি জ্বালাচ্ছে, তাদেরকে আমরা একাত্তরের মতোই প্রতিহত করে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়ব। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সম্প্রীতি নষ্ট করার লক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর উপাসনালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে। আওয়ামী লীগ এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সারা দেশে সতর্ক রয়েছে। এই অপশক্তিকে উৎখাত না করা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সংগ্রাম চলতে থাকবে। সমাবেশে আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মহিলা সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ। সম্প্রীতি সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় অংশ নিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে জড়ো হন। তাদের অনেকেই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান লেখা ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে আসেন। এতে ‘ধর্ম যার যার, বাংলাদেশ সবার’ ‘সাম্প্রদায়িকতাকে রুখে দাও’; ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রিস্টান, ‘বাংলার মুসলমান, আমরা সবাই বাঙালি’- সহ নানা স্লোগান লেখা ছিল। বৃষ্টি উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এ সময় নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো গুলিস্তান এলাকা। এবিনিউজ টোয়েন্টিফোর বিডিডটকম/এম.এম
আবার নতুন করে সম্প্রদায়িক হামলা-সন্ত্রাস শুরু করেছে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আমলে প্রত্যেকটি দুর্গাপূজায় হাজার হাজার মণ্ডপে পূজা চলেছে কোনো ঘটনা ঘটেনি আগামী নির্বাচন সামনে রেখে হঠাৎ হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা শুরু হয়েছে সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ রাজপথ ছাড়ে নাই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা বাংলাদেশে আজ সম্প্রীতি সমাবেশ হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা হচ্ছে আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে মুসলমান আছে, তাদের জানমালের কথাও আমাদের ভাবতে হবে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের যে উসকানি দেওয়া হচ্ছে, তাতে ভারতের একটা বড় অংশ মুসলমানদের জীবনকেও বিপন্ন করে ফেলছে তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির মোকাবিলা করে তাদের ‘সমুচিত জবাব’ দিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সারাদেশে ‘প্রস্তুত আছে’  সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখবই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ নিরাপদে বসবাস করবে যারাই সন্ত্রাস করবে তাদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে আগুন দিচ্ছেন, তাদের হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি তাদের অবশ্যই খুঁজে বের করা হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবে জবাব দিতে হবে তাদের, কেন তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি বিনষ্ট করছে  সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সাম্প্রদায়িক এই হামলায় যারাই জড়িত, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না অসাম্প্রদায়িক এই বাংলাদেশে কোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না
পাশে আছি , আলেইদাকে জানাল কলকাতা
আমরা কি সত্যিই ভাল আছি, আনন্দে আছি?
অশুভ শক্তির বিনাশ চেয়ে শক্তির আরাধনা যুগে যুগে
সুযোগের অপচয়
editorial
কূটনৈতিক সাফল্য আর অর্থনৈতিক সাফল্য যে সর্বদা জোড়ে চলে না, নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন সফর তাহার প্রমাণ। এই সফরে অর্থনীতির খাতায় বিশেষ কিছু যোগ হয় নাই। তাহার সর্বাপেক্ষা বড় কারণ স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠতম বাণিজ্যসঙ্গী দেশগুলির প্রতিও ট্রাম্প সহৃদয় নহেন, ভারতের কথা বলাই বাহুল্য। মোদীর মার্কিন সফরের পূর্বে আশা জন্মিয়াছিল, ভারত-মার্কিন বাণিজ্য-শীতলতা খানিক হইলেও কমিবে। এই দফায় সেই আশা অপূর্ণই থাকিল। বস্তুত, ‘হাউডি মোদী’ সমাবেশ, তাহাতে ট্রাম্পের সহাস্য উপস্থিতি ইত্যাদি মিলাইয়া আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ভারতের গুরুত্বের কথা যতখানি ঘোষিত হইল, তাহার পরিপ্রেক্ষিতে এই বাণিজ্যিক ব্যর্থতা আরও বেশি প্রকট। ভারতের চড়া আমদানি শুল্ক লইয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট বহু বার অসন্তোষ প্রকাশ করিয়াছেন— এবং, তাহারই প্রতিক্রিয়ায় তিনি ভারতীয় রফতানির উপর করের হার বাড়াইয়া দিয়াছেন। ভারতও তাহার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন রফতানির উপর কর বাড়াইয়াছে, নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করিয়াছে। নিট ফল, একটি সম্পূর্ণ অবান্তর বাণিজ্য-বৈর। আশা ছিল, মোদীর সফর এই ছায়াযুদ্ধটি থামাইতে পারিবে। ভারতকে বাণিজ্যিক বন্ধু হিসাবে পাওয়া যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ, এই কথাটি বুঝাইতে মোদী সফল হইলেন না। বাণিজ্যের পরিমাণে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তুলনীয় শক্তি নহে। কয়েকটি ক্ষেত্রের উদাহরণ দিলে এই ফারাকটি বোঝা যাইবে। রাসায়নিক, প্লাস্টিক, মেশিন ও যন্ত্রাংশ, বৈদ্যুতিক যন্ত্র ইত্যাদির ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের অন্যতম বড় রফতানির বাজার। যেমন, গত দুই বৎসরে ভারত যত বৈদ্যুতিক যন্ত্র রফতানি করিয়াছে, তাহার ২০ শতাংশই গিয়াছে যুক্তরাষ্ট্রে। অন্য দিকে, রাসায়নিক বাদ দিলে এই ক্ষেত্রগুলির কোনওটিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মোট যা আমদানি করে, তাহাতে ভারতের অনুপাত এক শতাংশের সীমা ছাড়ায় না। আরও সমস্যা, ভারত যে মার্কিন পণ্যগুলি আমদানি করে, সেগুলির ক্ষেত্রে ভারতের মোট আমদানির গুরুতর অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হইতেই আসে। সেগুলির উপর আমদানি শুল্ক বাড়িলে তাহার আঁচ দেশের বাজারে ক্রেতার গায়ে লাগে। ফলে, বাণিজ্য যুদ্ধে দুই তরফেই ক্ষতি ভারতেরই। জেনারালাইজ়ড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সেস (জিএসপি) হইতে বাদ পড়ায় ভারতীয় রফতানিকারকদের ঘোর সমস্যা হইতেছে। মোদী সমস্যা মিটাইয়া ফিরিতে পারেন নাই। এই ব্যর্থতা হইতে একটি জরুরি কথা শিখিবার আছে। দৃশ্য রচনা করা অপেক্ষাকৃত সহজ— হিউস্টনের মঞ্চে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আলিঙ্গনাবদ্ধ করিতে পারিলে তেমনই একটি দৃশ্য রচিত হয়— কিন্তু তাহাতে দেশের প্রত্যক্ষ লাভ নাই। এই ঘনিষ্ঠতা হইতে কিছু কূটনৈতিক মূলধন অর্জিত হয়, তাহা অনস্বীকার্য। প্রশ্ন হইল, সেই মূলধন কোন খাতে ব্যয় করা হইবে? প্রধানমন্ত্রী মোদী এই দফায় তাহা খরচ করিলেন কাশ্মীর প্রসঙ্গে, পাকিস্তানের উপর মার্কিন চাপ তৈরি করাইবার আশায়। তাঁহাকে বুঝিতে হইবে, ভারতের স্বার্থের কথা মাথায় রাখিয়া কোনও তৃতীয় দেশ পাকিস্তানের সহিত সম্পর্কে অবস্থান গ্রহণ করিবে না, বা পাল্টাইবে না। ট্রাম্পও তাহা করেন নাই। মোদীর অর্জিত মূলধনটির অপচয় হইল। পরের বার তিনি সাবধান হইলে ভারতের লাভ।
রাসায়নিক, প্লাস্টিক, মেশিন ও যন্ত্রাংশ, বৈদ্যুতিক যন্ত্র ইত্যাদির ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের অন্যতম বড় রফতানির বাজার যেমন, গত দুই বৎসরে ভারত যত বৈদ্যুতিক যন্ত্র রফতানি করিয়াছে, তাহার ২০ শতাংশই গিয়াছে যুক্তরাষ্ট্রে অন্য দিকে, রাসায়নিক বাদ দিলে এই ক্ষেত্রগুলির কোনওটিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মোট যা আমদানি করে, তাহাতে ভারতের অনুপাত এক শতাংশের সীমা ছাড়ায় না আরও সমস্যা, ভারত যে মার্কিন পণ্যগুলি আমদানি করে, সেগুলির ক্ষেত্রে ভারতের মোট আমদানির গুরুতর অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হইতেই আসে সেগুলির উপর আমদানি শুল্ক বাড়িলে তাহার আঁচ দেশের বাজারে ক্রেতার গায়ে লাগে ফলে, বাণিজ্য যুদ্ধে দুই তরফেই ক্ষতি ভারতেরই জেনারালাইজ়ড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সেস (জিএসপি) হইতে বাদ পড়ায় ভারতীয় রফতানিকারকদের ঘোর সমস্যা হইতেছে মোদী সমস্যা মিটাইয়া ফিরিতে পারেন নাই এই ব্যর্থতা হইতে একটি জরুরি কথা শিখিবার আছে দৃশ্য রচনা করা অপেক্ষাকৃত সহজ— হিউস্টনের মঞ্চে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আলিঙ্গনাবদ্ধ করিতে পারিলে তেমনই একটি দৃশ্য রচিত হয়— কিন্তু তাহাতে দেশের প্রত্যক্ষ লাভ নাই
অপচয়
অপচয়
এক বছরও হয়নি, শিশুর হাতে মোবাইল ধরিয়ে দিয়েছেন? কী ক্ষতি করছেন, জানাচ্ছে গবেষণা
অপকর্মে জড়িতরা আগামীতে আ.লীগের টিকিট পাবেন না: কাদের
politics
স্টাফ রিপোর্টার : অপকর্মের সঙ্গে জড়িতরা আগামীতে আওয়ামী লীগের টিকিট পাবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।   মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনাসভায় এ কথা বলেন তিনি।  ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী  নির্বাচন কেন্দ্র করে সব নেতাকর্মীকে শপথ নিতে হবে। নির্বাচন কেন্দ্র করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দলের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। ত্যাগী কর্মীদের দিয়ে দল সাজাতে হবে। যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তারা আগামীতে আওয়ামী লীগের টিকিট পাবেন না। ‘আগামী নির্বাচনে আরও আধুনিক স্মার্ট আওয়ামী গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য দলের মধ্যে কোনো বসন্তের কোকিল নয় ত্যাগীদেরই জায়গা করে দিতে হবে।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা আজ একটি ব্র্যান্ডের নাম। শেখ হাসিনা নিজেই একটি ইতিহাস। ইতিহাসের প্রয়োজনে শেখ হাসিনার জন্ম হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ওঠে এসেছেন। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বনেতার কাতারে পৌঁছেছেন শেখ হাসিনা। তাই তো শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব ও জাতিসংঘের বক্তব্যের কারণে বিশ্বে প্রশংসিত। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। এ দেশের এত উন্নয়ন হয়েছে। দেশের মানুষ ভালো আছেন। শেখ হাসিনা সাহসী নেতৃত্বের কারণেই বাংলায় আজ সোনালি আকাশ। দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বে রোল মডেল শেখ হাসিনা।  গণতন্ত্রের নামে তামাশা করেছিল বিএনপি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল বিএনপি। বহু দলীয় গণতন্ত্রের নামে এই গণতন্ত্রকে নিয়ে তামাশা করছিল বিএনপি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে কেনো সংসদে আসেনি এটা কোন গণতন্ত্র?  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচন যথাসময় গণতন্ত্র  অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি সিরিজ সভা করছে, তারা নাকি আন্দোলন করবে। দেশের মধ্যে আন্দোলনের নামে কোনো সহিংসতা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। এ জন্য আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ‘আগামী নির্বাচনে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা, (বিএনপি) আপনাদের কে? পালাতক আসামি? যদি আপনারা পলাতক আসামিকে নেতা বানান, দেশের মানুষ কখনও গণতন্ত্রের নেতা মেনে নেবে না।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, শাজাহান খান,  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক বিল্পব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ কেন্দ্রীয়ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
শেখ হাসিনা নিজেই একটি ইতিহাস ইতিহাসের প্রয়োজনে শেখ হাসিনার জন্ম হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ওঠে এসেছেন দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বনেতার কাতারে পৌঁছেছেন শেখ হাসিনা তাই তো শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব ও জাতিসংঘের বক্তব্যের কারণে বিশ্বে প্রশংসিত তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে এ দেশের এত উন্নয়ন হয়েছে দেশের মানুষ ভালো আছেন শেখ হাসিনা সাহসী নেতৃত্বের কারণেই বাংলায় আজ সোনালি আকাশ দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বে রোল মডেল শেখ হাসিনা
দুর্বৃত্তদের জায়গা আওয়ামী লীগে নেই
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতেই কি পুজোয় আগ্রহী ভিন্ রাজ্য
সুখবর! ফের বাজারে আনলিমিটেড রিচার্জ প্ল্যান নিয়ে এল ভোডাফোন
শুভেন্দু, রাহুল, লকেটকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ! মিছিলে যোগ দিতে যেতেই পারলেন না সাঁতরাগাছি পর্যন্ত
kolkata
নবান্ন অভিযানে গিয়ে পুলিশের বাধায় পড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সামনে পুলিশের ব্যারিকেডে বাধা পেয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্ক জোড়েন তিনি। অভিযোগ করেন, মহিলা অফিসাররা তাঁকে ঘিরে রেখেছেন। দীর্ঘ ক্ষণ তর্কাতর্কির পর ব্যারিকেডে ধাক্কা দিতে থাকেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি অভিযোগ করেন, মহিলা অফিসাররা তাঁকে ঘিরে রেখেছেন। দীর্ঘ ক্ষণ তর্কাতর্কির পর ব্যারিকেডে ধাক্কা দিতে থাকেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এর পর ‘ভয় পেয়েছে মমতা, বুঝে গেছে জনতা’, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হায় হায়’ বলে স্লোগান তোলেন তিনি। পাশে যোগ দেন লকেট। শেষে শুভেন্দু, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহকে পিটিএসের সামনে থেকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। সাঁতরাগাছি হয়ে নবান্ন যাওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে গেল তাঁদের। মঙ্গলবার দলের নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে বেহালার বাড়ি থেকে সকালে বেরোন শুভেন্দু। জেমল লং সরণি, তারাতলা হয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে যান তিনি। সাঁতরাগাছি হয়ে নবান্ন যেতে চান তিনি। কিন্তু পিটিএসের কাছে শুভেন্দু, লকেট, রাহুলদের আটকায় পুলিশ। শুভেন্দু অভিযোগ করেন, মহিলা অফিসারদের দিয়ে তাঁকে আটকানো হচ্ছে। তিনি বলতে থাকেন, ‘‘ডোন্ট টাচ মাই বডি। ইউ আর অ্যান উইম্যান অ্যান্ড আই অ্যাম মেল (আপনি মহিলা এবং আমি পুরুষ)।’’ অন্য দিকে, পুলিশের তরফে বলা হয়, পুলিশের কোনও মহিলা-পুরুষ ভাগ নেই। কিন্তু শুভেন্দু বলতে থাকেন, ‘‘আমার গায়ে হাত দেবে কেন?’’ এই ভাবে বেশ কিছু ক্ষণ তর্কাতর্কি চলে। শুভেন্দু জানান, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে গাড়ি করে পৌঁছে দেওয়া হোক। তিনি লোকাল ট্রেনে যাবেন। যদিও তার পরও সেখান থেকে তাঁকে এগোতে দেওয়া হয়নি। কিছু ক্ষণ পর শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দেন তিনি হাই কোর্টে মামলা করবেন। পাশে ছিলেন লকেট এবং রাহুল। শুভেন্দু নিজেই বলেন, ‘‘আমাকে গ্রেফতার করুন।’’ এর পর তিন জনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। ফলত, সাঁতরাগাছি হয়ে নবান্নে যাওয়া হচ্ছে না শুভেন্দুর।
শুভেন্দু অভিযোগ করেন, মহিলা অফিসারদের দিয়ে তাঁকে আটকানো হচ্ছে তিনি বলতে থাকেন, ‘‘ডোন্ট টাচ মাই বডি ইউ আর অ্যান উইম্যান অ্যান্ড আই অ্যাম মেল (আপনি মহিলা এবং আমি পুরুষ)’’ অন্য দিকে, পুলিশের তরফে বলা হয়, পুলিশের কোনও মহিলা-পুরুষ ভাগ নেই কিন্তু শুভেন্দু বলতে থাকেন, ‘‘আমার গায়ে হাত দেবে কেন?’’ এই ভাবে বেশ কিছু ক্ষণ তর্কাতর্কি চলে শুভেন্দু জানান, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে গাড়ি করে পৌঁছে দেওয়া হোক তিনি লোকাল ট্রেনে যাবেন যদিও তার পরও সেখান থেকে তাঁকে এগোতে দেওয়া হয়নি কিছু ক্ষণ পর শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দেন তিনি হাই কোর্টে মামলা করবেন
মোদী কোয়েশ্চন দেখানোয় ছাত্রদের টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল দিল্লি পুলিশ
নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুল মারা গেছেন
আ. লীগের সহনশীলতা বলতে কিছু নেই : ফখরুল
খুনের দায়ে প্রাক্তন সাংসদের যাবজ্জীবন ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের
national
ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রাক্তন সাংসদ প্রভুনাথ সিং-কে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রভুনাথ সিং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। দীর্ঘদিন ছিলেন জনতা দল (ইউ)’র সাংসদ। এই পর্বে নীতীশ কুমারের দল কেন্দ্রে বিজেপি জোট এনডিএ’র শরিক ছিল। এখন প্রভুনাথ লালুপ্রসাদের আরজেডি’র নেতা। ১৯৯৫ সালে বিহারের ছাপড়ায় একসঙ্গে দুই খুনের দায়ে প্রভুনাথকে শাস্তি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রমাণের অভাব ঘোষণা করে খুনের দায় থেকে প্রভুনাথ সিং-কে রেহাই দিয়েছিল পাটনা হাইকোর্ট। সেই রায় খারিজ কেবল নয় শাস্তিও ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন সুপ্রিম কোর্ট সাধারণভাবে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে অথবা খারিজ করে। এই ধরনের ঘটনায় সরাসরি অপরাধীর বিচারের সঙ্গে শাস্তি ঘোষণা করে না। ২০০৮ সালে নিম্ন বিচার আদালত প্রভুনাথকে ছাড় দেয়। সেই রায় ২০১২’তে বহাল রেখেছিল পাটনা হাইকোর্ট। দারোগা রাই এবং রাজেন্দ্র রাইকে হত্যার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয় প্রভুনাথের বিরুদ্ধে। এক মহিলাকে একই ঘটনায় হত্যার চেষ্টার অভিযোগও দায়ের হয়। নিম্ন আদালত রেহাই দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন নিহত রাজেন্দ্র রাইয়ের ভাই। এই ঘটনায় একজন আহতও হন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে প্রভুনাথ এবং বিহার সরকারকে ১০ লক্ষ করে টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দিতে হবে নিহতদের পরিবারকে। আহতের পরিবারকে দিতে হবে ৫ লক্ষ করে টাকা। বেঞ্চ ১৪৩ পাতার রায়ে বলেছে, নিজের অপকর্মের সাক্ষীদের মুছে ফেলতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের সব প্রমাণ রয়েছে। নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিচারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন।
এই পর্বে নীতীশ কুমারের দল কেন্দ্রে বিজেপি জোট এনডিএ’র শরিক ছিল এখন প্রভুনাথ লালুপ্রসাদের আরজেডি’র নেতা ১৯৯৫ সালে বিহারের ছাপড়ায় একসঙ্গে দুই খুনের দায়ে প্রভুনাথকে শাস্তি দিয়েছে শীর্ষ আদালত প্রমাণের অভাব ঘোষণা করে খুনের দায় থেকে প্রভুনাথ সিং-কে রেহাই দিয়েছিল পাটনা হাইকোর্ট সেই রায় খারিজ কেবল নয় শাস্তিও ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন সুপ্রিম কোর্ট সাধারণভাবে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে অথবা খারিজ করে এই ধরনের ঘটনায় সরাসরি অপরাধীর বিচারের সঙ্গে শাস্তি ঘোষণা করে না
বিস্ফোরক-সহ ধৃত পাক জঙ্গির যাবজ্জীবন জেলের সাজা বহাল রাখল কলকাতা হাই কোর্ট
নিবন্ধন পেল বাংলাদেশ জাসদ
নতুন বছরে কোথায় কত, জানতে হবে পাখিসুমারি
টেস্ট বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে ধাক্কা অস্ট্রেলিয়া দলে! ছিটকে গেলেন পেসার
sports
ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নামার আগে ধাক্কা অস্ট্রেলিয়া দলে। চোটের কারণে ছিটকে গেলেন পেসার জশ হ্যাজ়লউড। শেষ মুহূর্তে দলে বদল করেছে অস্ট্রেলিয়া। হ্যাজ়লউডের বদলে দলে নেওয়া হয়েছে মাইকেল নেসেরকে। অনেক দিন ধরেই গোড়ালির চোটে ভুগছেন হ্যাজ়লউড। আইপিএলে আরসিবির হয়ে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার ১৫ জনের দলে নেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু পুরনো চোটে আবার সমস্যায় পড়েছেন হ্যাজ়লউড। সেই কারণে শেষ মুহূর্তে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। হ্যাজ়লউডের বদলে ছন্দে থাকা অলরাউন্ডার নেসেরকে দলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। স্কট বোলান্ডের জায়গায় প্রথম একাদশেও সুযোগ পেতে পারেন তিনি। চলতি বছর কাউন্টিতে গ্ল্যামারগনের হয়ে ১৯টি উইকেট নিয়েছেন নেসের। সাসেক্সের বিরুদ্ধে শতরানও করেছেন। সেই কারণেই সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ৭ জুন থেকে ওভালে ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে নামছে অস্ট্রেলিয়ার। এ বারই প্রথম ফাইনালে উঠেছে তারা। ভারতের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই হবে বলেই মনে করছেন কামিন্স। সেই কারণে বেশ কিছু দিন আগে থেকে পুরোদমে অনুশীলন শুরু করেছেন তাঁরা।
আইপিএলে আরসিবির হয়ে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার ১৫ জনের দলে নেওয়া হয়েছিল তাঁকে কিন্তু পুরনো চোটে আবার সমস্যায় পড়েছেন হ্যাজ়লউড সেই কারণে শেষ মুহূর্তে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে হ্যাজ়লউডের বদলে ছন্দে থাকা অলরাউন্ডার নেসেরকে দলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া স্কট বোলান্ডের জায়গায় প্রথম একাদশেও সুযোগ পেতে পারেন তিনি
রাহুলদের বিরুদ্ধে নামার আগেই ধাক্কা অস্ট্রেলিয়ার, বাঁহাতি পেসারকে ছাড়াই খেলবে প্রথম ম্যাচ
বিশ্বকাপের আগে ভারতের কোন পাঁচ মাঠ ঘুরে দেখল আইসিসি-র দল
কি কি রয়েছে রেডমির সিক্স সিরিজে?
Noise নিয়ে এল লেটেস্ট স্মার্টওয়াচ, দাম শুনলে চমকে উঠবেন
technology
আজকের স্মার্টওয়ার্ল্ডে স্মার্ট ওয়াচের কদর বেড়েই চলেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বাড়তে থাকায় একের পর এক সংস্থা নিয়ে নিয়ে একাধিক স্মার্টফোন। ডোমেস্টিক টেক লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড Noise এ দেশে নিয়ে এল তাদের নতুন স্মার্টওয়াচ। Noise ভারতে লঞ্চ করেছে তাদের নতুন ColorFit Pulse গ্র্যান্ড স্মার্টওয়াচ। ভারতে Noise কোম্পানির ColorFit Pulse গ্র্যান্ড স্মার্টওয়াচের দাম শুরু হয়েছে ১,৯৯৯ টাকা থেকে। Noise কোম্পানির ColorFit Pulse গ্র্যান্ড স্মার্টওয়াচ পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে। জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম Amazon এবং Noise কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে gonoise.com-এ পাওয়া যাচ্ছে এই ColorFit Pulse গ্র্যান্ড স্মার্টওয়াচ।একই সঙ্গে এই স্মার্টওয়াচে থাকছে নানা আকর্ষণীয় ফিচার। ColorFit Pulse গ্র্যান্ড স্মার্টওয়াচে রয়েছে ১.৬৯ ইঞ্চির টিএফটি (TFT) এলসিডি (LCD) স্ক্রিন। সেই সঙ্গে রয়েছে ৬০টি স্পোর্টস মোড। ColorFit Pulse গ্র্যান্ড স্মার্টওয়াচে রয়েছে এসপি০২ (Sp02)মনিটর, ১৫০ ওয়াচ ফেসেস, আইপি৬৮ (IP68) রেটিং। ColorFit Pulse গ্র্যান্ড স্মার্টওয়াচে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের হেলথ স্যুট ফিচার। এর মধ্যে রয়েছে হার্ট রেট মনিটর, স্ট্রেস মনিটর, স্লিপ মনিটর, ব্লাড অক্সিজেন মনিটর এবং মেন্সট্রুয়াল সাইকেল ট্র্যাকার। রয়েছে নানা নয়েসফিট অ্যাপ। ইউজাররা চাইলে নিজেদের ফিটনেস শেয়ার করতে পারবেন অন্যদের সঙ্গে। ColorFit Pulse গ্র্যান্ড স্মার্টওয়াচ একবার চার্জ দিলে একটানা প্রায় ৭ দিন ধরে চলবে। Noise কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে যে ColorFit Pulse গ্র্যান্ড স্মার্টওয়াচে মাত্র ১৫ মিনিটে চার্জ হবে প্রায় ১,৫০০ মিনিট। এ ছাড়াও ColorFit Pulse গ্র্যান্ড স্মার্টওয়াচ হল একটি ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টওয়াচ। এর ফলে সাঁতার কাটার সময়েও এটি পরে থাকা সম্ভব। ইউজারদের সুইমিং সেশন বেটার করে তোলার জন্য ColorFit Pulse গ্র্যান্ড স্মার্টওয়াচে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফিচার। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Noise colorfit pulse drand smartwatch launched at rs
ইউজাররা চাইলে নিজেদের ফিটনেস শেয়ার করতে পারবেন অন্যদের সঙ্গে ColorFit Pulse গ্র্যান্ড স্মার্টওয়াচ একবার চার্জ দিলে একটানা প্রায় ৭ দিন ধরে চলবে Noise কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে যে ColorFit Pulse গ্র্যান্ড স্মার্টওয়াচে মাত্র ১৫ মিনিটে চার্জ হবে প্রায় ১,৫০০ মিনিট এ ছাড়াও ColorFit Pulse গ্র্যান্ড স্মার্টওয়াচ হল একটি ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টওয়াচ এর ফলে সাঁতার কাটার সময়েও এটি পরে থাকা সম্ভব ইউজারদের সুইমিং সেশন বেটার করে তোলার জন্য ColorFit Pulse গ্র্যান্ড স্মার্টওয়াচে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফিচার Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Noise colorfit pulse drand smartwatch launched at rs
বাজারে এল বাজেট ফ্রেন্ডলি স্মার্ট ওয়াচ NoiseFit Evolve 2
বিপিএল এ ঢাকাকে নেতৃত্ব দেবেন নাসির
জিমেল পাসওয়ার্ড কীভাবে বদলাবেন? জেনে নিন
Egra Blast: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের পুলিশের
state
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৈআইনি বাজির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যুমিছিল এগরায়। ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এগরায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এবার এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে এফআইআর দায়ের করল পুলিশ। বাজি কারখানার মালিক কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশের পর এগরা কাণ্ডের তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। আজ, বুধবার ঘটনাস্থলে যাবে ফরেন্সিক টিম। গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত ভানু বাগকে আগেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গতবছর অক্টোবর মাসে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জামিন পান তিনি। অতীতে এই বাজির কারখানায় বিস্ফোরণে ভানুর ভাই-সহ আরও বহু কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আজ ঘটনাস্থলে যাবেন শুভেন্দু অধিকারী। কাঁথির বাড়ি থেকে ইতিমধ্যেই এগরার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তিনি।
গতবছর অক্টোবর মাসে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় পরে জামিন পান তিনি অতীতে এই বাজির কারখানায় বিস্ফোরণে ভানুর ভাই-সহ আরও বহু কর্মীর মৃত্যু হয়েছে আজ ঘটনাস্থলে যাবেন শুভেন্দু অধিকারী কাঁথির বাড়ি থেকে ইতিমধ্যেই এগরার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তিনি
এগরায় বিস্ফোরণের জেরে পুলিশের অভিযান ধূপগুড়িতে
গ্রেপ্তার এগরা কান্ডের মূল অভিযুক্ত
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নিয়ে যেসব উদ্বেগ তৈরি হতে পারে
ভারতে টেলিকম বিভ্রাট জিও’র
national
টেলিকম বিভ্রাটে জেরবার জিও নেটওয়ার্ক। মঙ্গলবার  সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এই বিষয়ে রিপোর্ট করতে দেখা যায় জিও’র গ্রাহকদের। ফোন বা মেসেজ পরিষেবার ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ জানাতে থাকেন গ্রাহকরা। একজন গ্রাহক টুইটারে লিখেছেন, “সকাল থেকে কোনো ভোল্ট সাইন নেই এবং তাই কোনো কল করতে পারছি না। সাধারণ কলেই এই সমস্যা হলে আপনি (রিলায়েন্স) কি এভাবেই ৫জি পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন?"  এখনও এই বিভ্রাটের সমাধান করতে পারেনি জিও।ডাউনডিটেক্টরের মতে, জিও ভারতের অনেক গ্রাহকের জন্য সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কাজ বন্ধ করছে না। আরও জানা গেছে যে ৩৭ শতাংশ গ্রাহক সিগন্যাল না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন, ৩৭ শতাংশ ব্যবহারকারী ফোন করতে এবং মেসেজ পাঠাতে পারছেন না, ২৬ শতাংশ ব্যবহারকারী মোবাইল ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করতে সমস্যা হচ্ছে।এই সমস্যা দিল্লি, আমেদাবাদ, মুম্বাই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, কলকাতা সহ অন্যান্য শহরগুলিকে প্রভাবিত করেছে।
টেলিকম বিভ্রাটে জেরবার জিও নেটওয়ার্ক মঙ্গলবার  সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এই বিষয়ে রিপোর্ট করতে দেখা যায় জিও’র গ্রাহকদের ফোন বা মেসেজ পরিষেবার ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ জানাতে থাকেন গ্রাহকরা
জিওকে টক্কর, অতিরিক্ত ডেটা দিচ্ছে ভোডাফোন-আইডিয়া
প্রত্যাশার, প্রাপ্তির বাজেট
সর্বগ্রাসী
লাল ঝাণ্ডার নেতৃত্বে এককাট্টা মানুষ: সেলিম
state
সোমবার কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে সমাবেশের ডাক দেয় সিপিআই(এম) কলকাতা জেলা কমিটি। সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম)’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সভা পরিচালনা করেন কল্লোল মজুমদার। এদিনের সভায় ইয়েচুরি বলেন, পশ্চিম বাংলার বামপন্থীরাই পারেন গণতান্ত্রিক অধিকার, সংখ্যালঘু অধিকার এবং নাগরিক অধিকার রক্ষা করতে। আজকে দেশের মধ্যে জনতার আওয়াজকে জোরালো করা প্রয়োজন। ক্ষুধা, দারিদ্র, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব বিরোধী লড়াইকে জোরদার করা জরুরি। পার্টির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, এর পাশাপাশি সংবিধান ধ্বংস করা, ঘৃণা ছড়ানোর রাজনীতির বিরুদ্ধেও সংগ্রাম জরুরি। এই কাজ করতে পারে একমাত্র লালঝান্ডা। সিপিআই(এম) সেই লড়াইকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এদিনের সমাবেশে মহম্মদ সেলিম বলেন, সারা রাজ্য জুড়ে তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী মানুষ লালঝান্ডার নেতৃত্বে এককাট্টা হয়েছেন। দালাল মিডিয়ার স্টুডিওতে বসে থাকা তথাকথিত রাজনৈতিক পন্ডিত বাদে সবাই এটা বুঝতে পারছেন। আগামী দিনে তাঁরাও পারবেন। করোনার আগে, করোনার সময়ে এবং করোনা পরবর্তীকালে মোদী সরকারের জন্য অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। ১০০ দিনের কাজ বামপন্থীদের উদ্যোগে চালু হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদী সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে সেই প্রকল্প বন্ধ করে দিতে। আর তৃণমূল চাইছে প্রকল্প বন্ধ হওয়ার আগে যতটা সম্ভব লুটে খেতে। কিন্তু বামপন্থীরা একদিকে গরিব মানুষের কর্মসংস্থান প্রকল্পকে বন্ধ করা রুখবেন, অপরদিকে তৃণমূলের থেকে লুঠের টাকার পাই পয়সার হিসেব আদায় করবেন। সেলিম বলেন, তৃণমূল চুরি জোচ্চুরি শিখেছে বিজেপির কাছে। মধ্য প্রদেশের ব্যাপম কেলেঙ্কারির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে বিজেপি আরএসএস। সাংবাদিক, সমাজকর্মী, সাক্ষী সহ শতাধিক মানুষকে খুন করা হয়েছে এই কেলেঙ্কারি ঢাকতে। করোনার সময় পিএম কেয়ার্সের নামে লুট চালিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। আর এই মডেল অনুসরণ করেই এরাজ্যে সরকারি নিয়োগে নজিরবিহীন দুর্নীতি করেছে তৃণমূল। আর এই সমস্ত দুর্নীতি থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে ধর্মের নামে রাজনীতি চলছে জোরকদমে। সভায় মহম্মদ সেলিম বলেছেন, বিজেপি বলেছিল কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হলে সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু বাস্তবে এর উল্টোটা হয়েছে। তাই সোনাম ওয়াংচুককে খোলা আকাশের নিচে অনশন করতে হচ্ছে। নৌশাদ সিদ্দিকির গ্রেপ্তারির তীব্র প্রতিবাদ এদিন ফের মঞ্চ থেকেকরেছেন তিনি।
সাংবাদিক, সমাজকর্মী, সাক্ষী সহ শতাধিক মানুষকে খুন করা হয়েছে এই কেলেঙ্কারি ঢাকতে করোনার সময় পিএম কেয়ার্সের নামে লুট চালিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী আর এই মডেল অনুসরণ করেই এরাজ্যে সরকারি নিয়োগে নজিরবিহীন দুর্নীতি করেছে তৃণমূল আর এই সমস্ত দুর্নীতি থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে ধর্মের নামে রাজনীতি চলছে জোরকদমে সভায় মহম্মদ সেলিম বলেছেন, বিজেপি বলেছিল কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হলে সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে কিন্তু বাস্তবে এর উল্টোটা হয়েছে তাই সোনাম ওয়াংচুককে খোলা আকাশের নিচে অনশন করতে হচ্ছে নৌশাদ সিদ্দিকির গ্রেপ্তারির তীব্র প্রতিবাদ এদিন ফের মঞ্চ থেকেকরেছেন তিনি
অধিকার আদায়ের জন্য লড়ছে লাল ঝাণ্ডা, জনসভায় মহম্মদ সেলিম
দশকের একক
নাইজেরিয়ায় বিস্ফোরণ, নিহত ৫৪
তাক লাগানো ডিসপ্লে নিয়ে হাজির স্যামসাং
technology
বেজেল লেস বাজারকে তাক করতে স্যামসাং নিয়ে আসছে দুর্দান্ত আউটলুকের A সিরিজের ফোন। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই গ্যালাক্সি A সিরিজের প্রচলন শুরু হয়েছে। Galaxy A9s এবং Galaxy A6s- এই দুটি নতুন স্মার্টফোন বৃহস্পতিবার চিনে লঞ্চ হয়েছে। এই লঞ্চিং অনুষ্ঠানের মাঝেই স্যামসাং আরেকটি ফোনের (Galaxy A8s) ডিসপ্লে প্রকাশ্যে নিয়ে আসে। একইসঙ্গে পরের বছরের মধ্যেই Galaxy S10 লঞ্চের আভাসও দেওয়া হয়েছে এদিন। Galaxy A8s এ থাকবে সম্পূর্ণ বেজেল-কম ডিসপ্লে। ফলে হঠাৎ করে দেখলে কিছু নেই বলেই মনে হবে আপনার। ক্যামেরার জন্য সামনে একটি অংশ আছে। ইতিমধ্যে একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তবে তাতে তিনটি আলাদা আলাদা জায়গায় সেলফি ক্যামেরা দেখা যাচ্ছে। তবে, আদৌ তিনটি ক্যামরা থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: Amazon Great Indian Festival Sale 2018: আমাজনের সেরা অফারটি অপেক্ষা করছে আপনার জন্য স্যামসাং-এর এই পোনটির সম্পর্কে এর বেশি এখনও কিছু জানা যায়নি। ফলে, ক্যামেরা মডিউলের জন্য ডিভাইসটিতে এই কাটাআউটটিই থাকবে কি না তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ক্যামেরার অংশটি ডিসপ্লের নিচে হবে না কি ওপরে, সে সব নিয়েও মুখ খোলেনি সংস্থাটি। যদি ক্যামেরাটি ডিসপ্লের নীচে হয়, তাহলে ভিডিও দেখার সময় গোটা স্ক্রিন জুড়েই তা দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে। ফ্রন্ট ক্যামেরার লেন্সটি এ ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। [bc_video video_id=”5820042312001″ account_id=”5798671093001″ player_id=”JvQ6j3xDb1″ embed=”in-page” padding_top=”56%” autoplay=”” min_width=”0px” max_width=”640px” width=”100%” height=”100%”] আরও পড়ুন:আমেরিকাকে জবাব দিতে চিনের ‘অদৃশ্য’ যুদ্ধবিমান চীনে অনুষ্ঠান চলাকালীন স্যামসাংয়ের টিজার ছবিতে Galaxy A8s এর ডিসপ্লেতে কোনও কাটআউট ছিল না । ফলে oppo Fx এবং ভিভো নেক্সের মতো স্লাইড আউট ক্যামেরার সম্ভবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। Read full story in English Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Samsung showcases truly bezel less smartphone galaxy a8s with a camera hole
চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই গ্যালাক্সি A সিরিজের প্রচলন শুরু হয়েছে Galaxy A9s এবং Galaxy A6s- এই দুটি নতুন স্মার্টফোন বৃহস্পতিবার চিনে লঞ্চ হয়েছে এই লঞ্চিং অনুষ্ঠানের মাঝেই স্যামসাং আরেকটি ফোনের (Galaxy A8s) ডিসপ্লে প্রকাশ্যে নিয়ে আসে একইসঙ্গে পরের বছরের মধ্যেই Galaxy S10 লঞ্চের আভাসও দেওয়া হয়েছে এদিন Galaxy A8s এ থাকবে সম্পূর্ণ বেজেল-কম ডিসপ্লে ফলে হঠাৎ করে দেখলে কিছু নেই বলেই মনে হবে আপনার
আগামীদিনে পপ্ আপ ক্যামেরার ফোন আনতে চলেছে স্যামসাং
রাশিয়ায় বিদ্রোহ, মস্কোর দিকেই ভাড়াটে যোদ্ধারা?
এনসিইআরটির পাঠ্য পুস্তক থেকে মুছে দেওয়া হল আজাদের নাম
কোভিড কমেছে, ‘নতুন অতিমারী’ কনজাংটিভাইটিস! ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছেন চিকিৎসকরা
lifestyle
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কনজাংটিভাইটিস (Conjunctivitis)। চোখের সংক্রমণের এই অসুখ ক্রমেই ভয় ধরাচ্ছে। প্রতিনিয়তই বাড়ছে ভাইরাসঘটিত অসুখটিতে আক্রান্তের সংখ্যা। আর এতেই ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার চিকিৎসকরা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জানালেন, পরিস্থিতি যা, তাতে এই অসুখকে ‘কোভিডের মতোই অতিমারী’ বলাই যায়। কেন এমন বলা হচ্ছে কনজাংটিভাইটিসকে? চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এটি করোনার মতোই ভাইরাস সংক্রমণ। এই অসুখকে ‘আই ফ্লু’ও বলা হয়। খুব দ্রুত একজন থেকে অন্যজনে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। তাই এমন বলছেন তাঁরা। ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথমবার বাংলায় দেখা দিয়েছিল কনজাংটিভাইটিসের প্রকোপ! তাই এর আরেক নাম ‘জয় বাংলা’। সেই অসুখই এবার ফিরে এসেছে নতুন করে। মূলত কমবয়সিরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, বারবার সাবান ও জল দিয়ে হাত ধোয়ার। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এর থেকে বাঁচতে বারবার হাত ধোয়ার পাশাপাশি চোখে হাত না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। আক্রান্তকে অন্যের ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে বিশ্রামে থাকার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। Highlights
কেন এমন বলা হচ্ছে কনজাংটিভাইটিসকে? চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এটি করোনার মতোই ভাইরাস সংক্রমণ এই অসুখকে ‘আই ফ্লু’ও বলা হয় খুব দ্রুত একজন থেকে অন্যজনে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ তাই এমন বলছেন তাঁরা ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথমবার বাংলায় দেখা দিয়েছিল কনজাংটিভাইটিসের প্রকোপ! তাই এর আরেক নাম ‘জয় বাংলা’
কোভিড: বিশ্বে শনাক্ত ও মৃত্যু কমেছে
মোদীর শিক্ষানীতি মানতে কমিটি-কৌশল রাজ্যের
সানিয়ার সেঞ্চুরি! ১০০ বার একই কাজ করেছেন সানিয়া, সঙ্গী ছিলেন শাহরুখ
‘না ‘ইন্ডিয়া’, নো এনডিএ’! মায়াবতীর ২৪-এর নির্বাচনী লড়াই ঠিক কোন পথে?
politics
‘না ‘ইন্ডিয়া’, নো এনডিএ’…! বিএসপি নিজে থেকে লোকসভা নির্বাচনে লড়বে, ঘোষণা মায়াবতীর। BSP সুপ্রিমো মায়াবতী ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই তার রণকৌশল তৈরির কাজে নেমে পড়েছেন। একদিকে শাসক দল বিজেপি ও বিরোধী দলগুলি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে। অন্যদিকে, বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) সভাপতি মায়াবতী তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। মায়াবতী বুধবার জানিয়েছেন, তার দল ২৬-সদস্যের ‘ইন্ডিয়া’ জোটে যোগ দেবে না বা ৩৯-সদস্যের এনডিএ-তে যাবে না। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নিজে একাই লড়বেন তিনি। উভয় জোট থেকে সমান দূরত্ব বজায় রাখার কৌশল নিয়েছেন মায়াবতী। একটি ভিডিও বিবৃতিতে, বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) সভাপতি বলেছেন, “লোকসভা নির্বাচন যেহেতু ঘনিয়ে আসছে, আমাদের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে৷ আমরা সারা দেশে সভাও করছি”৷ রিপোর্ট অনুসারে, মায়াবতী ঘোষণা করেছেন যে বিএসপি হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোটের পথ খোলা রেখেছেন। তবে ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে একাই নির্বাচনে লড়বেন। মায়াবতী জানিয়েছেন, একদিকে কংগ্রেস জোটের মাধ্যমে সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখছে, অন্যদিকে শাসক দল আবার জিততে মরিয়া। আঞ্চলিক দলগুলিকে যদি একত্রিত হতে হয় তবে তাদের এনডিএ এবং ইউপিএ-র নতুন নামের সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত নয়। ২৩ জুন পাটনায় অনুষ্ঠিত ১৬ বিরোধী দলের প্রথম যৌথ সভায় বিএসপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। জনতা দলের (ইউনাইটেড) একজন সিনিয়র কর্মকর্তা তখন বলেছিলেন যে ‘মায়াবতীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কারণ তিনি বিরোধী ঐক্যের অংশ হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি’। “বিরোধী ঐক্যে যোগ দেওয়ার কোনও ইচ্ছা বিএসপি পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়নি। তাই বিএসপি সভাপতিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে, বিএসপি বিজেপির চেয়ে কংগ্রেসের বেশি সমালোচনা করেছে…। কেবলমাত্র সেই দল এবং নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে যারা বিজেপির বিরুদ্ধে ফ্রন্ট তৈরি করতে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং বিরোধী ঐক্যের উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত, “এক সিনিয়ার জেডি (ইউ) নেতা বলেছেন। ১৭-১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত বিরোধীদের দ্বিতীয় যৌথ অধিবেশনেও বিএসপিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, যেখানে ২৬টি দলের নেতারা আসন্ন ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের রনকৌশল নির্ধারণে জড়ো হয়েছিলেন। পাটনা কনক্লেভের আগে, মায়াবতী একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন যে তার দল বিজেপি সরকারের মোকাবেলা করার জন্য বিরোধী দলগুলি যে ক্রিয়াকলাপগুলি নিচ্ছে তার উপর নজর রাখছে। বিএসপি প্রধান তখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এবং জেডি(ইউ) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার কর্তৃক গৃহীত বিরোধী ঐক্যের প্রচেষ্টার “গুরুত্ব” নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন, বলেছিলেন “দিল মিলে না মিলে, হাত মিলাতে রাহিয়ে”। গত বছরের সেপ্টেম্বরে, নীতীশ যখন বিজেপি-বিরোধী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে বিভিন্ন সিনিয়র বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন সেই  তালিকায় মায়াবতীর নাম ছিল না। চলতি বছরের মে মাসে, যখন ২০ টিরও বেশি বিরোধী দল নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দেয় তখন মায়াবতী প্রধানমন্ত্রী মোদীর নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। মায়াবতীকে নতুন সংসদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কিন্তু তিনি “বিএসপি পর্যালোচনা সভা সহ পূর্বনির্ধারিত ব্যস্ততার” কারণে অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। গত বছরের জুলাইয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে, বিএসপি বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ-এর প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করে। গত বছরের আগস্টে অনুষ্ঠিত উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে, মায়াবতী এনডিএ-র প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কেও সমর্থন করেন। চলতি বছরের ১৫ জানুয়া্রি, মায়াবতী বিরোধী ঐক্যের বিষয়ে মন্তব্য করার সময় বলেছিলেন যে বিএসপি-র আদর্শ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির থেকে আলাদা এবং তার দল কোনও জোটে না গিয়ে একাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তিনি১৯ জুলাই এই অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করেন এবং দাবি করেছিলেন যে তার দল এনডিএ এবং বিরোধীদের ভারত জোট উভয়ের থেকে দূরত্ব বজায় রাখবে। 2৮শে জুন, যখন ভীম সেনা প্রধান এবং আজাদ সমাজ পার্টির সভাপতি, চন্দ্রশেখর আজাদকে সাহারানপুরে বেশ কয়েকজন আততায়ীর গুলি করে, বিরোধী দলগুলি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিল এবং বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, কিন্তু মায়াবতী এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা থেকে নিজেকে বিরত রাখেন । চন্দ্রশেখর বর্তমানে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং রাষ্ট্রীয় লোকদলের (আরএলডি) সঙ্গে ২৪-এর নির্বাচনের একসঙ্গে লড়াইয়ের বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন। সংসদের চলমান বাদল অধিবেশনে দিল্লিতে কেন্দ্রের আনা অধ্যাদেশ প্রসঙ্গেও বিলের উপর ভোটদানের পাশাপাশি আলোচনা থেকে বিরত থাকে মায়াবতীর দল। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: Mayawati steers clear of oppn unity nct amendment bill to firing on bhim army chief to new parliament event
মায়াবতী জানিয়েছেন, একদিকে কংগ্রেস জোটের মাধ্যমে সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখছে, অন্যদিকে শাসক দল আবার জিততে মরিয়া আঞ্চলিক দলগুলিকে যদি একত্রিত হতে হয় তবে তাদের এনডিএ এবং ইউপিএ-র নতুন নামের সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত নয় ২৩ জুন পাটনায় অনুষ্ঠিত ১৬ বিরোধী দলের প্রথম যৌথ সভায় বিএসপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি জনতা দলের (ইউনাইটেড) একজন সিনিয়র কর্মকর্তা তখন বলেছিলেন যে ‘মায়াবতীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কারণ তিনি বিরোধী ঐক্যের অংশ হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি’ “বিরোধী ঐক্যে যোগ দেওয়ার কোনও ইচ্ছা বিএসপি পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়নি তাই বিএসপি সভাপতিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি অনেক ক্ষেত্রে, বিএসপি বিজেপির চেয়ে কংগ্রেসের বেশি সমালোচনা করেছে… কেবলমাত্র সেই দল এবং নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে যারা বিজেপির বিরুদ্ধে ফ্রন্ট তৈরি করতে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং বিরোধী ঐক্যের উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত, “এক সিনিয়ার জেডি (ইউ) নেতা বলেছেন ১৭-১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত বিরোধীদের দ্বিতীয় যৌথ অধিবেশনেও বিএসপিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, যেখানে ২৬টি দলের নেতারা আসন্ন ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের রনকৌশল নির্ধারণে জড়ো হয়েছিলেন পাটনা কনক্লেভের আগে, মায়াবতী একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন যে তার দল বিজেপি সরকারের মোকাবেলা করার জন্য বিরোধী দলগুলি যে ক্রিয়াকলাপগুলি নিচ্ছে তার উপর নজর রাখছে
না INDIA, নো NDA…! ‘একলা চলো নীতিতে’ অনড় মায়াবতী
২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে জোটের পথ খোলা রেখে লড়াইয়ে মায়াবতী, কংগ্রেসের প্রতি নমনীয় হওয়ার নির্দেশ
Flipkart ধামাকা সেল, ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টে পান ৮০% পর্যন্ত ছাড়
সংসদে ‘অর্ধেক আকাশ’ এখনও অনেক দূর
editorial
‘দেখ আমি বাড়ছি মাম্মি’। বিজ্ঞাপনের সেই পরিচিত স্লোগানটাকে ধার করে আমরা কি বলতে পারি, ‘দেখ আমি বাড়ছি গণতন্ত্র’? এই আমি কারা? এই আমি আসলে ভারতবর্ষের মহিলারা, যাঁরা অনেক লড়াইয়ের পরে আস্তে আস্তে ভারতবর্ষের সংসদীয় গণতন্ত্রে জায়গা করে নিচ্ছেন। এই বছর ভারতবর্ষের লোকসভায় ৫৪২ জন সাংসদের মধ্যে ৭৮ জন মহিলা। অর্থাৎ শতাংশের হিসেবে আমাদের লোকসভায় ১৪ শতাংশ মহিলা। ২০১৪-এর লোকসভায় নির্বাচনের পরে, অর্থাৎ ষোড়শ লোকসভায় মহিলাদের সংখ্যা ছিল ৬৫ জন। অর্থাৎ ১২ শতাংশ। তার আগের বার অর্থাৎ ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে, পঞ্চদশ লোকসভায় মহিলা সাংসদের সংখ্যা ছিল ৫৯। তা হলে যদি দেখতে হয়, নিশ্চিন্তে বলাই যেতে পারে, গত তিনটি লোকসভা নির্বাচনে ধারাবাহিক ভাবে ভারতবর্ষের সংসদে মহিলাদের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু সেটাই কি যথেষ্ট? মানবীবিদ্যার গবেষক হিসেবে বলতে পারি, এই বিষয়ে ভারতবর্ষ অনেক পিছিয়ে। বিশ্বের ১৯০টি দেশের মধ্যে ভারতবর্ষ রয়েছে ১৫৩তম স্থানে। ‘আন্তর্জাতিক পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন’-এর তৈরি করা তালিকা অনুযায়ী, জাতিদাঙ্গায় বিধ্বস্ত আফ্রিকার রোয়ান্ডা বিশ্বে সর্বপ্রথম। সে দেশের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে মহিলাদের সংখ্যা ৬১ শতাংশ। ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলিতে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব সেই দেশগুলির পার্লামেন্টে প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি। তার তুলনায় আমেরিকা এবং ইংল্যান্ড বেশ পিছিয়ে। আমেরিকায় যেখানে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব ৩২ শতাংশ, সেখানে ইংল্যান্ডের পার্লামেন্টে মহিলা সদস্য মাত্রই ২৩ শতাংশ। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমেরিকায় গত বারের নির্বাচনে কিন্তু হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ-এ উল্লেখযোগ্য ভাবে মহিলাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিহাস সৃষ্টি করে প্রথম মুসলিম মহিলা হিসেবে রশিদা তালিব মার্কিন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ-এ ঢুকে পড়েছেন, তেমনই অভিবাসীদের মধ্যেও অনেক মহিলা ২০১৮-র নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন। যেটা আমাদের ভারতীয় হিসেবে চিন্তায় রাখতে পারে, সেটা হচ্ছে, প্রতিবেশী পাকিস্তান বা বাংলাদেশেও আমাদের পার্লামেন্টের তুলনায় মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব অনেক বেশি। পাকিস্তানে যেটা ২০ শতাংশ, সেটা বাংলাদেশে ২১ শতাংশের উপরে। বাংলাদেশে তো এর আগের বার সংসদে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেত্রী, স্পিকার সবাই মহিলা ছিলেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ অন্তত এই বিষয়টি নিয়ে গর্ব করতেই পারে। তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে যদি ভারতবর্ষের সংসদে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেন, তা হলে দেখা যাবে ২০০৯ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে সংসদে মহিলাদের সংখ্যা বেড়েছে ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে প্রায় ১৪ শতাংশ হয়েছে। এর আগের লোকসভায়, মানে ষোড়শ লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকেও যথেষ্ট মহিলা প্রতিনিধি ছিল লোকসভায়। কিন্তু তার পরেও ভারতবর্ষের হাল সন্তুষ্ট করার মতো নয়? যেহেতু ভারতবর্ষ বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র বলে নিজে দাবি করে এবং আমরা সত্যি সত্যিই তাই, তাই জনসংখ্যার অর্ধেক আকাশ যাঁরা পূর্ণ করছেন, সেই মহিলাদের যথার্থ প্রতিনিধিত্ব কিন্তু এখনও ভারতবর্ষের সংসদে দেখা যায়নি। বিজেপি, কংগ্রেস— দেশের দুই প্রধান দল নীতিগত ভাবে সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ বা আরও পরিষ্কার করে বলতে গেলে লোকসভার এক-তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করার জন্য দাবিকে নীতিগত ভাবে মেনে নিলেও আজ অবধি সেই বিল পাশ হয়নি। লোকসভায় সেই বিল পাশ না হওয়ার প্রধান কারণ উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের দুই শক্তিশালী দল যথাক্রমে সমাজবাদী পার্টি এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দলের এই সংরক্ষণের তীব্র বিরোধিতা করা। মূলত তাঁদের তীব্র বাধাতেই লোকসভায় মহিলাদের সংরক্ষণ বিল পাশ হতে পারেনি। আর একটু যদি পরিসংখ্যান নিয়ে নাড়াচাড়া করি, তা হলে, মহিলাদের প্রতিনিধিত্বের দিক থেকে ভারতবর্ষ কতটা পিছিয়ে আছে তা পরিষ্কার হবে। দেশের ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ৪৮.৪ শতাংশ আসনে ১৯৬২ সাল থেকে কোনও মহিলা লোকসভা নির্বাচনে জিততে পারেননি। অর্থাৎ দেশের প্রায় অর্ধেক আসনই গত ৬০ বছরে কোনও মহিলা সাংসদ পায়নি। অথচ ভারতবর্ষের সংসদীয় গণতন্ত্রে মহিলাদের সাফল্যের খতিয়ান কিন্তু যথেষ্ট ভাল। বিভিন্ন সমীক্ষক দল যখনই তৃণমূল স্তরের জনপ্রতিনিধিত্ব বা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন, দেখা গিয়েছে গ্রামসভার ক্ষেত্রে, পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে মহিলা নেতৃত্বের ভূমিকা খুবই ভাল। যে কোনও ধরনের আলোচনা, নতুন কোনও নীতি প্রণয়ন বা গ্রামসভা পর্যায় উত্তেজনা নিরসনে মহিলা জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা খুবই ভাল। তা হলে কেন সংসদে বা গণতন্ত্রের বৃহত্তম পীঠস্থানে অর্থাৎ লোকসভায় মহিলাদের সংখ্যা কম থাকবে? আসলে এটাই বোধহয় পুরুষতন্ত্রের চশমা দিয়ে রাজনীতিকে দেখার বিপদ এবং সেই কারণেই রাজনীতির প্রধান মঞ্চে মহিলাদের উঠে আসার ক্ষেত্রে বাধাও বটে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের কথাই ভাবুন, জয়াপ্রদা থেকে মিমি চক্রবর্তী এক জন মহিলাকে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হওয়ার জন্য কতটা তীব্র ব্যক্তিগত এবং সামাজিক আক্রমণকে সহ্য করতে হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত দুই সাংসদ, যাঁরা অভিনেত্রীও বটে, সেই মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহানকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ট্রোলিং’-এর মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়েছে। এক সময়ে তারকা ক্রিকেটার, এ বারের নির্বাচিত সাংসদ গৌতম গম্ভীর যদি টি-শার্ট আর জিনস পরে লোকসভায় যান, তা হলে সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয় না। কিন্তু একই ধরনের পোশাক পরে মিমি কিংবা নুসরত যদি লোকসভার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন এবং সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করেন, তা হলে ট্রোলিং-এর ঝড় বয়ে যায়। এটাই পুরুষতন্ত্রের ‘প্রিজম’ দিয়ে নারীকে দেখার চেষ্টা এবং নারীর ক্ষমতায়নকে সব সময় হেয় করে যাওয়া বা ছোট করে দেখানোর চেষ্টা। সেই জন্যই তো সমাজবাদী পার্টির আজম খান জয়াপ্রদাকে নিয়ে ওই রকম কুরুচিকর মন্তব্য করেও পার পেয়ে যান। আসলে আমরা মহিলা প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি, দেশের একাধিক রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছি, লোকসভার স্পিকারের আসনেও মীরা কুমার কিংবা সুমিত্রা মহাজনেরা বসেছেন, কিন্তু আসলে মহিলাদের ক্ষমতায়ন হয়নি। হয়নি বলেই কোনও রাজনীতিক অনায়াসে বলতে পারেন, একদা নায়িকা, আজকের সাংসদ হেমা মালিনীর গালের মতো মসৃণ রাস্তা বানিয়ে দেবেন। ভেবেও দেখেন না, এই মন্তব্য এক জন মহিলার কাছে কি আদৌ কোনও সম্মানের বার্তা বহন করে নিয়ে যায়? বিখ্যাত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ নেভিল কার্ডাস যদিও বলেছিলেন, স্কোরবোর্ড একটা গাধা, কিন্তু অনেক সময় তো স্কোরবোর্ড আপনাকে বাস্তবের একটা হদিশ দেয়। সেই জন্যই ধারাবাহিক ভাবে কী ভাবে ভারতবর্ষের সংসদে মহিলাদের প্রতিনিধিত্বের হার নির্ধারিত হয়েছে, তা বিচার করলে বোঝা যাবে কেন এখনও আমাদের অনেকটা দূর যাওয়া বাকি। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক
‘আন্তর্জাতিক পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন’-এর তৈরি করা তালিকা অনুযায়ী, জাতিদাঙ্গায় বিধ্বস্ত আফ্রিকার রোয়ান্ডা বিশ্বে সর্বপ্রথম সে দেশের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে মহিলাদের সংখ্যা ৬১ শতাংশ ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলিতে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব সেই দেশগুলির পার্লামেন্টে প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি তার তুলনায় আমেরিকা এবং ইংল্যান্ড বেশ পিছিয়ে আমেরিকায় যেখানে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব ৩২ শতাংশ, সেখানে ইংল্যান্ডের পার্লামেন্টে মহিলা সদস্য মাত্রই ২৩ শতাংশ আমাদের মনে রাখতে হবে, আমেরিকায় গত বারের নির্বাচনে কিন্তু হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ-এ উল্লেখযোগ্য ভাবে মহিলাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ইতিহাস সৃষ্টি করে প্রথম মুসলিম মহিলা হিসেবে রশিদা তালিব মার্কিন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ-এ ঢুকে পড়েছেন, তেমনই অভিবাসীদের মধ্যেও অনেক মহিলা ২০১৮-র নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন যেটা আমাদের ভারতীয় হিসেবে চিন্তায় রাখতে পারে, সেটা হচ্ছে, প্রতিবেশী পাকিস্তান বা বাংলাদেশেও আমাদের পার্লামেন্টের তুলনায় মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব অনেক বেশি পাকিস্তানে যেটা ২০ শতাংশ, সেটা বাংলাদেশে ২১ শতাংশের উপরে বাংলাদেশে তো এর আগের বার সংসদে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেত্রী, স্পিকার সবাই মহিলা ছিলেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ অন্তত এই বিষয়টি নিয়ে গর্ব করতেই পারে তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে যদি ভারতবর্ষের সংসদে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেন, তা হলে দেখা যাবে ২০০৯ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে সংসদে মহিলাদের সংখ্যা বেড়েছে ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে প্রায় ১৪ শতাংশ হয়েছে এর আগের লোকসভায়, মানে ষোড়শ লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকেও যথেষ্ট মহিলা প্রতিনিধি ছিল লোকসভায় কিন্তু তার পরেও ভারতবর্ষের হাল সন্তুষ্ট করার মতো নয়? যেহেতু ভারতবর্ষ বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র বলে নিজে দাবি করে এবং আমরা সত্যি সত্যিই তাই, তাই জনসংখ্যার অর্ধেক আকাশ যাঁরা পূর্ণ করছেন, সেই মহিলাদের যথার্থ প্রতিনিধিত্ব কিন্তু এখনও ভারতবর্ষের সংসদে দেখা যায়নি বিজেপি, কংগ্রেস— দেশের দুই প্রধান দল নীতিগত ভাবে সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ বা আরও পরিষ্কার করে বলতে গেলে লোকসভার এক-তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করার জন্য দাবিকে নীতিগত ভাবে মেনে নিলেও আজ অবধি সেই বিল পাশ হয়নি
দিল্লি এখনও দূর অস্ত্
অনেক পথ এখনও বাকি
মালয়েশিয়া বেড়াতে গিয়ে জটিলতায় প্রভা!
কোয়ালিফায়ারে ব্যর্থ সাকিব, গায়ানারের বড় হার
sports
স্পোর্টস ডেস্ক: ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) শেষ দুই ম্যাচে ব্যাটে বলে দারুণ পারফর্ম করে সাকিব গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে এনে দিয়েছিলেন কোয়ালিফায়ারের টিকিট।  ধারণা করা হচ্ছিল কোয়ালিফায়ারের ম্যাচেও ফর্মের ধারাবাহিতা রাখবেন সাকিব। কিন্তু ভক্তদের হতাশ করলেন। ব্যাটে ও বলে দুক্ষেত্রেই তেমন কিছু করে দেখাতে পারলেন না তিনি। বল হাতে একটি উইকেট নেওয়ার পর বড় লক্ষ্য তাড়ায় আউট হলেন মাত্র ১ রান করে।  মঙ্গলবার সিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে সাকিবের গায়ানাকে ৮৭ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বারবাডোজ রয়্যালস। কর্নওয়াল ও আজম খানের বিধ্বংসী ইনিংসে দলটি ১৯৫ রানের সংগ্রহ পায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্রেফ ১০৮ রানেই থেমে যায় সাকিবের দল। এই ম্যাচে হারলেও এখনো ফাইনালে ওঠার সুযোগ থাকছে গায়নার। পরবর্তী ম্যাচ জিতলেই ফাইনালের মঞ্চে পৌঁছাবে সাকিবের দল।  দলের হয়ে ৩ ওভারে ২২ রান খরচায় রাকিম কর্নওয়ালের উইকেট নেন সাকিব। ব্যাট হাতে তিনি মাত্র ২ বল খেলে করেন ১ রান। আগের দুই ম্যাচে যদিও বাংলাদেশি এই অধিনায়ক ছিলেন দুর্দান্ত। ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে তিনি ২৫ বলে ৩৫ রানের ক্যামিওর পর বল হাতে নেন ৩ উইকেট। পরের ম্যাচে বারবাডোজের বিপক্ষে ২.৩ ওভারে ১২ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে খেলেন ৩০ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। এলিমিনেটরে জ্যামাইকা তালাওয়াহস ও সেন্ট লুসিয়া কিংসের মধ্যে জয়ী দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলে ফাইনালে উঠার সুযোগ রয়েছে তাদের। সে ম্যাচে সাকিব ফের জ্বলে উঠবেন সেই প্রত্যাশা আর অপেক্ষায় প্রহর গুণবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ভক্তরা। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এম/এম
ধারণা করা হচ্ছিল কোয়ালিফায়ারের ম্যাচেও ফর্মের ধারাবাহিতা রাখবেন সাকিব কিন্তু ভক্তদের হতাশ করলেন ব্যাটে ও বলে দুক্ষেত্রেই তেমন কিছু করে দেখাতে পারলেন না তিনি বল হাতে একটি উইকেট নেওয়ার পর বড় লক্ষ্য তাড়ায় আউট হলেন মাত্র ১ রান করে  মঙ্গলবার সিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে সাকিবের গায়ানাকে ৮৭ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বারবাডোজ রয়্যালস কর্নওয়াল ও আজম খানের বিধ্বংসী ইনিংসে দলটি ১৯৫ রানের সংগ্রহ পায়
ইনিংস ব্যবধানেই হারল বাংলাদেশ
ভোট বড় বালাই
পালা বদলের আভাস রক্তচাপ বাড়াল গেরুয়া শিবিরের, ইস্তেহারেই কিস্তিমাৎ কংগ্রেসের?
বর্ণহিন্দুদের তোষণ, না কি একটা আপসে পৌঁছনোর চেষ্টা?
editorial
একটি ভারতীয় দল ১৯১১ সালে ক্রিকেট খেলতে যায় ইংল্যান্ডে। দলটির সেরা বোলার ছিলেন পি বালু, জাতিতে চামার। সে সময় একটি প্রতিযোগিতা হত, যাতে হিন্দু, মুসলিম, পার্সি ও ইউরোপিয়ানরা অংশ নিতেন। ১৯১৯ সালে বালুকে জাতপাতের কারণে হিন্দু দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। উচ্চবর্ণীয়রা বালুর সঙ্গে প্যাভিলিয়ন শেয়ার করতেন না, তাঁর জন্য ছিল আলাদা চায়ের পাত্র। কিন্তু বালুর স্পিনের ভেলকিতে ইউরোপিয়ানরা পর্যুদস্ত হন। রানাডের মতো নেতা বালুকে মালা পরিয়েছিলেন। টিলকও বালুর সমর্থনে বক্তব্য রেখেছিলেন। বালুর নাম সরাসরি না করেও গাঁধীজি অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে যে কণ্ঠস্বর জোরালো করলেন, তার ফলে বালুকে দলে ফেরানো হল। অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে বাপু প্রথম হস্তক্ষেপ করেন কেরলের বৈকাম শহরে। বৈকাম মন্দিরের নাম্বুদ্রি ট্রাস্টিকে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, যে রাস্তা দিয়ে অহিন্দু, অপরাধী, দুশ্চরিত্র, কুকুর, শেয়াল ঘুরে বেড়ায়, সেই রাস্তা কেন তথাকথিত নিচু জাতির মানুষ ব্যবহার করতে পারবেন না? ট্রাস্টি জবাব দেন, ওঁরা তাঁদের কর্মফল ভোগ করছে। বাপু জবাব দিয়েছিলেন, “ধরে নিচ্ছি তাঁরা তাঁদের পূর্বজন্মের কর্মের জন্য অস্পৃশ্য হয়ে জন্মেছেন, সেটাই তো তাঁদের যথেষ্ট শাস্তি। তাঁদের শাস্তি বাড়ানো হচ্ছে কেন? তাঁরা কি অপরাধী বা জীবজন্তুর থেকেও নিকৃষ্ট?” ট্রাস্টি নিরুত্তর ছিলেন। ইতিহাসবিদ বিপান চন্দ্র লিখেছেন, ১৯২০-র দশকের প্রথম দিকে গাঁধীজি বর্ণব্যবস্থার নিন্দা করেননি, যদিও অস্পৃশ্যতা ও জাতিগত নিপীড়নের বিরোধিতা করেছিলেন। অবশ্য, ১৯৪০-এর দশকে মহাত্মা বর্ণব্যবস্থার সম্পূর্ণ মূলোচ্ছেদের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। প্রথম দিকে তিনি ভিন্ন জাতের মধ্যে বিবাহ সমর্থন করেননি। কিন্তু পরবর্তী কালে নিজে তাঁর আশ্রমে এই ধরনের বিবাহের আয়োজন করেন। গাঁধীজি বলেছিলেন, অস্পৃশ্যরা হিন্দু সমাজের থেকে পৃথক নয়। ১৯২১ সালের ৪ মে ইয়ং ইন্ডিয়া পত্রিকায় তিনি লিখছেন, “আমি পুনর্জন্মে আগ্রহী নই। কিন্তু যদি আমার পুনর্জন্ম হয়, তা হলে আমি যেন অস্পৃশ্য হয়েই জন্মাই।” ১৯২১ সাল থেকে ১৯৩৯ সালের মধ্যে তিনি চার বার মাদুরাই গেলেও মীনাক্ষী মন্দিরে প্রবেশ করেননি। দলিত সম্প্রদায় যত দিন না মন্দিরে প্রবেশাধিকার পাচ্ছে, তত দিন বাপু মন্দিরে প্রবেশ করেননি। জাতপাতের বৈষম্যের প্রতিবাদ করায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে তাঁকে লাঞ্ছিত হতে হয়। তাঁর আন্দোলনের ফলে বহু বড় মন্দির হরিজনদের প্রবেশাধিকার দিতে বাধ্য হয়। জওহরলাল নেহরু তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, গাঁধীজির আন্দোলন হিন্দুবর্ণের কুসংস্কারের ভিতকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ১৯২১ সালের এপ্রিল মাসে দলিত শ্রেণির সম্মেলনে তিনি সুস্পষ্ট ভাবেই বলেন যে, যত দিন হিন্দুরা অস্পৃশ্যতাকে ধর্মের একটি অঙ্গ বলে মনে করবেন, তত দিন স্বরাজ আসতে পারে না। ১৯২৬ সালে তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে গেলেন, তাঁর কর্মসূচি হল খাদির প্রচার, অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে রাজনৈতিক পরিসরে নানা বিষয়ে তাঁর মতান্তর ছিল। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ‘কালান্তর’ প্রবন্ধে লিখছেন, “মহাত্মা গান্ধী এসে দাঁড়ালেন ভারতের বহুকোটি গরিবের দ্বারে— তাদেরই আপন বেশে... ভারতের এত মানুষকে আপনার আত্মীয় করে আর কে দেখেছে?” সতীনাথ ভাদুড়ির কালজয়ী ‘ঢোঁড়াই চরিত মানস’ উপন্যাসে ঢোঁড়াই বলছে— “গানহি বাওয়া (গাঁধীজি, যিনি সাদি বিয়া করেননি, নাঙ্গা থাকেন বিলকুল) মেথর মেথরানীদের খুব ভালোবাসেন... তাঁকেই বলা যায় জুলুম আর বেইজ্জতির একটা কিছু বিহিত করতে।” ১৯৩২ সালে পুণে চুক্তি অনুযায়ী, হিন্দু সমাজকে বর্ণহিন্দু ও তফসিলভুক্ত হিন্দু— এই দুই ভাগে বিভক্ত করার প্রতিবাদে পুণের ইয়েরওয়াড়া জেলে আমরণ অনশন করেন। তাঁর অনশন ভঙ্গ করিয়েছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। অম্বেডকর অবশ্য বলেছিলেন যে, গাঁধীজি বর্ণহিন্দুদের বিরুদ্ধে যেতে চান না, তাদের তোষণ করেই তাঁর জীবন কেটেছে। তিনি স্বরাজ বা হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের কথা যতটা বলেছেন, অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে কিছুই প্রায় করেননি। মনে রাখতে হবে, প্রধানত গাঁধীর উদ্যোগেই ১৯৪৬ সালে নেহরু অম্বেডকরকে তাঁর মন্ত্রিসভার আইনমন্ত্রী করেছিলেন এবং মহাত্মার উৎসাহেই অম্বেডকর হয়েছিলেন সংবিধান প্রণয়নকারী কমিটির প্রধান। অমর্ত্য সেন আনন্দবাজারে একটি সাক্ষাৎকারে (‘আমরা তো মোটামুটি গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের তলায় পড়েছি’, ১৮-৭-১৭) বলেছেন— “আমি মনে করি গাঁধী আসলে চেষ্টা করেছিলেন উঁচু জাতের হিন্দুদের সঙ্গে আপস করে অন্য কিছু ব্যাপারে তাদের রাজি করাতে। যেমন, জাতপাতের তেজ কমানো, রিজ়ার্ভেশন বা সংরক্ষণ চালু করা এবং সর্বত্র ‘নিচু’ জাতের মানুষের প্রবেশাধিকার প্রতিষ্ঠা করা।’’ ১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে কারাবরণের পরে গাঁধীজি যখন আগা খান প্যালেস থেকে মুক্তি পেলেন, তখন পঞ্চগণিতে প্রার্থনা সভায় যাওয়ার পথে এক যুবক তাঁকে আক্রমণে উদ্যত হয়েছিল। ভিখু দাজি ভিলায়ে নামক কংগ্রেস সেবাদলের এক যুবকের তৎপরতায় আক্রমণকারী ধরা পড়ে। পুলিশের হাতে না দিয়ে গাঁধীজি যুবকটিকে ক্ষমা করে দেন। সেই যুবকের নাম, নাথুরাম গডসে। গাঁধীজির ১৫০তম জন্মদিনে শাসক দলের এক মহিলা সাংসদ গডসেকে ‘দেশপ্রেমিক’ আখ্যায় ভূষিত করেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ভারতীয় সংবিধান ১৭ নম্বর ধারায় যে কোনও ধরনের অস্পৃশ্যতা সম্পূর্ণ বেআইনি ঘোষণা করে। কিন্তু তার পরেও ৭০ বছর কেটে গিয়েছে। এখনও দেখা যাচ্ছে যে, অস্পৃশ্যতা প্রবল ভাবেই রয়ে গিয়েছে। গাঁধীর নিজের রাজ্য গুজরাতেই ঘোড়া চড়া বা গোঁফ রাখার ‘অপরাধ’-এ অস্পৃশ্যদের নিপীড়ন এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হয়েছে। অমিত থোরাট এবং ওঙ্কার জোশী তাঁদের সাম্প্রতিক গবেষণায় তুলে ধরেছেন যে, এখনও ভারতের শহরাঞ্চলে ২০ শতাংশ ও গ্রামাঞ্চলে ৩০ শতাংশ মানুষ অস্পৃশ্যতা অনুসরণ করে থাকেন। ক্রমাগত আছড়ে পড়া ঘটনার স্রোত, প্রস্তরযুগীয় বর্বরতা আমাদের নিক্ষেপ করছে হতাশার কৃষ্ণগহ্বরে। গণতন্ত্রের শববাহকেরা মেতে উঠেছে এক আদিম উন্মাদনায়। উন্নয়নের ভূপতিত অবস্থার পাশাপাশি চলেছে শকুনের নৈশভোজ। তথাকথিত মানবসভ্যতার পোড়ো জমিতে প্রতিনিয়ত উঠে আসছে দলিত মানুষের অসহায় আত্মসমর্পণের ঘটনা। বিশিষ্ট হিন্দি কবি রাজেশ জোশীর কয়েকটি পঙ্‌ক্তির মাধ্যমে শেষ করি— “আমরা সেই সময়ের নাগরিক যেখানে/ কোনও স্মৃতি নেই স্বপ্ন নেই/ একমুঠো নুন যে ঢেউ তুলেছিল তা মিলিয়ে গিয়েছে/ বালির উপরে পড়ে রয়েছে মরা মাছ, শামুক ও কাঁকড়া।’’
কিন্তু বালুর স্পিনের ভেলকিতে ইউরোপিয়ানরা পর্যুদস্ত হন রানাডের মতো নেতা বালুকে মালা পরিয়েছিলেন টিলকও বালুর সমর্থনে বক্তব্য রেখেছিলেন বালুর নাম সরাসরি না করেও গাঁধীজি অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে যে কণ্ঠস্বর জোরালো করলেন, তার ফলে বালুকে দলে ফেরানো হল অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে বাপু প্রথম হস্তক্ষেপ করেন কেরলের বৈকাম শহরে বৈকাম মন্দিরের নাম্বুদ্রি ট্রাস্টিকে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, যে রাস্তা দিয়ে অহিন্দু, অপরাধী, দুশ্চরিত্র, কুকুর, শেয়াল ঘুরে বেড়ায়, সেই রাস্তা কেন তথাকথিত নিচু জাতির মানুষ ব্যবহার করতে পারবেন না? ট্রাস্টি জবাব দেন, ওঁরা তাঁদের কর্মফল ভোগ করছে বাপু জবাব দিয়েছিলেন, “ধরে নিচ্ছি তাঁরা তাঁদের পূর্বজন্মের কর্মের জন্য অস্পৃশ্য হয়ে জন্মেছেন, সেটাই তো তাঁদের যথেষ্ট শাস্তি তাঁদের শাস্তি বাড়ানো হচ্ছে কেন? তাঁরা কি অপরাধী বা জীবজন্তুর থেকেও নিকৃষ্ট?” ট্রাস্টি নিরুত্তর ছিলেন ইতিহাসবিদ বিপান চন্দ্র লিখেছেন, ১৯২০-র দশকের প্রথম দিকে গাঁধীজি বর্ণব্যবস্থার নিন্দা করেননি, যদিও অস্পৃশ্যতা ও জাতিগত নিপীড়নের বিরোধিতা করেছিলেন অবশ্য, ১৯৪০-এর দশকে মহাত্মা বর্ণব্যবস্থার সম্পূর্ণ মূলোচ্ছেদের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রথম দিকে তিনি ভিন্ন জাতের মধ্যে বিবাহ সমর্থন করেননি কিন্তু পরবর্তী কালে নিজে তাঁর আশ্রমে এই ধরনের বিবাহের আয়োজন করেন গাঁধীজি বলেছিলেন, অস্পৃশ্যরা হিন্দু সমাজের থেকে পৃথক নয় ১৯২১ সালের ৪ মে ইয়ং ইন্ডিয়া পত্রিকায় তিনি লিখছেন, “আমি পুনর্জন্মে আগ্রহী নই কিন্তু যদি আমার পুনর্জন্ম হয়, তা হলে আমি যেন অস্পৃশ্য হয়েই জন্মাই” ১৯২১ সাল থেকে ১৯৩৯ সালের মধ্যে তিনি চার বার মাদুরাই গেলেও মীনাক্ষী মন্দিরে প্রবেশ করেননি দলিত সম্প্রদায় যত দিন না মন্দিরে প্রবেশাধিকার পাচ্ছে, তত দিন বাপু মন্দিরে প্রবেশ করেননি জাতপাতের বৈষম্যের প্রতিবাদ করায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে তাঁকে লাঞ্ছিত হতে হয়
হিন্দুত্ব নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা, কংগ্রেস নেতা কীভাবে ধর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন?
দূষণের শিক্ষা
কমদামে ভাল ফিচার! ভারতে আসছে রেডমির নয়া ফোন
এ রাজ্যের দিকে তাকিয়েই কি তৈরি হল মুসলিম ধরার ছাঁকনি
editorial
মানুষ নিশ্চয়ই খুশি? ভারতের মানুষ? হওয়ারই কথা। মুসলিমদের তবে এত দিনে ভারতের নাগরিক সমাজ নামক মঞ্চটায় স্বাভাবিক স্বীকৃতির আসনটা থেকে টেনে নামিয়ে দেওয়া গিয়েছে। ‘দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক’ ইত্যাদি নয়, সরাসরি তাঁদের নাগরিকত্বের অধিকার কতটা, প্রশ্নটা তা নিয়েই তোলা গিয়েছে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে সকলের, দেশব্যাপী সকলের, খুশি হওয়াটা জরুরি। বিপুল ভোটবৃষ্টিতে যাঁদের জেতানো হয়েছিল, তাঁরা তাঁদের লক্ষ্য পূরণ করেছেন। মানুষের মতদান সার্থক হয়েছে। এত বিরাট সংখ্যক মানুষকে বিপদের মুখে ফেলা গিয়েছে, দেশের সংবিধানের অন্তর্নিহিত ভাবনাকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে ভয়ঙ্কর বৈষম্যমূলক আইন বানানো হয়েছে, বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ভারত বলতে এত দিন যে যা বুঝে থাকুন না কেন সে সব এ বার ভুলে যাওয়ার সময় এসেছে, এ দেশ এখন একটা অন্য দেশ। মানুষ খুশি হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দুই মুখ অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদীর উপর পুষ্পবৃষ্টি করুন— আমাদের দেশের বহু সমস্যা বহু সঙ্কটের মধ্যে দাঁড়িয়ে এটাই, ঠিক এটাই, না করলে আমাদের সমস্যা সমাধান হচ্ছিল না। আমরা তো জানিই, এ দেশের সর্ববিধ সমস্যার মূলে আছে মুসলমানেরা। পরম লগ্ন যাকে বলে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ দেশে আজ নতুন স্বর্ণসূর্য উঠছে, নব আনন্দে জাগো নব রবিকিরণে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যসভায় সগর্জনে বলেছেন, লক্ষ্য পূর্ণ হল, গোটা পৃথিবী থেকে যদি মুসলমানেরা এসে এ দেশের নাগরিকত্ব চাইলে যে তা দেওয়া সম্ভব নয়, পরিষ্কার করা গিয়েছে। সঙ্গে এও জুড়ে দিয়েছেন যে, ভারতীয় মুসলমানদের কোনও ভয় নেই। তাঁর এই দুটো বাক্যের মধ্যবর্তী ফাঁকটা আসলে একটা সুবিস্তৃত খাদ— হিন্দু মুসলিম কারওই তা বুঝতে অসুবিধে নেই। সেই অনুক্ত ফাঁদটা হল: ভারতে বসবাসকারী মুসলমান প্রমাণ দিন যে তিনি বৈধ বসবাসকারী ‘ভারতীয় মুসলিম’। কী করে সেই প্রমাণ দেওয়া যাবে? সেটা অতল অনিশ্চয়তার গহ্বরে। বিশেষত যে ‘ফাঁক’টা গত দুই দিন নাগরিকত্ব বিল বিষয়ক তর্কগর্জনে লক্ষণীয় ভাবে অনুচ্চারিত রইল— তার নাম এনআরসি বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জি। এই অনুচ্চারণের গূঢ় অর্থ সামান্য বুদ্ধিতেই বোঝা সম্ভব। বোঝা সম্ভব, ‘ক্যাব’ নামক প্রত্যক্ষত বৈষম্যমূলক বিলটি কেন এত জরুরি ভিত্তিতে টেবিলে আনা দরকার হল। দেশে যে নাগরিক পঞ্জি তৈরি করা হচ্ছে, ভাবা হয়েছিল তাই দিয়ে মুসলিমদের আলাদা করে ফেলা যাবে। কিন্তু না, সেটা হল না। নাগরিক পঞ্জিতে নাম ওঠানোর কাজটা দেখা গেল বিপুল রকম এলোমেলো, অনিশ্চিত। অসমের মতো যে প্রদেশে সত্যিই প্রতিবেশী দেশ থেকে বেআইনি ভাবে হাজার হাজার মানুষ এসে ভিড় জমান, সেখানেও নাগরিক পঞ্জির ছাঁকনি দিয়ে মুসলিমদের আলাদা করা গেল না। ১৯ লক্ষ তালিকাবহির্ভূতের মধ্যে ১২ লক্ষই দেখা গেল হিন্দু। এমতাবস্থায়, জরুরি হয়ে পড়ল আরও একটা মুসলিম-ধরা ছাঁকনি— সেটাই হল নাগরিকত্ব বিল, থুড়ি, আইন। কাজটা সহজ নয়। এনআরসি-তে যাঁরা বাদ গেলেন, তাঁদের অনেকেই বৈধ, সঙ্গত ও পূর্ণ ভাবে এ দেশেরই মানুষ। কিন্তু অসমের অভিজ্ঞতা আর একটাও দরকারি শিক্ষা দিয়ে গেল। আসল কথাটা তো এই যে, ‘গোটা পৃথিবী থেকে’ মুসলমানেরা ভারতে থাকতে আসেন না, এমনকি পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকেও খুব নামমাত্র মানুষ ভারতে এসে পাকাপাকি ভাবে থাকতে চান। আসেন কেবল বাংলাদেশের মানুষই। অর্থাৎ প্রথমে অসম, তার পর পশ্চিমবঙ্গ, এই হল এত বড় দেশজোড়া এনআরসি তথা ‘ক্যাব’-যজ্ঞের লক্ষ্য। মুশকিল হল, বাংলাদেশ থেকে কেবল মুসলিম আসেন না, হিন্দুরাও আসেন! এনআরসি-র ছাঁকনিতে যে সেই হিন্দুরাও ধরা পড়ছেন। তা হলে চলবে কী করে, হিন্দুদের খুশি করাটাই না দরকার? তাঁদের ভোটটাই না দরকার? সুতরাং ‘লাও ক্যাব’। ২০২১ সাল এসে পড়ল বলে, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের শিঙা বাজল বলে। এই বেলা দ্রুত ‘মুসলিম মানে অনুপ্রবেশকারী’ ও ‘হিন্দু মানে শরণার্থী’ ভাগাভাগিটা শুরু করা চাই। পশ্চিমবঙ্গীয় হিন্দুরা যাতে অসমের হিন্দুদের মতো চটে না যান, বেদম খুশি হন, সেটা দেখা চাই! না হলে এই মুহূর্তে দেশে শরণার্থী নিয়ে এত ভাবনাচিন্তার দরকার ছিল না, যে সব আইন ইতিমধ্যেই আছে, তাই দিয়েই বেআইনি লোকজনকে বেআইনি ঘোষণা করা খুবই সম্ভব ছিল। কিন্তু নাগরিকত্ব আইনের মূল লক্ষ্য তো বেআইনি লোকজন ধরা নয়, লোকজনের মধ্যে ভাগাভাগি করা, যাকে বলে ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’! নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল-এর আলোচনায় এই ভাগটা করার জন্যই প্রতিবেশী দেশের ‘ধর্মীয় নির্যাতন’-এর বিষয়টা নিয়ে আসা। কিন্তু প্রতিবেশী দেশে ধর্মীয় নির্যাতনের কথা বললে তো আবার পাকিস্তানের মোহাজির বা আহমদিয়া বা শিয়ারাও ‘শরণার্থী’র দলে ঢুকে পড়েন? মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরাও? না, তাঁদের আটকাতে হবে। নির্যাতন-পরবর্তী ‘শরণার্থী’ দলে মুসলিমদের ঢোকানো যাবে না। তাই পষ্টাপষ্টি বলতে হল, ভারতে জায়গা পাবে কেবল পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দুরা, কিংবা জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি, খ্রিস্টানরা— মুসলিমরা নয়। আর মায়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা মুসলিমদের তো ভারতে জায়গা হবেই না, কেননা তাঁরা বাংলাদেশ নামক একটি ‘মুসলিম’ দেশের মধ্যে দিয়ে ভারতে এসেছেন। ‘মুসলিম দেশের মধ্য দিয়ে এলে হবে না’, যুক্তিটা লক্ষণীয়। কেননা, এর মাধ্যমেই বলে দেওয়া হল, মুসলিমরা যেন কোনও মুসলিম দেশেই থেকে যান, ভারতের মতো ‘অমুসলিম দেশ’ বা ‘হিন্দু রাষ্ট্রে’ ঢোকার সাহস যেন না দেখান। সমস্যা এখানেও থামল না। বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দুরা যে ‘ধর্মীয় নির্যাতন’-এই এসেছেন, কী ভাবে তা প্রমাণ করা যাবে? নির্যাতনের কি কিছু কাগজপত্র থাকে? এনআরসি-র সময় তো দেখাই গিয়েছিল, সে দেশ থেকে আসা হিন্দুদের অধিকাংশেরই কোনও নথিপত্র নেই, আগমনকারী মানুষের কাছেও নেই, বাংলাদেশ সরকারের কাছেও নেই। পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকালেই ব্যাপারটা পরিষ্কার। কে কবে এসেছেন, কী ভাবে এসেছেন, কিছুরই প্রমাণ দেখাতে পারেন না এই মানুষেরা। সুতরাং অতীব গুরুত্বপূর্ণ— যদিও এই বিলের আগের সব খসড়ায় ‘নির্যাতন’ (পারসিকিউশন) শব্দটা ছিল, যখন এই সপ্তাহে বিল আইনে পরিণত হল, তার চূড়ান্ত খসড়ায় কিন্তু ওই শব্দটা উঠিয়ে নেওয়া হল। স্বাভাবিক। হিন্দুরা ‘হিন্দু রাষ্ট্রে’ এসে পড়লেও তাঁদের আবার নথিপত্র দেখাতে বলা মানে তাঁদের বিপদে ফেলা— এনআরসি যখন দেখিয়েই দিয়েছে হিন্দুদের বাদ যাওয়ার প্রভূত সম্ভাবনা। একটা গভীরতর কথাও আছে। যে হিন্দুরা এনআরসি–তে বাদ পড়ছেন, তাঁরা তো এর আগে প্রত্যেকেই প্রাণপণ প্রমাণের চেষ্টা করেছেন যে ভিত্তিবর্ষ বা ‘কাট-অফ’ বছরের আগেই তাঁরা এসে পৌঁছেছেন। এখন আবার ‘ক্যাব’-এর মাধ্যমে স্বীকৃত হওয়ার জন্য তাঁরা কী করেই বা বলবেন যে, আগে ভুল বলেছি, ভিত্তিবর্ষের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে ‘নির্যাতন’ সহ্য করেছেন বলেই আজ তাঁরা ভারতের শরণার্থী? হয় তাঁদের আগের কথাটা মিথ্যে, নয় এখনকার কথাটা মিথ্যে! এই প্যাঁচ থেকে বেরোনোর জন্য ‘নির্যাতন’ শব্দটাকেই শেষ মুহূর্তে বাদ দিতে হল। বলতে হল, হিন্দুরা (এবং অন্য অমুসলিমরা) এলেই তাঁরা শরণার্থী, প্রমাণ চাই না। অর্থাৎ নাগরিকত্ব চাইবার অধিকার সকল অমুসলিমদের। মুসলিমরা প্লিজ় নাগরিকত্বের আশা করবেন না। রব উঠেছে, এই আইন অসাংবিধানিক। উল্টো রবও উঠেছে যে, সংবিধানে কী আছে কী নেই, সে সবই কি মুসলিম-প্রেমী ‘সিকুলার’রা বুঝে ফেলেছেন? তাঁরা যেন মনে রাখেন, সংবিধান ও আইন থেকে ‘রিজ়নেবল ক্লাসিফিকেশন’ ইত্যাদি যুক্তিতর্ক যথাসময়ে নামানো যাবে, যথাস্থানে নিশ্চয় প্রমাণও করা যাবে, চিন্তার কারণ নেই। আপাতত শান্তিকল্যাণে থাকুন— মুসলিমদের বাড় বেড়েছিল, তাদের শিক্ষা দেওয়া গিয়েছে। বাস্তবিক, যাঁরা আইনকানুন নিয়ে চর্চা করেন, তাঁরা জানেন, ‘রিজ়নেবল’ বা ‘যুক্তিসঙ্গত’ শব্দটির ফাঁকে কত কী ঢুকিয়ে দেওয়া সম্ভব। কত অযুক্তি, কত ফাঁকি, কত বৈষম্যকে সুনিপুণ উপায়ে নির্বিষ চেহারা দেওয়া সম্ভব। সেই জায়গাটা তর্ক করে জেতার আশা যাঁরা করছেন, সম্ভবত বোকামি করছেন। বিশেষত আজকের সময়ে যেখানে বিচারের বাণীর মধ্যে সাম্য ও অধিকারের প্রশ্ন প্রায়ই নীরবে নিভৃতে কেঁদে চলে। আসলে এটা কোনও সাংবিধানিকতা বা আইনবিচারের প্রশ্ন নয়। রাজনীতির প্রশ্ন। রাজনীতিকে ঠিক ভাবে ব্যবহার করলে এই সবই পাল্টে দেওয়া চলে। খুব দ্রুতই তা করা চলে। বর্তমান ভারতীয় সরকার সে দিক দিয়ে একটি অ-সামান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। সংবিধান বা আইনকানুন কী ভাবে দ্রুত পাল্টিয়ে দেওয়া যায় জোর খাটিয়ে, সংবিধানের ব্যাখ্যাকে কী ভাবে প্রভাবিত করা যায় জনভাবাবেগের যুক্তি দিয়ে, তা দেখাচ্ছে। এই জোর বা ভাবাবেগ, সবই নিশ্চিত করা হচ্ছে সংখ্যা দিয়ে। এবং সংখ্যা নিশ্চিত করা হচ্ছে রাজনীতি দিয়ে। এই মুহূর্ত ভারতের পক্ষে ‘ঐতিহাসিক’। একটা অন্য ইতিহাস লেখা শুরু হয়েছে, যা বলছে, এখন থেকে গণতন্ত্রের মানে— সংবিধান নয়, সর্বস্বার্থ রক্ষা নয়— কেবল সংখ্যা। সেই সংখ্যা যা চাইবেন, তা-ই হবে। বাকি সব মায়া। ছলনা। অসার কল্পনা। তাই বলছিলাম, সেই সংখ্যারা, মানে মানুষেরা, খুশি হয়েছেন তো? তাঁদের জন্যই তো এত সব!
কাজটা সহজ নয় এনআরসি-তে যাঁরা বাদ গেলেন, তাঁদের অনেকেই বৈধ, সঙ্গত ও পূর্ণ ভাবে এ দেশেরই মানুষ কিন্তু অসমের অভিজ্ঞতা আর একটাও দরকারি শিক্ষা দিয়ে গেল আসল কথাটা তো এই যে, ‘গোটা পৃথিবী থেকে’ মুসলমানেরা ভারতে থাকতে আসেন না, এমনকি পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকেও খুব নামমাত্র মানুষ ভারতে এসে পাকাপাকি ভাবে থাকতে চান আসেন কেবল বাংলাদেশের মানুষই অর্থাৎ প্রথমে অসম, তার পর পশ্চিমবঙ্গ, এই হল এত বড় দেশজোড়া এনআরসি তথা ‘ক্যাব’-যজ্ঞের লক্ষ্য মুশকিল হল, বাংলাদেশ থেকে কেবল মুসলিম আসেন না, হিন্দুরাও আসেন! এনআরসি-র ছাঁকনিতে যে সেই হিন্দুরাও ধরা পড়ছেন তা হলে চলবে কী করে, হিন্দুদের খুশি করাটাই না দরকার? তাঁদের ভোটটাই না দরকার? সুতরাং ‘লাও ক্যাব’ ২০২১ সাল এসে পড়ল বলে, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের শিঙা বাজল বলে এই বেলা দ্রুত ‘মুসলিম মানে অনুপ্রবেশকারী’ ও ‘হিন্দু মানে শরণার্থী’ ভাগাভাগিটা শুরু করা চাই পশ্চিমবঙ্গীয় হিন্দুরা যাতে অসমের হিন্দুদের মতো চটে না যান, বেদম খুশি হন, সেটা দেখা চাই! না হলে এই মুহূর্তে দেশে শরণার্থী নিয়ে এত ভাবনাচিন্তার দরকার ছিল না, যে সব আইন ইতিমধ্যেই আছে, তাই দিয়েই বেআইনি লোকজনকে বেআইনি ঘোষণা করা খুবই সম্ভব ছিল কিন্তু নাগরিকত্ব আইনের মূল লক্ষ্য তো বেআইনি লোকজন ধরা নয়, লোকজনের মধ্যে ভাগাভাগি করা, যাকে বলে ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’! নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল-এর আলোচনায় এই ভাগটা করার জন্যই প্রতিবেশী দেশের ‘ধর্মীয় নির্যাতন’-এর বিষয়টা নিয়ে আসা কিন্তু প্রতিবেশী দেশে ধর্মীয় নির্যাতনের কথা বললে তো আবার পাকিস্তানের মোহাজির বা আহমদিয়া বা শিয়ারাও ‘শরণার্থী’র দলে ঢুকে পড়েন? মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরাও? না, তাঁদের আটকাতে হবে নির্যাতন-পরবর্তী ‘শরণার্থী’ দলে মুসলিমদের ঢোকানো যাবে না তাই পষ্টাপষ্টি বলতে হল, ভারতে জায়গা পাবে কেবল পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দুরা, কিংবা জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি, খ্রিস্টানরা— মুসলিমরা নয় আর মায়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা মুসলিমদের তো ভারতে জায়গা হবেই না, কেননা তাঁরা বাংলাদেশ নামক একটি ‘মুসলিম’ দেশের মধ্যে দিয়ে ভারতে এসেছেন ‘মুসলিম দেশের মধ্য দিয়ে এলে হবে না’, যুক্তিটা লক্ষণীয় কেননা, এর মাধ্যমেই বলে দেওয়া হল, মুসলিমরা যেন কোনও মুসলিম দেশেই থেকে যান, ভারতের মতো ‘অমুসলিম দেশ’ বা ‘হিন্দু রাষ্ট্রে’ ঢোকার সাহস যেন না দেখান সমস্যা এখানেও থামল না বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দুরা যে ‘ধর্মীয় নির্যাতন’-এই এসেছেন, কী ভাবে তা প্রমাণ করা যাবে? নির্যাতনের কি কিছু কাগজপত্র থাকে? এনআরসি-র সময় তো দেখাই গিয়েছিল, সে দেশ থেকে আসা হিন্দুদের অধিকাংশেরই কোনও নথিপত্র নেই, আগমনকারী মানুষের কাছেও নেই, বাংলাদেশ সরকারের কাছেও নেই পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকালেই ব্যাপারটা পরিষ্কার কে কবে এসেছেন, কী ভাবে এসেছেন, কিছুরই প্রমাণ দেখাতে পারেন না এই মানুষেরা সুতরাং অতীব গুরুত্বপূর্ণ— যদিও এই বিলের আগের সব খসড়ায় ‘নির্যাতন’ (পারসিকিউশন) শব্দটা ছিল, যখন এই সপ্তাহে বিল আইনে পরিণত হল, তার চূড়ান্ত খসড়ায় কিন্তু ওই শব্দটা উঠিয়ে নেওয়া হল স্বাভাবিক হিন্দুরা ‘হিন্দু রাষ্ট্রে’ এসে পড়লেও তাঁদের আবার নথিপত্র দেখাতে বলা মানে তাঁদের বিপদে ফেলা— এনআরসি যখন দেখিয়েই দিয়েছে হিন্দুদের বাদ যাওয়ার প্রভূত সম্ভাবনা একটা গভীরতর কথাও আছে যে হিন্দুরা এনআরসি–তে বাদ পড়ছেন, তাঁরা তো এর আগে প্রত্যেকেই প্রাণপণ প্রমাণের চেষ্টা করেছেন যে ভিত্তিবর্ষ বা ‘কাট-অফ’ বছরের আগেই তাঁরা এসে পৌঁছেছেন
মমতা ব্যানার্জীর প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের কি মোহভঙ্গ হয়েছে?
কন্যা সন্তানের মা হলেন তিশা
ফের কালিয়াচকে নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার
মারাত্মক অভিযোগ চুঁচুড়ার চয়নিকার চাকরি পেয়েও খোয়াতে হয়েছে অয়নকে টাকা দিতে না পারায়
state
অয়ন শীলের নয়া কীর্তি। যাঁরা নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিল তাদের থেকেও লক্ষ লক্ষ টাকা দাবি করেছে এই জালিয়াতিতে অভিযুক্ত । দাবি মতো টাকা দিতে না দিলে বদলে দেওয়া হয়েছে পৌরসভার প্যানেল। বাদ পড়েছেন যোগ্য প্রার্থী। পৌরসভায় যোগ দিয়েছিলেন। জেনেছিলেন যে কাজ করতে হলে দিতে হবে টাকা।  টাকা দিতে পারেননি বলে কাজ ছাড়তে হয়েছে চুঁচুড়ার চয়নিকা আঢ্যকে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীল এবং তার সাঙ্গোপাঙ্গোদের চক্রের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ জানাচ্ছেন চয়নিকা। ২০১৯ সালে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় পৌরসভায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেন চুঁচুড়া ষন্ডেশ্বরতলার বাসিন্দা চয়নিকা আঢ্য। জাতীয় স্তরের যোগাসন চ্যাম্পিয়ন, ভালো অ্যাথলিটও। চয়নিকা খেলোয়াড়ের কোটায় আবেদন জানিয়ে চাকরির পরীক্ষা দেন। ইন্টারভিউয়ে ডাকও পান। ইন্টারভিউর পর চাকরি হয়ে যায় তাঁর। ২০১৯’র ১১ নভেম্বর যোগদানের চিঠিও দেয় পৌরসভা। চয়নিকার বয়ান অনুযায়ী, এক পুলিশ কর্মী একদিন তাঁর বাড়িতে গিয়ে বলেন যে অয়ন শীলের অফিসে গিয়ে দেখা করতে হবে। চাকরির ব্যাপারে কথা আছে। চয়নিকা তাঁর বাবাকে নিয়ে চুঁচুড়া জগুদাসপাড়ায় অয়ন শীলের অফিসে গিয়ে দেখা করেন। অয়ন তাদের বলেন চাকরির জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে।’’ চয়নিকা বলছেন যে অয়ন শীলের দাবিতে আপত্তি জানান। কারণ অয়ন শীলের সুপারিশে তিনি চাকরি পাননি। অত টাকা তার কাছে ছিলও না। সেদিন ফিরে আসার পর অয়ন শীলের লোক তার সঙ্গে আবার যোগাযোগ করে এবং সল্ট লেকের অফিসে যেতে বলে। সল্ট লেকের অফিসে বাবাকে নিয়ে গিয়েও ছিলেন চয়নিকা কিন্তু বেশ কয়েক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও দেখা না পেয়ে ফিরে আসেন। পরে জানতে পারেন প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে অয়ন শীলের বিরুদ্ধে। সেসময় বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে সমস্যা চলছিল চয়নিকার। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা মা, চাকরির খুব প্রয়োজন। তাই হাল না ছেড়ে টিটাগড় পৌরসভায় গিয়ে কথা বলেন চেয়ারম্যানের সঙ্গে। ‘হবে না হবে না করেও’ তাঁকে কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। বেতনের জন্য স্থানীয় বেসরকারি ব্যাঙ্কে জিরো ব্যালান্সে অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে এটিএম কার্ড সব করে দেওয়া হয়। ছয় দিন কাজও করেন পৌরসভার চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসাবে। চয়নিকার অভিযোগ, এরপরই তাঁকে আচমকা ছাঁটাই করে দেয় পৌরসভা। চয়নিকা বলেন, ‘‘নিয়োগ তালিকায় ২২০ নম্বরে নাম ছিল। রাতারাতি সেই তালিকা পরিবর্তন হয়। যারা ছিল না তাদের নাম ঢু্কিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের সন্দেহ, যারা টাকা দিতে পেরেছিল তাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে।’’ অয়ন শীলের সংস্থা পানিহাটি সহ বেশ কয়েকটি পৌরসভায় নিয়োগের পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল। তার অফিস থেকে ইডি বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের পরীক্ষার ওএমআর শিট উদ্ধার করেছে ইতিমধ্যে। হুগলির তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রমোটার অয়ন শীল ইডি হেফাজতে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে স্কুল, পৌরসভা সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে নিয়োগের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলা ও বহু মানুষকে প্রতারিত করার অভিযোগ জানানো হয়েছে আদালতে।
টাকা দিতে পারেননি বলে কাজ ছাড়তে হয়েছে চুঁচুড়ার চয়নিকা আঢ্যকে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীল এবং তার সাঙ্গোপাঙ্গোদের চক্রের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ জানাচ্ছেন চয়নিকা ২০১৯ সালে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় পৌরসভায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেন চুঁচুড়া ষন্ডেশ্বরতলার বাসিন্দা চয়নিকা আঢ্য জাতীয় স্তরের যোগাসন চ্যাম্পিয়ন, ভালো অ্যাথলিটও চয়নিকা খেলোয়াড়ের কোটায় আবেদন জানিয়ে চাকরির পরীক্ষা দেন ইন্টারভিউয়ে ডাকও পান ইন্টারভিউর পর চাকরি হয়ে যায় তাঁর ২০১৯’র ১১ নভেম্বর যোগদানের চিঠিও দেয় পৌরসভা চয়নিকার বয়ান অনুযায়ী, এক পুলিশ কর্মী একদিন তাঁর বাড়িতে গিয়ে বলেন যে অয়ন শীলের অফিসে গিয়ে দেখা করতে হবে চাকরির ব্যাপারে কথা আছে চয়নিকা তাঁর বাবাকে নিয়ে চুঁচুড়া জগুদাসপাড়ায় অয়ন শীলের অফিসে গিয়ে দেখা করেন অয়ন তাদের বলেন চাকরির জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে’’ চয়নিকা বলছেন যে অয়ন শীলের দাবিতে আপত্তি জানান কারণ অয়ন শীলের সুপারিশে তিনি চাকরি পাননি
Murder: ধারের টাকা শোধ করেননি, খুন বাঁকুড়ার জুতো ব্যবসায়ী
রাজেশের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন নাবালিকা অভিনেত্রী! এখন কী করেন তিনি?
ঈদ স্পেশাল আচারি বিফ ভুনা
দোকানের পাশে ঘুমোনো নিয়ে বচসা, মারধরেই মৃত্যু যুবকের
kolkata
রাতে ফুটপাতের ভাতের হোটেলের পাশে ঘুমোতে চেয়েছিলেন ফুটপাতবাসী যুবক! দোকানে তখন ক্রেতা থাকায় তাঁকে চলে যেতে বলেন দোকানমালিক। এই নিয়েই শুরু হয় দোকানমালিকের সঙ্গে ওই যুবকের বচসা। যা গড়ায় মারধরে। আর সেই মারধরের ফলেই মৃত্যু হয় যুবকের। তিন দিন আগে এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন ফুটপাত থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ওই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে মুচিপাড়া থানা। ধৃতদের নাম অলোক চক্রবর্তী, অজয় দাস এবং জয়ন্ত ভুঁইয়া। তাঁদের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ এ জে সি বসু রোডে এন আর এস হাসপাতাল সংলগ্ন ফুটপাতে এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মৃত যুবকের নাম আয়ুষ জুলকা (২৬)। প্রাথমিক ভাবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছিল মুচিপাড়া থানা। পরে যুবকের দেহের ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মারধর এবং তার জেরেই মৃত্যুর প্রমাণ মেলে। এর পরেই খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জেনেছেন, এ জে সি বসু রোডে ফুটপাতে একাই থাকতেন আয়ুষ। পাশেই একটি ভাতের হোটেল চালান অলোক। রাতে হোটেল বন্ধ হয়ে গেলে মাঝেমধ্যে সেখানে ঘুমোতেন আয়ুষ। ঘটনার রাতেও ঘুমোতে এসেছিলেন তিনি। সেই সময়ে অলোকের হোটেল খোলা ছিল। আয়ুষ হোটেলের পাশে ঘুমোতে গেলে বাধা দেন অলোক। শুরু হয় দু’জনের মধ্যে বচসা। অভিযোগ, এর পরে অলোক এবং তাঁর হোটেলের দুই কর্মী অজয় ও জয়ন্ত মারধর করেন আয়ুষকে। এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তদন্তকারীরা জেনেছেন, এ জে সি বসু রোডে ফুটপাতে একাই থাকতেন আয়ুষ পাশেই একটি ভাতের হোটেল চালান অলোক রাতে হোটেল বন্ধ হয়ে গেলে মাঝেমধ্যে সেখানে ঘুমোতেন আয়ুষ ঘটনার রাতেও ঘুমোতে এসেছিলেন তিনি সেই সময়ে অলোকের হোটেল খোলা ছিল আয়ুষ হোটেলের পাশে ঘুমোতে গেলে বাধা দেন অলোক শুরু হয় দু’জনের মধ্যে বচসা অভিযোগ, এর পরে অলোক এবং তাঁর হোটেলের দুই কর্মী অজয় ও জয়ন্ত মারধর করেন আয়ুষকে
মহানগরের দোকানে বচসা, পিটিয়ে খুন যুবককে
বাড়ি ঢুকে মেয়েদের ‘মারধর’
আদালতে হাজিরা ট্রাম্পের, দায়ের অপরাধের ৩৭ দফা অভিযোগ
সীমিত ওভারের পর টেস্টেও বিশ্বের এক নম্বর দল হওয়ার সুযোগ রোহিতদের সামনে
sports
সীমিত ওভারের দু’টি ফরম্যাটেই এক নম্বর দল ভারত। টি-টোয়েন্টির পর কিছু দিন আগে এক দিনের ক্রিকেটেও শীর্ষস্থান অর্জন করেছে তারা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজ়ে লাল বলের ফরম্যাটেও বিশ্বের এক নম্বর হওয়ার সুযোগ থাকছে রোহিত শর্মার দলের সামনে। এ ছাড়া, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার সুযোগ তো রয়েছেই। কী করলে টেস্টে বিশ্বের এক নম্বর দল হতে পারে ভারত? আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়‌। সেই সিরিজ়ে যদি অন্তত দু’টি টেস্টের ব্যবধানে জিততে পারে ভারত, তা হলেই এক নম্বর দল হয়ে যাবে তারা। অর্থাৎ রোহিতদের জিততে হবে ২-০, ৩-১, ৩-০ বা ৪-০ ব্যবধানে। সে ক্ষেত্রে তিন ফরম্যাটেই বিশ্বের সেরা দল হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করবে ভারত। পাশাপাশি টানা দ্বিতীয় বার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার সুযোগ রয়েছে ভারতের সামনে। এই মুহূর্তে সেই প্রতিযোগিতার পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। সেই জায়গা ধরে রাখতে পারলে ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করতে অসুবিধা হবে না। সে ক্ষেত্রে ভারতকে ফাইনালে খেলতে হবে সেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই। তা না হলে শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের। দক্ষিণ আফ্রিকা ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে দু’ম্যাচের টেস্ট সিরিজ় খেলবে। শ্রীলঙ্কা খেলতে যাবে নিউ জ়িল্যান্ডে।
সে ক্ষেত্রে তিন ফরম্যাটেই বিশ্বের সেরা দল হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করবে ভারত পাশাপাশি টানা দ্বিতীয় বার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার সুযোগ রয়েছে ভারতের সামনে এই মুহূর্তে সেই প্রতিযোগিতার পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত সেই জায়গা ধরে রাখতে পারলে ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করতে অসুবিধা হবে না সে ক্ষেত্রে ভারতকে ফাইনালে খেলতে হবে সেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই
রোহিতরা টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালে, কবে, কোথায়, কখন, কার মুখোমুখি? কোথায় দেখা যাবে খেলা?
একের পর এক ছবিতে রুক্মিণী মৈত্র, কেমন অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন নায়িকা?
প্রতারিত হয়ে আর প্রেমে পড়তে চাননি, সিদ্ধার্থ আর নিজের ‘লাস্ট স্টোরি’ শোনালেন বিদ্যা
সিরিয়ালের চটজলদি ওঠাপড়া, বন্ধ হয়ে যাওয়া কতটা ভয় পাওয়ায় শীর্ষে থাকা জগদ্ধাত্রীকে?
entertainment
বৃহস্পতিবার মানেই টেলিপাড়ার লক্ষ্মীবার। এই দিনেই ভাগ্য নির্ধারিত হয় সিরিয়াল জগতের। কে দর্শকের মন জয় করল? কে ব্যর্থ হল? তবে শেষ দু'সপ্তাহ ধরে 'জগদ্ধাত্রী'র কপালে সত্যিই লক্ষ্মী সহায়। জি বাংলার মেগা ‘জগদ্ধাত্রী’-তে মজে দর্শক হৃদয়। নতুন মুখ, নতুন গল্পে মন মজেছে বাংলা সিরিয়ালপ্রেমীদের। যার যত টিআরপি, তার দর তত বেশি। জগদ্ধাত্রীর চরিত্রে অঙ্কিতা মল্লিক এবং স্বয়ম্ভুর চরিত্রে সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায়কে রীতিমতো আপন করে নিয়েছেন দর্শক। রোল ক্যামেরা, লাইট, অ্যাকশনের জগতে খুব বেশি দিন হয়নি অঙ্কিতার। মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন। বর্তমানে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অঙ্কিতা। জন্ম, বেড়ে ওঠা— সবটাই কলকাতায়। আচমকা এত আলোচনা, শীর্ষে থাকা কি আনন্দের? আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে অঙ্কিতাকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর কথায়, “ভাল লাগছে। দর্শক আমাদের কাজ পছন্দ করছেন। গল্পটা অন্য রকম। পুরো কৃতিত্বই স্নেহাশিসদার (স্নেহাশিস চক্রবর্তী)। আমিও খুশি।” ও দিকে নিত্যদিন ধারাবাহিক বন্ধের খবর এসেই চলেছে। কোনও ধারাবাহিক ৩ মাসের মাথায় বন্ধ হয়, তো কোনও ধারাবাহিকের মেয়াদ মাত্র ৮ মাস। কয়েক মাস আগেও প্রথম সারির ধারাবাহিকের তালিকায় ১ নম্বরে থাকত ‘মিঠাই’-এর নাম। এখন আর প্রথম ৫-এও দেখা যায় না টিম মিঠাইকে। এ সব দেখে কি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন অঙ্কিতা? অভিনেত্রী বলেন, “আমি কখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি না। কারণ সব কিছুর যেমন শুরু আছে, তেমন আবার শেষও আছে। সময়ের নিয়মে যা এক দিন না এক দিন হবেই। তাই আমি ভয় পাই না।” আপাতত মন দিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে চান অভিনেত্রী। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনাও রয়েছে। শুটিংয়ের চাপে নিয়মিত কলেজ যাওয়া সম্ভব না হলেও পড়াশোনা যে সাফল্যের চাবিকাঠি, সেই মন্ত্রেই বিশ্বাসী নায়িকা।
যার যত টিআরপি, তার দর তত বেশি জগদ্ধাত্রীর চরিত্রে অঙ্কিতা মল্লিক এবং স্বয়ম্ভুর চরিত্রে সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায়কে রীতিমতো আপন করে নিয়েছেন দর্শক রোল ক্যামেরা, লাইট, অ্যাকশনের জগতে খুব বেশি দিন হয়নি অঙ্কিতার মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন বর্তমানে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অঙ্কিতা জন্ম, বেড়ে ওঠা— সবটাই কলকাতায় আচমকা এত আলোচনা, শীর্ষে থাকা কি আনন্দের? আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে অঙ্কিতাকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর কথায়, “ভাল লাগছে দর্শক আমাদের কাজ পছন্দ করছেন গল্পটা অন্য রকম
সলমনের পর গায়িকা জ্যাসমিন স্যান্ডলসকে খুনের হুমকি, সন্দেহের তির কার দিকে?
খাওয়া না-খাওয়ার পালা
খুলল আকাশপথে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার
কেন সাইকেল লেন চাইছে কলকাতাও
state
দক্ষিণ কোরিয়ায় পথ চলতে চলতে, বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে ঢুকে পড়েছিলাম ব্যাটারিচালিত বাইক কোম্পানিতে। জুনিয়র ম্যানেজার বেরিয়ে এসে দু-এক কথায় গল্প জুড়ে বললেন, কী দরকার আপনার এত কষ্ট করার। একটা ব্যাটারি-বাইক দিচ্ছি, নিয়ে চলে যান। হেসে বললাম, আমার প্রোগ্রামটাই সাইকেলে বিশ্ব পরিক্রমা। এই কষ্টই আমার জীবনী শক্তিকে বাড়িয়ে চলেছে। হ্যাঁ, সত্যিই তাই। ইউরোপে ঘোর বর্ষায় সাইকেলে চললাম দু’মাস, না একদিনের জন্যও সর্দি লাগেনি। শরীর খারাপ তো দূরের কথা। সন্দেহ নেই, সাইকেল জীবনী শক্তি বাড়ায়। করোনা কালে তার প্রমাণ পেয়েছি সবাই। লন্ডনের পার্লামেন্ট স্কোয়ারে ঢুকেই দেখলাম, পরিবেশ কর্মীদের পথ অবরোধ চলছে। দাবি, পেট্রোল ও ডিজেলচালিত যান বন্ধ হোক। সত্যিই তো, উষ্ণায়নের এই বিপদের যুগে এখনই পরিবহণে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। চীন বা ভিয়েতনামে ব্যাটারিচালিত গাড়িই বেশি। ইউরোপের পথে বাইক তেমন না থাকলেও চার চাকার গাড়িই বেশি। ব্যাটারির গাড়ি প্রয়োজন, কিন্তু সাইকেলের চেয়ে পরিবেশ বান্ধব আর কে আছে? তাই সাইকেলের কদর এবং সাইকেলযাত্রীর সম্মান এই মহাদেশে সবচেয়ে বেশি। মাস কয়েক আগের কথা। ইউরোপ থেকে তখন সবে ফিরেছি। সাইকেলে এজেসি বোস রোড ধরে, পার্কসার্কাস ক্রসিং পেরোতেই, সিভিক পুলিশ পথ আটকে জানান দিয়ে জানালেন, এই পথে সাইকেল চলা নিষেধ। দিন, একশো টাকা ফাইন দিন।  বললাম,  সে নয় দেবো, কিন্তু বলুন দেখি, আপনি বেতন কত পান ? উত্তর এলো, হাজার দশেক। বললাম, এই টাকায় রোজ বাস, অটো ভাড়া দিয়ে আসেন কী করে ? বললে, সাইকেলে আসি। তাঁকে বললাম, দেখুন এটাই বাস্তব। আমার কথা বাদ দিন, এই শহর, এই দেশে, ৯৩ ভাগ মানুষ দশ হাজারের নিচে আয় করে। কেউ বেসরকারি সংস্থায়, কেউ বা কায়িক পরিশ্রম করে। আপনারা যদি এই কড়াকড়ি করেন, তাহলে ওঁরা কাজে আসেন কী করে ? উত্তর এলো, কী করবো। ওপর তলার অর্ডার। বলেই বললেন, এক কাজ করুন। আপনি এই পথে আসার সময়, শুধু সামনের এই মোড়টা নেমে পাড় হবেন। সিভিক পুলিশ তার অভিজ্ঞতায় বুঝলেন। কিন্তু চড়া দামের বাজারে, নুন আনতে পান্তা ফুরানো মানুষ গাড়ি ভাড়া বাঁচাতে সাইকেল ব্যবহার করলে আটকানো হবে কেন? রাজ্যের কর্ণধাররা একবারও ভাবেন কী? সাইকেল ছাড়া তাঁদের সামনে বিকল্প কিছু আছে কী ?কেন সাইকেল লেন? বিশ্বজুড়ে এখন সাইকেলের ব্যবহারকে মান্যতা দেওয়া হয়। দেওয়া হয় সম্মান। সাইকেল যাত্রীও সে দেশের নাগরিক, পথে তাঁরও সমান অধিকার। দ্রুত নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছে যাবার দরকার তাঁরও যে আছে, তা মেনে নিয়েছে অধিকাংশ উন্নত দেশ। অন্য গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ না হয়, তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতেই সাইকেল লেন।দেশে দেশে সাইকেল পথ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে নেমে অবাক, উঁচু এয়ারপোর্ট থেকে নেমে সাইকেল পথ সোজা সিডনির রাজপথ হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় হাইওয়েতে। মায়ানমার, কাম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপিন্স বাদে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাকি সব দেশ, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কোরিয়া, চীন, রাশিয়া সহ ইওরোপের সব দেশেই রয়েছে সাইকেল পথ। ভুলেও অন্য কোনও গাড়ি ঢোকে না সাইকেল পথে।‌ চীনে শুরুতেই এক শহরে আমার হেলমেট ফেললাম হারিয়ে। না, গোটা পথে আর হেলমেট কেনার প্রয়োজন অনুভব করলাম না, নিরাপত্তা সম্পর্কে সাইকেল লেনে ছিলাম এতটাই নিশ্চিন্ত। সাইকেল পরিষেবাও রয়েছে বিভিন্ন শহরে।সিঙ্গাপুর, চীনের পথে পথে সারি সারি সাইকেল সাজানো, নাগরিকদের জন্য। যখন যার প্রয়োজন নিয়ে বেড়িয়ে পড়ছে, গন্তব্যে পৌঁছে সাইকেল রেখে দিয়ে চলে যাচ্ছে। দিনের শেষে কর্পোরেশনের কর্মচারীরা তা আবার গুছিয়ে এক জায়গায় করে রেখে দেন। আমাদের এখানে নিউটাউনে সাইকেল ভাড়া দেবার ব্যবস্থা চালু হয়েছে বটে। যেখানে সেখানে রেখে দিয়ে চলে যাওয়া যায় বলে জানি না। তবে এই দেশগুলিতে নাগরিকদের কোনো পয়সা এর জন্য খরচ করতে হয় না।সাইকেল যাত্রীদের সম্মানই আলাদা দেশে দেশে। আগেই বলেছি এই সব দেশগুলোতে সাইকেল যাত্রীদের কদর সর্বত্র। সাইকেলে চলতে চলতে প্রায়সই দেখতে পাবেন চার চাকা কিংবা বড় গাড়িগুলি দাঁড়িয়ে আছে, আপনার চলে যাওয়ার অপেক্ষায়। আপনি গেলে তবেই তাঁরা রাজপথে পা বাড়াবেন। বড় বড় গাড়ি ট্রাক ভুলেও আপনার পেছনে হর্ন দেবে না। যদি আপনি ঘাবড়ে যান এই ভেবে। নিঃশব্দে আপনার পেছনে এগোতে থাকবে। জাপানে ফুজিয়ামার পাহাড়ি পথে একটুকুও জায়গা না থাকায় ট্রাকগুলোকে সাইড দেওয়া যাচ্ছিল না। টানা আধা ঘন্টা পিছু পিছু চলে ধৈর্যের পরীক্ষাতে দাগ রেখে গেলো।সাইকেল ভারতে আলাদা গুরুত্ব পাওয়া উচিত। সাইকেলে বিশ্ব পরিক্রমায় লেখক। আমাদের এদেশে চিরকালই বহু মানুষ সাইকেলেই করেছেন যাতায়াত, কিন্তু উদারনীতির যুগে, শিল্প আনার উদ্যোগে, শহরের যানবাহনের গতি বাড়ানোর উদ্যমে, কোপ পড়েছে সাইকেলে। আগে বিধিনিষেধ ছিল শুধু পার্ক স্ট্রিট চত্বরে, কিন্তু শিল্প আসুক বা না আসুক, বিগত আট দশ বৎসরে  বিধিনিষেধের গণ্ডি ছড়িয়েছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। করোনার সময় যানবাহন বন্ধ থাকায়, সাইকেলের উপর নির্ভরতা বেড়ে যায়।  সরকার, এবং পুলিশ প্রশাসনও মানুষের এই প্রয়োজন, হার না মানা মনোভাবকে উপেক্ষা করতে পারেনি। ফলে পথে পুলিশি কড়াকড়ি গিয়েছিল কমে। কিন্তু করোনা পেছনে যেতেই আবার সামনে চলে এসেছে সেই কড়াকড়ি, গরিব মানুষের উপর হয়রানি। গত ২০১১’তে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর, কোষাগারের অভাব মেটাতে যেন তেন প্রকারেন ফাইন আদায়ের সহজ পথ বেছে নেয়। বাস ট্যাক্সি অটোর পাশাপাশি সাইকেলও সেই গণ্ডিতে চলে আসে। ফলে সাইকেল যাত্রীরা প্রায়শই শিকার হচ্ছেন এই অর্থদণ্ড আর হয়রানির। এই রাজ্য, এই কলকাতায় সাইকেল আন্দোলন জারি আছে।সকলের সম্মিলিত ইচ্ছার প্রকাশে গড়ে উঠেছে সাইকেল সমাজের মতো আরও সামাজিক সংগঠন। সরকারের কাছে চলেছে তদ্বির। প্রায়শই ডেপুটেশন। 'চাই কলকাতায় সাইকেল লেন', 'চাই সাইকেল চালানোর অধিকার'। মাঝে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে সাইকেল লেন নিয়ে ভাবনা চিন্তার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়। কলকাতায় সাইকেল লেন নিয়ে সমীক্ষাও শুরু হয়। কিন্তু সবই আবার চাপা পড়ে গিয়েছে। চীনে সাইকেল চলাচলের জন্য ব‍্যবস্থা। এটা ঠিক, কলকাতায় জায়গার সমস্যা রয়েছে। অপরিকল্পিত এই নগরে রাস্তার জন্য জায়গা ছাড়া নেই যথেষ্ট। কিন্তু সমাধান নেই, সেকথা বলা যাবে না। জাপানেও জনঘনত্ব বেশি। পাহাড়ি শহরে পথঘাট কিন্তু যথেষ্ট চওড়া নয়। সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই অনেকে চার চাকার গাড়িগুলিকে চওড়ার বদলে লম্বাটে আকার দেওয়া হয়েছে। ফুটপাত খুব বেশি চওড়া নয়। তবু তার মাঝেই পথচারী ও সাইকেল যাত্রীদের দু’টি আলাদা লেন টানা হয়েছে। পৃথিবীর অনেক শহরেই তুলনায় কম চওড়া বিকল্প পথগুলিকে সাইকেলের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। আমাদের কলকাতায় এই লক্ষ্যে সমীক্ষার কাজ চলছিল, কিন্তু আবার সব চুপচাপ। আসলে সরকারের সদিচ্ছার প্রকাশ চাই কাজে। প্রয়োজনে তার জন্য, সাইকেল সংগঠন, পরিবেশ সংগঠন ও অসংগঠিত শ্রমজীবী সংগঠন গুলোর যৌথ মঞ্চ গড়ে এই দাবি আদায়ের সার্বিক আন্দোলন গড়ে তোলাপ্রয়োজন। সন্দেহ নেই, এটিই সময়ের দাবি।
সাইকেল ভারতে আলাদা গুরুত্ব পাওয়া উচিত সাইকেলে বিশ্ব পরিক্রমায় লেখক আমাদের এদেশে চিরকালই বহু মানুষ সাইকেলেই করেছেন যাতায়াত, কিন্তু উদারনীতির যুগে, শিল্প আনার উদ্যোগে, শহরের যানবাহনের গতি বাড়ানোর উদ্যমে, কোপ পড়েছে সাইকেলে আগে বিধিনিষেধ ছিল শুধু পার্ক স্ট্রিট চত্বরে, কিন্তু শিল্প আসুক বা না আসুক, বিগত আট দশ বৎসরে  বিধিনিষেধের গণ্ডি ছড়িয়েছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার সময় যানবাহন বন্ধ থাকায়, সাইকেলের উপর নির্ভরতা বেড়ে যায়  সরকার, এবং পুলিশ প্রশাসনও মানুষের এই প্রয়োজন, হার না মানা মনোভাবকে উপেক্ষা করতে পারেনি ফলে পথে পুলিশি কড়াকড়ি গিয়েছিল কমে কিন্তু করোনা পেছনে যেতেই আবার সামনে চলে এসেছে সেই কড়াকড়ি, গরিব মানুষের উপর হয়রানি গত ২০১১’তে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর, কোষাগারের অভাব মেটাতে যেন তেন প্রকারেন ফাইন আদায়ের সহজ পথ বেছে নেয় বাস ট্যাক্সি অটোর পাশাপাশি সাইকেলও সেই গণ্ডিতে চলে আসে ফলে সাইকেল যাত্রীরা প্রায়শই শিকার হচ্ছেন এই অর্থদণ্ড আর হয়রানির এই রাজ্য, এই কলকাতায় সাইকেল আন্দোলন জারি আছেসকলের সম্মিলিত ইচ্ছার প্রকাশে গড়ে উঠেছে সাইকেল সমাজের মতো আরও সামাজিক সংগঠন সরকারের কাছে চলেছে তদ্বির প্রায়শই ডেপুটেশন 'চাই কলকাতায় সাইকেল লেন', 'চাই সাইকেল চালানোর অধিকার' মাঝে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে সাইকেল লেন নিয়ে ভাবনা চিন্তার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয় কলকাতায় সাইকেল লেন নিয়ে সমীক্ষাও শুরু হয় কিন্তু সবই আবার চাপা পড়ে গিয়েছে চীনে সাইকেল চলাচলের জন্য ব‍্যবস্থা এটা ঠিক, কলকাতায় জায়গার সমস্যা রয়েছে অপরিকল্পিত এই নগরে রাস্তার জন্য জায়গা ছাড়া নেই যথেষ্ট কিন্তু সমাধান নেই, সেকথা বলা যাবে না জাপানেও জনঘনত্ব বেশি পাহাড়ি শহরে পথঘাট কিন্তু যথেষ্ট চওড়া নয় সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই অনেকে চার চাকার গাড়িগুলিকে চওড়ার বদলে লম্বাটে আকার দেওয়া হয়েছে ফুটপাত খুব বেশি চওড়া নয় তবু তার মাঝেই পথচারী ও সাইকেল যাত্রীদের দু’টি আলাদা লেন টানা হয়েছে পৃথিবীর অনেক শহরেই তুলনায় কম চওড়া বিকল্প পথগুলিকে সাইকেলের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে আমাদের কলকাতায় এই লক্ষ্যে সমীক্ষার কাজ চলছিল, কিন্তু আবার সব চুপচাপ আসলে সরকারের সদিচ্ছার প্রকাশ চাই কাজে
Electric Cycles: ই-সাইকেল কিনতে চান ? দেখে নিন দেশের ৬টি সবচেয়ে সাশ্রয়ী মডেল
কলকাতা ‘সাইক্লোন রাজধানী’?
সাহস থাকলে ত্রিপুরায় নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দিন প্রধানমন্ত্রী
অত্যাচারী সুলতানের নামে ছেলের নাম রেখেছেন করিনা! বিতর্কের অবসান ঘটালেন অভিনেত্রী
entertainment
কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকাকালীন বিয়ে করেন সইফ আলি খানকে। কাজের পিছনে ছোটা নয়, বরং নিজের ইচ্ছেমতো তাঁর জীবনকে সাজিয়েছেন করিনা কপূর। বিয়ের চার বছরের মাথায় ২০১৬-য় তাঁদের প্রথম সন্তান তৈমুর আলি খানের জন্ম। আগে বলিউডে চল ছিল অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরই কাজ কমিয়ে দেওয়ার। সেই প্রথা ভেঙেছেন করিনা। তৈমুর গর্ভে থাকাকালীন চুটিয়ে কাজ করেছেন তিনি। এখন বলিপাড়ার নায়িকাদের পথপ্রদর্শক তিনি। তবে ছেলে তৈমুরের জন্মের পর থেকে বার বার সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন সইফ-করিনা। কারণের ছেলের নাম। অভিনেত্রীর পুত্রসন্তানের নামকরণে চটে যান গোঁড়া হিন্দুত্ববাদীরা। তাঁদের মতে, তৈমুর লঙ্গের মতো অত্যাচারী নৃপতির নামে নাম রাখা উচিত হয়নি করিনা ও সইফের। সমালোচনার হাত থেকে রেহাই পায়নি ছোট্ট তৈমুরও। প্রথম মা হওয়ার অনুভূতির পাশপাশি ছেলেকে নিয়ে এমন সমালোচনা সামলেছেন কী ভাবে, এত বছর পর জানালেন করিনা? ছোটবেলা থেকেই প্রচারের আলোয় রয়েছে তৈমুর। তারকা সন্তানদের মধ্যে করিনার বড় ছেলে তৈমুরের ছবি সব থেকে বেশি প্রকাশ্যে এসেছে। আলোকচিত্রীরা তৈমুরের জন্মের পর থেকে ক্যামেরা তাক করে রেখেছিলেন ওই খুদের দিকে। প্রতিনিয়ত সন্তানের নাম নিয়ে সমালোচনা কতটা অসহনীয় ছিল করিনার কাছে? সম্প্রতি সেটাই জানালেন অভিনেত্রী। মুম্বইয়ের এক অনুষ্ঠানে এসে খোলামেলা আড্ডার মেজাজে দেখা গেল করিনা কপূরকে। তাঁর কথায়, ‘‘আমার মনে হয় কোনও মা বা তাঁর সন্তানকে এমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।’’ এত বছর কেটে গেলেও এখনও ধন্দে অভিনেত্রী, কেন তাঁদের সঙ্গে এমনটা হয়েছিল। করিনা বলেন, আমি এখনও জানি না, এর পিছনে কারণ কী ছিল। কাউকে অসন্তুষ্ট করার জন্য কোনও কিছু করা হয়নি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দেশে বাক্‌স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে। শুধু তাই নয়, যার যা খুশি সেটা সে সেটা করতে পারে। আমি ও সইফ সেটাই বিশ্বাস করে এসেছি।’’ পাশপাশি, করিনা স্পষ্ট জানান তাঁর ছেলের নামের সঙ্গে অত্যচারী শাসক তৈমুর লঙ্গের কোনও সম্পর্ক নেই। এই নাম নেওয়া হয়েছে সইফ আলির ছোটবেলার এক বন্ধুর নামের অনুসরণে। করিনা বলেন, ‘‘আমরা যখন ছেলের নামকরণ নিয়ে ভাবছি, সেই সময় সইফ জানায় তার ছোটবেলার এক বন্ধুর নাম তৈমুর। সইফ সব সময় বলত, এই নামটা ওর খুব পছন্দ। যদি আমাদের ছেলে হয়, তা হলে বন্ধুর নামে ছেলের নাম তৈমুর রাখবে।’’ যদিও ছেলে তৈমুরের নাম নিয়ে যখন বিতর্ক চলছিল সারা দেশে, সেই সময় সইফ জানান তাঁর ছেলের নামের মানে ‘ইস্পাত’ বা ‘লোহা’। এর সঙ্গে শাসক তৈমুরের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে ছেলের নাম নিয়ে যখন প্রায় ঝড় উঠেছে বিভিন্ন জায়গায়, তা করিনার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল বলেই জানান অভিনেত্রী। করিনার কথায়, ‘‘সেই মুহূর্তেই আমি সিদ্ধান্ত নিই, আমার সন্তানের যে রকম ইচ্ছে নাম আমি দেব। তত ক্ষণ পর্যন্ত আমার কিছু যায় আসে না, যত ক্ষণ আমার সন্তান ভাল আছে। আমরা ভাল আছি। দুনিয়ার মানুষ যা ইচ্ছে বলুক, যে ভাবে ইচ্ছে ট্রোল করুক, আমি কান দেব না।’’
শুধু তাই নয়, যার যা খুশি সেটা সে সেটা করতে পারে আমি ও সইফ সেটাই বিশ্বাস করে এসেছি’’ পাশপাশি, করিনা স্পষ্ট জানান তাঁর ছেলের নামের সঙ্গে অত্যচারী শাসক তৈমুর লঙ্গের কোনও সম্পর্ক নেই এই নাম নেওয়া হয়েছে সইফ আলির ছোটবেলার এক বন্ধুর নামের অনুসরণে করিনা বলেন, ‘‘আমরা যখন ছেলের নামকরণ নিয়ে ভাবছি, সেই সময় সইফ জানায় তার ছোটবেলার এক বন্ধুর নাম তৈমুর সইফ সব সময় বলত, এই নামটা ওর খুব পছন্দ যদি আমাদের ছেলে হয়, তা হলে বন্ধুর নামে ছেলের নাম তৈমুর রাখবে’’ যদিও ছেলে তৈমুরের নাম নিয়ে যখন বিতর্ক চলছিল সারা দেশে, সেই সময় সইফ জানান তাঁর ছেলের নামের মানে ‘ইস্পাত’ বা ‘লোহা’ এর সঙ্গে শাসক তৈমুরের কোনও সম্পর্ক নেই তবে ছেলের নাম নিয়ে যখন প্রায় ঝড় উঠেছে বিভিন্ন জায়গায়, তা করিনার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল বলেই জানান অভিনেত্রী করিনার কথায়, ‘‘সেই মুহূর্তেই আমি সিদ্ধান্ত নিই, আমার সন্তানের যে রকম ইচ্ছে নাম আমি দেব তত ক্ষণ পর্যন্ত আমার কিছু যায় আসে না, যত ক্ষণ আমার সন্তান ভাল আছে
বুদ্ধিলোপ করিনার? ভক্তদের খুশি করতে লন্ডনের জঙ্গলে এ কী করলেন তিনি!
রাজেশের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন নাবালিকা অভিনেত্রী! এখন কী করেন তিনি?
ত্রিপুরায় ভোট ১৬ ফেব্রুয়ারি
Realme Smartphones: ভারতে কবে লঞ্চ হচ্ছে রিয়েলমি নারজো ৬০ সিরিজ? কোন কোন ফোন লঞ্চ হতে পারে?
technology
Realme Smartphones: ভারতে রিয়েলমি নারজো ৬০ সিরিজের (Realme Narzo 60 Series) ফোন লঞ্চ হতে চলেছে জুলাই মাসের শুরুর দিকেই। জানা গিয়েছে, আগামী ৬ জুলাই, এই স্মার্টফোন ভারতে লঞ্চ হবে। এই স্মার্টফোন সিরিজে রিয়েলমি নারজো ৬০ ৫জি (Realme Narzo 60 5G) এবং রিয়েলমি নারজো ৬০ প্রো ৫জি (Realme Narzo 60 Pro 5G)- এই দুই ফোন লঞ্চ হবে। ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন থেকে এই ফোনগুলি কেনা যাবে। কার্ভড ডিসপ্লে নিয়ে লঞ্চ হতে পারে রিয়েলমি নারজো ৬০ সিরিজ। এছাড়াও শোনা গিয়েছে, এই সিরিজের ফোনে ১ টিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ থাকতে পারে। তার ফলে ২,৫০,০০০ ছবি ফোনে সেভ রাখা যাবে। রিয়েলমি নারজো ৬০ ৫জি ফোন অর্থাৎ বেস মডেলে ১০০ মেগাপিক্সেলের রেয়ার ক্যামেরা সেনসর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ভ্যানিলা বা বেস মডেলের ডিজাইন রিয়েলমি ১১ ৫জি ফোনের মতো হতে পারে। আগামী ৬ জুলাই ভারতীয় সময় দুপুর ১২টায় লঞ্চ হবে রিয়েলমি নারজো ৬০ সিরিজ। রিয়েলমি নারজো ৬০ সিরিজের ফোনের সম্ভাব্য ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন Samsung Galaxy Smartphone: ভারতে লঞ্চ হতে চলেছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এম৩৪ ৫জি (Samsung Galaxy M34 5G) ফোন। দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা স্যামসাং (Samsung) যে ভারতে এই নতু গ্যালাক্সি ফোন লঞ্চ করবে তা নিশ্চিত। ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন ইন্ডিয়ার (Amaozn India) ওয়েবসাইটে স্যামসাং গ্যালাক্সি 'এম' সিরিজের এই ফোনের টিজার প্রকাশিত হয়েছে। এখনও রয়েছে 'কামিং সুন' ট্যাগ। অর্থাৎ ফোন লঞ্চের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানা যায়নি। তবে আর খুব বেশি দেরি নেই বলেই অনুমান। আরও পড়ুন- চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে কোন কোন বাদাম? কীভাবেই বা করে উপকার?
ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন থেকে এই ফোনগুলি কেনা যাবে কার্ভড ডিসপ্লে নিয়ে লঞ্চ হতে পারে রিয়েলমি নারজো ৬০ সিরিজ এছাড়াও শোনা গিয়েছে, এই সিরিজের ফোনে ১ টিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ থাকতে পারে তার ফলে ২,৫০,০০০ ছবি ফোনে সেভ রাখা যাবে রিয়েলমি নারজো ৬০ ৫জি ফোন অর্থাৎ বেস মডেলে ১০০ মেগাপিক্সেলের রেয়ার ক্যামেরা সেনসর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে
Realme Narzo 60 Series: ভারতে রিয়েলমি নারজো ৬০ সিরিজের ফোনের দাম কত হতে পারে?
Realme 11 Pro 5G Series: ভারতে আসছে রিয়েলমি ১১ প্রো ৫জি সিরিজ, কবে লঞ্চ? কোন কোন ফোন লঞ্চ হতে পারে?
ইউক্রেন পাল্টা অভিযান শুরু করেছে, নিশ্চিত করলেন জেলেনস্কি
ধসের কারণে সিকিমে বিপর্যস্ত সড়ক পরিষেবা
national
প্রবল বৃষ্টি তার সাথে ধস। যার জেরে সিকিমের একটি অংশের জন জীবন বিপর্যস্ত। ধসের কারণে নাথুলা পাস সহ বন্ধ একাধিক রাস্তা। প্রশাসন সূত্রে খবর শুক্রবারের মধ্যে রাস্তা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। শুক্রবার সকালে ধসের কারণে জহর লালা নেহেরু রোড সহ প্রায় ৯ মাইল রাস্তা বন্ধ রয়েছে। যার জন্য নাথুলা পাস যাওয়ার রাস্তা যেমন বন্ধ রয়েছে তেমন গ্যাংটক থেকে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতি সিকিমের পর্যটন দপ্তরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে রাস্তা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এবং আবহাওয়ার কোন উন্নতি না পর্যন্ত কোন পর্যটকদের পাস দেওয়া হবে না। সিকিম প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে রাফুঙ খোলা এবং লাঙথে খোলার রাস্তা প্রবল বৃষ্টির কারণে সম্পূর্ন ভাবে ধুয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে উত্তর সিকিমের মানগান এবং ছুঙথাঙে যোগাযোগ ব্যাবস্থা সম্পূর্ন ভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভূমি ধসের কারণে পর্যটন কেন্দ্র লাচুঙ এবং লাচেন যাওয়ার রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সিকিম প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তিন থেকে চার দিনের আগে রাস্তার পরিষেবা কোন ভাবে স্বাভাবিক হবে না।
ধসের কারণে নাথুলা পাস সহ বন্ধ একাধিক রাস্তা প্রশাসন সূত্রে খবর শুক্রবারের মধ্যে রাস্তা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে শুক্রবার সকালে ধসের কারণে জহর লালা নেহেরু রোড সহ প্রায় ৯ মাইল রাস্তা বন্ধ রয়েছে যার জন্য নাথুলা পাস যাওয়ার রাস্তা যেমন বন্ধ রয়েছে তেমন গ্যাংটক থেকে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ রয়েছে
সিকিমে বিপর্যয় অনেক প্রশ্ন সামনে এনেছে
পরীক্ষা
মালয়েশিয়া বেড়াতে গিয়ে জটিলতায় প্রভা!
মঞ্চ হারিয়ে পুতুলরানি, খগেনরানিরা এখন বিপাকে
editorial
এক সাক্ষাৎকারে অভিজ্ঞতাটা জানিয়েছিলেন চপলরানি। যাত্রা এবং নাট্যাভিনেতা চপল ভাদুড়ী। মঞ্চে মেয়েদের চরিত্রে অভিনয় করতেন চপলরানি নামে। ‘চাঁদের মেয়ে’ নাটকে অভিনয়ের সময়ের ঘটনা। স্টেজ থেকে গ্রিনরুম একটু দূরে। সাদা থান পরে স্টেজে আসছিলেন। তখনই হঠাৎ করে শূন্যে উঠে গেলেন। তারপর এক জিপের ভিতরে। এক তরুণ চপলরানিকে বাড়ি নিয়ে যেতে চান।তাঁকে বিয়ে করতে চান। তিনিই চপলরানিকে জিপে তুলেছিলেন। শেষে অনেক কষ্টে জিপ থেকে নেমে লম্বা পরচুলাটা খুলতে পেরেছিলেন। তারপরই সেই তরুণ ‘পাথরের মতো শান্ত’! চপলরানির অভিজ্ঞতার সঙ্গে কী আশ্চর্য মিল পুতুলরানির। পাঁশকুড়ার পুতুলরানির প্রকৃত নাম সীতারাম বেরা। এখন বয়স ৬৩ বছর। তিনিও চপলরানির মতো পুরুষ হয়েও যাত্রায় মহিলার চরিত্রে অভিনয় করতেন। পুতুলরানির অভিজ্ঞতা ১৯৭০ সাল নাগাদ। এক জায়গায় যাত্রা শেষে সাজঘরের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময়েই কিছু যুবক তাঁকে অন্ধকারে টেনে নিয়ে যায়। শেষে ভুল বুঝতে পেরে ছেড়ে দেন তাঁকে। সুসময়ের অভিজ্ঞতায় চপলরানি আর পুতুলরানির আশ্চর্য মিল। কিন্তু অভিনয় জগতে চালু সেই অমোঘ প্রবাদও যে বড় বাস্তব, ‘দেহপট সনে নট সকলি হারায়’। আর সেখানেই মেদিনীপুরের পুতুলরানিরা মঞ্চ ছাড়ার পরে বিপাকে পড়েন। পেট চালাতে তাঁদের কেউ চায়ের দোকানে কাজ করেন। কারও পেশা জমির দালালি। কেউ মেকআপ ম্যান। অবিভক্ত মেদিনীপুরে মহিলার চরিত্রে অভিনয় করা এমন পুরুষ অভিনেতার সংখ্যা যথেষ্ট। যাত্রার ইতিহাসের স্বর্ণযুগ বলা হয় বিশ শতকের ৪০-৬০ এর দশককে। কিন্তু এই সময়ে যাত্রায় মহিলাদের আগমন ঘটেনি। মহিলা চরিত্রে অভিনয় করতেন পুরুষরাই। তাঁদের বলা হত ‘মেল ফিমেল’। তাঁরা যে যোগ্য অভিনেতা ছিলেন তা তো চপলরানি এবং পুতুলরানির ঘটনাতেই প্রমাণ। সেই সময়ে নাম করেছিলেন শতদলরানি, ছবিরানি, মধুরানি, রাখালরানি, বিধানরানি, বাবলিরানি, বিমলরানি, চপলরানি প্রমুখ। যাত্রায় মহিলা শিল্পীরা অভিনয় শুরু করার পরেও এঁদের অনেকে অভিনয় করেছিলেন সুনামের সঙ্গেই। বছর কুড়ি আগেও গ্রামাঞ্চলের অন্যতম বিনোদন ছিল যাত্রা। জেলার যাত্রা মানে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা। মেদিনীপুর যাত্রা পরিষদের অন্তর্ভুক্ত যাত্রাদলের সংখ্যা ১০৫টি। ফলে অবিভক্ত মেদিনীপুরে মহিলার চরিত্রে অভিনয় করা পুরুষ অভিনেতার সংখ্যাও যথেষ্ট। দুই মেদিনীপুরে জীবিত ‘মেল ফিমেল’ অভিনেতার সংখ্যা প্রায় দু’হাজারের কাছাকাছি। কেমন আছেন সেই অভিনেতারা? পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর গ্রামীণ থানার তেঁতুলমুড়ি গ্রামের বাসিন্দা খগেনরানি। প্রকৃত নাম খগেন্দ্রনাথ পাল। বয়স ৬৭ বছর। খড়্গপুরে এক চালের দোকানে কাজ করেন। ১৯৬০ সালের শেষ দিক থেকে অভিনয়ে আসেন। প্রথম অভিনয় একটি ঐতিহাসিক পালায়। রানির ভূমিকায়। এখনও সেই পালার সংলাপ শোনাতে অবাধ। শোনালেন রোজনামচা। সকালবেলা ২০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে চালের দোকানে যান। সন্ধ্যায় আবার সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরা। দিন চলে যায় কোনও মতে। নারায়ণ দাস অধিকারী খড়্গপুরের সাঁকোয়ালকের বনমালী ঘোড়াইয়ের বয়স ৬২ বছর। যাত্রা জগতে তিনি বনমালীরানি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বনমালীবাবুর স্পষ্ট মনে আছে প্রথম দিনের ঘটনা। ১৯৭১ সাল। অষ্টম শ্রেণিতে পড়তেন। সেই বছরে স্থানীয় বাড়হিন্দু বিবিটিআই ক্লাবে ঐতিহাসিক পালা নেমেছিল ‘রাজবন্দি’। পালায় তিনি আর্জুবানুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। প্রশংসা পেয়েছিল তাঁর অভিনয়। বনমালীবাবু বলেন, ‘‘আমি তখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি। বাবা-মাকে অনেক অনুরোধ স্থানীয় ক্লাবের যাত্রাশিল্পী সুশান্ত দাশ, রামকান্ত দে, রবীন্দ্রনাথ দে-রা আমাকে যাত্রার আসরে এনেছিলেন।’’ তারপর ২০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠিত যাত্রাদলে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। পারিশ্রমিক তেমন ছিল না। কিন্তু অভিনয়ের প্রতি ভালবাসায় মঞ্চ ছাড়েননি। এখনও যাত্রা-নাটকে মেকআপম্যানের কাজ করে চলেছেন। নারায়ণ দাস অধিকারীর বয়স ৬৫ বছর। তিনি সাঁকোয়া গ্রামের বাসিন্দা। ২৫ বছর ধরে মহিলা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সত্তরের দশকে স্কুলে পড়ার সময়েই স্থানীয় ক্লাবের যাত্রায় অভিনয়ে হাতেখড়ি। প্রথম যাত্রা পালা ‘কুরুক্ষেত্রে কৃষ্ণ’এ গান্ধারীর চরিত্রে অভিনয় করেন। এখন কার্যত বেকার তিনি। মাঝে মাঝে জমি কেনাবেচায় মধ্যস্থতা করে কিছু টাকা উপার্জনের চেষ্টা করেন। তাতে কোনও রকমে দিন চলে যায়। পাঁশকুড়ার সুন্দরনগরের ‘মেল ফিমেল’ অভিনেতা নিরঞ্জন বেরা সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন। ১৯৬০ সালের শেষ দিক থেকে নিয়মিত মহিলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শেষ বয়সে খুব অসহায় অবস্থায় দিন কেটেছে তাঁর। অন্যের চায়ের দোকানে কাজ করতেন। খড়্গপুরের চকতুড়িয়া গ্রামের ‘মেল ফিমেল’ বিষ্ণুপদ মাইতির শেষ জীবন অসহায়তার মধ্যেই কেটেছে। পাঁশকুড়ার রবি মণ্ডলের অবস্থাও ভাল নয়। পাঁশকুড়ার পুতুলরানি অর্থাৎ সীতারাম বেরার বয়স এখন ৬৩ বছর। মহিলা চরিত্রে অভিনয় করে সারা রাজ্যেই সুনাম পেয়েছিলেন। দেখতেও সুন্দর ছিলেন। রাজ্যের বড় বড় যাত্রা দলে অভিনয় করতেন তিনি। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে যাত্রা দলে যোগ দেন। তারপর টানা ২৫ বছর ধরে অভিনয়। ‘ক্ষুধিত হারেম’, ‘প্রেমের সমাধি তীরে’, ‘সারথি’, ‘লীলাবসান’ প্রভৃতি যাত্রাপালায় তাঁর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। এই পুতুলরানি তথা সীতারামকেই অভিনয়ের পরে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল কয়েকজন। বৃদ্ধ বয়সে এসে বিপাকে পড়েছেন। পেট চালাতে মেকআপম্যানের কাজ করেন। তাতে সংসার চলে না। তাই মাঝে মাঝে কীর্তন দলে যোগ দিয়ে নামগান করেন। কোনওমতে সংসার চলে যায়। পুতুলরানি, বনমালীরানি, খগেনরানিরা কয়েকটি নাম। দুই মেদিনীপুরে আরও বহু ‘মেল ফিমেল’ অভিনেতা রয়েছেন। মঞ্চ ছাড়ার পরে যাঁদের অবস্থা এখন খুব একটা ভাল নয়। সরকারি ভাতা পান না অনেকেই। যখন সুসময় ছিল তখনও পারিশ্রমিক খুব বেশি ছিল না। এক সময়ে দর্শকেরা মুগ্ধ হতেন তাঁদের অভিনয়ে। শেষ জীবন কিছুটা সম্মানজনক হোক। চান পুতুলরানিরা। লেখক শিক্ষক-প্রাবন্ধিক
আর সেখানেই মেদিনীপুরের পুতুলরানিরা মঞ্চ ছাড়ার পরে বিপাকে পড়েন পেট চালাতে তাঁদের কেউ চায়ের দোকানে কাজ করেন কারও পেশা জমির দালালি কেউ মেকআপ ম্যান অবিভক্ত মেদিনীপুরে মহিলার চরিত্রে অভিনয় করা এমন পুরুষ অভিনেতার সংখ্যা যথেষ্ট যাত্রার ইতিহাসের স্বর্ণযুগ বলা হয় বিশ শতকের ৪০-৬০ এর দশককে কিন্তু এই সময়ে যাত্রায় মহিলাদের আগমন ঘটেনি মহিলা চরিত্রে অভিনয় করতেন পুরুষরাই তাঁদের বলা হত ‘মেল ফিমেল’ তাঁরা যে যোগ্য অভিনেতা ছিলেন তা তো চপলরানি এবং পুতুলরানির ঘটনাতেই প্রমাণ সেই সময়ে নাম করেছিলেন শতদলরানি, ছবিরানি, মধুরানি, রাখালরানি, বিধানরানি, বাবলিরানি, বিমলরানি, চপলরানি প্রমুখ যাত্রায় মহিলা শিল্পীরা অভিনয় শুরু করার পরেও এঁদের অনেকে অভিনয় করেছিলেন সুনামের সঙ্গেই বছর কুড়ি আগেও গ্রামাঞ্চলের অন্যতম বিনোদন ছিল যাত্রা জেলার যাত্রা মানে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা মেদিনীপুর যাত্রা পরিষদের অন্তর্ভুক্ত যাত্রাদলের সংখ্যা ১০৫টি ফলে অবিভক্ত মেদিনীপুরে মহিলার চরিত্রে অভিনয় করা পুরুষ অভিনেতার সংখ্যাও যথেষ্ট দুই মেদিনীপুরে জীবিত ‘মেল ফিমেল’ অভিনেতার সংখ্যা প্রায় দু’হাজারের কাছাকাছি কেমন আছেন সেই অভিনেতারা? পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর গ্রামীণ থানার তেঁতুলমুড়ি গ্রামের বাসিন্দা খগেনরানি প্রকৃত নাম খগেন্দ্রনাথ পাল বয়স ৬৭ বছর খড়্গপুরে এক চালের দোকানে কাজ করেন ১৯৬০ সালের শেষ দিক থেকে অভিনয়ে আসেন প্রথম অভিনয় একটি ঐতিহাসিক পালায় রানির ভূমিকায় এখনও সেই পালার সংলাপ শোনাতে অবাধ শোনালেন রোজনামচা সকালবেলা ২০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে চালের দোকানে যান সন্ধ্যায় আবার সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরা দিন চলে যায় কোনও মতে নারায়ণ দাস অধিকারী খড়্গপুরের সাঁকোয়ালকের বনমালী ঘোড়াইয়ের বয়স ৬২ বছর যাত্রা জগতে তিনি বনমালীরানি হিসেবে পরিচিত ছিলেন বনমালীবাবুর স্পষ্ট মনে আছে প্রথম দিনের ঘটনা ১৯৭১ সাল অষ্টম শ্রেণিতে পড়তেন সেই বছরে স্থানীয় বাড়হিন্দু বিবিটিআই ক্লাবে ঐতিহাসিক পালা নেমেছিল ‘রাজবন্দি’
নাট্যশালার কায়দা দিয়ে কি কৌশলী কূটনীতির মোকাবিলা হয়
কাঁথা ভুলে বাঙালি এখন ‘ন্যাপিতেই হ্যাপি’
নিরাপত্তা বাড়ল উপমুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর, পাবেন Y+ ক্যাটাগরি এসকর্ট, ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স গাড়ি
চন্দ্রপৃষ্ঠে তেরঙ্গা-ইসরোর লোগো খোদাই, রোভার প্রজ্ঞানের কালজয়ী কৃতিত্ব, উচ্ছ্বাসে ভাসছে আপামোর দেশবাসী
technology
চাঁদ এখন হাতের মুঠোয়। বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদে পা দিয়ে ইতিহাস গড়েছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। চাঁদে ল্যান্ড করেই একের পর এক চমক দিচ্ছে চন্দ্রযান। সফল ল্যান্ডিংয়ের পর প্রথম চন্দ্রপৃষ্ঠের এক ছবি তুলে পাঠায় ল্যান্ডার বিক্রম। সঙ্গে দেখায় ঠিক কোন অঞ্চলে নেমেছে সে। তারপরই বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে আসে রোভার প্রজ্ঞান। বৃহস্পতিবার সকালে সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে মুনওয়াকে বেরিয়ে পড়েছে রোভার প্রজ্ঞান। এই প্রজ্ঞানেই ভারতের অশোক স্তম্ভ এঁকে দিয়ে আসবে চাঁদের মাটিতে। জানেন কী ভাবে? চন্দ্রযান–৩–এর রোভার প্রজ্ঞান চাঁদে অশোক স্তম্ভ ও ইসরো–এর লোগো খোদাই করবে ২৩ আগস্ট চাঁদে চন্দ্রযান-৩ এর নরম অবতরণের পরে, রোভার প্রজ্ঞানও ল্যান্ডার বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে আসে। অবতরণের প্রায় ২.৩০ ঘণ্টা পর প্রজ্ঞান বেরিয়ে আসে। প্রজ্ঞান চাঁদে অশোক স্তম্ভ এবং ইসরোর লোগো এঁকে আসবে। চাঁদে ল্যান্ডার বিক্রমের নরম অবতরণের পর পরবর্তী কাজ ছিল পেটে থাকা রোভার প্রজ্ঞানকে বের করে আনা। এখন আসল মিশন শুরু হবে এবং বিক্রম এবং প্রজ্ঞান একসঙ্গে চাঁদের দক্ষিণ মেরুটির অবস্থা সম্পর্কে তথ্য পাঠাবে। ইসরোর মতে, রোভার প্রজ্ঞান ল্যান্ডার বিক্রম থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং চাঁদে অশোক স্তম্ভ ও ইসরোর পায়ের ছাপ রেখে গেছে। প্রজ্ঞান এখন চাঁদে ১৪ দিন ঘুরে বেড়াবে এবং ডেটা সংগ্রহ করবে এবং ল্যান্ডার বিক্রমের কাছে পাঠাবে। এখান থেকে সমস্ত তথ্য পাঠানো হবে ইসরো-র বিজ্ঞানীদের কাছে। রোভার প্রজ্ঞান কীভাবে চাঁদে দেশের ছাপ রেখে যাচ্ছে? রোভার প্রজ্ঞান যতই এগিয়ে যাচ্ছে, এটি চন্দ্র পৃষ্ঠে অশোক স্তম্ভ এবং ইসরোর লোগো এঁকে যাচ্ছে। ইসরোর লোগো এবং অশোক স্তম্ভের চিহ্নগুলি প্রজ্ঞানের চাকায় খোদাই করা হয়েছে। হয়েছে, তাই এটি এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এটি চন্দ্র পৃষ্ঠে এই চিহ্নগুলি রেখে যাবে। চন্দ্রযান-৩-এর সফট ল্যান্ডিং-এর আগে এই বিষয়ে জানিয়েছিল ইসরো। এতে রোভারের একপাশে চাকায় ISRO-এর লোগো এবং অন্য পাশের চাকায় অশোক স্তম্ভের চিহ্ন রয়েছে। চাঁদে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমের নরম অবতরণের সময় প্রচুর ধুলো উড়তে শুরু করে। সেখানে পৃথিবীর তুলনায় মাধ্যাকর্ষণ অনেক কম, যার কারণে ধূলিকণা পৃথিবীর মতো দ্রুত সেখানে জমে না। ইসরো বিজ্ঞানীরা প্রথমে ধুলো জমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন এবং তারপরে রোভারটি নামিয়েছিলেন। অবতরণের পরপরই যদি এটি তুলে নেওয়া হয়, তাহলে এর ক্যামেরায় ধুলো জমে থাকত এবং রোভারের যন্ত্রপাতিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারত। সেক্ষেত্রে মিশনটি সম্পূর্ণ করতে রোভারের সমস্যা হতে পারত। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Chandrayaan 3 soft landing on moon rover pragyan imprints ashoka stambh and isro marks during moon walk
এখন আসল মিশন শুরু হবে এবং বিক্রম এবং প্রজ্ঞান একসঙ্গে চাঁদের দক্ষিণ মেরুটির অবস্থা সম্পর্কে তথ্য পাঠাবে ইসরোর মতে, রোভার প্রজ্ঞান ল্যান্ডার বিক্রম থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং চাঁদে অশোক স্তম্ভ ও ইসরোর পায়ের ছাপ রেখে গেছে প্রজ্ঞান এখন চাঁদে ১৪ দিন ঘুরে বেড়াবে এবং ডেটা সংগ্রহ করবে এবং ল্যান্ডার বিক্রমের কাছে পাঠাবে এখান থেকে সমস্ত তথ্য পাঠানো হবে ইসরো-র বিজ্ঞানীদের কাছে রোভার প্রজ্ঞান কীভাবে চাঁদে দেশের ছাপ রেখে যাচ্ছে? রোভার প্রজ্ঞান যতই এগিয়ে যাচ্ছে, এটি চন্দ্র পৃষ্ঠে অশোক স্তম্ভ এবং ইসরোর লোগো এঁকে যাচ্ছে ইসরোর লোগো এবং অশোক স্তম্ভের চিহ্নগুলি প্রজ্ঞানের চাকায় খোদাই করা হয়েছে হয়েছে, তাই এটি এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এটি চন্দ্র পৃষ্ঠে এই চিহ্নগুলি রেখে যাবে চন্দ্রযান-৩-এর সফট ল্যান্ডিং-এর আগে এই বিষয়ে জানিয়েছিল ইসরো এতে রোভারের একপাশে চাকায় ISRO-এর লোগো এবং অন্য পাশের চাকায় অশোক স্তম্ভের চিহ্ন রয়েছে
ইসরোর মহাপরীক্ষা, চাঁদের মাটি স্পর্শ করতে চলেছে বিক্রম
বিস্ময়ের গান গাইবে ‘প্রজ্ঞান’, চন্দ্রাভিযানে তৈরি ‘ইসরো’
পরিবহণ কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষার দাবিতে পথে সিটু, সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যার থেকে মিছিল কর্মীদের
উধাও রুশ জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন কোথায়?
international
ছবির উৎস, EPA সিরিয়ায় তার ভূমিকার পুরষ্কার হিসাবে জে. সুরোভিকিনকে 'হিরো অব রাশিয়া' বা 'রাশিয়ার নায়ক' খেতাবে ভূষিত করেন প্রেসিডেন্ট পুতিন জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন রুশ সেনাবাহিনীর একজন শীর্ষস্থানীয় কম্যান্ডার। কিন্তু সপ্তাহ-খানেক আগে ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর ব্যর্থ বিদ্রোহের পর থেকে তিনি লাপাত্তা। অভিযোগ রয়েছে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে জেনারেল সুরোভিকিন নিষ্ঠুর এক সামরিক কৌশল নিয়ে সরকার-বিরোধীদের কাবু করেছিলেন। সে কারণে তাকে অনেকেই বলেন ‘জেনারেল আরমাগেডন’ অর্থাৎ চূড়ান্ত যুদ্ধের জেনারেল। জেনারেল সুরোভিকিন রুশ বিমান ও মহাকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর কম্যান্ডার। রাশিয়ার ইউক্রেন অপারেশনের ডেপুটি কম্যান্ডার তিনি। গত বছর অক্টোবর থেকে এবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তারপর তার পদাবনতি হয়। ২৪ জুন ওয়াগনার বাহিনীর সৈন্যরা মস্কোর দিকে যাত্রা শুরু করলে এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় “প্রেসিডেন্ট পুতিনের কম্যান্ড এবং ইচ্ছার” প্রতি অনুগত থাকার জন্য জে. সুরোভিকিন তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন। সে সময় তার ইউনিফর্মে এমন কোনো প্রতীক ছিল না যাতে তার র‍্যাঙ্ক বোঝা যায়। মুখের ভাব এবং কথায় তাকে অসংলগ্ন দেখাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল তিনি যেন কোনো চাপে রয়েছেন। এর পর থেকে তাকে আর দেখা যায়নি। কোনো খবর নেই। ছবির উৎস, Getty Images ২৪শে জুন ওয়াগনারের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর থেকে জে. সুরোভিকিনের কোনো খবর নেই। মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনীর বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টে বলা হয় ওয়াগনারের বিদ্রোহের কথা জে. সুরোভিকিন আগ থেকেই জানতেন, এবং তার সাথে সত্যিই এই বিদ্রোহের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল কি না তা রুশ গোয়েন্দারা এখন তা তদন্ত করছে। ছবির উৎস, Reuters ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সময় রোস্তভ অন ডন শহরের সামরিক সদর দপ্তরের গেটে পাহারায় ওয়াগনারের এক যোদ্ধা। তবে, জে সুরোভিকিনের মেয়ে ভেরোনিকাকে উদ্ধৃত করে রুশ মিডিয়া বাজা বলেছে: “তার (বাবার) কিছু্ই হয়নি। তিনি যথারীতি কাজ করছেন।“ কিন্তু জে. সুরোভিকিনের খোঁজ জানতে চাইলে ক্রেমলিন কোনো উত্তর দেয়নি। সাংবাদিকদের প্রতিরক্ষা দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়। ধারণা করা হয় ওয়াগনার নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের সাথে জে. সুরোভিকিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুত শহর দখলের জন্য যখন ওয়াগনার বাহিনী লড়াই করছিল, পিগ্রোশিন বলেছিলেন জে. সুরোভিকিনই প্রতিরক্ষা দপ্তরে প্রভাব খাটিয়ে প্রয়োজনীয় অস্ত্র-সরঞ্জামের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। ছবির উৎস, PRESS SERVICE OF 'CONCORD' ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের বিদ্রোহের পেছনে প্রধান কারণ ছিল তার সাথে রুশ সেনা নেতৃত্বের শীর্ষ ক'জনের সাথে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব প্রিগেশিন এও বলেন, রুশ সামরিক বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে ওয়াগনার গোষ্ঠীর যোগাযোগ রক্ষার জন্য জে. সুরোভিকিনকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়। “তিনিই একমাত্র তারকাধারী জেনারেল যিনি জানেন কিভাবে যুদ্ধ করতে হয়,” জে. সুরোভিকিনের প্রশংসা করতে গিয়ে প্রিগোশিন সেময় বলেন। “অন্য কোনো জেনারেলই (রুশ সেনাবাহিনীর) এমন কাণ্ড-জ্ঞানসম্পন্ন নন।“ গত মে মাসে প্রিগোশিন বলেন ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর শীর্ষ কম্যান্ডার হিসাবে জে. সুরোভিকিনকে নিয়োগ করা উচিৎ। ডোসিয়ের সেন্টার নামে রুশ একটি অনুসন্ধানী প্রতিষ্ঠান দাবি করে গোপন নথিপত্র দেখে তারা জেনেছে যে ৩০ জন সামরিক এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তা ওয়াগনারের “ভিআইপি” তালিকায় রয়েছেন, জে. সুরোভিকিন তাদের একজন। ২০২২ সালের ৮ই অক্টোবর প্রেসিডেন্ট পুতিন জে, সুরোভিকিনকে ইউক্রেনে তার “বিশেষ সামরিক অভিযানের” প্রধান অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ করেন। তখনই প্রথম ঐ পদটি তৈরি করা হয়। এর আগে, তিনি দক্ষিণ ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। সেসময় ইউক্রেন সেনাবাহিনী রাশিয়ার দখল থেকে ডনবাস অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা পুনর্দখল করতে সমর্থ হয়। রাশিয়া সেই অবস্থা বদলে দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। ছবির উৎস, Getty Images জে. সুরোভিকিন দায়িত্ব নেওয়ার পর রুশ সৈন্যরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ইউক্রেনের অবকাঠামোতে ব্যাপক হামলা চালায় জে. সুরোভিকিনের দুর্নাম রয়েছে যে যুদ্ধক্ষেত্রে নিষ্ঠুর কৌশল নিতে তিনি পিছপা হন না। তিনি ইউক্রেন অপারেশনে দায়িত্ব নেওয়ার পর রুশ বাহিনী পুরো শীতকালজুড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রসহ ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো টার্গেট করে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা শুরু করে। দখলকৃত খেরসন শহর এবং নিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে মোতায়েন ৩০,০০০ রুশ সৈন্য যাতে ঘেরাও না হয়, তার জন্য তিনি ঐ সৈন্যদের সেসব জায়গা থেকে সরিয়ে আনেন। তবে জে. সুরোভিকিন রণক্ষেত্রে তেমন কোনো সাফল্য নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হন। ফলে, প্রেসিডেন্ট পুতিন ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তাকে সরিয়ে সেনাপ্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভকে ইউক্রেন অপারেশনের নেতৃত্ব দেন। গেরাসিমভের তিন ডেপুটির একজন হন সুরোভিকিন। ছবির উৎস, Getty Images জে. ভ্যালেরি গেরাসিমভ এখন রাশিয়ার ইউক্রেন অপারেশনের প্রধান জে. সুরোভিকিনের জন্ম সাইবেরিয়ার নোভোসিবিরস্কে। তার বয়স ৫৬। তিনি প্রথম নজর কাড়েন ১৯৯১ সালে আগস্ট মাসে। তিনি তখন সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন। মিখাইল গর্বাচভের ক্ষমতাচ্যুতির বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ বিক্ষোভের সময় মানুষজন ব্যারিকেড তৈরি করলে তিনি তা ভাঙ্গার জন্য সৈন্যদের নির্দেশ দেন। সেসময় তিনজন বিক্ষোভকারী মারা যায়, কিন্তু সুরোভিকিনের কোনো শাস্তি হয়নি এই যুক্তিতে যে তিনি তার ওপরের কর্মকর্তাদের নির্দেশমতো কাজ করেছিলেন। এরপর তিনি নব্বইয়ের দশকে তাজিকিস্তানে যুদ্ধে এবং তারপর চেচনিয়ার যুদ্ধে অংশ নেন। চেচনিয়ায় তার অধীনস্থ সৈন্যরাই কয়েকবার তার বিরুদ্ধে স্থানীয় বেসামরিক লোকজনের ওপর নির্মম আচরণের অভিযোগ এনেছিলেন। ছবির উৎস, Getty Images সিরিয়ায় রুশ বাহিনীর প্রধান ছিলেন জে সুরোভিকিন ২০১৭ সালে জে. সুরোভিকিনকে সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের সমর্থনে যুদ্ধরত রুশ বাহিনীর নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয় । সিরিয়ায় আট মাস দায়িত্ব পালনের সময় রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা অভিযোগ ওঠে। এমনকি রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ এবং হাসপাতালে বোমাবর্ষণের অভিযোগও ওঠে তখন। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলে, জে. সুরোভিকিন এবং অন্যান্য রুশ এবং সিরিয়ান কম্যান্ডাররা ২০১৯ এবং ২০২০ সালে ইদলিব প্রদেশের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় জেনে-বুঝে বেসামরিক এলাকায় এবং অবকাঠামোতে বোমা হামলা চালিয়েছেন। সেসময়, রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ এবং হাসপাতালে বোমা হামলার জন্য রুশ বাহিনীকে অভিযুক্ত করা হয়। রুশ সরকার অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে। সিরিয়া থেকে ফেরার পর জে. সুরোভিকিনকে রুশ অ্যারোস্পেস ফোর্সেস অর্থাৎ বিমান এবং মহাকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান হিসাবে নিয়োগ করা করা হয়। তাকে ‘হিরো অব রাশিয়া’ অর্থাৎ রাশিয়ার সর্বোচ্চ সামরিক খেতাবে ভূষিত করেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
ছবির উৎস, Getty Images ২৪শে জুন ওয়াগনারের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর থেকে জে. সুরোভিকিনের কোনো খবর নেই মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনীর বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টে বলা হয় ওয়াগনারের বিদ্রোহের কথা জে. সুরোভিকিন আগ থেকেই জানতেন, এবং তার সাথে সত্যিই এই বিদ্রোহের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল কি না তা রুশ গোয়েন্দারা এখন তা তদন্ত করছে ছবির উৎস, Reuters ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সময় রোস্তভ অন ডন শহরের সামরিক সদর দপ্তরের গেটে পাহারায় ওয়াগনারের এক যোদ্ধা তবে, জে সুরোভিকিনের মেয়ে ভেরোনিকাকে উদ্ধৃত করে রুশ মিডিয়া বাজা বলেছে: “তার (বাবার) কিছু্ই হয়নি তিনি যথারীতি কাজ করছেন“ কিন্তু জে. সুরোভিকিনের খোঁজ জানতে চাইলে ক্রেমলিন কোনো উত্তর দেয়নি সাংবাদিকদের প্রতিরক্ষা দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয় ধারণা করা হয় ওয়াগনার নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের সাথে জে. সুরোভিকিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুত শহর দখলের জন্য যখন ওয়াগনার বাহিনী লড়াই করছিল, পিগ্রোশিন বলেছিলেন জে. সুরোভিকিনই প্রতিরক্ষা দপ্তরে প্রভাব খাটিয়ে প্রয়োজনীয় অস্ত্র-সরঞ্জামের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন ছবির উৎস, PRESS SERVICE OF 'CONCORD' ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের বিদ্রোহের পেছনে প্রধান কারণ ছিল তার সাথে রুশ সেনা নেতৃত্বের শীর্ষ ক'জনের সাথে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব প্রিগেশিন এও বলেন, রুশ সামরিক বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে ওয়াগনার গোষ্ঠীর যোগাযোগ রক্ষার জন্য জে. সুরোভিকিনকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয় “তিনিই একমাত্র তারকাধারী জেনারেল যিনি জানেন কিভাবে যুদ্ধ করতে হয়,” জে. সুরোভিকিনের প্রশংসা করতে গিয়ে প্রিগোশিন সেময় বলেন “অন্য কোনো জেনারেলই (রুশ সেনাবাহিনীর) এমন কাণ্ড-জ্ঞানসম্পন্ন নন“ গত মে মাসে প্রিগোশিন বলেন ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর শীর্ষ কম্যান্ডার হিসাবে জে. সুরোভিকিনকে নিয়োগ করা উচিৎ ডোসিয়ের সেন্টার নামে রুশ একটি অনুসন্ধানী প্রতিষ্ঠান দাবি করে গোপন নথিপত্র দেখে তারা জেনেছে যে ৩০ জন সামরিক এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তা ওয়াগনারের “ভিআইপি” তালিকায় রয়েছেন, জে. সুরোভিকিন তাদের একজন ২০২২ সালের ৮ই অক্টোবর প্রেসিডেন্ট পুতিন জে, সুরোভিকিনকে ইউক্রেনে তার “বিশেষ সামরিক অভিযানের” প্রধান অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ করেন তখনই প্রথম ঐ পদটি তৈরি করা হয় এর আগে, তিনি দক্ষিণ ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সেসময় ইউক্রেন সেনাবাহিনী রাশিয়ার দখল থেকে ডনবাস অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা পুনর্দখল করতে সমর্থ হয় রাশিয়া সেই অবস্থা বদলে দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে
রাশিয়ায় সেনা বিদ্রোহের মাথা প্রিগোঝিন কি মৃত? অস্পষ্ট বিমান দুর্ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরও
ভিড়ের চেনা দৃশ্য উধাও কালীঘাটে
রাশিয়ায় সেনা বিদ্রোহের মাথা প্রিগোঝিন কি মৃত? অস্পষ্ট বিমান দুর্ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরও
বিরাট চাপ! শতরানের পরেও কোহলি, ‘অনেক চাপ রয়েছে জীবনে, ম্যাচে কিছু করতে চেয়েছিলাম’
sports
আইপিএলে ষষ্ঠ শতরান করে ফেললেন বিরাট কোহলি। শেষ শতরানটি এসেছিল ২০১৯ সালে। চার বছর পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের জার্সিতে আবার তিন অঙ্কের রান ছুঁলেন বিরাট। কিন্তু এই শতরানের জন্য নিজেকে কৃতিত্ব দিতে নারাজ ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ৬৩ বলে ১০০ রান করেন বিরাট। ম্যাচের সেরাও হন তিনি। ম্যাচ শেষে বিরাট বলেন, “এটা ষষ্ঠ শতরান। নিজেকে খুব বেশি কৃতিত্ব দিচ্ছি না এটার জন্য। অনেক চাপ আছে। কে কী বলছেন সেটা নিয়ে আমি ভাবি না। সেগুলো তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত।” এ বারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ৫৩৮ রান করে ফেলেছেন বিরাট। রান পেলেও বিরাটের সমালোচনা করা হয়েছে স্ট্রাইক রেট কম থাকার জন্য। বৃহস্পতিবার সেই সব কিছুর উত্তর দিয়েছেন তিনি। ৩৫ বলে অর্ধশতরান করেছেন। ছক্কা হাঁকিয়ে শতরান করেছেন। শেষ কয়েক ম্যাচে রান পাচ্ছিলেন না বিরাট। তিনি বলেন, “শেষ কয়েকটা ম্যাচে আমি রান পাইনি। নেটে যে ভাবে খেলছিলাম, ম্যাচে সেটা হচ্ছিল না। তাই এই ম্যাচে কিছু করতে চেয়েছিলাম। প্রথম বল থেকে বোলারদের উপর চেপে বসতে চেয়েছিলাম। এই মরসুমে যেটা বার বার করছিলাম। রানের লক্ষ্যটা বড় ছিল, কিন্তু আমি প্রথম থেকেই নিজের মতো খেলছিলাম।” হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জিতে প্লে-অফে ওঠার লড়াইয়ে রইলেন বিরাটরা। ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে আরসিবি। তাদের শেষ ম্যাচ গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ জিতে ১৬ পয়েন্টে পৌঁছে গেলে বিরাটদের প্লে-অফে ওঠার রাস্তা খুলে যেতে পারে।
অনেক চাপ আছে কে কী বলছেন সেটা নিয়ে আমি ভাবি না সেগুলো তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত” এ বারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ৫৩৮ রান করে ফেলেছেন বিরাট রান পেলেও বিরাটের সমালোচনা করা হয়েছে স্ট্রাইক রেট কম থাকার জন্য বৃহস্পতিবার সেই সব কিছুর উত্তর দিয়েছেন তিনি ৩৫ বলে অর্ধশতরান করেছেন ছক্কা হাঁকিয়ে শতরান করেছেন শেষ কয়েক ম্যাচে রান পাচ্ছিলেন না বিরাট
‘বিরাট দায়িত্ব, ফল দিতেই হবে, ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু নেই’, বিশ্বকাপের আগে মন খারাপ রোহিতের
কোন রুটে যাবে বাস, পরিষেবা চালু হলে জানিয়ে দেবে অ্যাপ
বছর ৪৯-এর মালাইকার প্রেমে মজে অর্জুনের মন! নেপথ্যে কি কালো জল?
‘দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে জোট’! নির্বাচনের আগে কংগ্রেসকে ভয়ঙ্কর খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর
politics
মাত্র সপ্তাহখানেকের অপেক্ষা। আর তারপরই রাজ্যে ভোট। তার আগে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে সব রাজনৈতিক দল। আজ কর্ণাটকের মুদবিদ্রিতে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবারও কংগ্রেসকে কটাক্ষ করলেন। ‘ভারত মাতা কি জয়’ এবং ‘বজরং বালি কি জয়’ স্লোগান দিয়ে তিনি তাঁর ভাষণ শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমরা সবকা সাথ, সবকা বিকাশের মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি’। বিজেপি কর্ণাটককে দেশের এক নম্বর রাজ্যে পরিণত করতে চায় এবং এর পরিকাঠামোকে আধুনিক ও শক্তিশালী করতে চায় যাতে কর্ণাটক একটি দেশকে আগামীর পথ দেখাতে পারে।  তিনি বলেন, ‘আজ গোটা বিশ্ব ভারতে গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে সম্মান জানাচ্ছে, কিন্তু কংগ্রেস উল্টো পথে হাঁটছে দেশের মানহানি করছে এমনকী বিদেশের মাটিতে গিয়েও ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কংগ্রেসীরা। এদিনের জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মোদী বলেন, ‘ডবল ইঞ্জিন সরকারের’ আমলে কর্ণাটকে বিনিয়োগ বেড়েছে ৯০ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার গঠনের পর ৩ বছরে বিনিয়োগ বেড়ে ৯০ হাজার কোটি টাকা’। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘কংগ্রেস কর্ণাটকের শান্তির শত্রু, উন্নয়নের শত্রু। কংগ্রেস সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিয়ে তুষ্টির রাজনীতি করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী তরুণ ও যুবকদের কাছে আবেদন করেন, ‘সুন্দর আগা্মী গড়তে বিজেপিকে ভোট দিন’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কর্ণাটকে শান্তি ও উন্নয়ন না থাকলে তাদের ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করবে” । মোদী আরও বলেন, ‘কংগ্রেস কর্ণাটককে তাদের ‘রাজপরিবারের এক নম্বর এটিএম’ বানাতে চায়’। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, ‘কংগ্রেসের পুরো রাজনীতিই ডিভাইড অ্যান্ড রুল নীতির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গোটা দেশ সেনাবাহিনীকে সম্মান করে, শ্রদ্ধা করে, অন্যদিকে কংগ্রেস আমাদের সেনাবাহিনীকে অপমান করে। দেশ যখন উন্নতি করছে, কংগ্রেস সারা বিশ্বের সামনে ভারতের মানহানি করছে’। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: At mudbidri rally pm modi accuses congress of aligning with anti nationals for polls
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কর্ণাটকে শান্তি ও উন্নয়ন না থাকলে তাদের ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করবে” মোদী আরও বলেন, ‘কংগ্রেস কর্ণাটককে তাদের ‘রাজপরিবারের এক নম্বর এটিএম’ বানাতে চায়’ প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, ‘কংগ্রেসের পুরো রাজনীতিই ডিভাইড অ্যান্ড রুল নীতির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গোটা দেশ সেনাবাহিনীকে সম্মান করে, শ্রদ্ধা করে, অন্যদিকে কংগ্রেস আমাদের সেনাবাহিনীকে অপমান করে দেশ যখন উন্নতি করছে, কংগ্রেস সারা বিশ্বের সামনে ভারতের মানহানি করছে’ Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: At mudbidri rally pm modi accuses congress of aligning with anti nationals for polls
‘স্বাধীনতার পর বড় বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে দেশ’, বিজেপিকে বিঁধে বিরোধী জোট গঠনের ডাক কংগ্রেসের
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সাকিব
বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে গুগলের বিশেষ ডুডল
নিজস্ব নয়, ‘আরআরআর’, ‘বাহুবলী’র গল্প চুরি করা! স্বীকারোক্তি খোদ লেখকের
entertainment
সিনেমার গল্পদের যদি কোনও দুনিয়া থাকত আর সেই দুনিয়ার যদি কোনও ‘সুপারম্যান’ থাকতেন, তবে তিনি নিঃসন্দেহে হতেন দক্ষিণী চিত্রনাট্যকার কে ভি বিজয়প্রসাদ— অন্তত তাঁর অনুরাগীরা তাই মনে করেন। সে সব দাবি বলছে, বিজয়প্রসাদের গল্পের উপর চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়। কারণ তাঁর গল্পনির্ভর সিনেমা মানেই নাকি বক্স অফিসে সাফল্য। এ সাফল্য আটকাতে পারবে না কেউ।
কারণ তাঁর গল্পনির্ভর সিনেমা মানেই নাকি বক্স অফিসে সাফল্য
সিজিআই-এর ভেলকিতে ঢাকল রামায়ণ, ‘আদিপুরুষ’-এর প্রাপ্তি কতটা, জানাচ্ছে আনন্দবাজার অনলাইন
হুগলিতে ধাক্কা খেয়ে ডুবল বাংলাদেশি জাহাজ
ইউজারদের সমস্যার সমাধানে নয়া আপডেট আনল OnePlus
জনপ্রিয় অভিনেতা এস এম মহসীনের জীবন সঙ্কটাপন্ন
entertainment
বিনোদন ডেস্ক : জনপ্রিয় অভিনেতা এস এম মহসীন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। সোমবার তাকে রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে।  একুশে পদকপ্রাপ্ত এই অভিনেতার করোনাভাইরাস শনাক্তের পর রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় তাকে ইসপালস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চার দশকের বেশি সময় ধরে মঞ্চ ও টেলিভিশনে অভিনয় করছেন এস এম মহসীন। অভিনয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে সরকার। দীর্ঘদিন তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতীয় থিয়েটারের প্রথম প্রকল্প পরিচালক হিসাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমির সম্মানিত ফেলো লাভ করেন। পেয়েছেন শিল্পকলাসহ অসংখ্য পদকও।  ‘রক্তে ভেজা’ ও ‘কবর’ এবং মুনীর চৌধুরী পরিচালিত ‘চিঠি’ ছাড়াও অসংখ্য টিভি, মঞ্চ ও রেডিও নাটকে অভিনয় করেছেন। অনিমেষ আইচের পরিচালনায় ‘গরম ভাত অথবা নিছক ভূতের গল্প’ নাটকের অভিনয় করে টিভি নাটকের দর্শককের কাছে আলাদা পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। এছাড়া মহর আলী, সাকিন সারিসুরিসহ বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।   এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ/ /
বিনোদন ডেস্ক : জনপ্রিয় অভিনেতা এস এম মহসীন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে সোমবার তাকে রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে  একুশে পদকপ্রাপ্ত এই অভিনেতার করোনাভাইরাস শনাক্তের পর রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় তাকে ইসপালস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়
করোনায় মারা গেলেন অভিনেতা এসএম মহসীন
অভিনয় ছেড়ে বৃন্দাবনে বাংলা সিরিয়ালের ‘শ্রীকৃষ্ণ’! রাশিয়ান শিল্পীর সঙ্গে বিয়ের তারিখ পাকা
মুর্মুর শপথে প্রথম আদিবাসী প্রেসিডেন্ট পেল ভারত
Realme C53: কেমন দেখতে হবে রিয়েলমি সি৫৩ ফোন? কী কী ফিচার ও স্পেসিফিকেশন থাকতে পারে?
technology
Realme C53: ভারতে রিয়েলমি সি৫৩ (Realme Smartphone) ফোনের দ্রুত লঞ্চের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও আনুষ্ঠানিক লঞ্চের দিনক্ষণ জানা যায়নি। রিয়েলমি সি৫৩ ভারতে রিয়েলমি সি সিরিজের (Realme C Series) দ্বিতীয় ফোন হিসেবে লঞ্চ হতে চলেছে। এটি ভারতে একটি বাজেট ফোন হিসেবে লঞ্চ হতে চলেছে বলে শোনা গিয়েছে। ভারতে রিয়েলমি সি৩৫ ফোনের দাম ১০ হাজার টাকার আশপাশে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কালো এবং সোনালি রঙে এই ফোন দেশে লঞ্চ হতে পারে। রিয়েলমি সি৫৩ ফোনের সম্ভাব্য কিছু তথ্য Motorola Smartphone: মোটোরোলা এজ ৪০ ফোন (Motorola Edge 40) ভারতে লঞ্চ হবে ২৩ মে। আনুষ্ঠানিক লঞ্চের আগে এই ফোনের সম্ভাব্য দাম প্রকাশ্যে এসেছে। ফ্লিপকার্টের (Flipkart) মাধ্যমে এই ফোন কেনা যাবে। ভারতে মোটোরোলার এই ফোনের দাম ২৭,৯৯৯ টাকা হতে পারে। ২৩ মে থেকে এই ফোনের প্রি-অর্ডার শুরু হবে। নো-কস্ট ইএমআইয়ে এই ফোন কেনা যাবে। প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা কিস্তি দিতে হবে। এক্সচেঞ্জ অফারের সুবিধাও থাকবে। অর্থাৎ পুরনো ফোনের বদলে কেনা যাবে নতুন ফোন। এক্ষেত্রে ২০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। Nokia Smartphone: ভারতে দ্রুত লঞ্চ হতে চলেছে নোকিয়া সি৩২ (Nokia C32) ফোন। তিনটি রঙে ভারতে লঞ্চ হতে পারে এই ফোন। জানা গিয়েছে, নোকিয়া সি৩২ একটি বাজেট ফ্রেন্ডলি (Budget Friendly Phone) ফোন হতে চলেছে। এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের সময়ে এই ফোন প্রকাশ্যে এসেছিল। আগামী ২৩ মে ভারতে লঞ্চ হতে পারে নোকিয়া সি৩২ ফোন। দেশে এই ফোনের দাম হতে পারে ৯৯৯৯ টাকা। দুটো ভ্যারিয়েন্টে এই ফোন লঞ্চের সম্ভাবনা রয়েছে। ৩ জিবি ও ৪ জিবি র‍্যাম এবং ৬৪ জিবি ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ নিয়ে এই ফোন লঞ্চ হতে পারে। এই ফোনের স্টোরেজের পরিমাণ ২৫৬ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব মাইক্রো এসডি কার্ডের সাহায্যে। আরও পড়ুন- রাতভর ঘুম হয়নি! সকালে কাজে মন কীভাবে? রইল সহজ টিপস
নো-কস্ট ইএমআইয়ে এই ফোন কেনা যাবে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা কিস্তি দিতে হবে এক্সচেঞ্জ অফারের সুবিধাও থাকবে অর্থাৎ পুরনো ফোনের বদলে কেনা যাবে নতুন ফোন এক্ষেত্রে ২০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে Nokia Smartphone: ভারতে দ্রুত লঞ্চ হতে চলেছে নোকিয়া সি৩২ (Nokia C32) ফোন তিনটি রঙে ভারতে লঞ্চ হতে পারে এই ফোন জানা গিয়েছে, নোকিয়া সি৩২ একটি বাজেট ফ্রেন্ডলি (Budget Friendly Phone) ফোন হতে চলেছে এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের সময়ে এই ফোন প্রকাশ্যে এসেছিল
Realme Smartphone: নতুন ভ্যারিয়েন্টে ভারতে হাজির রিয়েলমি সি৫৩, র‍্যাম-স্টোরেজের পরিমাণ কত? জেনে নিন দামও
সারের কালোবাজারি রুখতে ডেপুটেশন
একই প্রকল্পের একাধিক ফাইল, দফতরগুলিকে ‘কড়া’ বার্তা পুরসভার
সুস্থ শৈশবের জন্য জরুরি বিস্মৃত লোকক্রীড়ার চর্চা
editorial
বয়স বাড়লে স্মৃতিরা এসে ভিড় করে। সেই স্মৃতির মালায় শৈশবের ফুলগুলি জ্বলজ্বল করে। আর শৈশব মানেই তো নানা খেলার সমারোহ। গ্রামের দিকে, এখন যাঁদের বয়স পঞ্চাশের উপরে, তাঁদের শৈশবের কথায় বার বার ফিরে আসে নানা লোকক্রীড়ার কথা। আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়ায় বিনোদনের সেই আয়োজনগুলি এখন বিলুপ্তির পথে। অথচ, তারা এক দিন গ্রামীণ সমাজের শৈশবের অপরিহার্য অঙ্গ ছিল। ‘লোকক্রীড়া’ বলতে সাধারণত গ্রামীণ খেলাধুলোকেই বোঝায়। এক সময়ে, সারা বাংলা জুড়ে নানা বিচিত্র খেলা প্রচলিত ছিল। আবার অঞ্চলভেদে একই খেলার নাম এবং তার নিয়মকানুনও বদলে যেত। এখন চর্চার অভাবে, অনেক খেলার নামও পর্যন্ত গ্রামের মানুষ ভুলতে বসেছেন। কিন্তু এমন দিনও ছিল, যখন পড়াশোনার পাশাপাশি, অবসর সময়ে কমবয়সী ছেলেমেয়ে বা যুবসম্প্রদায় এই খেলাগুলি নিয়ে মেতে থাকত। হইচই আর দুরন্তপনায় মাতিয়ে তুলত পাড়া। গ্রামে বড় হয়ে উঠেছে এমন ছেলেমেয়েরা হা ডু-ডু, কিত-কিত, মার্বেল, লাটিম কিংবা ডাংগুলি খেলেনি, এমন দৃষ্টান্ত বিরল। হা ডু-ডু ও কিত-কিত প্রায় এক জাতীয় খেলা। আধুনিক কবাডির সঙ্গে এর যথেষ্ট মিল খুঁজে পাওয়া যায়। আগে গ্রামে গ্রামে এমন খেলাকে কেন্দ্র করে উৎসাহ, উদ্দীপনা তুঙ্গে উঠত। বসত প্রতিযোগিতার আসর। এখন সেখানে ভাটার টান। লাঠিখেলা শরীরচর্চার সঙ্গে সম্পৃক্ত এক ধরনের লোকক্রীড়া। তখনকার দিনে মনসার ভাসান, কিংবা দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় সবাই গোল হয়ে দাঁড়িয়ে লাঠিখেলার নানা কৌশল উপভোগ করত। মফস্সলের আরও একটি জনপ্রিয় খেলা ছিল ধাপসা বা গেমঘর। দলবদ্ধ এই খেলায় পরিশ্রম ভালই হত। আজকের যুগে অবশ্য এই খেলার কোনও অস্তিত্বই নেই। এ ভাবেই হারিয়ে গিয়েছে ঝরোল ঝাঁপ, বুড়ি ছোঁয়া, চোর-পুলিশের মতো খেলাগুলিও। গরু চরাতে গিয়ে, নিস্তব্ধ দুপুরে, একটু জিরিয়ে নেওয়ার ফাঁকে গাছের তলায় বসে মাটিতে ছক কেটে ষোলোঘুঁটি, ছাঁতপাত কিংবা বাঘবন্দি খেলার দৃশ্য তখন হামেশাই দেখা যেত। এখন তা বেশ বিরল। শীতের মরসুম এলেই, ধান কাটার পরে, নেড়া মাঠের উপর দিয়ে খালি পায়ে ছুটতে ছুটতে ঘুড়ি ওড়ানোর আনন্দই ছিল আলাদা। স্কুলে যাওয়া ছেলেদের কারও কারও হাফপ্যান্টের এক পকেটে থাকত লাট্টু-দড়ি, অন্য পকেটে মার্বেল। সেই সময় এ সব নিয়ে শিক্ষকদের হাতে ধরা পড়লে শাস্তি পেতে হত। স্কুল ছুটির পরে, মনের আনন্দে সেই লাট্টু ঘোরাতে ঘোরাতে বাড়ি ফিরত সেই সময়ের ছোটরা। আর ছিল ডাংগুলি খেলা। ডাংগুলিতে আঘাত লাগার আশঙ্কা ছিল। বিশেষ করে চোখে। তাই বড়রা খেলতে নিষেধ করতেন। আজও এ সব কথা গ্রামের অনেক বয়স্ক মানুষকে স্মৃতিমেদুর করে তোলে। তখন গ্রামের বাড়িগুলিতে টিভি তো দূরের কথা, রেডিয়োর দেখা মিলত না। হয়তো পাঁচখানা গ্রাম ঘুরলে, একটি বর্ধিষ্ণু পরিবারে দেখা মিলত ঢাউস মাপের একখানা রেডিয়োর। গৃহস্থ বাড়ির অনেক মহিলাকে দেখা যেত দুপুরের খাওয়ার পরে কড়ি খেলে সময় কাটাতেন। আজকের দিনে সে সব অচল। দুই দশক আগে, তখনও স্মার্টফোনের যুগ আসেনি, পড়ন্ত বিকেলে চণ্ডীমণ্ডপের চত্বর জুড়ে শোনা যেত উঠতি বয়সের কিশোরকিশোরীদের কথাবার্তা। একটা দল লুকোচুরি খেলায় মত্ত, তো অন্য দলের ছেলেমেয়েরা এক জনের চোখ বেধে দিয়ে তার মাথায় টোকা মারতে মারতে বলছে, ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যাকে পাবি তাকে ছোঁ’। এই সব খেলাধুলোর সঙ্গে সঙ্গেই হারিয়ে গিয়েছে এক্কা-দোক্কা, ইকিড়-মিকির, ফুলপাখি ইত্যাদি খেলাগুলিও। আগে অনেকে অভিযোগ করতেন, এই খেলাগুলি নিছকই বিনোদন। কোনও ধরনের শিক্ষা এই সব খেলা থেকে মিলত না। কিন্তু, এই সব খেলার মধ্যে দিয়ে ছোটরা এক সঙ্গে কোনও কিছু করার শিক্ষা পেত। নিজেদের মধ্যে সহজ সম্পর্ক গড়ে উঠত। দল বেঁধে কোনও কিছু করার প্রবণতা তৈরি হত। পরে কোনও সামাজিক উদ্যোগে যৌথ ভাবে এগিয়ে যেতে যা সহায়তা করত। কিন্তু এখন আমাদের শিশুরা এই সব খেলাগুলির জায়গায় মোবাইলে ব্যস্ত। আজকে শহরের শিশুরা তো বটেই, গ্রামগঞ্জের অধিকাংশ ছেলেমেয়ে ইন্টারনেট ও মোবাইল গেমে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। এ সব খেলার মধ্যে দিয়ে ছোটরা শৈশব থেকেই কম্পিউটার ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। যা তাদের ভবিষ্যতে কাজকর্মে সুবিধা করে দিতে পারে। কিন্তু এ কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে, মোবাইল বা ইন্টারনেট মাধ্যমেই ব্লু-হোয়েল, মোমোর মতো মারণখেলা ডালপালা বিস্তার করে চলেছে। পাশাপাশি, এক সঙ্গে খেলার মধ্যে দিয়ে যে দলবদ্ধ হওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় তাও হারিয়ে যাচ্ছে। আজকের শিশুদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে একা থাকার, একাই ভোগ করার প্রবণতা। ভবিষ্যতে যা থেকে জন্ম নিচ্ছে একাকীত্ব ও নিঃসঙ্গতা বোধ। কোনও সামাজিক উদ্যোগে এক সঙ্গে এগিয়ে আসার প্রবণতাও কমেছে। আর বাড়িতে বসে মোবাইলে মেতে থাকা শিশুদের সে ভাবে শরীরচর্চাও করা হয় না। ফলে, শৈশবেই স্থূলতার সমস্যা বাড়ছে। শিশুদের মানসিক বিকাশও বাধা পাচ্ছে। তাই সময় এসেছে, হারিয়ে যাওয়া খেলাগুলিকে নিয়ে নতুন করে ভাবার। আজ এর সেই গ্রামীণ পরিবেশ নেই। ফলে স্কুলস্তর থেকেই ভাবনাটা শুরু হওয়া দরকার। লেখক চাকদোলার সাহিত্য ও সংস্কৃতি কর্মী
আগে গ্রামে গ্রামে এমন খেলাকে কেন্দ্র করে উৎসাহ, উদ্দীপনা তুঙ্গে উঠত বসত প্রতিযোগিতার আসর এখন সেখানে ভাটার টান লাঠিখেলা শরীরচর্চার সঙ্গে সম্পৃক্ত এক ধরনের লোকক্রীড়া তখনকার দিনে মনসার ভাসান, কিংবা দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় সবাই গোল হয়ে দাঁড়িয়ে লাঠিখেলার নানা কৌশল উপভোগ করত মফস্সলের আরও একটি জনপ্রিয় খেলা ছিল ধাপসা বা গেমঘর দলবদ্ধ এই খেলায় পরিশ্রম ভালই হত আজকের যুগে অবশ্য এই খেলার কোনও অস্তিত্বই নেই এ ভাবেই হারিয়ে গিয়েছে ঝরোল ঝাঁপ, বুড়ি ছোঁয়া, চোর-পুলিশের মতো খেলাগুলিও গরু চরাতে গিয়ে, নিস্তব্ধ দুপুরে, একটু জিরিয়ে নেওয়ার ফাঁকে গাছের তলায় বসে মাটিতে ছক কেটে ষোলোঘুঁটি, ছাঁতপাত কিংবা বাঘবন্দি খেলার দৃশ্য তখন হামেশাই দেখা যেত এখন তা বেশ বিরল শীতের মরসুম এলেই, ধান কাটার পরে, নেড়া মাঠের উপর দিয়ে খালি পায়ে ছুটতে ছুটতে ঘুড়ি ওড়ানোর আনন্দই ছিল আলাদা স্কুলে যাওয়া ছেলেদের কারও কারও হাফপ্যান্টের এক পকেটে থাকত লাট্টু-দড়ি, অন্য পকেটে মার্বেল সেই সময় এ সব নিয়ে শিক্ষকদের হাতে ধরা পড়লে শাস্তি পেতে হত স্কুল ছুটির পরে, মনের আনন্দে সেই লাট্টু ঘোরাতে ঘোরাতে বাড়ি ফিরত সেই সময়ের ছোটরা আর ছিল ডাংগুলি খেলা ডাংগুলিতে আঘাত লাগার আশঙ্কা ছিল বিশেষ করে চোখে তাই বড়রা খেলতে নিষেধ করতেন আজও এ সব কথা গ্রামের অনেক বয়স্ক মানুষকে স্মৃতিমেদুর করে তোলে তখন গ্রামের বাড়িগুলিতে টিভি তো দূরের কথা, রেডিয়োর দেখা মিলত না হয়তো পাঁচখানা গ্রাম ঘুরলে, একটি বর্ধিষ্ণু পরিবারে দেখা মিলত ঢাউস মাপের একখানা রেডিয়োর
ছোটবেলার দোল
রাষ্ট্রের জন্য জরুরি বৃত্তি
দিল্লিতে শৈত্য প্রবাহের জেরে পারদ নামল ৫’র নিচে